নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পোস্ট অফিস থেকে তিন কিলোমিটার দূরত্বের বিদ্যালয়ে একটি রেজিস্ট্রি চিঠি পৌঁছাতে সময় লেগেছে পুরো এক মাস! এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় ব্যাপক আলোচনা চলছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী কামরুল ইসলাম রতন চিঠি পৌঁছানোর বিষয়ে পোস্ট অফিসের গাফিলতির চিত্র তুলে ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেসবুকে পোস্ট দেন।
আজ শুক্রবার বিকেলে নেত্রকোনা জেলা পোস্ট অফিসের পরিদর্শক আবু হেনা মোনাছিফ করিমকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি বলেন, ‘মানুষের সেবা দেওয়ার জন্য আমরা পরিশ্রম করি। যথাসময়ে চিঠি পৌঁছানোই নিয়ম। গ্রহণ করার কাউকে না পেলে বা কেউ গ্রহণ না করলে চিঠি ফেরত যাবে। তবে এমন ঘটনা আমাদের ঐতিহ্যবাহী ডাক বিভাগের জন্য বিব্রতকর। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ডাক বিভাগ থেকে জানা গেছে, গত ৩ আগস্ট নেত্রকোনা শহরের কোর্ট পোস্ট অফিস থেকে একটি চিঠি রেজিস্ট্রি করা হয়। বারহাট্টা উপজেলা শিক্ষা অফিসের পক্ষ থেকে ওই চিঠি পাঠানো হয়। চিঠির গন্তব্য বারহাট্টা উপজেলার সিংধা ইউনিয়নের আশিয়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ৭ আগস্ট চিঠিটি মোহনগঞ্জ প্রধান ডাকঘরে এসে পৌঁছে। কিন্তু সেই চিঠি তিন কিলোমিটার দূরত্বের ওই বিদ্যালয়ে পৌঁছে ৭ সেপ্টেম্বর।
কম দূরত্বে একটি চিঠি পৌঁছাতে এক মাস সময় লাগায় পোস্ট অফিসে কর্মরতদের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা।
বারহাট্টা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চাওয়ার বিষয়ে আশিয়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ওই চিঠিতে জানানো হয়। দেরিতে চিঠি পাওয়ায় তিনি এর জবাব দিতেও দেরি করেছেন। তবে পোস্ট অফিসের এমন গাফিলতি দুঃখজনক।’
গণমাধ্যমকর্মী কামরুল ইসলাম রতন বলেন, ‘একটি রেজিস্ট্রি চিঠি তিন কিলোমিটার দূরে পৌঁছাতে এক মাস সময় লেগেছে। এটা অবিশ্বাস্য ঘটনা। গ্রহণকারী না পেলে চিঠি ফেরত যাবে কিন্তু এমন হওয়ার কথা নয়। এটি পোস্ট মাস্টার ও পিয়নসহ সংশ্লিষ্ট সবার গাফিলতি। এতে ডাক বিভাগের প্রতি মানুষ আস্থা হারাবে।’
মোহনগঞ্জ প্রধান ডাক ঘরের পোস্ট মাস্টার মো. ওবায়দুল হক জিকু বলেন, ‘এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। পিয়ন চিঠি নিয়ে যথাসময়ে গিয়েছিল কিন্তু ওই প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ে পাননি। মোবাইল ফোনে তিনি চিঠিটি পরে অফিস থেকে নেবেন বলে জানান। পরে এটি নিতে দেরি করে ফেলেছেন। আর এ বিষয়ে প্রেরকের কোনো অভিযোগও এখনো পাওয়া যায়নি।’
এ বিষয়ে জানতে আশিয়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে আজ সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি ধরেননি।
জেলা প্রধান ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার শাহেদুন্নাহার বলেন, ‘এমন দু–একটি ঘটনা ডাক বিভাগের জন্য বিব্রতকর।’
এর আগে দায়িত্বে অবহেলায় গত মাসে জেলার কলমাকান্দা উপজেলার বড়খাপন ইউনিয়ন পোস্ট অফিসের মাস্টারকে বরখাস্ত করা হয়।
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পোস্ট অফিস থেকে তিন কিলোমিটার দূরত্বের বিদ্যালয়ে একটি রেজিস্ট্রি চিঠি পৌঁছাতে সময় লেগেছে পুরো এক মাস! এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় ব্যাপক আলোচনা চলছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী কামরুল ইসলাম রতন চিঠি পৌঁছানোর বিষয়ে পোস্ট অফিসের গাফিলতির চিত্র তুলে ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেসবুকে পোস্ট দেন।
আজ শুক্রবার বিকেলে নেত্রকোনা জেলা পোস্ট অফিসের পরিদর্শক আবু হেনা মোনাছিফ করিমকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি বলেন, ‘মানুষের সেবা দেওয়ার জন্য আমরা পরিশ্রম করি। যথাসময়ে চিঠি পৌঁছানোই নিয়ম। গ্রহণ করার কাউকে না পেলে বা কেউ গ্রহণ না করলে চিঠি ফেরত যাবে। তবে এমন ঘটনা আমাদের ঐতিহ্যবাহী ডাক বিভাগের জন্য বিব্রতকর। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ডাক বিভাগ থেকে জানা গেছে, গত ৩ আগস্ট নেত্রকোনা শহরের কোর্ট পোস্ট অফিস থেকে একটি চিঠি রেজিস্ট্রি করা হয়। বারহাট্টা উপজেলা শিক্ষা অফিসের পক্ষ থেকে ওই চিঠি পাঠানো হয়। চিঠির গন্তব্য বারহাট্টা উপজেলার সিংধা ইউনিয়নের আশিয়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ৭ আগস্ট চিঠিটি মোহনগঞ্জ প্রধান ডাকঘরে এসে পৌঁছে। কিন্তু সেই চিঠি তিন কিলোমিটার দূরত্বের ওই বিদ্যালয়ে পৌঁছে ৭ সেপ্টেম্বর।
কম দূরত্বে একটি চিঠি পৌঁছাতে এক মাস সময় লাগায় পোস্ট অফিসে কর্মরতদের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা।
বারহাট্টা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চাওয়ার বিষয়ে আশিয়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ওই চিঠিতে জানানো হয়। দেরিতে চিঠি পাওয়ায় তিনি এর জবাব দিতেও দেরি করেছেন। তবে পোস্ট অফিসের এমন গাফিলতি দুঃখজনক।’
গণমাধ্যমকর্মী কামরুল ইসলাম রতন বলেন, ‘একটি রেজিস্ট্রি চিঠি তিন কিলোমিটার দূরে পৌঁছাতে এক মাস সময় লেগেছে। এটা অবিশ্বাস্য ঘটনা। গ্রহণকারী না পেলে চিঠি ফেরত যাবে কিন্তু এমন হওয়ার কথা নয়। এটি পোস্ট মাস্টার ও পিয়নসহ সংশ্লিষ্ট সবার গাফিলতি। এতে ডাক বিভাগের প্রতি মানুষ আস্থা হারাবে।’
মোহনগঞ্জ প্রধান ডাক ঘরের পোস্ট মাস্টার মো. ওবায়দুল হক জিকু বলেন, ‘এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। পিয়ন চিঠি নিয়ে যথাসময়ে গিয়েছিল কিন্তু ওই প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ে পাননি। মোবাইল ফোনে তিনি চিঠিটি পরে অফিস থেকে নেবেন বলে জানান। পরে এটি নিতে দেরি করে ফেলেছেন। আর এ বিষয়ে প্রেরকের কোনো অভিযোগও এখনো পাওয়া যায়নি।’
এ বিষয়ে জানতে আশিয়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে আজ সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি ধরেননি।
জেলা প্রধান ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার শাহেদুন্নাহার বলেন, ‘এমন দু–একটি ঘটনা ডাক বিভাগের জন্য বিব্রতকর।’
এর আগে দায়িত্বে অবহেলায় গত মাসে জেলার কলমাকান্দা উপজেলার বড়খাপন ইউনিয়ন পোস্ট অফিসের মাস্টারকে বরখাস্ত করা হয়।
গতকাল শনিবার রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যশোর বোর্ডে বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা স্থগিতের বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে পড়ে।
৭ মিনিট আগেবন্ধুর সার্টিফিকেটের (সনদ) কপি দিয়ে ১০ বছর ধরে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে আসছেন রাজিব আলম (৩৩)। চাকরির বায়োডাটায় নিজের নাম, বাবার নাম, ঠিকানা, সার্টিফিকেট সবই ব্যবহার করেছেন বন্ধুর। এটি দিয়েই তিনি শিল্প গ্রুপ পলমলের কেন্দ্রীয় গুদামের এজিএম (কাগজ-কলমে টিপু সুলতান) পদে কর্মরত ছিলেন।
১০ মিনিট আগেবরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় কোস্ট গার্ডের নাম ব্যবহার করে একটি অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। তাই স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতন করতে আজ রোববার (২২ জুন) বিকেলে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হয়।
১৬ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে এক প্রবাসীকে বন্দুক দিয়ে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাহজাহান ভূঁইয়া ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের আমগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
২২ মিনিট আগে