ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের ত্রিশালে ধমকা হাওয়া ও শিলাবৃষ্টিতে টিনের বাড়ি-ঘরসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে হঠাৎ শুরু হওয়া ধমকা হাওয়া ও শিলাবৃষ্টিতে এই ক্ষয়ক্ষতি হয়।
স্থানীয়রা জানান, বৃষ্টির সঙ্গে পড়া শিলগুলোর একেকটির ওজন প্রায় ২০০ গ্রাম। এত বড় শিল আগে পড়তে দেখেননি স্থানীয়রা।
শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার ত্রিশাল পৌরসভা, ত্রিশাল ইউনিয়ন, ধানীখোলা ইউনিয়ন, বইলর ইউনিয়ন ও রামপুর ইউনিয়নের সহস্রাধিক বাড়ি-ঘরের টিনের চাল ছিদ্র হয়ে গেছে। এছাড়াও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বোরো ধান, পাট, কাচা আম, লিচু, শাক-সবজিসহ বিভিন্ন জাতের ফসলের।
রামপুর ইউনিয়নের বীররামপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার তিনটি ঘরই শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমার একটি বাছুর শিলাবৃষ্টির আঘাতে মারা গেছে। এখন ঘর মেরামতের জন্য জিও টেক্সটাইল শিট কিনতে বাজারে এসে দেখি এগুলোর দাম দ্বিগুণ হয়েছে। সুযোগ বুঝে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।’
রামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আপেল মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার রামপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় শিলাবৃষ্টিতে বোরোসহ বিভিন্ন ফসল ও বসতবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমার ইউনিয়নে প্রায় দেড় হাজার ঘরের টিনের চাল ছিদ্র হয়ে গেছে। হঠাৎ ঘটা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের এই মানুষগুলো তাদের ক্ষতিগ্রস্ত বসতঘর নিয়ে মহাবিপদে পড়েছে।’
রামপুর ইউনিয়নের কাকচর গ্রামের জাকির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের প্রায় দুই হাজার ঘরবাড়ির টিনের চাল শিলা বৃষ্টিতে ছিদ্র হয়েছে। এমন বিপদের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। বসতঘরের এমন দশায় তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। আপাতত বসতঘরের আসবাবপত্র রক্ষা ও থাকার জায়গা নিরাপদ করতে জিও টেক্সটাইল শিট কিনতে বাজারে ভিড় জমাচ্ছেন। সুযোগ বুঝে ব্যবসায়ীরা এই শিটের দামও অনেক বেশি হাঁকাচ্ছেন।’
বইলর ইউনিয়নের বাঁশকুড়ি গ্রামের ষাটোর্ধ কৃষক আব্দুস সালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জন্মের পর আমি কখনো এত বড় শিল পড়তে দেখিনি। আমার দুইটি ঘরের টিনের চাল ছিদ্র হয়ে থাকার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তাই জিও টেক্সটাইল শিট কিনতে বাজারে এসেছি। সকালে যেটির দাম দুশ টাকা গজ ছিল তা এখন তিনশ টাকার কমে দিচ্ছে না।’
রামপুর ইউনিয়নের কাকচর গ্রামের বাসিন্দা সুরুজ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টিনের চালে অঝোরে পড়া শিলা বৃষ্টিতে আমার ঘুম ভাঙে। উঠেই দেখি শতশত শিলায় চাল ছিদ্র করে মেঝেতে পড়ছে। এ সময় পরিবারের সবাই মাথায় বালিশ চেপে নিজেদের রক্ষা করি। শিলাবৃষ্টি থামলে টর্চ নিয়ে বের হয়ে দেখি আমার পাঁচটি গাছের নিচে অসংখ্য আম ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। গাছের এক-তৃতীয়াংশ আমই পড়ে গেছে। বাকিগুলোও আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।’
ত্রিশাল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাকির হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আকস্মিক শিলাবৃষ্টিতে আমার ইউনিয়নের বিভিন্ন ফসলের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও অসংখ্য বসতবাড়ি ও দোকানের টিনের চাল বড় বড় শিলার আঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।’
ময়মনসিংহের ত্রিশালে ধমকা হাওয়া ও শিলাবৃষ্টিতে টিনের বাড়ি-ঘরসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে হঠাৎ শুরু হওয়া ধমকা হাওয়া ও শিলাবৃষ্টিতে এই ক্ষয়ক্ষতি হয়।
স্থানীয়রা জানান, বৃষ্টির সঙ্গে পড়া শিলগুলোর একেকটির ওজন প্রায় ২০০ গ্রাম। এত বড় শিল আগে পড়তে দেখেননি স্থানীয়রা।
শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার ত্রিশাল পৌরসভা, ত্রিশাল ইউনিয়ন, ধানীখোলা ইউনিয়ন, বইলর ইউনিয়ন ও রামপুর ইউনিয়নের সহস্রাধিক বাড়ি-ঘরের টিনের চাল ছিদ্র হয়ে গেছে। এছাড়াও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বোরো ধান, পাট, কাচা আম, লিচু, শাক-সবজিসহ বিভিন্ন জাতের ফসলের।
রামপুর ইউনিয়নের বীররামপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার তিনটি ঘরই শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমার একটি বাছুর শিলাবৃষ্টির আঘাতে মারা গেছে। এখন ঘর মেরামতের জন্য জিও টেক্সটাইল শিট কিনতে বাজারে এসে দেখি এগুলোর দাম দ্বিগুণ হয়েছে। সুযোগ বুঝে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।’
রামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আপেল মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার রামপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় শিলাবৃষ্টিতে বোরোসহ বিভিন্ন ফসল ও বসতবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমার ইউনিয়নে প্রায় দেড় হাজার ঘরের টিনের চাল ছিদ্র হয়ে গেছে। হঠাৎ ঘটা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের এই মানুষগুলো তাদের ক্ষতিগ্রস্ত বসতঘর নিয়ে মহাবিপদে পড়েছে।’
রামপুর ইউনিয়নের কাকচর গ্রামের জাকির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের প্রায় দুই হাজার ঘরবাড়ির টিনের চাল শিলা বৃষ্টিতে ছিদ্র হয়েছে। এমন বিপদের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। বসতঘরের এমন দশায় তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। আপাতত বসতঘরের আসবাবপত্র রক্ষা ও থাকার জায়গা নিরাপদ করতে জিও টেক্সটাইল শিট কিনতে বাজারে ভিড় জমাচ্ছেন। সুযোগ বুঝে ব্যবসায়ীরা এই শিটের দামও অনেক বেশি হাঁকাচ্ছেন।’
বইলর ইউনিয়নের বাঁশকুড়ি গ্রামের ষাটোর্ধ কৃষক আব্দুস সালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জন্মের পর আমি কখনো এত বড় শিল পড়তে দেখিনি। আমার দুইটি ঘরের টিনের চাল ছিদ্র হয়ে থাকার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তাই জিও টেক্সটাইল শিট কিনতে বাজারে এসেছি। সকালে যেটির দাম দুশ টাকা গজ ছিল তা এখন তিনশ টাকার কমে দিচ্ছে না।’
রামপুর ইউনিয়নের কাকচর গ্রামের বাসিন্দা সুরুজ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টিনের চালে অঝোরে পড়া শিলা বৃষ্টিতে আমার ঘুম ভাঙে। উঠেই দেখি শতশত শিলায় চাল ছিদ্র করে মেঝেতে পড়ছে। এ সময় পরিবারের সবাই মাথায় বালিশ চেপে নিজেদের রক্ষা করি। শিলাবৃষ্টি থামলে টর্চ নিয়ে বের হয়ে দেখি আমার পাঁচটি গাছের নিচে অসংখ্য আম ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। গাছের এক-তৃতীয়াংশ আমই পড়ে গেছে। বাকিগুলোও আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।’
ত্রিশাল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাকির হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আকস্মিক শিলাবৃষ্টিতে আমার ইউনিয়নের বিভিন্ন ফসলের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও অসংখ্য বসতবাড়ি ও দোকানের টিনের চাল বড় বড় শিলার আঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকসহ ১৯ জন কর্মকর্তাকে অবসর দেওয়া হয়েছে। তাঁদের চাকরিকাল ২৫ বছর হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশোধিত চাকরিবিধি অনুযায়ী এই অবসর দেওয়া হয়।
৭ মিনিট আগেবিষয়টি নিশ্চিত করে শিক্ষক মাহমুদুল হকের আইনজীবী শামীম আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলখানা থেকে মহানগর দায়রা জজকে জানানো হয়, মাহমুদুল হক খুব অসুস্থ। তারপর আমরা পুনরায় আবেদন করেছিলাম। পরে যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক মোছা. মার্জিয়া খাতুন জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।’
১৮ মিনিট আগেনাটোরের নলডাঙ্গায় একটি হোটেলে মরা মুরগি রাখার দায়ে হোটেলের মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
২৪ মিনিট আগেচট্টগ্রাম মহানগর আদালতের হাজতখানায় আসামিদের অবাধে মোবাইল ফোনে কথা বলার অভিযোগ তদন্তে নেমেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ এ বিষয়ে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এরই মধ্যে তদন্তকাজ শুরু করেছে পুলিশ।
৩০ মিনিট আগে