Ajker Patrika

টিসিবির পণ্য পাননি অর্ধশতাধিক কার্ডধারী, ক্ষোভ প্রকাশ

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
টিসিবির পণ্য পাননি অর্ধশতাধিক কার্ডধারী, ক্ষোভ প্রকাশ

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌরশহরে টিসিবি পণ্য না পেয়ে খালি হাতে ফেরত গেছেন অর্ধশতাধিক কার্ডধারী। বিষয়টি নিয়ে কার্ডধারী লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তবে বিষয়টি নিয়ে টিসিবি ডিলার ও জনপ্রতিনিধিরা একে অন্যকে দোষারোপ করেছেন। 

আজ বৃহস্পতিবার পৌরশহরের ৪ ও ৫ নম্বর এই দুটি ওয়ার্ডে টিসিবি পণ্য বিতরণ করা হয়। 
তবে দুপুর দেড়টার দিকে গিয়ে ৫০-৬০ জন কার্ডধারী পণ্য না পেয়ে খালি হাতে ফেরত গেছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) ফোনে জানিয়েছেন। 

ডিলারের দাবি-কাউন্সিলরেরা শুরুতেই কার্ড ছাড়াই তাদের কাছের লোকজনের জন্য পণ্য নিয়ে যায়। তাই এই সংকট। তবে কাউন্সিলদের দাবি-ডিলার অন্য কোথাও পণ্য বিক্রি করে দিয়েছেন। তাই কার্ডধারীরা পণ্য পাচ্ছেন না। 

পৌরশহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাইলোড়া গ্রামের বাসিন্দা রতন মিয়া বলেন, ‘৫০-৬০ জন কার্ডধারী পণ্য না পেয়ে ফেরত গেয়েছেন। প্রতি কর্ডের বিপরীতে পণ্য আসে, কিন্তু এসব পণ্য তাহলে যায় কোথায়?’ 

একই ওয়ার্ডের মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, জোহরের নামাজের পরপর গিয়ে দেখি পণ্য বিক্রি শেষ। অথচ আমার মতো অনেক কার্ডধারী পণ্য পাননি। সবাই কার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে চিৎকার করছেন। কার্ডের পণ্য অন্য কেউ কীভাবে নেবে। শুধু আজ নয় কয়েক মাস ধরেই পণ্য পাই না। আসার আগেই পণ্য শেষ হয়ে যায়। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফোনে জানিয়েছি। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। 

৪ নম্বর ওয়ার্ডের দেওথান গ্রামের সুমন চন্দ্র সরকার বলেন, দেড়টার দিকে গিয়ে দেখি পণ্য শেষ। আমার কার্ডের পণ্য গেল কোথায়? এমন হলে কার্ড করে লাভ কি তাহলে। 

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মোহনগঞ্জ পৌরসভার ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আজ বৃহস্পতিবার টিসিবি পণ্য বিক্রি করা হয়। দুই ওয়ার্ডে কার্ডধারীর সংখ্যা ৯৯৯ জন। ৪৭০ টাকার বিনিময়ে প্রতি কার্ডধারীকে ২ লিটার সয়াবিন তেল, ৫ কেজি চাল ও দুইকেজি মসুর ডাল দেওয়া হয়েছে। এই দুই ওয়ার্ডে পণ্য বিক্রি করেন ডিলার জাকিরুল আলম রাজিব। 

ডিলার জাকিরুল আলম রাজিব বলেন, ‘শুরুতে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরেরা তাদের কাছের লোকদের জন্য কার্ড ছাড়াই পণ্য নিয়ে যায়। তখন তারা বলে-সমস্যা নাই অনেক কার্ডধারী শেষের দিকে আসবে না। শেষের দিকে যখন কার্ডধারীরা পণ্য পান না তখন এর দায় কাউন্সিলররা নেন না। 
এই কারণে কার্ডধারীদের পণ্য সংকট হয়। কিন্তু আমরা মূলত দুই ওয়ার্ডের ৯৯৯টি কার্ডের পণ্য সকালেই ট্যাগ অফিসার ও কাউন্সিলরদের সামনে গুনে রেখেছি। সেই হিসেবে কোনো কার্ডধারী পণ্য ছাড়া ফেরত যাওয়ার কথা নয়।’ 

