মোহনগঞ্জ (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে করোনার প্রথম দিকে জনগণের হাত ধোয়ার জন্য স্থাপন করা পানির ট্যাংক খুলে নিয়েছেন পরাজিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান। নির্বাচনে হেরে পানির ট্যাংক খুলে নিয়েছেন বলে জানান এলাকাবাসী।
গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার বড়তলী-বানিয়াহারী ইউনিয়নের বানিয়াহারী বাজারের মোড়ে থাকা পানির ট্যাংকটি খুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। পরাজিত চেয়ারম্যান হাজী মুখলেছুর রহমান স্থানীয় দফাদার নান্টু চন্দ্রকে দিয়ে ওই পানির ট্যাংকটি খুলে নিয়ে তাঁর অস্থায়ী কার্যালয়ে রেখেছেন বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে উপজেলার বানিয়াহারী বাজারের মোড়ে জনগণের হাত ধোয়ার জন্য একটি পানির ট্যাংক স্থাপন করা হয়। স্থানীয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে দেওয়া এ ট্যাংকটি ওখানে স্থাপন করেন ইউপি চেয়ারম্যান মুখলেছুর রহমান। কিন্তু গত ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে পরাজিত হন তিনি। এতে স্থানীয়দের প্রতি ক্ষিপ্ত চেয়ারম্যান তাঁর সময়ে দেওয়া পানির ট্যাংকটি খুলে নেন।
উল্লেখ্য গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে উপজেলার বড়তলী-বানিয়াহারী ইউপি থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হন মুখলেছুর রহমান। আর জয়ী হন স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহাগ মিয়া।
বানিয়াহারী বাজারের দোকানি মো. কাজল মিয়া বলেন, এলাকার দফাদার নান্টু চন্দ্র বুধবার দুপুরে পানির ট্যাংকটি খুলে নেন। পরাজিত চেয়ারম্যান মুখলেছুর রহমানের নির্দেশে খুলে নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি আমাদের জানান। কিন্তু এটি তো চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত টাকায় কিনে দেওয়া নয়। স্থানীয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে দেওয়া এটি সরকারি সম্পত্তি। জনগণের জিনিস জনগণের কাছে ফেরত দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
বানিয়াহারী গ্রামের বাসিন্দা শামীম মিয়া বলেন, ‘মুখলেছুর রহমান এবার পাশ করতে পারেননি। বিগত ৫ বছর চেয়ারম্যান থাকাকালে তাঁর কাজকর্মে মানুষ অসন্তুষ্ট বলেই এমন ফল পেয়েছেন। ফেল করে এখন তাঁর সময়কার সরকারিভাবে দেওয়া পানির ব্যবস্থা খুলে নিয়েছেন। নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের এখনো শপথ হয়নি বিধায় মুখলেছুর রহমান এখনো চেয়ারম্যান পদে থেকে মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছেন। কেউ পরিচয়পত্র আনতে গেলে তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। এমনকি শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জন্ম নিবন্ধন আনতে গেলে অভিভাবকদের গালাগাল করছেন, সই দিচ্ছেন না। এই বিষয় দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তা কামনা করছি।
এ বিষয়ে স্থানীয় দফাদার নান্টু চন্দ্র বলেন, চেয়ারম্যান মুখলেছুর রহমানের নির্দেশে পানির ট্যাংক খুলে নিয়েছি। কেন নেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। বিস্তারিত জানতে হলে তাঁকেই জিজ্ঞেস করেন। ট্যাংকটি বর্তমানে পৌরশহরের বউ বাজার এলাকায় চেয়ারম্যান মুখলেছুর রহমানের অস্থায়ী কার্যালয়ে রয়েছে।
বড়তলী-বানিয়াহারী ইউপির সদ্য পাশ করা চেয়ারম্যান মো. সোহাগ মিয়া এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, এটি একটি অমানবিক ও দুঃখজনক ঘটনা। এলাকার জনগণ এখান থেকে পানি ব্যবহার করত। ট্যাংকটি খুলে নেওয়া ঠিক হয়নি। মানুষের সুবিধা কেড়ে নেওয়া ভালো কাজ নয়।
বিষটি জানতে চেয়ারম্যান হাজী মুখলেছুর রহমান বলেন, ওই ট্যাংকটি করোনাকালীন সময়ে জনগণের হাত ধোয়ার জন্য আমার নিজের টাকায় দিয়েছিলাম। এখন মসজিদে ব্যবহারের জন্য খুলে এনেছি।
এ বিষয়ে মোহনগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্যের উপ-প্রকৌশলী শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আমি কয়েক দিন হলো এখানে যোগদান করেছি। কোন কোন এলাকায় পানির ট্যাংক দেওয়া হয়েছিল এটি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখব।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে সরকারিভাবে দেওয়া হলে এটি কারও খুলে নেওয়ার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে করোনার প্রথম দিকে জনগণের হাত ধোয়ার জন্য স্থাপন করা পানির ট্যাংক খুলে নিয়েছেন পরাজিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান। নির্বাচনে হেরে পানির ট্যাংক খুলে নিয়েছেন বলে জানান এলাকাবাসী।
গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার বড়তলী-বানিয়াহারী ইউনিয়নের বানিয়াহারী বাজারের মোড়ে থাকা পানির ট্যাংকটি খুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। পরাজিত চেয়ারম্যান হাজী মুখলেছুর রহমান স্থানীয় দফাদার নান্টু চন্দ্রকে দিয়ে ওই পানির ট্যাংকটি খুলে নিয়ে তাঁর অস্থায়ী কার্যালয়ে রেখেছেন বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে উপজেলার বানিয়াহারী বাজারের মোড়ে জনগণের হাত ধোয়ার জন্য একটি পানির ট্যাংক স্থাপন করা হয়। স্থানীয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে দেওয়া এ ট্যাংকটি ওখানে স্থাপন করেন ইউপি চেয়ারম্যান মুখলেছুর রহমান। কিন্তু গত ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে পরাজিত হন তিনি। এতে স্থানীয়দের প্রতি ক্ষিপ্ত চেয়ারম্যান তাঁর সময়ে দেওয়া পানির ট্যাংকটি খুলে নেন।
উল্লেখ্য গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে উপজেলার বড়তলী-বানিয়াহারী ইউপি থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হন মুখলেছুর রহমান। আর জয়ী হন স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহাগ মিয়া।
