Ajker Patrika

গুম-খুন-দুর্নীতি আওয়ামী লীগের রাজনীতি: গয়েশ্বর

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২০: ৪২
গুম-খুন-দুর্নীতি আওয়ামী লীগের রাজনীতি: গয়েশ্বর

গুম-খুন-দুর্নীতি আওয়ামী লীগের রাজনীতি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আজ শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি। নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর এলাকায় পদযাত্রার পর এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। 

এ সময় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘২০১৭ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডরের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছিল। সেখানে সেই প্রতিনিধি বলেছিলেন,প্রেজেন্টস প্রাইম মিনিস্টার নিড অ্যা কম্ফোর্টেবল এক্সিট। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী ১৭ সালে আরামদায়ক প্রস্থানের পথ খুঁজছিলেন। তাঁর লোকজনের নিরাপত্তা চাচ্ছেন। আমরা এর কারণ জানতে চাইলে বলেন, আমরা-আপনারা কিছুই জানি না। কেবল তিনিই জানেন তিনি কী করেছেন।’ অর্থাৎ শেখ হাসিনাই জানে নারায়ণগঞ্জের সাত খুন থেকে শুরু করে যত গুম-খুন হয়েছে, সবই তিনি জানেন। লক্ষকোটি টাকা কীভাবে বিদেশে গেছে, কীভাবে শেয়ার মার্কেট লুট হয়েছে, সবই তিনি জানেন। তাঁর আছে তিনটা গুণ—গুম, খুন আর দুর্নীতি। এটাই হচ্ছে শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের রাজনীতি। এই রাজনীতি করার জন্য দেশের মানুষ যুদ্ধ করেনি। তাঁর একটা পাগল আছে, নাম ওবায়দুল কাদের। আপনারা যদি পদযাত্রাকে ভয় না পান, তাহলে এত হইচই করেন কেন? নীরব পদযাত্রাকে যারা ভয়, তাদের অবস্থা বুঝে নিতে হবে কী হালে আছেন।’ 

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘২০১৮ সালে নয়ছয় করে জিতেছেন। ২০১৪ সালে তো ভোটের আগেই ১৫৩ আসনে বিনা ভোটে জয়লাভ করেছেন। ফলে বাকি আসনে নির্বাচন হলো কী হলো না—সেটা বিষয় না। ’১৮ সালের নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে দিয়েছেন। প্রতিযোগিতায় নামল পুলিশেরা, কে কত ভোট দিতে পারে। বাংলাদেশের ইতিহাসে আগে কখনো ৭০ পার্সেন্টও ভোট পড়েনি। কিন্তু ১৮ সালের নির্বাচনে ১১৭ শতাংশ, ১০২ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। মরা মানুষ, প্রবাসী মানুষও ভোট দিয়েছে। মানুষ মশকরা করে বলল—কবর থেকে ভোট দিতে আইল, আমরা দেখতে পারলাম না। শেষ দেখা যদি দেখতাম। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগের ভোটের নমুনা। জনগণের সঙ্গে এই ধরনের মশকরা সাংবিধানিক অপরাধ। আমরা একটা সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন চাই। নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় বর্তমান সরকার ও প্রধানমন্ত্রী। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হলে সর্বপ্রথম প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। নির্বাচন ঘোষণার পর কখনই পার্লামেন্ট বলবৎ থাকে না। আসন শূন্য না হলে সঠিক নির্বাচন হয় না। এই অবৈধ পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করতে হবে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করার মতো যোগ্যতা রাখে না। তারা সরকারের ফরমায়েশ পালন করার জন্য এই কমিশন গঠন করা হয়েছে। এই কমিশনকে পদত্যাগ করতে হবে।’ 

