ইলিয়াস আহমেদ
ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজের অনিশ্চয়তায় ভুগছেন ৪৫ হাজারের বেশি মানুষ। প্রতিদিনই সিভিল সার্জন অফিস, হাসপাতাল ও সিটি করপোরেশনে টিকাগ্রহীতাদের আনাগোনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে না পাওয়ায় অনেকের মধ্যে হতাশা কাজ করছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সারা দেশের ন্যায় ময়মনসিংহে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়। প্রথমে টিকা নিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহ কম দেখা গেলেও এর ভালো প্রতিফলন আসায় টিকাগ্রহীতার সংখ্যা দিনদিন বাড়তে থাকে। ময়মনসিংহ জেলায় ৯৯ হাজার ৪৩৩ জন প্রথম ডোজের টিকা গ্রহণ করেন।
ময়মনসিংহে দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রদান শুরু হয় ৮ এপ্রিল থেকে। দ্বিতীয় ডোজের টিকা পেয়েছেন ৫৪ হাজার ২৪২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩৪ হাজার ৩৬৯ জন এবং নারী ১৯ হাজার ৮৭৩ জন। টিকা দেওয়ার বাকি রয়েছেন ৪৫ হাজার ১৯১ জন। সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দ্রুতই দেশের বাইরে থেকে টিকা আসবে বলে মনে করেন নজরুল ইসলাম।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী আনোয়ার হোসেন বলেন, `সিটি করপোরেশনের অধীনে ৪৯ হাজার ৩০৮ জন প্রথম ডোজের টিকা গ্রহণ করেন। এর মধ্যে পুরুষ ৩১ হাজার ১০৩ জন এবং নারী ১৮ হাজার ২০৫ জন। দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণ করেন ৪২ হাজার ৫০৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২৭ হাজার ৪৮ জন এবং নারী ১৫ হাজার ৪৬০ জন। দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের বাকি রয়েছেন ৬ হাজার ৮০০ জন। জেলা ও সিটি করপোরেশন মিলিয়ে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৭৪১ জন প্রথম ডোজের টিকা গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে টিকা দেওয়া বাকি রয়েছে ৫১ হাজার ৯৯১ জনের। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ হচ্ছে। বিদেশি টিকা বাংলাদেশে এলেই আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা রয়েছে যথাযথভাবে মানুষকে দেওয়ার।'
আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, এ নিয়ে কারও হতাশ হলে চলবে না, সবাইকে একটু ধৈর্য ধরতে হবে। সিটি করপোরেশনের গৃহীত নানা পদক্ষেপে অন্যান্য বিভাগের তুলনায় ময়মনসিংহে করোনা সংক্রমণের অবস্থা ভালো রয়েছে বলে দাবি করে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।
দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় থাকা ময়মনসিংহ নগরীর বদরের মোড়ের বাসিন্দা সেলিম হোসেন বলেন, করোনা টিকার প্রথম ডোজ তাঁদের পরিবারের পাঁচ সদস্য নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ডোজের সময়ের ১৫ দিন আগেই টিকা শেষ হয়ে যাওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। সম্প্রতি তাঁঁদের পরিবারের তিনজন জ্বরে আক্রান্ত হলে তাদের মধ্যে ভয় আরও বেশি বেড়ে যায়। টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারলে হয়তো পরিবারের সদস্যদের এমন অবস্থা হতো না।
সিভিল সার্জন অফিসের সামনে কথা হয় গীতা রানী পাল নামে এক নারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, `শম্ভুগঞ্জ থেকে এসেছি সিভিল সার্জন কার্যালয়ে টিকা দেওয়ার খোঁজখবর নেওয়ার জন্য। এ বিষয়ে অফিসের লোকজন সঠিক কোনো উত্তর দিতে পারেননি। আমাদের দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার এক মাস সময় পার হয়ে গেছে, তাই টিকা নিয়ে পরিবারের সদস্যরা চিন্তিত। এখন মনে হচ্ছে টিকা না নেওয়াই ভালো ছিল। পরিবারের সব সদস্যর মানসিক চিন্তার মধ্যে পড়ে গেছি টিকার জন্য।'
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. চিত্তরঞ্জন দেবনাথ বলেন, টিকা পাওয়ার সুনির্দিষ্ট তারিখ এখনো অস্পষ্ট। তাই যাঁদের প্রথম ডোজ দেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজের তারিখ ওভার হয়েছে, তাঁদের হতাশ না হয়ে অবশ্যই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই করোনার সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। অন্যান্য জেলার তুলনায় ময়মনসিংহের করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হওয়ায় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
জেলা প্রশাসকের তথ্যমতে, ৭ জুন পর্যন্ত জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৮ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৬০৫ জন, সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৭৯ জন। আইসোলেশনে রয়েছেন ৪৪৮ জন।
ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজের অনিশ্চয়তায় ভুগছেন ৪৫ হাজারের বেশি মানুষ। প্রতিদিনই সিভিল সার্জন অফিস, হাসপাতাল ও সিটি করপোরেশনে টিকাগ্রহীতাদের আনাগোনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে না পাওয়ায় অনেকের মধ্যে হতাশা কাজ করছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সারা দেশের ন্যায় ময়মনসিংহে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়। প্রথমে টিকা নিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহ কম দেখা গেলেও এর ভালো প্রতিফলন আসায় টিকাগ্রহীতার সংখ্যা দিনদিন বাড়তে থাকে। ময়মনসিংহ জেলায় ৯৯ হাজার ৪৩৩ জন প্রথম ডোজের টিকা গ্রহণ করেন।
ময়মনসিংহে দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রদান শুরু হয় ৮ এপ্রিল থেকে। দ্বিতীয় ডোজের টিকা পেয়েছেন ৫৪ হাজার ২৪২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩৪ হাজার ৩৬৯ জন এবং নারী ১৯ হাজার ৮৭৩ জন। টিকা দেওয়ার বাকি রয়েছেন ৪৫ হাজার ১৯১ জন। সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দ্রুতই দেশের বাইরে থেকে টিকা আসবে বলে মনে করেন নজরুল ইসলাম।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী আনোয়ার হোসেন বলেন, `সিটি করপোরেশনের অধীনে ৪৯ হাজার ৩০৮ জন প্রথম ডোজের টিকা গ্রহণ করেন। এর মধ্যে পুরুষ ৩১ হাজার ১০৩ জন এবং নারী ১৮ হাজার ২০৫ জন। দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণ করেন ৪২ হাজার ৫০৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২৭ হাজার ৪৮ জন এবং নারী ১৫ হাজার ৪৬০ জন। দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের বাকি রয়েছেন ৬ হাজার ৮০০ জন। জেলা ও সিটি করপোরেশন মিলিয়ে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৭৪১ জন প্রথম ডোজের টিকা গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে টিকা দেওয়া বাকি রয়েছে ৫১ হাজার ৯৯১ জনের। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ হচ্ছে। বিদেশি টিকা বাংলাদেশে এলেই আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা রয়েছে যথাযথভাবে মানুষকে দেওয়ার।'
আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, এ নিয়ে কারও হতাশ হলে চলবে না, সবাইকে একটু ধৈর্য ধরতে হবে। সিটি করপোরেশনের গৃহীত নানা পদক্ষেপে অন্যান্য বিভাগের তুলনায় ময়মনসিংহে করোনা সংক্রমণের অবস্থা ভালো রয়েছে বলে দাবি করে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।
দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় থাকা ময়মনসিংহ নগরীর বদরের মোড়ের বাসিন্দা সেলিম হোসেন বলেন, করোনা টিকার প্রথম ডোজ তাঁদের পরিবারের পাঁচ সদস্য নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ডোজের সময়ের ১৫ দিন আগেই টিকা শেষ হয়ে যাওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। সম্প্রতি তাঁঁদের পরিবারের তিনজন জ্বরে আক্রান্ত হলে তাদের মধ্যে ভয় আরও বেশি বেড়ে যায়। টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারলে হয়তো পরিবারের সদস্যদের এমন অবস্থা হতো না।
সিভিল সার্জন অফিসের সামনে কথা হয় গীতা রানী পাল নামে এক নারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, `শম্ভুগঞ্জ থেকে এসেছি সিভিল সার্জন কার্যালয়ে টিকা দেওয়ার খোঁজখবর নেওয়ার জন্য। এ বিষয়ে অফিসের লোকজন সঠিক কোনো উত্তর দিতে পারেননি। আমাদের দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার এক মাস সময় পার হয়ে গেছে, তাই টিকা নিয়ে পরিবারের সদস্যরা চিন্তিত। এখন মনে হচ্ছে টিকা না নেওয়াই ভালো ছিল। পরিবারের সব সদস্যর মানসিক চিন্তার মধ্যে পড়ে গেছি টিকার জন্য।'
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. চিত্তরঞ্জন দেবনাথ বলেন, টিকা পাওয়ার সুনির্দিষ্ট তারিখ এখনো অস্পষ্ট। তাই যাঁদের প্রথম ডোজ দেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজের তারিখ ওভার হয়েছে, তাঁদের হতাশ না হয়ে অবশ্যই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই করোনার সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। অন্যান্য জেলার তুলনায় ময়মনসিংহের করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হওয়ায় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
জেলা প্রশাসকের তথ্যমতে, ৭ জুন পর্যন্ত জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৮ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৬০৫ জন, সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৭৯ জন। আইসোলেশনে রয়েছেন ৪৪৮ জন।
রাজধানীর আদাবরে একটি স্টাফ বাসে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগের চেষ্টাকালে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (১৩ আগস্ট) ভোর ৪টার দিকে আদাবর থানাধীন সুনিবিড় হাউজিং নবদিগন্ত আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন বেড়িবাঁধ সড়কে একটি স্টাফ বাসে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগের চেষ্টাকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৫ মিনিট আগেফেনী পুলিশ লাইনসে সহকর্মীর বঁটির কোপে মো. রহমত আলী (৫৪) নামের বিশেষ আনসারের এক সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আরেক আনসার সদস্য আলী মনোয়ার হোসেনকে (৫৫) আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুর পৌনে ১টার দিকে পুলিশ লাইনসের মেসে এ ঘটনা ঘটে।
১৮ মিনিট আগেচট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের বিরুদ্ধে নিজ ক্ষমতার বাইরে গিয়ে এবং সরকারি নীতিমালার তোয়াক্কা না করে সরকারি খাস জায়গা পাঁচ বছরের জন্য বন্দোবস্ত দিয়েছেন। ১০০ টাকার স্ট্যাম্পে একটি অস্থায়ী ভাড়ানামা চুক্তিপত্র সম্পাদনের মাধ্যমে সরকারি এই জায়গা দেওয়া হয়েছে।
২৬ মিনিট আগেযশোরে সাম্প্রতিক সময়ে খুনাখুনির পাশাপাশি চুরি-ছিনতাই বেড়ে গেছে। এমনকি প্রকাশ্যে দিনদুপুরে ঘটছে খুনের ঘটনা। সর্বশেষ এক দিনের ব্যবধানে দুটি হত্যাকাণ্ড ঘটে গেছে। এ নিয়ে গত মে থেকে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩ মাসে ২৩ জন হত্যার শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া রাত নামলেই ছিনতাই ও চুরি হচ্ছে অহরহ।
১ ঘণ্টা আগে