বানিয়াহারী বাজারের দোকানি মো. কাজল মিয়া বলেন, এলাকার দফাদার নান্টু চন্দ্র বুধবার দুপুরে পানির ট্যাংকটি খুলে নেন। পরাজিত চেয়ারম্যান মুখলেছুর রহমানের নির্দেশে খুলে নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি আমাদের জানান। কিন্তু এটি তো চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত টাকায় কিনে দেওয়া নয়। স্থানীয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে দেওয়া এটি সরকারি সম্পত্তি। জনগণের জিনিস জনগণের কাছে ফেরত দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
বানিয়াহারী গ্রামের বাসিন্দা শামীম মিয়া বলেন, ‘মুখলেছুর রহমান এবার পাশ করতে পারেননি। বিগত ৫ বছর চেয়ারম্যান থাকাকালে তাঁর কাজকর্মে মানুষ অসন্তুষ্ট বলেই এমন ফল পেয়েছেন। ফেল করে এখন তাঁর সময়কার সরকারিভাবে দেওয়া পানির ব্যবস্থা খুলে নিয়েছেন। নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের এখনো শপথ হয়নি বিধায় মুখলেছুর রহমান এখনো চেয়ারম্যান পদে থেকে মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছেন। কেউ পরিচয়পত্র আনতে গেলে তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। এমনকি শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জন্ম নিবন্ধন আনতে গেলে অভিভাবকদের গালাগাল করছেন, সই দিচ্ছেন না। এই বিষয় দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তা কামনা করছি।
এ বিষয়ে স্থানীয় দফাদার নান্টু চন্দ্র বলেন, চেয়ারম্যান মুখলেছুর রহমানের নির্দেশে পানির ট্যাংক খুলে নিয়েছি। কেন নেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। বিস্তারিত জানতে হলে তাঁকেই জিজ্ঞেস করেন। ট্যাংকটি বর্তমানে পৌরশহরের বউ বাজার এলাকায় চেয়ারম্যান মুখলেছুর রহমানের অস্থায়ী কার্যালয়ে রয়েছে।
বড়তলী-বানিয়াহারী ইউপির সদ্য পাশ করা চেয়ারম্যান মো. সোহাগ মিয়া এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, এটি একটি অমানবিক ও দুঃখজনক ঘটনা। এলাকার জনগণ এখান থেকে পানি ব্যবহার করত। ট্যাংকটি খুলে নেওয়া ঠিক হয়নি। মানুষের সুবিধা কেড়ে নেওয়া ভালো কাজ নয়।
বিষটি জানতে চেয়ারম্যান হাজী মুখলেছুর রহমান বলেন, ওই ট্যাংকটি করোনাকালীন সময়ে জনগণের হাত ধোয়ার জন্য আমার নিজের টাকায় দিয়েছিলাম। এখন মসজিদে ব্যবহারের জন্য খুলে এনেছি।
এ বিষয়ে মোহনগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্যের উপ-প্রকৌশলী শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আমি কয়েক দিন হলো এখানে যোগদান করেছি। কোন কোন এলাকায় পানির ট্যাংক দেওয়া হয়েছিল এটি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখব।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে সরকারিভাবে দেওয়া হলে এটি কারও খুলে নেওয়ার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
মোহনগঞ্জ (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে করোনার প্রথম দিকে জনগণের হাত ধোয়ার জন্য স্থাপন করা পানির ট্যাংক খুলে নিয়েছেন পরাজিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান। নির্বাচনে হেরে পানির ট্যাংক খুলে নিয়েছেন বলে জানান এলাকাবাসী।
গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার বড়তলী-বানিয়াহারী ইউনিয়নের বানিয়াহারী বাজারের মোড়ে থাকা পানির ট্যাংকটি খুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। পরাজিত চেয়ারম্যান হাজী মুখলেছুর রহমান স্থানীয় দফাদার নান্টু চন্দ্রকে দিয়ে ওই পানির ট্যাংকটি খুলে নিয়ে তাঁর অস্থায়ী কার্যালয়ে রেখেছেন বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে উপজেলার বানিয়াহারী বাজারের মোড়ে জনগণের হাত ধোয়ার জন্য একটি পানির ট্যাংক স্থাপন করা হয়। স্থানীয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে দেওয়া এ ট্যাংকটি ওখানে স্থাপন করেন ইউপি চেয়ারম্যান মুখলেছুর রহমান। কিন্তু গত ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে পরাজিত হন তিনি। এতে স্থানীয়দের প্রতি ক্ষিপ্ত চেয়ারম্যান তাঁর সময়ে দেওয়া পানির ট্যাংকটি খুলে নেন।
উল্লেখ্য গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে উপজেলার বড়তলী-বানিয়াহারী ইউপি থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হন মুখলেছুর রহমান। আর জয়ী হন স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহাগ মিয়া।
বানিয়াহারী বাজারের দোকানি মো. কাজল মিয়া বলেন, এলাকার দফাদার নান্টু চন্দ্র বুধবার দুপুরে পানির ট্যাংকটি খুলে নেন। পরাজিত চেয়ারম্যান মুখলেছুর রহমানের নির্দেশে খুলে নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি আমাদের জানান। কিন্তু এটি তো চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত টাকায় কিনে দেওয়া নয়। স্থানীয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে দেওয়া এটি সরকারি সম্পত্তি। জনগণের জিনিস জনগণের কাছে ফেরত দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
বানিয়াহারী গ্রামের বাসিন্দা শামীম মিয়া বলেন, ‘মুখলেছুর রহমান এবার পাশ করতে পারেননি। বিগত ৫ বছর চেয়ারম্যান থাকাকালে তাঁর কাজকর্মে মানুষ অসন্তুষ্ট বলেই এমন ফল পেয়েছেন। ফেল করে এখন তাঁর সময়কার সরকারিভাবে দেওয়া পানির ব্যবস্থা খুলে নিয়েছেন। নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের এখনো শপথ হয়নি বিধায় মুখলেছুর রহমান এখনো চেয়ারম্যান পদে থেকে মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছেন। কেউ পরিচয়পত্র আনতে গেলে তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। এমনকি শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জন্ম নিবন্ধন আনতে গেলে অভিভাবকদের গালাগাল করছেন, সই দিচ্ছেন না। এই বিষয় দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তা কামনা করছি।
এ বিষয়ে স্থানীয় দফাদার নান্টু চন্দ্র বলেন, চেয়ারম্যান মুখলেছুর রহমানের নির্দেশে পানির ট্যাংক খুলে নিয়েছি। কেন নেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। বিস্তারিত জানতে হলে তাঁকেই জিজ্ঞেস করেন। ট্যাংকটি বর্তমানে পৌরশহরের বউ বাজার এলাকায় চেয়ারম্যান মুখলেছুর রহমানের অস্থায়ী কার্যালয়ে রয়েছে।
বড়তলী-বানিয়াহারী ইউপির সদ্য পাশ করা চেয়ারম্যান মো. সোহাগ মিয়া এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, এটি একটি অমানবিক ও দুঃখজনক ঘটনা। এলাকার জনগণ এখান থেকে পানি ব্যবহার করত। ট্যাংকটি খুলে নেওয়া ঠিক হয়নি। মানুষের সুবিধা কেড়ে নেওয়া ভালো কাজ নয়।
বিষটি জানতে চেয়ারম্যান হাজী মুখলেছুর রহমান বলেন, ওই ট্যাংকটি করোনাকালীন সময়ে জনগণের হাত ধোয়ার জন্য আমার নিজের টাকায় দিয়েছিলাম। এখন মসজিদে ব্যবহারের জন্য খুলে এনেছি।
এ বিষয়ে মোহনগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্যের উপ-প্রকৌশলী শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আমি কয়েক দিন হলো এখানে যোগদান করেছি। কোন কোন এলাকায় পানির ট্যাংক দেওয়া হয়েছিল এটি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখব।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে সরকারিভাবে দেওয়া হলে এটি কারও খুলে নেওয়ার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে করোনার প্রথম দিকে জনগণের হাত ধোয়ার জন্য স্থাপন করা পানির ট্যাংক খুলে নিয়েছেন পরাজিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান। নির্বাচনে হেরে পানির ট্যাংক খুলে নিয়েছেন বলে জানান এলাকাবাসী।
গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার বড়তলী-বানিয়াহারী ইউনিয়নের বানিয়াহারী বাজারের মোড়ে থাকা পানির ট্যাংকটি খুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। পরাজিত চেয়ারম্যান হাজী মুখলেছুর রহমান স্থানীয় দফাদার নান্টু চন্দ্রকে দিয়ে ওই পানির ট্যাংকটি খুলে নিয়ে তাঁর অস্থায়ী কার্যালয়ে রেখেছেন বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে উপজেলার বানিয়াহারী বাজারের মোড়ে জনগণের হাত ধোয়ার জন্য একটি পানির ট্যাংক স্থাপন করা হয়। স্থানীয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে দেওয়া এ ট্যাংকটি ওখানে স্থাপন করেন ইউপি চেয়ারম্যান মুখলেছুর রহমান। কিন্তু গত ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে পরাজিত হন তিনি। এতে স্থানীয়দের প্রতি ক্ষিপ্ত চেয়ারম্যান তাঁর সময়ে দেওয়া পানির ট্যাংকটি খুলে নেন।
উল্লেখ্য গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে উপজেলার বড়তলী-বানিয়াহারী ইউপি থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হন মুখলেছুর রহমান। আর জয়ী হন স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহাগ মিয়া।
বানিয়াহারী বাজারের দোকানি মো. কাজল মিয়া বলেন, এলাকার দফাদার নান্টু চন্দ্র বুধবার দুপুরে পানির ট্যাংকটি খুলে নেন। পরাজিত চেয়ারম্যান মুখলেছুর রহমানের নির্দেশে খুলে নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি আমাদের জানান। কিন্তু এটি তো চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত টাকায় কিনে দেওয়া নয়। স্থানীয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে দেওয়া এটি সরকারি সম্পত্তি। জনগণের জিনিস জনগণের কাছে ফেরত দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
বানিয়াহারী গ্রামের বাসিন্দা শামীম মিয়া বলেন, ‘মুখলেছুর রহমান এবার পাশ করতে পারেননি। বিগত ৫ বছর চেয়ারম্যান থাকাকালে তাঁর কাজকর্মে মানুষ অসন্তুষ্ট বলেই এমন ফল পেয়েছেন। ফেল করে এখন তাঁর সময়কার সরকারিভাবে দেওয়া পানির ব্যবস্থা খুলে নিয়েছেন। নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের এখনো শপথ হয়নি বিধায় মুখলেছুর রহমান এখনো চেয়ারম্যান পদে থেকে মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছেন। কেউ পরিচয়পত্র আনতে গেলে তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। এমনকি শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জন্ম নিবন্ধন আনতে গেলে অভিভাবকদের গালাগাল করছেন, সই দিচ্ছেন না। এই বিষয় দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তা কামনা করছি।
এ বিষয়ে স্থানীয় দফাদার নান্টু চন্দ্র বলেন, চেয়ারম্যান মুখলেছুর রহমানের নির্দেশে পানির ট্যাংক খুলে নিয়েছি। কেন নেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। বিস্তারিত জানতে হলে তাঁকেই জিজ্ঞেস করেন। ট্যাংকটি বর্তমানে পৌরশহরের বউ বাজার এলাকায় চেয়ারম্যান মুখলেছুর রহমানের অস্থায়ী কার্যালয়ে রয়েছে।
বড়তলী-বানিয়াহারী ইউপির সদ্য পাশ করা চেয়ারম্যান মো. সোহাগ মিয়া এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, এটি একটি অমানবিক ও দুঃখজনক ঘটনা। এলাকার জনগণ এখান থেকে পানি ব্যবহার করত। ট্যাংকটি খুলে নেওয়া ঠিক হয়নি। মানুষের সুবিধা কেড়ে নেওয়া ভালো কাজ নয়।
বিষটি জানতে চেয়ারম্যান হাজী মুখলেছুর রহমান বলেন, ওই ট্যাংকটি করোনাকালীন সময়ে জনগণের হাত ধোয়ার জন্য আমার নিজের টাকায় দিয়েছিলাম। এখন মসজিদে ব্যবহারের জন্য খুলে এনেছি।
এ বিষয়ে মোহনগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্যের উপ-প্রকৌশলী শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আমি কয়েক দিন হলো এখানে যোগদান করেছি। কোন কোন এলাকায় পানির ট্যাংক দেওয়া হয়েছিল এটি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখব।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে সরকারিভাবে দেওয়া হলে এটি কারও খুলে নেওয়ার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সুইমিংপুল থেকে সায়মা হোসাইন নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি সাঁতার কাটতে নেমে মারা যান বলে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন। আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সায়মা হোসাইন রাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ও মন্নুজান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী...