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচিতে নেতা-কর্মীরাসংবিধান সংশোধনের আহ্বান জানিয়ে গয়েশ্বর বলেন, ‘আমরা এরশাদ পতনের পর নির্বাচন দেখেছি, যেখানে কোনো দলীয় লোক ছিল না। পরবর্তী সময় শেখ হাসিনা, জামায়াতে ইসলাম ও জাতীয় পার্টি দাবি তুলল দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করবে না। তারা কেয়ারটেকার সরকারের দাবি তুলল। পার্লামেন্ট শেষ হওয়ার দেড় বছর আগেই পদত্যাগ করল। ফলে তাদের দাবি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হচ্ছিল না। এরপরে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হয় এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। কিন্তু তিনি মাত্র আড়াই মাস সরকারে থাকেন। তিনি পার্লামেন্টে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাস করে স্বেচ্ছায় পায়ে হেঁটে বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে দায়িত্ব অর্পণ করেন। যারা আজ অজুহাত দেয় তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা সংবিধানে নেই। সংবিধানে তো আগেও ছিল না। আপনারাই তো নিয়ে আসছেন দাবি তুলে। বলা হয়, গেম প্ল্যান অব শেখ হাসিনা। আপনার চিন্তার ফসলই ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তবে সেই সরকার কেন বাতিল করলেন—এর জবাব আপনাকে দিতে হবে।’ 

নতুন রাষ্ট্রপতি প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা দাবি তুলছি, কেয়ারটেকার সরকারে বিএনপি থেকে কাউকে নিতে হবে না। দেশে অনেক শিক্ষিত এবং নিরপেক্ষ লোক আছে। তাদের নিয়ে সরকার গঠন করে আপনি মাঠে আসেন, নির্বাচন করেন। সেই নির্বাচনে বিএনপিসহ সবাই অংশ নেবে। আপনি সংবিধান পরিবর্তন করেন, আমাদের আর আন্দোলনের দরকার নাই। আমরা যথাসময়ে নির্বাচনে অংশ নেব। যাকে নতুন রাষ্ট্রপতি বানিয়েছেন, তাঁর হাতে দায়িত্ব দিয়ে পদত্যাগ করেন, আমরা নির্বাচনে আসব।’ 

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই, বিদ্যুৎ খাতে যত অপকর্ম আছে—সেসব ঢাকতে ইনডেমনিটি বিল পাস করেছেন। অর্থাৎ যা করেছেন সেই বিষয়ে কেউ প্রশ্ন বা মামলা-মোকাদ্দমা করতে পারবে না। এবার আরেকটা বিল পাস করেন যে ক্ষমতা থেকে নামলে আপনাকে ধরাছোঁয়া যাবে না। তারপর একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিয়ে ক্ষমতা থেকে নামেন। খামাখা মানুষকে আর কষ্ট দিয়েন না। আর যদি সেই পথে না হাঁটেন, তাহলে দেশ যেভাবে স্বাধীন হয়েছে, সেভাবেই গণতন্ত্র আবার প্রতিষ্ঠিত হবে। সেদিন আর কোনো ক্ষমা পাওয়ার সুযোগ থাকবে না।’ 

ভারতের আদানি প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতে নাকি তিনি ভর্তুকি দিতে পারবেন না। কার টাকা আপনি দেবেন না? শেয়ার মার্কেটের টাকা কই? কুইক রেন্টাল আর ক্যাপাসিটি ট্যাক্স দেন, অথচ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় না। নতুন করে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আনবেন, তা-ও ভারত সরকার থেকে না। শেখ হাসিনার যেমন দরবেশ আছে, ভারতের তেমন আদানি আছে। এই আদানির সঙ্গে চুক্তি করেছে, ২৫ বছরে ক্যাপাসিটি ট্যাক্স দেবেন ১ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। বিদ্যুৎ দিক বা না দিক টাকা দেবে হবে। যেমন এখানে শিকদারেরা করেছে কুইক রেন্টালে। তাদের ট্যাক্স দিয়ে যাওয়া হচ্ছে জনগণের টাকায়। আদানির কথা ভারতীয় পার্লামেন্টেও ঝড় উঠেছে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য দ্বিগুণ অর্থ নিচ্ছে। এর মানে যদি ২০০ ডলারে এক টন কয়লা পাওয়া যায়, সেখানে বাংলাদেশকে দিতে হবে ৪০০ ডলার। এটা কি মগের মুল্লুক? দেশের টাকা এভাবেই পাচার হয়। দেশের ব্যবসায়ীরা আজকে স্বস্তিতে নেই। এলসি খুলতে পারছে না। ব্যাংক টাকা দিতে পারে না। ব্যাংকের টাকা এই দুই বোনের কাছে। শেখ হাসিনা ও রেহানার কাছে। এই কথা সবাই জানে। এর জন্য তথ্যপ্রমাণের দরকার নেই। আমরা রাজপথ থেকেই আমরা আমাদের অধিকার আদায় করব।’ 

