নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনায় সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আহত সাংবাদিক রানা আকন্দের বাবা বাদী হয়ে নেত্রকোনা মডেল থানায় মামলাটি করেন। এতে এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে আরও আট থেকে ১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
আহত সাংবাদিক এখনো নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সাংবাদিক রানা আকন্দ আজকের পত্রিকার কলমাকান্দা উপজেলা প্রতিনিধি। তিনি কলমাকান্দার কৈলাটি ইউনিয়নের দক্ষিণ কান্দাপাড়া এলাকার হাবিবুর রহমান আকন্দের ছেলে। বৃহস্পতিবার সকালে বিজয় দিবসের সংবাদ সংগ্রহ ও স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিতে গিয়ে সিধলী সেতুর ওপরে তিনি হামলার শিকার হন। এ ঘটনায় করা মামলার আসামিরা হলেন, কৈলাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মইপুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা রুবেল ভূঁইয়া, তাঁর বড় ভাই জুয়েল ভূঁইয়া, ছোট ভাই সোহেল ভূঁইয়া, কামরুল ভূঁইয়া ও ভাতিজা জুয়েল আকন্দ।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টায় বিজয় দিবসে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে কৈলাটি ইউনিয়নের সিধলী বাজারে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় সাংবাদিক রানা আকন্দ সদর উপজেলার বোবাহালা মোড় দিয়ে নিজ মোটরসাইকেল চালিয়ে সিধলী সেতু পাড় হচ্ছিলেন। ঠিক তখন ইউপি চেয়ারম্যান রুবেল ভুঁইয়ার লোকজন তাঁর ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। তিনি কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলাকারীরা লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করে। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয় লোকজন আহত সাংবাদিককে উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, ‘আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।’
এদিকে, রানা আকন্দের ওপর হামলার ঘটনায় নেত্রকোনায় বিভিন্ন প্রিন্ট ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকেরা নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) জেলা কমিটির সভাপতি শ্যামলেন্দু পাল বলেন, ‘পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের হামলা সাংবাদিক সমাজকেই আতঙ্কিত করে। সাংবাদিকেরা দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে থাকেন। কিন্তু বিভিন্ন সময় তাঁদের নানাভাবে হয়রানি-নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হয়, যেটা পেশাদার সাংবাদিকদের জন্য হুমকিস্বরূপ। এর অবসান হওয়া জরুরি এবং এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্র ও সরকারের দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসা উচিত।’
ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জেলা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী বলেন, ‘এই হামলা ন্যক্কারজনক এবং নিন্দনীয়। বিভিন্ন সময় সাংবাদিকেরা হামলা-মামলাসহ নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। রাষ্ট্রের দায়িত্ব তাঁদের রক্ষা করা এবং নিরাপত্তা দেওয়া। তা না হলে স্বাধীন সাংবাদিকতা হুমকির মুখে পড়বে।’
নেত্রকোনায় সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আহত সাংবাদিক রানা আকন্দের বাবা বাদী হয়ে নেত্রকোনা মডেল থানায় মামলাটি করেন। এতে এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে আরও আট থেকে ১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
আহত সাংবাদিক এখনো নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সাংবাদিক রানা আকন্দ আজকের পত্রিকার কলমাকান্দা উপজেলা প্রতিনিধি। তিনি কলমাকান্দার কৈলাটি ইউনিয়নের দক্ষিণ কান্দাপাড়া এলাকার হাবিবুর রহমান আকন্দের ছেলে। বৃহস্পতিবার সকালে বিজয় দিবসের সংবাদ সংগ্রহ ও স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিতে গিয়ে সিধলী সেতুর ওপরে তিনি হামলার শিকার হন। এ ঘটনায় করা মামলার আসামিরা হলেন, কৈলাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মইপুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা রুবেল ভূঁইয়া, তাঁর বড় ভাই জুয়েল ভূঁইয়া, ছোট ভাই সোহেল ভূঁইয়া, কামরুল ভূঁইয়া ও ভাতিজা জুয়েল আকন্দ।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টায় বিজয় দিবসে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে কৈলাটি ইউনিয়নের সিধলী বাজারে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় সাংবাদিক রানা আকন্দ সদর উপজেলার বোবাহালা মোড় দিয়ে নিজ মোটরসাইকেল চালিয়ে সিধলী সেতু পাড় হচ্ছিলেন। ঠিক তখন ইউপি চেয়ারম্যান রুবেল ভুঁইয়ার লোকজন তাঁর ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। তিনি কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলাকারীরা লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করে। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয় লোকজন আহত সাংবাদিককে উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, ‘আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।’
এদিকে, রানা আকন্দের ওপর হামলার ঘটনায় নেত্রকোনায় বিভিন্ন প্রিন্ট ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকেরা নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) জেলা কমিটির সভাপতি শ্যামলেন্দু পাল বলেন, ‘পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের হামলা সাংবাদিক সমাজকেই আতঙ্কিত করে। সাংবাদিকেরা দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে থাকেন। কিন্তু বিভিন্ন সময় তাঁদের নানাভাবে হয়রানি-নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হয়, যেটা পেশাদার সাংবাদিকদের জন্য হুমকিস্বরূপ। এর অবসান হওয়া জরুরি এবং এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্র ও সরকারের দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসা উচিত।’
ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জেলা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী বলেন, ‘এই হামলা ন্যক্কারজনক এবং নিন্দনীয়। বিভিন্ন সময় সাংবাদিকেরা হামলা-মামলাসহ নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। রাষ্ট্রের দায়িত্ব তাঁদের রক্ষা করা এবং নিরাপত্তা দেওয়া। তা না হলে স্বাধীন সাংবাদিকতা হুমকির মুখে পড়বে।’
চট্টগ্রাম নগরীতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের খবর পেয়ে অভিযানে গেলে পুলিশের এক কর্মকর্তাকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার (১১ আগস্ট) দিবাগত রাত ১টার দিকে বন্দর থানার ঈশান মিস্ত্রির ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন বন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ ওরফে রানা।
৩ মিনিট আগেউপমহাদেশের শাস্ত্রীয় সংগীতের অন্যতম পুরোধা পণ্ডিত অমরেশ রায় চৌধুরী আর নেই। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় রাজশাহী মহানগরীর রানীবাজার এলাকার নিজ বাসভবন ‘মোহিনী গার্ডেন’-এ তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। অমরেশ রায় চৌধুরী বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী ছিলেন
৪ মিনিট আগেযশোরের অভয়নগরে বিলের মধ্যে সড়কের পাশে অটো ভ্যানের এক চালকের লাশ পাওয়া গেছে। পুলিশের ধারণা, ভ্যান ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে নির্জন জায়গায় নিয়ে তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত চালকের নাম লিমন শেখ (২৫)। তিনি নওয়াপাড়া পৌর শহরের বুইকরা এলাকার কাসেম শেখের ছেলে।
৮ মিনিট আগেগত শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে দিনেশ বেসরার খালাতো ভাইয়ের মেয়ের বিবাহের অনুষ্ঠানে মা-বাবার সঙ্গে পূর্ব জয়দেবপুর গ্রামে যায় শিশু লিলিসা। ওই দিন বিকেল ৫টার দিকে অনুষ্ঠানে থাকা অবস্থায় প্রতিবেশী ইলিজাস মার্ডি (প্রধান আসামি) শিশুটিকে দোকান থেকে কিছু কিনে দেওয়ার কথা বলে মায়ের কোল থেকে নিয়ে যান।
১১ মিনিট আগে