৩ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় মা-ছেলে নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে তিনজন। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার বারইয়ারহাট-রামগড় সড়কের করেরহাট ফরেস্ট অফিস এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৭ মিনিট আগে
রাঙামাটির রাজবন বিহারে নির্মাণাধীন সবচেয়ে বড় প্যাগোডার কাজের অগ্রগতি দেখতে এসেছেন থাইল্যান্ডের স্থাপত্য শিল্পী ড. সুচাই সিরিরাভেকুল ও প্রকৌশলী চাইয়াত সাতরাকুম।
১০ মিনিট আগে
আমরা মনে করি, তাদের নিরপেক্ষতা কাজে এবং কথার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। যদি এনসিপিকে শাপলা প্রতীক পেতে রাজপথের কর্মসূচিতে যেতে হয়, তাহলে এনসিপি ওই স্বেচ্ছাচারী নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের আন্দোলনেও যাবে।
২৬ মিনিট আগেরাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সুইমিংপুল থেকে সায়মা হোসাইন নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি সাঁতার কাটতে নেমে মারা যান বলে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন। আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সায়মা হোসাইন রাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ও মন্নুজান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ায়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা তৌফিক রহমান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা জিমের সামনে খেলাধুলা করছিলাম। যতক্ষণে সেখানে (সুইমিংপুল) গিয়ে আপুটিকে তুললাম, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। তিনি পানির নিচে ডুবন্ত অবস্থায় ছিলেন।’
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মুখপাত্র শংকর কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা তাঁকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। আইনি প্রক্রিয়ার জন্য তাঁর লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
রাবির প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা জানতে পারার সঙ্গে সঙ্গে মেডিকেলে এসেছি। লাশের প্রাথমিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর তাঁর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে বলা যাবে।’
এ বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি ধরেননি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সুইমিংপুল থেকে সায়মা হোসাইন নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি সাঁতার কাটতে নেমে মারা যান বলে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন। আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সায়মা হোসাইন রাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ও মন্নুজান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ায়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা তৌফিক রহমান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা জিমের সামনে খেলাধুলা করছিলাম। যতক্ষণে সেখানে (সুইমিংপুল) গিয়ে আপুটিকে তুললাম, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। তিনি পানির নিচে ডুবন্ত অবস্থায় ছিলেন।’
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মুখপাত্র শংকর কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা তাঁকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। আইনি প্রক্রিয়ার জন্য তাঁর লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
রাবির প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা জানতে পারার সঙ্গে সঙ্গে মেডিকেলে এসেছি। লাশের প্রাথমিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর তাঁর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে বলা যাবে।’
এ বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি ধরেননি।

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে করোনাকালীন সময়ে জনগণের হাত ধোয়ার জন্য স্থাপন করা পানির ট্যাংক খুলে নিয়েছেন পরাজিত ইউপি চেয়ারম্যান। নির্বাচনে হারের ফলে রেগে পানির ট্যাংক খুলে নিয়েছেন বলে জানান এলাকাবাসী। গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার বড়তলী-বানিয়াহারী ইউনিয়নের বানিয়াহারী বাজারের মোড়ে থাকা পানির ট্যাংকটি খুলে নেওয়া
২৭ জানুয়ারি ২০২২
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় মা-ছেলে নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে তিনজন। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার বারইয়ারহাট-রামগড় সড়কের করেরহাট ফরেস্ট অফিস এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৭ মিনিট আগে
রাঙামাটির রাজবন বিহারে নির্মাণাধীন সবচেয়ে বড় প্যাগোডার কাজের অগ্রগতি দেখতে এসেছেন থাইল্যান্ডের স্থাপত্য শিল্পী ড. সুচাই সিরিরাভেকুল ও প্রকৌশলী চাইয়াত সাতরাকুম।
১০ মিনিট আগে
আমরা মনে করি, তাদের নিরপেক্ষতা কাজে এবং কথার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। যদি এনসিপিকে শাপলা প্রতীক পেতে রাজপথের কর্মসূচিতে যেতে হয়, তাহলে এনসিপি ওই স্বেচ্ছাচারী নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের আন্দোলনেও যাবে।
২৬ মিনিট আগেমিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় মা-ছেলে নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে তিনজন। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার বারইয়ারহাট-রামগড় সড়কের করেরহাট ফরেস্ট অফিস এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলো ফটিকছড়ি উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের জাকির হোসেনের স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৩৫) ও ছেলে মো. হোসেন (১০)। আহত ব্যক্তিরা হলো খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার কৌচিয়া গ্রামের আনজু বেগম (৪৫) ও তাঁর ছেলে নাহিদুল ইসলাম (৩) এবং নোয়াখালী জেলার চরজব্বর থানার রুহুল আমিনের ছেলে রাশেদ (২০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বারইয়ারহাট-রামগড় সড়কের করেরহাট ফরেস্ট অফিস এলাকায় দ্রুতগতির একটি পিকআপ ভ্যান বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে অটোরিকশার যাত্রী মা-ছেলে নিহত এবং তিনজন আহত হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাঁধন দাশ বলেন, দুজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তারা সম্পর্কে মা-ছেলে। আহত ব্যক্তিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আবদুল হালিম বলেন, মরদেহ বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশাটি থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় মা-ছেলে নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে তিনজন। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার বারইয়ারহাট-রামগড় সড়কের করেরহাট ফরেস্ট অফিস এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলো ফটিকছড়ি উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের জাকির হোসেনের স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৩৫) ও ছেলে মো. হোসেন (১০)। আহত ব্যক্তিরা হলো খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার কৌচিয়া গ্রামের আনজু বেগম (৪৫) ও তাঁর ছেলে নাহিদুল ইসলাম (৩) এবং নোয়াখালী জেলার চরজব্বর থানার রুহুল আমিনের ছেলে রাশেদ (২০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বারইয়ারহাট-রামগড় সড়কের করেরহাট ফরেস্ট অফিস এলাকায় দ্রুতগতির একটি পিকআপ ভ্যান বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে অটোরিকশার যাত্রী মা-ছেলে নিহত এবং তিনজন আহত হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাঁধন দাশ বলেন, দুজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তারা সম্পর্কে মা-ছেলে। আহত ব্যক্তিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আবদুল হালিম বলেন, মরদেহ বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশাটি থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে করোনাকালীন সময়ে জনগণের হাত ধোয়ার জন্য স্থাপন করা পানির ট্যাংক খুলে নিয়েছেন পরাজিত ইউপি চেয়ারম্যান। নির্বাচনে হারের ফলে রেগে পানির ট্যাংক খুলে নিয়েছেন বলে জানান এলাকাবাসী। গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার বড়তলী-বানিয়াহারী ইউনিয়নের বানিয়াহারী বাজারের মোড়ে থাকা পানির ট্যাংকটি খুলে নেওয়া
২৭ জানুয়ারি ২০২২
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সুইমিংপুল থেকে সায়মা হোসাইন নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি সাঁতার কাটতে নেমে মারা যান বলে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন। আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সায়মা হোসাইন রাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ও মন্নুজান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী...
৩ মিনিট আগে
রাঙামাটির রাজবন বিহারে নির্মাণাধীন সবচেয়ে বড় প্যাগোডার কাজের অগ্রগতি দেখতে এসেছেন থাইল্যান্ডের স্থাপত্য শিল্পী ড. সুচাই সিরিরাভেকুল ও প্রকৌশলী চাইয়াত সাতরাকুম।
১০ মিনিট আগে
আমরা মনে করি, তাদের নিরপেক্ষতা কাজে এবং কথার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। যদি এনসিপিকে শাপলা প্রতীক পেতে রাজপথের কর্মসূচিতে যেতে হয়, তাহলে এনসিপি ওই স্বেচ্ছাচারী নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের আন্দোলনেও যাবে।
২৬ মিনিট আগেরাঙামাটি প্রতিনিধি

রাঙামাটির রাজবন বিহারে নির্মাণাধীন সবচেয়ে বড় প্যাগোডার কাজের অগ্রগতি দেখতে এসেছেন থাইল্যান্ডের স্থাপত্য শিল্পী ড. সুচাই সিরিরাভেকুল এবং প্রকৌশলী চাইয়াত সাতরাকুম। প্যাগোডার কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে আজ রোববার রাজবন বিহারের আবাসিক ভিক্ষুসংঘ এবং রাজবন বিহারের উপাসক উপাসিকা পরিষদের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।
আজ সকালে রাজবন বিহার কর্তৃপক্ষ থাইল্যান্ড প্রতিনিধিদলকে সংবর্ধনা দেয় এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।

পুণ্যার্থীদের দানের টাকায় ২০১৪ সালে রাঙামাটির রাজবন বিহারের পশ্চিম পাশে মাঠে শুরু হয় প্যাগোডার নির্মাণকাজ। রাজবন বিহার কর্তৃপক্ষ জানায়, নির্মাণকাজ শেষ হলে বাংলাদেশে এটি হবে সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ প্যাগোডা। রাজবন বিহার এই প্যাগোডার নাম দিয়েছে রাজবন বিহার বিশ্বশান্তি প্যাগোডা।

রাঙামাটির রাজবন বিহারে নির্মাণাধীন সবচেয়ে বড় প্যাগোডার কাজের অগ্রগতি দেখতে এসেছেন থাইল্যান্ডের স্থাপত্য শিল্পী ড. সুচাই সিরিরাভেকুল এবং প্রকৌশলী চাইয়াত সাতরাকুম। প্যাগোডার কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে আজ রোববার রাজবন বিহারের আবাসিক ভিক্ষুসংঘ এবং রাজবন বিহারের উপাসক উপাসিকা পরিষদের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।
আজ সকালে রাজবন বিহার কর্তৃপক্ষ থাইল্যান্ড প্রতিনিধিদলকে সংবর্ধনা দেয় এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।

পুণ্যার্থীদের দানের টাকায় ২০১৪ সালে রাঙামাটির রাজবন বিহারের পশ্চিম পাশে মাঠে শুরু হয় প্যাগোডার নির্মাণকাজ। রাজবন বিহার কর্তৃপক্ষ জানায়, নির্মাণকাজ শেষ হলে বাংলাদেশে এটি হবে সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ প্যাগোডা। রাজবন বিহার এই প্যাগোডার নাম দিয়েছে রাজবন বিহার বিশ্বশান্তি প্যাগোডা।

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে করোনাকালীন সময়ে জনগণের হাত ধোয়ার জন্য স্থাপন করা পানির ট্যাংক খুলে নিয়েছেন পরাজিত ইউপি চেয়ারম্যান। নির্বাচনে হারের ফলে রেগে পানির ট্যাংক খুলে নিয়েছেন বলে জানান এলাকাবাসী। গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার বড়তলী-বানিয়াহারী ইউনিয়নের বানিয়াহারী বাজারের মোড়ে থাকা পানির ট্যাংকটি খুলে নেওয়া
২৭ জানুয়ারি ২০২২
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সুইমিংপুল থেকে সায়মা হোসাইন নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি সাঁতার কাটতে নেমে মারা যান বলে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন। আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সায়মা হোসাইন রাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ও মন্নুজান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী...
৩ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় মা-ছেলে নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে তিনজন। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার বারইয়ারহাট-রামগড় সড়কের করেরহাট ফরেস্ট অফিস এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৭ মিনিট আগে
আমরা মনে করি, তাদের নিরপেক্ষতা কাজে এবং কথার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। যদি এনসিপিকে শাপলা প্রতীক পেতে রাজপথের কর্মসূচিতে যেতে হয়, তাহলে এনসিপি ওই স্বেচ্ছাচারী নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের আন্দোলনেও যাবে।
২৬ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

শাপলা প্রতীক পেতে এনসিপিকে যদি রাজপথে নামতে হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠনের আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
আজ রোববার কিশোরগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জেলা ও উপজেলা কমিটির সমন্বয় সভার মধ্যাহ্ন বিরতিতে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘আইনগতভাবে শাপলা প্রতীক পেতে এনসিপির কোনো বাধা নেই। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন তাদের পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাচারিতা করছে এবং পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে। আমরা অভ্যুত্থান-পরবর্তী নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে এ ধরনের স্বেচ্ছাচারদুষ্ট আচরণ কখনো প্রত্যাশা করি না।
‘তারা যদি তাদের জায়গা থেকে স্বাধীন-স্বকীয়তা প্রদর্শন না করতে পারে, তাহলে আগামীর নির্বাচনে তাদের ওপর আমাদের আস্থা রাখতে পারব না। আমরা মনে করি, তাদের নিরপেক্ষতা কাজে এবং কথার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। যদি এনসিপিকে শাপলা প্রতীক পেতে রাজপথের কর্মসূচিতে যেতে হয়, তাহলে এনসিপি ওই স্বেচ্ছাচারী নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের আন্দোলনেও যাবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, আওয়ামী লীগ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদ প্রশ্নে বিএনপি এবং জামায়াত এককভাবে নেতৃত্ব দিতে পারবে না। সেই জায়গায় তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব আবশ্যক। এনসিপির প্রতিনিধিত্ব আবশ্যক। আমরা এটাও মনে করি, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে এককভাবে বিএনপি এবং জামায়াত তাদের জায়গা থেকে নেতৃত্ব দিতে পারবে না। সেই জায়গা থেকে তরুণ প্রজন্মের এনসিপির অংশগ্রহণ আবশ্যক।’
জুলাই সনদে স্বাক্ষর করা প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, ‘এই অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশ বাস্তবতায় আমরা মনে করি, গণতান্ত্রিক উত্তরণের যে প্রক্রিয়া, সেই প্রক্রিয়ায় এনসিপিসহ তরুণদের অংশগ্রহণ অতীব জরুরি। সেই জন্য জুলাই সনদ নিয়ে আমরা আমাদের আপসহীন অবস্থান ব্যক্ত করেছি। অন্যান্য রাজনৈতিক দল যখন জুলাই সনদের প্রশ্নে নিশ্চয়তার যেটি প্রয়োজন ছিল, সেই নিশ্চয়তার প্রসেসিং কীভাবে হবে, কবে হবে—সেটি ঠিক না করে শুধুমাত্র নির্বাচনমুখী আচরণ করে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল; তখন এনসিপি তাদের জায়গা থেকে মেরুদণ্ড সোজা করে নিশ্চয়তা চেয়েছে এবং জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেনি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, যেদিন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দেওয়া হবে, যেদিন সেই আদেশ জারি করা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে এবং গণভোটে যদি জুলাইয়ের পক্ষে রায় আসে, তখন কোনো নোট অব ডিসেন্টকে বিবেচনা করা হবে না—এই নিশ্চয়তা যখন আসবে, তখন জনগণের পক্ষে আমরা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করব। এনসিপি কোনো নিশ্চয়তা ছাড়া একটি কাগজে স্বাক্ষর করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করতে পারে না।’
নির্বাচনী জোট প্রসঙ্গে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের এ মুখ্য সংগঠক বলেন, ‘এনসিপি শুধু আগামী নির্বাচনে কয়েকটি সিটের জন্য সংসদে যাওয়ার জন্য জোট করার জন্য কাজ করছে না। এনসিপি মনে করে, কোনো রাজনৈতিক দল যদি তাদের জায়গা থেকে জুলাই সনদের প্রত্যেকটি সংস্কার বাস্তবায়নে কমিটেড থাকে, বিচারিক প্রক্রিয়াকে ধারাবাহিকভাবে সামনে এগিয়ে নিয়ে সম্পূর্ণ করতে কমিটেড থাকে, ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কমিটেড থাকে, আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টিসহ ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কমিটেড থাকে, তাহলে ওই নির্বাচনে তাদের সঙ্গে অ্যালায়েন্স হতে পারি।’
প্রশাসন সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে এনসিপি নেতা বলেন, ‘প্রশাসনে ঘুরেফিরে এখন পর্যন্ত যাঁরা আছেন, তাঁরা কেউ বিএনপিপন্থী আচরণ করেন, কেউ জামায়াতপন্থী আচরণ করেন, কেউ পূর্বের আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল বলে ওই পন্থী আচরণ করেন। বিশেষ করে যাঁরা ইউএনও আছেন, ওসি আছেন, তাঁদের আচরণটা দলীয় আচরণ আসে। তাঁরা বিভিন্ন দলীয় ইউএনও, দলীয় ওসি হয়ে উঠতে চান। আমাদের জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার যাঁরা আছেন, তাঁরাও দলীয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার হয়ে উঠতে চান।