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় সহআন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান প্রমুখ। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাল মিষ্টি বিতরণে বারণ করেছিলেন, আজ মনোনয়ন স্থগিত—কে এই কামাল জামান

নীলফামারীতে হচ্ছে চীনা সরকারের উপহার ১০০০ শয্যার হাসপাতাল

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

প্রতীক পেল এনসিপি, বাসদ মার্ক্সবাদী ও আমজনগণ

ট্রাকের নিচে ঢুকে গেল অটোরিকশা, কলেজশিক্ষার্থীসহ নিহত ৬

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অনলাইন ট্রেডিং সাইট

অনলাইনে বিনিয়োগ করে নিঃস্ব ৪ শতাধিক পরিবার

  • সবার বাড়ি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়নে।
  • ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা বিনিয়োগের দাবি।
  • গত সোমবার সকালে সাইটটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
  • পুলিশি ঝামেলা এড়াতে অধিকাংশ ভুক্তভোগী মুখ খুলতে রাজি হননি।
মেহেরাব্বিন সানভী, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ক্লিনো ইমেক্স (Cleano IMEX) নামক একটি অনলাইন ট্রেডিং সাইটে বিনিয়োগ করে সব খুইয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়নের চার শতাধিক পরিবার। দ্বিগুণ মুনাফার লোভে ধারদেনা, চড়া সুদে ঋণ নিয়ে এই প্ল্যাটফর্মে বিনিয়োগ করেছিল পরিবারগুলো। ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ক্লিনো ইমেক্সে ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছে তারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই প্রতারণার শুরু সদর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে। প্রায় চার মাস আগে মালয়েশিয়াপ্রবাসী আশিক (২২) নামের এক যুবক গ্রামের দুই তরুণ—নিরব হোসেন ও আকাশ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আশিক তাঁদের জানান, ‘ক্লিনো ইমেক্স’ সাইটে টাকা রাখলে প্রতিদিন শতকরার ভিত্তিতে লাভ পাওয়া যায়। ১০০ টাকায় দৈনিক ৪ টাকা লাভ। এমন লোভনীয় প্রস্তাবে প্রাথমিকভাবে নিরব ও আকাশ কাজ শুরু করেন এবং কিছু টাকা লাভও তোলেন। এরপর তাঁরা গ্রামের আরও পাঁচজনকে নিয়ে মোট সাতটি দল তৈরি করে এই ‘লাভজনক’ স্কিম দ্রুত ছড়িয়ে দিতে থাকেন।

এই চক্রের প্রলোভনে পড়ে সদর উপজেলার বোয়ালিয়া, শ্রীকোল, নেহালপুর, হিজলগাড়ি, বলদিয়া বড়শলুয়াসহ আশপাশের গ্রামের বহু মানুষ নিরব ও আকাশের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা জমা দিতে থাকেন। হোয়াটসঅ্যাপ-ভিত্তিক পৃথক গ্রুপ তৈরি করে এই দুই হোতা বিনিয়োগকারীদের নিয়ন্ত্রণ করতেন।

জানা যায়, শুধু নিরবের গ্রুপেই সদস্যসংখ্যা ছিল ২১৮ জন। নিজেদের বিনিয়োগ এবং অন্যদের কাছ থেকে পাওয়া কমিশন মিলিয়ে নিরব ও আকাশ প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত উত্তোলন করতেন, যা দেখে গ্রামের সহজ-সরল মানুষ আরও বেশি আকৃষ্ট হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোয়ালিয়া গ্রামের এক কৃষক জানান, প্রথমে বিশ্বাস না হলেও গ্রামের অনেকের লাভ দেখে তিনি হালের গরু বিক্রি করে এবং নিজের জমানো টাকাসহ মোট ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ওই সাইটে দিয়েছিলেন। এখন সাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সব হারিয়েছেন।

একই গ্রামের কালাম নামের একজন বলেন, ‘টাকা দ্বিগুণ হওয়ার আশায় উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম পাখি ভ্যানটি বিক্রি করে সেই টাকা বিনিয়োগ করেছিলাম। এখন আমি পথের ফকির।’ ইজিবাইক চালক মিজানুর ছোট ভাইয়ের কথায় ১৮ হাজার টাকা জমা করে এখন বাকরুদ্ধ।

অনুসন্ধানে জানা যায়, শুধু নেহালপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামেরই দুই শতাধিক ব্যক্তি ‘ক্লিনো ইমেক্স’ সাইটে ৬ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছিলেন। এ ছাড়া শ্রীকোল, নেহালপুর, কুন্দিপুর, হিজলগাড়ি, বলদিয়া ও বড়শলুয়ার অন্তত দুই শ পরিবার বিভিন্ন পরিমাণে বিনিয়োগ করেন। গ্রামের সহজ-সরল মানুষজন—কেউ হালের গরু, গাভি, স্ত্রীর গয়না বিক্রি করে, কেউ এনজিও বা দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে, আবার কেউ-বা জমি বন্ধক রেখে এই ফাঁদে পা দিয়েছিলেন।

গত সোমবার সকালে যখন সাইটটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়, তখন গ্রামজুড়ে নেমে আসে হাহাকার। মান-সম্মানের ভয় এবং পুলিশি ঝামেলা এড়াতে অধিকাংশ ভুক্তভোগী প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি হননি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) জামাল আল নাসের বলেন, ‘নিশ্চয়তা না থাকা সত্ত্বেও অনেকে অসচেতনভাবে এই অনলাইন সাইটে টাকা বিনিয়োগ করছে। এ ক্ষেত্রে আমরা বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও থামানো যাচ্ছে না। নেহালপুর ইউনিয়নের ঘটনাটি শুনেছি। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য থানা-পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো কেউ অভিযোগ করেননি। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাল মিষ্টি বিতরণে বারণ করেছিলেন, আজ মনোনয়ন স্থগিত—কে এই কামাল জামান

নীলফামারীতে হচ্ছে চীনা সরকারের উপহার ১০০০ শয্যার হাসপাতাল

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

প্রতীক পেল এনসিপি, বাসদ মার্ক্সবাদী ও আমজনগণ

ট্রাকের নিচে ঢুকে গেল অটোরিকশা, কলেজশিক্ষার্থীসহ নিহত ৬

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‎মোহাম্মদপুরে ইউল্যাব শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০০: ৫৮
তানহা বিনতে বাশার
তানহা বিনতে বাশার

‎রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিং এলাকায় একটি বাসা থেকে তানহা বিনতে বাশার নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার বিকেলে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

তানহা কুমিল্লার রেসকোর্স এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। পড়াশোনা করতেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসে (ইউল্যাব)।

আজ ‎মঙ্গলবার রাতে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মো. রফিক আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল বিকেলে নবীনগর হাউজিং এলাকার একটি বাসা থেকে তানহা নামের ইউল্যাবের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার পর লাশের সুরতহাল করে আজ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিেকল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

‎এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।‎

‎এদিকে তানহার সঙ্গে ইউল্যাবের অপর এক শিক্ষার্থীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে দাবি করেছে তাঁর সহপাঠী ও পরিবার। তাঁদের দুজনের সম্পর্কের টানাপোড়নের মাঝেই তানহার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ‎

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাল মিষ্টি বিতরণে বারণ করেছিলেন, আজ মনোনয়ন স্থগিত—কে এই কামাল জামান

নীলফামারীতে হচ্ছে চীনা সরকারের উপহার ১০০০ শয্যার হাসপাতাল

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

প্রতীক পেল এনসিপি, বাসদ মার্ক্সবাদী ও আমজনগণ

ট্রাকের নিচে ঢুকে গেল অটোরিকশা, কলেজশিক্ষার্থীসহ নিহত ৬

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গাজীপুরে তিনটি পত্রিকার প্রকাশনা সনদ বাতিল

গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরে তিনটি পত্রিকার প্রকাশনা সনদ বাতিল

গাজীপুরের তিনটি পত্রিকার প্রকাশনা সনদ (ডিক্লারেশন) বাতিল করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের নির্দেশের আলোকে ডিক্লারেশন বাতিল করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাফিসা আরেফিন। ডিক্লারেশন বাতিল হওয়া পত্রিকাগুলো হলো দৈনিক জনসংবাদ, দৈনিক আজকের গাজীপুর ও দৈনিক বাস্তব চিত্র।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পত্রিকা তিনটির ডিক্লারেশন বাতিলের জন্য গত ১৭ সেপ্টেম্বর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (নিবন্ধন) ডায়ানা ইসলাম সীমা স্বাক্ষরিত পৃথক স্মারকে তিনটি চিঠি গাজীপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠানো হয়।

চিঠিগুলোতে একই কারণ উল্লেখ করে বলা হয়, ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধীকরণ) আইন, ১৯৭৩ অনুযায়ী সংবাদপত্র প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে এই অধিদপ্তরে চার কপি জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু গাজীপুর জেলা থেকে প্রকাশিত দৈনিক জনসংবাদ, দৈনিক আজকের গাজীপুর ও দৈনিক বাস্তব চিত্র পত্রিকা জানুয়ারি ২০২৪ থেকে আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত এই অধিদপ্তরে কোনো সংখ্যা জমা দেয়নি। এতে প্রতীয়মান হয় যে পত্রিকাগুলো প্রকাশিত হচ্ছে না।

তাই ১৯৭৩ সালের ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধীকরণ) আইন মোতাবেক ঘোষণাপত্র বাতিলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

চিঠি তিনটি গত ২২ সেপ্টেম্বর গাজীপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ে পৌঁছায়। পরে গাজীপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট চিঠির আদেশ বাস্তবায়ন করেন বলে গতকাল সোমবার রাতে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

গাজীপুর জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, পত্রিকাগুলোর প্রকাশনা সনদ (ডিক্লারেশন) বাতিল করার ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনের কোনো হাত ছিল না। জেলা প্রশাসন শুধু তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের নির্দেশের বাস্তবায়ন করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাল মিষ্টি বিতরণে বারণ করেছিলেন, আজ মনোনয়ন স্থগিত—কে এই কামাল জামান

নীলফামারীতে হচ্ছে চীনা সরকারের উপহার ১০০০ শয্যার হাসপাতাল

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

প্রতীক পেল এনসিপি, বাসদ মার্ক্সবাদী ও আমজনগণ

ট্রাকের নিচে ঢুকে গেল অটোরিকশা, কলেজশিক্ষার্থীসহ নিহত ৬

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বরিশালে অপসো স্যালাইন ফার্মার অচলাবস্থা কাটেনি, কাল মালিক-শ্রমিক বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
চাকরি ফেরতের দাবিতে আজ মঙ্গলবার বরিশাল নগরের বগুড়া সড়কে অপসো স্যালাইন ফার্মার কারখানার সামনে শ্রমিকদের অবস্থান। ছবি: আজকের পত্রিকা
চাকরি ফেরতের দাবিতে আজ মঙ্গলবার বরিশাল নগরের বগুড়া সড়কে অপসো স্যালাইন ফার্মার কারখানার সামনে শ্রমিকদের অবস্থান। ছবি: আজকের পত্রিকা

চাকরি ফেরতের দাবিতে শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে বরিশালের অপসো স্যালাইন ফার্মা লিমিটেডে শুরু হওয়া অচলাবস্থা কাটেনি। আন্দোলনকারী শ্রমিকদের দেওয়া ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম আজ মঙ্গলবার বিকেলে শেষ হয়। সমস্যা সমাধানে এ সময়ের মধ্যে মালিকপক্ষ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তবে আগামীকাল বুধবার বরিশাল শ্রম অধিদপ্তর মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা ডেকেছে।

৫৭০ জন শ্রমিক চাকরিচ্যুত করায় গত ২৯ অক্টোবর থেকে শ্রমিকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। তাঁরা চাকরি ফেরত চান। নগরের বগুড়া সড়কে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে শ্রমিকেরা শনিবার থেকে অবস্থান নেন। বাম গণতান্ত্রিক জোট ও মহানগর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন সেখানে গিয়ে শ্রমিকদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।

আজ বিকেলে শ্রমিকেরা বগুড়া সড়ক থেকে মিছিল নিয়ে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে অপসোনিন গ্রুপের প্রধান কারখানার সামনে যান। সেখানে অন্য কারখানার শ্রমিকদের নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

অপসো স্যালাইন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিব মিয়া জানান, কাল বুধবার শ্রম অধিদপ্তরের সভায় সমঝোতা না হলে সব কারখানায় কর্মবিরতি ও মহাসড়ক অবরোধের মতো কঠিন কর্মসূচিতে যাবেন।

বাসদ নেত্রী ডা. মনিষা চক্রবর্তী বলেন, আগামীকাল শ্রমিক প্রতিনিধি ও মালিক প্রতিনিধিদের বরিশাল শ্রম অধিদপ্তরের কার্যালয়ে সভা ডাকা হয়েছে। সভায় সমঝোতা না হলে শ্রমিকেরা কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন।

ট্রেড ইউনিয়ন নেতা তুষার বলেন, ‘আমাদের মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে মালিকের লোকজন। এ জন্য সতর্ক থাকতে হবে। বুধবার শ্রম অধিদপ্তরে ৫৭০ জন শ্রমিকের ভাগ্য নির্ধারণ হতে পারে।’ তিনি শ্রম অধিদপ্তরের উপপরিচালক মনিরুজ্জামানকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘আমরা চাই না মহাসড়ক অচল করে মানুষকে দুর্ভোগে ফেলতে।’

অপসো স্যালাইন কারখানায় কর্মরত স্টুরিপ্যাক (সিরিঞ্জ ও স্যালাইন সেট প্রস্তুতকারক) শাখার ৫৭০ জন শ্রমিককে গত বুধবার চাকরিচ্যুতির চিঠি দেয় কর্তৃপক্ষ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাল মিষ্টি বিতরণে বারণ করেছিলেন, আজ মনোনয়ন স্থগিত—কে এই কামাল জামান

নীলফামারীতে হচ্ছে চীনা সরকারের উপহার ১০০০ শয্যার হাসপাতাল

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

প্রতীক পেল এনসিপি, বাসদ মার্ক্সবাদী ও আমজনগণ

ট্রাকের নিচে ঢুকে গেল অটোরিকশা, কলেজশিক্ষার্থীসহ নিহত ৬

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত