নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
চিকিৎসকের দেওয়া প্রেসক্রিপশনে লেখা ছিল (ডেনিক্সিল) ঘুমের ওষুধ, তবে ওষুধ বিক্রেতা তা না দিয়ে ভুলক্রমে দিয়েছেন দেন কিডনির ওষুধ (ডাইক্যালট্রল)। ভুল ওষুধ খেয়ে রোগী (৫০) আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শরীরে দেখা দিয়েছে নানা সমস্যা।
এমন অভিযোগ উঠেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত ‘মা ফার্মেসি অ্যান্ড মেডিসিন সুপার শপ’ নামক একটি ওষুধের দোকানের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় আজ শনিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীর ছেলে আজকের পত্রিকার ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি মহিউদ্দিন রানা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযোগকারীর মা দীর্ঘদিন যাবৎ ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। গত মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ময়মনসিংহ ভেনাস হাসপাতালের মেডিসিন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডা. এ কে এম সাজিদুর রহমান সিদ্দিক নামের এক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন অভিযোগকারীর মা। চিকিৎসক তাঁর মায়ের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বেশকিছু ওষুধ লিখে দেন।
ওই দিন রাতেই ঈশ্বরগঞ্জ পৌর বাজার ও ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের পাশে অবস্থিত উল্লিখিত ফার্মেসিতে গেলে প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে ওষুধ ক্রয় করেন ভুক্তভোগীর ছেলে।
ওই ওষুধ খাওয়ার পর থেকে তাঁর মায়ের অবস্থা আরও খারাপ হয়। গতকাল শুক্রবার প্রেসক্রিপশনের সঙ্গে ক্রয়কৃত ওষুধ মিলিয়ে দেখেন একটি ওষুধের মিল নেই।
পরে স্থানীয় এক চিকিৎসককে দেখালে তিনি জানান, প্রেসক্রিপশনে যেইটা লেখা ছিল সেটা ঘুমের ওষুধ; কিন্তু এর পরিবর্তে দোকানদার ভুলক্রমে কিডনির ওষুধ দিয়ে ফেলেছে। ভুল ওষুধ খাওয়ার কারণে রোগীর এমন সমস্যা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে অভিযোগকারী মো. মহিউদ্দিন রানা বলেন, ভুল ওষুধ খাওয়ার পর থেকেই তাঁর মায়ের হাত-পা ফুলে যায় এবং সারা শরীরে প্রচণ্ড ব্যথাসহ প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঔষধ ও কসমেটিকস আইনে (২০২৩ সালের ২৯ নম্বর আইন) স্পষ্ট উল্লেখ আছে, কোনো ব্যক্তি খুচরা বিক্রেতা হিসেবে ফার্মাসিস্ট, ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট অথবা ফার্মেসি টেকনিশিয়ানের ব্যক্তিগত তত্ত্বাবধান ব্যতীত অ্যালোপ্যাথিক ঔষধ বিক্রয় করতে পারবে না। অথচ ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ফার্মেসিগুলো সরকারি এসব নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করেই অনভিজ্ঞ জনবল দিয়ে ফার্মেসি পরিচালনার কারণে তাঁর মায়ের মতো এ রকম অসংখ্য মানুষ জীবনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
জানতে চাইলে মা ফার্মেসি অ্যান্ড সুপার শপের মালিক আব্দুল মতিন বলেন, ‘বিষয়টি সত্যিই ভুল হয়েছে। এ বিষয়ে আপনি যা বলবেন আমি তা-ই করব।’ তা ছাড়া তাঁর ফার্মেসির কারোরই ফার্মাসিস্ট, ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট অথবা ফার্মেসি টেকনিশিয়ানের কোর্স করা নেই—এই বিষয়টিও তিনি স্বীকার করেন।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসন কনসালট্যান্ট ডা. দেবাশীষ বিশ্বাস পলাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডাইক্যালট্রল হচ্ছে কিডনি রোগীদের একধরনের ভিটামিন। যারা কিডনি রোগী তারা ব্যতীত অন্য কেউ এটা দীর্ঘদিন খেলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তা ছাড়া যেহেতু ওই নারীর ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ অনেক রোগে আক্রান্ত ছিল, তাই এটা খাওয়ার পর সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে এটা খাওয়া ছেড়ে দিলে শরীর ঠিক হয়ে যাবে।’
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ওই ফার্মেসির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া যেসব ফার্মেসি সরকারি নিয়ম-নীতির বাইরে অনভিজ্ঞ জনবল দিয়ে পরিচালনা করছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চিকিৎসকের দেওয়া প্রেসক্রিপশনে লেখা ছিল (ডেনিক্সিল) ঘুমের ওষুধ, তবে ওষুধ বিক্রেতা তা না দিয়ে ভুলক্রমে দিয়েছেন দেন কিডনির ওষুধ (ডাইক্যালট্রল)। ভুল ওষুধ খেয়ে রোগী (৫০) আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শরীরে দেখা দিয়েছে নানা সমস্যা।
এমন অভিযোগ উঠেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত ‘মা ফার্মেসি অ্যান্ড মেডিসিন সুপার শপ’ নামক একটি ওষুধের দোকানের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় আজ শনিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীর ছেলে আজকের পত্রিকার ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি মহিউদ্দিন রানা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযোগকারীর মা দীর্ঘদিন যাবৎ ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। গত মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ময়মনসিংহ ভেনাস হাসপাতালের মেডিসিন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডা. এ কে এম সাজিদুর রহমান সিদ্দিক নামের এক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন অভিযোগকারীর মা। চিকিৎসক তাঁর মায়ের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বেশকিছু ওষুধ লিখে দেন।
ওই দিন রাতেই ঈশ্বরগঞ্জ পৌর বাজার ও ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের পাশে অবস্থিত উল্লিখিত ফার্মেসিতে গেলে প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে ওষুধ ক্রয় করেন ভুক্তভোগীর ছেলে।
ওই ওষুধ খাওয়ার পর থেকে তাঁর মায়ের অবস্থা আরও খারাপ হয়। গতকাল শুক্রবার প্রেসক্রিপশনের সঙ্গে ক্রয়কৃত ওষুধ মিলিয়ে দেখেন একটি ওষুধের মিল নেই।
পরে স্থানীয় এক চিকিৎসককে দেখালে তিনি জানান, প্রেসক্রিপশনে যেইটা লেখা ছিল সেটা ঘুমের ওষুধ; কিন্তু এর পরিবর্তে দোকানদার ভুলক্রমে কিডনির ওষুধ দিয়ে ফেলেছে। ভুল ওষুধ খাওয়ার কারণে রোগীর এমন সমস্যা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে অভিযোগকারী মো. মহিউদ্দিন রানা বলেন, ভুল ওষুধ খাওয়ার পর থেকেই তাঁর মায়ের হাত-পা ফুলে যায় এবং সারা শরীরে প্রচণ্ড ব্যথাসহ প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঔষধ ও কসমেটিকস আইনে (২০২৩ সালের ২৯ নম্বর আইন) স্পষ্ট উল্লেখ আছে, কোনো ব্যক্তি খুচরা বিক্রেতা হিসেবে ফার্মাসিস্ট, ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট অথবা ফার্মেসি টেকনিশিয়ানের ব্যক্তিগত তত্ত্বাবধান ব্যতীত অ্যালোপ্যাথিক ঔষধ বিক্রয় করতে পারবে না। অথচ ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ফার্মেসিগুলো সরকারি এসব নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করেই অনভিজ্ঞ জনবল দিয়ে ফার্মেসি পরিচালনার কারণে তাঁর মায়ের মতো এ রকম অসংখ্য মানুষ জীবনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
জানতে চাইলে মা ফার্মেসি অ্যান্ড সুপার শপের মালিক আব্দুল মতিন বলেন, ‘বিষয়টি সত্যিই ভুল হয়েছে। এ বিষয়ে আপনি যা বলবেন আমি তা-ই করব।’ তা ছাড়া তাঁর ফার্মেসির কারোরই ফার্মাসিস্ট, ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট অথবা ফার্মেসি টেকনিশিয়ানের কোর্স করা নেই—এই বিষয়টিও তিনি স্বীকার করেন।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসন কনসালট্যান্ট ডা. দেবাশীষ বিশ্বাস পলাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডাইক্যালট্রল হচ্ছে কিডনি রোগীদের একধরনের ভিটামিন। যারা কিডনি রোগী তারা ব্যতীত অন্য কেউ এটা দীর্ঘদিন খেলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তা ছাড়া যেহেতু ওই নারীর ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ অনেক রোগে আক্রান্ত ছিল, তাই এটা খাওয়ার পর সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে এটা খাওয়া ছেড়ে দিলে শরীর ঠিক হয়ে যাবে।’
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ওই ফার্মেসির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া যেসব ফার্মেসি সরকারি নিয়ম-নীতির বাইরে অনভিজ্ঞ জনবল দিয়ে পরিচালনা করছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
১ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
২ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
২ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
২ ঘণ্টা আগে