‘মন্ত্রণালয়ে কিছু সচিব আছেন, তাঁরা দলীয় সচিব হয়ে উঠতে চান। আমরা তাঁদের স্পষ্ট করে বলি, এবার তাঁরা অনেকটাই পার পেয়ে গিয়েছে। কারণ, এই অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের মানুষের আগে ছিল না। কিন্তু আগামীতে যদি তাঁরা এই আচরণ বহাল রাখেন, আর আমাদের আবার এই রকম একটা বড় ঘটনার দিকে যেতে হয়, তখন কেউ আর বিন্দুমাত্র আশ্রয় পাবেন না, প্রশ্রয় পাবেন না। আমি অনুরোধ করব আপনাদের যে আপনারা দলীয় প্রশাসন না হয়ে ওঠেন। আপনারা বাংলাদেশের প্রশাসন হয়ে উঠুন। বাংলাদেশের মানুষের হয়ে উঠুন।’
সারজিস আলম বলেন, ‘জুলাইয়ে যারা রাজপথের যোদ্ধা ছিল, শহীদ পরিবাররা ছিল, তাদের এখন হুমকি দেয়। হুমকি দেয় কারা—যারা ’২৪-এ আমাদের এই সহযোদ্ধাদের ওপর হামলা করেছিল, গুলি ছুড়েছিল। তারা এখন টাকার বিনিময়ে, তারা এখন বিভিন্ন নেগোসিয়েশনের বিনিময়ে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পেছন থেকে আঁতাত করে, ক্ষমতায় থাকা প্রশাসনের কিংবা বিচার বিভাগে থাকা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে আঁতাত করে, তারা জামিন নিয়ে আসছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট যাঁরা আছেন, তাঁরা যদি এই বিষয়ে কঠোর না হন, তাহলে আগামীর বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা আপনারা নিশ্চিত করতে পারবেন না, নির্বাচন একটা অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাবে। এই কথাটা দিয়ে আপনারা এই দিকে টানবেন না যে নির্বাচনে অনিশ্চয়তার কথা বলেছে; তার মানে এনসিপি বলে নির্বাচন পেছাতে চায়। না। এটা হচ্ছে বর্তমান বাস্তবতা।
‘যদি আমার একজন আহত যোদ্ধা, আমার একজন শহীদ পরিবারের ওপরে এই ধরনের আক্রমণ হয় এবং অনিরাপত্তায় ভোগে, তাহলে আগামীতে পরিস্থিতি কিছুটা অস্থিতিশীল হবে।’
আহনাফ সাঈদ খানের সভাপতিত্বে সমন্বয় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন এনসিপি ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল্লাহ হায়দার, কেন্দ্রীয় সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) খায়রুল কবির ও সাঈদ উজ্জ্বল এবং কেন্দ্রীয় সদস্য দিদার শাহ। এ সময় এনসিপির জেলা ও উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শাপলা প্রতীক পেতে এনসিপিকে যদি রাজপথে নামতে হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠনের আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
আজ রোববার কিশোরগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জেলা ও উপজেলা কমিটির সমন্বয় সভার মধ্যাহ্ন বিরতিতে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘আইনগতভাবে শাপলা প্রতীক পেতে এনসিপির কোনো বাধা নেই। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন তাদের পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাচারিতা করছে এবং পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে। আমরা অভ্যুত্থান-পরবর্তী নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে এ ধরনের স্বেচ্ছাচারদুষ্ট আচরণ কখনো প্রত্যাশা করি না।
‘তারা যদি তাদের জায়গা থেকে স্বাধীন-স্বকীয়তা প্রদর্শন না করতে পারে, তাহলে আগামীর নির্বাচনে তাদের ওপর আমাদের আস্থা রাখতে পারব না। আমরা মনে করি, তাদের নিরপেক্ষতা কাজে এবং কথার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। যদি এনসিপিকে শাপলা প্রতীক পেতে রাজপথের কর্মসূচিতে যেতে হয়, তাহলে এনসিপি ওই স্বেচ্ছাচারী নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের আন্দোলনেও যাবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, আওয়ামী লীগ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদ প্রশ্নে বিএনপি এবং জামায়াত এককভাবে নেতৃত্ব দিতে পারবে না। সেই জায়গায় তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব আবশ্যক। এনসিপির প্রতিনিধিত্ব আবশ্যক। আমরা এটাও মনে করি, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে এককভাবে বিএনপি এবং জামায়াত তাদের জায়গা থেকে নেতৃত্ব দিতে পারবে না। সেই জায়গা থেকে তরুণ প্রজন্মের এনসিপির অংশগ্রহণ আবশ্যক।’
জুলাই সনদে স্বাক্ষর করা প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, ‘এই অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশ বাস্তবতায় আমরা মনে করি, গণতান্ত্রিক উত্তরণের যে প্রক্রিয়া, সেই প্রক্রিয়ায় এনসিপিসহ তরুণদের অংশগ্রহণ অতীব জরুরি। সেই জন্য জুলাই সনদ নিয়ে আমরা আমাদের আপসহীন অবস্থান ব্যক্ত করেছি। অন্যান্য রাজনৈতিক দল যখন জুলাই সনদের প্রশ্নে নিশ্চয়তার যেটি প্রয়োজন ছিল, সেই নিশ্চয়তার প্রসেসিং কীভাবে হবে, কবে হবে—সেটি ঠিক না করে শুধুমাত্র নির্বাচনমুখী আচরণ করে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল; তখন এনসিপি তাদের জায়গা থেকে মেরুদণ্ড সোজা করে নিশ্চয়তা চেয়েছে এবং জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেনি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, যেদিন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দেওয়া হবে, যেদিন সেই আদেশ জারি করা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে এবং গণভোটে যদি জুলাইয়ের পক্ষে রায় আসে, তখন কোনো নোট অব ডিসেন্টকে বিবেচনা করা হবে না—এই নিশ্চয়তা যখন আসবে, তখন জনগণের পক্ষে আমরা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করব। এনসিপি কোনো নিশ্চয়তা ছাড়া একটি কাগজে স্বাক্ষর করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করতে পারে না।’
নির্বাচনী জোট প্রসঙ্গে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের এ মুখ্য সংগঠক বলেন, ‘এনসিপি শুধু আগামী নির্বাচনে কয়েকটি সিটের জন্য সংসদে যাওয়ার জন্য জোট করার জন্য কাজ করছে না। এনসিপি মনে করে, কোনো রাজনৈতিক দল যদি তাদের জায়গা থেকে জুলাই সনদের প্রত্যেকটি সংস্কার বাস্তবায়নে কমিটেড থাকে, বিচারিক প্রক্রিয়াকে ধারাবাহিকভাবে সামনে এগিয়ে নিয়ে সম্পূর্ণ করতে কমিটেড থাকে, ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কমিটেড থাকে, আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টিসহ ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কমিটেড থাকে, তাহলে ওই নির্বাচনে তাদের সঙ্গে অ্যালায়েন্স হতে পারি।’
প্রশাসন সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে এনসিপি নেতা বলেন, ‘প্রশাসনে ঘুরেফিরে এখন পর্যন্ত যাঁরা আছেন, তাঁরা কেউ বিএনপিপন্থী আচরণ করেন, কেউ জামায়াতপন্থী আচরণ করেন, কেউ পূর্বের আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল বলে ওই পন্থী আচরণ করেন। বিশেষ করে যাঁরা ইউএনও আছেন, ওসি আছেন, তাঁদের আচরণটা দলীয় আচরণ আসে। তাঁরা বিভিন্ন দলীয় ইউএনও, দলীয় ওসি হয়ে উঠতে চান। আমাদের জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার যাঁরা আছেন, তাঁরাও দলীয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার হয়ে উঠতে চান।
‘মন্ত্রণালয়ে কিছু সচিব আছেন, তাঁরা দলীয় সচিব হয়ে উঠতে চান। আমরা তাঁদের স্পষ্ট করে বলি, এবার তাঁরা অনেকটাই পার পেয়ে গিয়েছে। কারণ, এই অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের মানুষের আগে ছিল না। কিন্তু আগামীতে যদি তাঁরা এই আচরণ বহাল রাখেন, আর আমাদের আবার এই রকম একটা বড় ঘটনার দিকে যেতে হয়, তখন কেউ আর বিন্দুমাত্র আশ্রয় পাবেন না, প্রশ্রয় পাবেন না। আমি অনুরোধ করব আপনাদের যে আপনারা দলীয় প্রশাসন না হয়ে ওঠেন। আপনারা বাংলাদেশের প্রশাসন হয়ে উঠুন। বাংলাদেশের মানুষের হয়ে উঠুন।’
সারজিস আলম বলেন, ‘জুলাইয়ে যারা রাজপথের যোদ্ধা ছিল, শহীদ পরিবাররা ছিল, তাদের এখন হুমকি দেয়। হুমকি দেয় কারা—যারা ’২৪-এ আমাদের এই সহযোদ্ধাদের ওপর হামলা করেছিল, গুলি ছুড়েছিল। তারা এখন টাকার বিনিময়ে, তারা এখন বিভিন্ন নেগোসিয়েশনের বিনিময়ে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পেছন থেকে আঁতাত করে, ক্ষমতায় থাকা প্রশাসনের কিংবা বিচার বিভাগে থাকা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে আঁতাত করে, তারা জামিন নিয়ে আসছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট যাঁরা আছেন, তাঁরা যদি এই বিষয়ে কঠোর না হন, তাহলে আগামীর বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা আপনারা নিশ্চিত করতে পারবেন না, নির্বাচন একটা অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাবে। এই কথাটা দিয়ে আপনারা এই দিকে টানবেন না যে নির্বাচনে অনিশ্চয়তার কথা বলেছে; তার মানে এনসিপি বলে নির্বাচন পেছাতে চায়। না। এটা হচ্ছে বর্তমান বাস্তবতা।
‘যদি আমার একজন আহত যোদ্ধা, আমার একজন শহীদ পরিবারের ওপরে এই ধরনের আক্রমণ হয় এবং অনিরাপত্তায় ভোগে, তাহলে আগামীতে পরিস্থিতি কিছুটা অস্থিতিশীল হবে।’
আহনাফ সাঈদ খানের সভাপতিত্বে সমন্বয় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন এনসিপি ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল্লাহ হায়দার, কেন্দ্রীয় সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) খায়রুল কবির ও সাঈদ উজ্জ্বল এবং কেন্দ্রীয় সদস্য দিদার শাহ। এ সময় এনসিপির জেলা ও উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে করোনাকালীন সময়ে জনগণের হাত ধোয়ার জন্য স্থাপন করা পানির ট্যাংক খুলে নিয়েছেন পরাজিত ইউপি চেয়ারম্যান। নির্বাচনে হারের ফলে রেগে পানির ট্যাংক খুলে নিয়েছেন বলে জানান এলাকাবাসী। গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার বড়তলী-বানিয়াহারী ইউনিয়নের বানিয়াহারী বাজারের মোড়ে থাকা পানির ট্যাংকটি খুলে নেওয়া
২৭ জানুয়ারি ২০২২
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সুইমিংপুল থেকে সায়মা হোসাইন নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি সাঁতার কাটতে নেমে মারা যান বলে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন। আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সায়মা হোসাইন রাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ও মন্নুজান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী...
৩ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় মা-ছেলে নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে তিনজন। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার বারইয়ারহাট-রামগড় সড়কের করেরহাট ফরেস্ট অফিস এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৭ মিনিট আগে
রাঙামাটির রাজবন বিহারে নির্মাণাধীন সবচেয়ে বড় প্যাগোডার কাজের অগ্রগতি দেখতে এসেছেন থাইল্যান্ডের স্থাপত্য শিল্পী ড. সুচাই সিরিরাভেকুল ও প্রকৌশলী চাইয়াত সাতরাকুম।
১০ মিনিট আগে