তিনি আরও বলেন, সমস্যা হলো-নতুন কার্ড করার সময় কাউন্সিলরেরা অনেক সময় পুরোনো কার্ড সবগুলো তুলে না নিয়েই নতুন কার্ড ইস্যু করেন। এতে অনেকে পুরোনো কার্ড নিয়ে আসেন পণ্য নিতে। এতে কার্ডধারী বেশি হয়ে যায়। এতে কার্ড বাকি থাকে কিন্তু পণ্য শেষ হয়ে যায়। এখানে ডিলারের কোনো গাফিলতি নেই। কাউন্সিলরা সচেতন হলে এসব সমস্যা এড়ানো সম্ভব। 

এ বিষয়ে ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মানিক তালুকদার বলেন, ‘অনেক কার্ডধারী পণ্য পায়নি। পণ্য না পেয়ে তারা আমার কাছে গিয়েছে। খুবই বিব্রতকর ব্যাপার। এটি খুবই দুঃখজনক। ডিলার মনে হয় পণ্য অন্য কোথাও বিক্রি করে দিয়েছে। না হলে এমনটা হওয়ার কথা নয়।’

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করবেন বলেও জানান তিনি। তবে পুরান কার্ড তুলে না নেওয়া ও নিজেদের লোকদের কার্ড ছাড়া পণ্য নেওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন এই কাউন্সিলর। 

৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুরুল মোমেন বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডের বেশ কয়েকজন কার্ডধারীও পণ্য পায়নি। ডিলারের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। কেন এমনটা হয়েছে বুঝতে পারছি না।’ 

বিষয়টি অবহিত করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. হাফিজা জেসমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কয়েকজন ভুক্তভোগী ঘটনাস্থল থেকে ফোন করে বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। কাউন্সিলরসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলব। এদিকে ঘটনাটি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চুরি ঠেকাতে রাতে চাতাল পাহারা, ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ভুট্টা ও ধানের বস্তা চুরি ঠেকাতে রাতে নিজের চাতালে পাহারা দিতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে এক প্রবীণ ব্যবসায়ীর। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের মথুরাপুর মাস্টারপাড়ার কাদের চাতালে আজ শুক্রবার ভোরে ওই ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত ব্যবসায়ীর নাম খায়রুল ইসলাম (৭২)। তিনি ওই এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে। তিনি চাতালটি ভাড়া নিয়ে ভুট্টা ও ধানের ব্যবসা করতেন।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি গোডাউন থেকে নিয়মিতভাবে ভুট্টা ও ধানের বস্তা চুরি হচ্ছিল। এতে অতিষ্ঠ হয়ে খাইরুল ইসলাম নিজেই চোর ধরার জন্য রাত্রিকালীন পাহারাদারের কাজ শুরু করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে তিনি চাতালে আসেন।

আজ ভোর ৩টা নাগাদ কাদের চাতালের দায়িত্বে থাকা নাইট গার্ড চাতালে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে অন্যান্য নাইট গার্ডকে খবর দেন। খবর পেয়ে খাইরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন এবং তাঁকে শনাক্ত করেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

মৃত ব্যবসায়ীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জানান, খাইরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। তাঁদের ধারণা, চাতালে অবস্থান করার সময় তিনি স্ট্রোক অথবা সুগার (ডায়াবেটিস) কমে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পড়ে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।

রহিমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান হান্নু জানান, খাইরুল ইসলাম সাবেক সুগার মিলে কর্মরত ছিলেন। কয়েক বছর আগে তিনি অবসর নেন। অবসরের পর তিনি সিজনভিত্তিক ধান, গম ও ভুট্টার ব্যবসা করতেন। চেয়ারম্যান নিশ্চিত করেন, তিনি ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার উপপরিদর্শক এমদাদুর রহমান বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছি। সুরতহাল রিপোর্টে নিহতের শরীরে কোনো রকম আঘাত বা অস্বাভাবিক কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকেও কোনো অভিযোগ নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিদ্যুতায়িত হয়ে বাবা-ছেলের মৃত্যু

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি 
ঘটনাস্থলে লোকজনের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থলে লোকজনের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সেচযন্ত্র চালু করতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের পশ্চিম বাছহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত ব্যক্তিরা হলো মো. শহিদুল ইসলাম (৪০) ও তাঁর ছেলে মো. শিয়াব মিয়া (১৪)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সর্বানন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জহুরুল ইসলাম। মৃত ব্যক্তিদের স্বজনদের বরাতে তিনি বলেন, ধানখেতে পানি দেওয়ার জন্য সকাল ১০টার দিকে বিদ্যুৎ-চালিত সেচযন্ত্র নিয়ে পুকুরপাড়ে যায় বাবা ও ছেলে। ঘণ্টাখানেক পরে শিয়াবের মা ওই পুকুরপাড়ে যান। তিনি সেখানে ছেলের লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন। পরে স্থানীয় লোকজন এসে শিয়াবের লাশ বাড়িতে নেন। এর কিছুক্ষণ পরে শহিদুল ইসলামের খোঁজে পুকুরপাড়ে আবারও যান তাঁর স্বজনেরা। তখন তাঁর লাশও পুকুরে পাওয়া যায়।

সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাকিম আজাদ বলেন, ‘বিদ্যুৎচালিত সেচপাম্পে বিদ্যুতায়িত বাবা ও ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসর রাত শেষে মিলল বরের ঝুলন্ত লাশ

ফরিদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ৩০
পিসনাইল গ্রামে যুবকের মৃত্যুর খবরে এলাকাবাসীর ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
পিসনাইল গ্রামে যুবকের মৃত্যুর খবরে এলাকাবাসীর ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় জামাল ফকির (২৮) নামের নববিবাহিত এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের পিসনাইল গ্রামে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিয়ে করে বউ নিয়ে আসেন জামাল ফকির। বাসর রাত শেষে আজ সকালে বসতবাড়ির আধা কিলোমিটার দূরে ফাঁকা মাঠে জামালের লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।

ওই নববধূ বলেন, ‘সকালে মানুষের চিৎকার শুনে দরজা খুলতে চাই, দেখি দরজাটা বাইরে থেকে লাগানো। পরে কেউ দরজা খুলে দিলে দেখি, আমার স্বামী ঘরের বাইরে জমির মধ্যে পড়ে আছে।’

মৃত জামালের বড় ভাই জালাল ফকির বলেন, ‘আমার ভাইয়ের মৃত্যুর বিষয়টি খুবই রহস্যজনক। কারও সঙ্গে কোনো শত্রুতা ছিল না। ঠিক কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, বুঝে উঠতে পারছি না।’

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ওই ছেলে বিয়ে করেন। আজ সকালে বাড়ির পাশে একটি বাঁশের আড়া থেকে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় পরিবার। ধারণা করা হচ্ছে, যুবক আত্মহত্যা করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চমেক হাসপাতালে এসি বিস্ফোরণ: দগ্ধ ৩ কর্মচারীর একে একে সবাই চলে গেলেন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ। ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ভবনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) মেরামতের সময় বিস্ফোরণে দগ্ধ কর্মচারী মো. তানভীরও মারা গেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে চমেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তিনি মারা যান।

তানভীর দুর্ঘটনার পর থেকে ১১ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ নিয়ে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত তিন কর্মচারীর সবাই একে একে মারা গেলেন।

তানভীর চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া থানার ডিসি রোড এলাকায় থাকতেন। চমেক হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ১৩ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে চমেক হাসপাতালের একটি সাততলা ভবনের ছাদে এসি মেরামতের সময় সেটি বিস্ফোরিত হয়। এ সময় শওকত ওসমান নামের একজন কর্মচারী ছাদ থেকে ছিটকে নিচে পড়ে যান। অপর দুজনের মধ্যে মিশকাত ও তানভীর ছাদে দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে পড়ে ছিলেন। পরে তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে ভর্তির চার ঘণ্টা পর আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রথমে শওকত মারা যান। পরে ১৭ অক্টোবর মিশকাত ও আজ দুপুরে তানভীরও চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান। তাঁরা গণপূর্ত বিভাগের অধীনে হাসপাতালের টেকনিশিয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কর্মচারীদের সবাই চট্টগ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁদের বয়স ২৮ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত