ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় সাংবাদিক গোলাম রব্বানি ওরফে নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবু জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন। আজ বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে তিনি জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান। কারাগার থেকে বের হয়েই বিশাল শোডাউন করে বাড়ি ফেরেন তিনি। এতে নিহত সাংবাদিক নাদিমের স্বজনেরা বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
জামালপুর জেলা কারাগারের জেলার আবু ফাতাহ বলেন, ‘উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে আজ বিকেলে ৫টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন আসামি মাহমুদুল আলম বাবু।
নাদিম হত্যা মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী বলেন, গত রোববার (৩০ জুন) হাইকোর্ট বেঞ্চ আসামি বাবু চেয়ারম্যানের জামিনের আদেশ দেন। এর আগে গত ৮ মে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বাবু চেয়ারম্যানের জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন। তখন বাবুকে জামিন কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে দুই সপ্তাহের রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। সেই প্রশ্নে ৩০ জুন ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে তাঁকে জামিন দেন হাইকোর্ট। এর আগে হাইকোর্ট একাধিকবার বাবু চেয়ারম্যানের জামিনের আদেশ দিলেও পরে চেম্বার আদালতে জামিন স্থগিত হয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, সাদা রঙের পাঞ্জাবি-পায়জামা পরিহিত অবস্থায় কারাগার থেকে বের হন মাহমুদুল আলম। কারা ফটক থেকে মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসের বিশাল শোডাউনে বকশীগঞ্জের সাধুরপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন আসামি মাহমুদুল আলম বাবু।
এক মিনিট তেতাল্লিশ সেকেন্ডের এক ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, ১১টি মাইক্রোসহ অন্তত তিন শতাধিক মোটরসাইকেল শোডাউন নিয়ে জামালপুর থেকে মেলান্দহ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সড়ক পথে গ্রামের বাড়ি যান আসামি মাহমুদুল আলম।
নিহত সাংবাদিক নাদিমের মেয়ে রাব্বিলাতুল জান্নাত বলেন, ‘হত্যা মামলার মূলহোতা বাবু চেয়ারম্যান কারাগার থেকে বের হয়েই বিশাল শোডাউন করায় আমরা হতবাক হয়েছি। একজন খুনি কার সাহসে শোডাউন করে, সেটা খতিয়ে দেখা জরুরি।’
সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বলেন, ‘জামিনের অধিকার আসামির থাকতেই পারে। তাই বলে কী একটি চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি বাবু চেয়ারম্যানের কারাগার থেকে বের হয়েই বিশাল গাড়িবহরের শোডাউন করবে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত নিয়ে আমাদের আশঙ্কা বাড়ছে। প্রধান আসামি জামিন পাওয়ায় মামলার তদন্তকাজে প্রভাব ফেলার আশঙ্কাও রয়েছে।’
উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেন, ‘কারাগার থেকে বের হয়ে বিশাল গাড়ির শোডাউনে গ্রামের বাড়িতে আসেন বাবু চেয়ারম্যান।’
উল্লেখ্য, গত বছর ১৪ জুন রাতে জামালপুরের বকশীগঞ্জের পাটহাটি এলাকায় হামলার শিকার হন সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম। তিনি বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি এবং একাত্তর টেলিভিশন ও মানবজমিন পত্রিকার বকশীগঞ্জ সংবাদদাতা ছিলেন। পরদিন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় ১৭ জুন বকশীগঞ্জ থানায় মামলা করেন নিহতের স্ত্রী মনিরা বেগম। যাতে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন-
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় সাংবাদিক গোলাম রব্বানি ওরফে নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবু জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন। আজ বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে তিনি জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান। কারাগার থেকে বের হয়েই বিশাল শোডাউন করে বাড়ি ফেরেন তিনি। এতে নিহত সাংবাদিক নাদিমের স্বজনেরা বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
জামালপুর জেলা কারাগারের জেলার আবু ফাতাহ বলেন, ‘উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে আজ বিকেলে ৫টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন আসামি মাহমুদুল আলম বাবু।
নাদিম হত্যা মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী বলেন, গত রোববার (৩০ জুন) হাইকোর্ট বেঞ্চ আসামি বাবু চেয়ারম্যানের জামিনের আদেশ দেন। এর আগে গত ৮ মে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বাবু চেয়ারম্যানের জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন। তখন বাবুকে জামিন কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে দুই সপ্তাহের রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। সেই প্রশ্নে ৩০ জুন ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে তাঁকে জামিন দেন হাইকোর্ট। এর আগে হাইকোর্ট একাধিকবার বাবু চেয়ারম্যানের জামিনের আদেশ দিলেও পরে চেম্বার আদালতে জামিন স্থগিত হয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, সাদা রঙের পাঞ্জাবি-পায়জামা পরিহিত অবস্থায় কারাগার থেকে বের হন মাহমুদুল আলম। কারা ফটক থেকে মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসের বিশাল শোডাউনে বকশীগঞ্জের সাধুরপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন আসামি মাহমুদুল আলম বাবু।
এক মিনিট তেতাল্লিশ সেকেন্ডের এক ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, ১১টি মাইক্রোসহ অন্তত তিন শতাধিক মোটরসাইকেল শোডাউন নিয়ে জামালপুর থেকে মেলান্দহ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সড়ক পথে গ্রামের বাড়ি যান আসামি মাহমুদুল আলম।
নিহত সাংবাদিক নাদিমের মেয়ে রাব্বিলাতুল জান্নাত বলেন, ‘হত্যা মামলার মূলহোতা বাবু চেয়ারম্যান কারাগার থেকে বের হয়েই বিশাল শোডাউন করায় আমরা হতবাক হয়েছি। একজন খুনি কার সাহসে শোডাউন করে, সেটা খতিয়ে দেখা জরুরি।’
সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বলেন, ‘জামিনের অধিকার আসামির থাকতেই পারে। তাই বলে কী একটি চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি বাবু চেয়ারম্যানের কারাগার থেকে বের হয়েই বিশাল গাড়িবহরের শোডাউন করবে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত নিয়ে আমাদের আশঙ্কা বাড়ছে। প্রধান আসামি জামিন পাওয়ায় মামলার তদন্তকাজে প্রভাব ফেলার আশঙ্কাও রয়েছে।’
উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেন, ‘কারাগার থেকে বের হয়ে বিশাল গাড়ির শোডাউনে গ্রামের বাড়িতে আসেন বাবু চেয়ারম্যান।’
উল্লেখ্য, গত বছর ১৪ জুন রাতে জামালপুরের বকশীগঞ্জের পাটহাটি এলাকায় হামলার শিকার হন সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম। তিনি বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি এবং একাত্তর টেলিভিশন ও মানবজমিন পত্রিকার বকশীগঞ্জ সংবাদদাতা ছিলেন। পরদিন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় ১৭ জুন বকশীগঞ্জ থানায় মামলা করেন নিহতের স্ত্রী মনিরা বেগম। যাতে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন-
পাবনার ঈশ্বরদীর পদ্মা নদী এলাকায় মানুষের জানমাল রক্ষায় কাকন বাহিনীর প্রধানসহ অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্যসচিব মেহেদী হাসান। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের পদ্মা নদীর ঘাটে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি এ দাবি জানান তিনি...
১ মিনিট আগেশেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের নামে বরিশাল বিভাগের পাঁচটি কলেজের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। আজ রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত নোটিশ জারি করেছে বলে জানায় বরিশাল শিক্ষা বোর্ড।
৫ মিনিট আগেজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকসহ ১৯ জন কর্মকর্তাকে অবসর দেওয়া হয়েছে। তাঁদের চাকরিকাল ২৫ বছর হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশোধিত চাকরিবিধি অনুযায়ী এই অবসর দেওয়া হয়।
৩৮ মিনিট আগেবিষয়টি নিশ্চিত করে শিক্ষক মাহমুদুল হকের আইনজীবী শামীম আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলখানা থেকে মহানগর দায়রা জজকে জানানো হয়, মাহমুদুল হক খুব অসুস্থ। তারপর আমরা পুনরায় আবেদন করেছিলাম। পরে যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক মোছা. মার্জিয়া খাতুন জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।’
১ ঘণ্টা আগে