নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া-মন্ডলিয়াপাড়া ইউনিয়নে শ্রমিকদের নামের তালিকায় রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা, ইউপি সদস্যের স্ত্রী, গ্রাম-পুলিশের দফাদার ও চৌকিদারের নাম। এতে সরকারি প্রকল্পের অর্থ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দরিদ্র শ্রমিকেরা।
২০২২-২৩ অর্থবছরের ইজিপিপি প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে শ্রমিকদের নামের তালিকায় প্রায় ১০ বছর ধরে নাম রয়েছে রামচন্দ্রকুড়া ইউপির ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা সুকান্ত সরকারের। এ ছাড়া রয়েছে একই ইউনিয়নের দফাদার কৃষ্ণ রবিদাস ও চৌকিদার শ্রী রগবিরের নাম। ইউনিয়নের সরকারি ওয়েবসাইটেও রয়েছে তাঁদের নাম। এ ছাড়া এক প্যানেল চেয়ারম্যানের স্ত্রীর নামও একই তালিকায় শ্রমিক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে প্রথম পর্যায়ে একই শ্রমিকের তালিকা দিয়েই কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানা গেছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় থেকে।
পিআইওর কার্যালয় থেকে আরও জানা গেছে, উপজেলায় ইজিপিপির দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪৬টি প্রকল্পের মোট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। প্রতিদিন ২ হাজার শ্রমিক কাজ করার কথা। প্রত্যেক শ্রমিকের প্রতিদিনের মজুরি ৪০০ টাকা। এর মধ্যে শুধুমাত্র রামচন্দ্রকুড়া-মন্ডলিয়াপাড়া ইউনিয়নের চারটি প্রকল্পে ১৫৬ জন শ্রমিকের জন্য মোট বরাদ্দ ২২ লাখ ৫৪ হাজার ৪০০ টাকা।
উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া-মন্ডলিয়াপাড়া ইউনিয়নে ইজিপিপির দ্বিতীয় পর্যায়ে মোট চারটি প্রকল্পের কাজ চলছে। গতকাল বুধবার প্রকল্প চারটি ঘুরে অর্ধেকেরও কম শ্রমিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এতে রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের পানিহাটা মিশন রোডের উঁচু লাল মাটি থেকে যোগ সাংমার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামত প্রকল্পে ৩০ জন শ্রমিকের জন্য মোট ৪ লাখ ৩৪ হাজার টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে। তবে কর্মরত শ্রমিক পাওয়া গেছে মাত্র ১৫ জন।
পানিহাটা এলাকায় ইজিপিপির প্রকল্পে কর্মরত শ্রমিক হযরত আলী জানান, ১৯ জন শ্রমিক কাজ করছেন। বিভিন্ন কাজ থাকায় অনেকেই মাঝেমধ্যে অনুপস্থিত থাকেন। তাঁদের হাজিরা বা তদারকি করার জন্য খোঁজ-খবর রাখেন না কেউ। প্রকল্পের সভাপতি হামিদ মেম্বার শুরুর দিকে দুই একদিন এলেও এখন আর আসেন না।
রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের তন্তর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা শামছুল হকের বাড়ি থেকে কান্দাপাড়া মসজিদ পর্যন্ত আরেকটি প্রকল্পে দেখা গেছে, সেখানে ৬ লাখ ৬ হাজার ৮০০ টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে। এতে ৪২ জন শ্রমিকের কাজ করার কথা থাকলেও কাজ করছে মাত্র ১৬ জন। যদিও কর্মরত শ্রমিকেরা জানান, তাঁরা ১৯ জন কাজ করেন। মাঝেমধ্যে দুই তিনজন অনুপস্থিত থাকেন। বাকি দুটি প্রকল্পের বাস্তব চিত্রও একই রকম।
রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের কেরেঙ্গাপাড়া জামির সরকারের বাড়ি থেকে মোতালেবের বাড়ি পর্যন্ত প্রকল্পটিতে ৪৫ জনের জন্য ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও কালাকুমা খাদেমের বাড়ি থেকে শাহজাহানের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামত প্রকল্পে ৩৯ জনের জন্য ৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে। প্রকল্প দুটিতে যথাক্রমে ৪৫ জনের পরিবর্তে ৩২ জন ও ৩৯ জনের পরিবর্তে ২০ জন আছেন বলে জানান কর্মরত শ্রমিকেরা।
শ্রমিকের তালিকায় নাম থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন উদ্যোক্তা সুকান্ত সরকার। তিনি বলেন, ‘আমি প্রায় ১০ বছর ধরে উদ্যোক্তার কাজ করছি। তবে কর্মসূচির শ্রমিকের তালিকায় নাম দেওয়ার বিষয়টি চেয়ারম্যান মহোদয় জানেন। বিষয়টি চেয়ারম্যানই দেখভাল করেন।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউপি সদস্য বলেন, ‘কর্মসূচির প্রকল্পের কাজে দুর্নীতি হচ্ছে। কিন্তু এতে আমরা লাভবান নই। প্রকল্প শেষে মাত্র ১ হাজার টাকা পাই। বাকি টাকার সুষ্ঠু হিসাবও জানি না। তবে প্রকল্পের বরাদ্দের বড় একটি অংশের ভাগ দিতে হয় প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তরকে।’
শ্রমিকের তালিকায় উদ্যোক্তা, গ্রাম-পুলিশের নাম থাকার বিষয়ে রামচন্দ্রকুড়া-মন্ডলিয়াপাড়া ইউপির সচিব শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যস্ততার জন্য এবারের প্রকল্পের খবর নিতে পারি নাই। তবে চেয়ারম্যান সাহেব বিষয়টা বলতে পারবেন। আর চৌকিদারদের মানবিকতার খাতিরে দুই-একটা নাম দেওয়া হয়েছে হয়তো।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রামচন্দ্রকুড়া-মন্ডলিয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খোকা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নাম থাকলে সাংবাদিকদের কী সমস্যা? গ্রামের এসব ছোটখাটো বিষয়ে খোঁজ না করে বড় বড় ঘটনায় লেখালেখি করেন।’
অনিয়মের বিষয়টি জানা নেই বলে আজকের পত্রিকাকে জানান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান। তিনি বলেন, ‘এমন ঘটনা ঘটে থাকলে, বিষয়টি দেখা হবে।’

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া-মন্ডলিয়াপাড়া ইউনিয়নে শ্রমিকদের নামের তালিকায় রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা, ইউপি সদস্যের স্ত্রী, গ্রাম-পুলিশের দফাদার ও চৌকিদারের নাম। এতে সরকারি প্রকল্পের অর্থ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দরিদ্র শ্রমিকেরা।
২০২২-২৩ অর্থবছরের ইজিপিপি প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে শ্রমিকদের নামের তালিকায় প্রায় ১০ বছর ধরে নাম রয়েছে রামচন্দ্রকুড়া ইউপির ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা সুকান্ত সরকারের। এ ছাড়া রয়েছে একই ইউনিয়নের দফাদার কৃষ্ণ রবিদাস ও চৌকিদার শ্রী রগবিরের নাম। ইউনিয়নের সরকারি ওয়েবসাইটেও রয়েছে তাঁদের নাম। এ ছাড়া এক প্যানেল চেয়ারম্যানের স্ত্রীর নামও একই তালিকায় শ্রমিক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে প্রথম পর্যায়ে একই শ্রমিকের তালিকা দিয়েই কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানা গেছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় থেকে।
পিআইওর কার্যালয় থেকে আরও জানা গেছে, উপজেলায় ইজিপিপির দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪৬টি প্রকল্পের মোট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। প্রতিদিন ২ হাজার শ্রমিক কাজ করার কথা। প্রত্যেক শ্রমিকের প্রতিদিনের মজুরি ৪০০ টাকা। এর মধ্যে শুধুমাত্র রামচন্দ্রকুড়া-মন্ডলিয়াপাড়া ইউনিয়নের চারটি প্রকল্পে ১৫৬ জন শ্রমিকের জন্য মোট বরাদ্দ ২২ লাখ ৫৪ হাজার ৪০০ টাকা।
উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া-মন্ডলিয়াপাড়া ইউনিয়নে ইজিপিপির দ্বিতীয় পর্যায়ে মোট চারটি প্রকল্পের কাজ চলছে। গতকাল বুধবার প্রকল্প চারটি ঘুরে অর্ধেকেরও কম শ্রমিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এতে রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের পানিহাটা মিশন রোডের উঁচু লাল মাটি থেকে যোগ সাংমার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামত প্রকল্পে ৩০ জন শ্রমিকের জন্য মোট ৪ লাখ ৩৪ হাজার টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে। তবে কর্মরত শ্রমিক পাওয়া গেছে মাত্র ১৫ জন।
পানিহাটা এলাকায় ইজিপিপির প্রকল্পে কর্মরত শ্রমিক হযরত আলী জানান, ১৯ জন শ্রমিক কাজ করছেন। বিভিন্ন কাজ থাকায় অনেকেই মাঝেমধ্যে অনুপস্থিত থাকেন। তাঁদের হাজিরা বা তদারকি করার জন্য খোঁজ-খবর রাখেন না কেউ। প্রকল্পের সভাপতি হামিদ মেম্বার শুরুর দিকে দুই একদিন এলেও এখন আর আসেন না।
রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের তন্তর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা শামছুল হকের বাড়ি থেকে কান্দাপাড়া মসজিদ পর্যন্ত আরেকটি প্রকল্পে দেখা গেছে, সেখানে ৬ লাখ ৬ হাজার ৮০০ টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে। এতে ৪২ জন শ্রমিকের কাজ করার কথা থাকলেও কাজ করছে মাত্র ১৬ জন। যদিও কর্মরত শ্রমিকেরা জানান, তাঁরা ১৯ জন কাজ করেন। মাঝেমধ্যে দুই তিনজন অনুপস্থিত থাকেন। বাকি দুটি প্রকল্পের বাস্তব চিত্রও একই রকম।
রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের কেরেঙ্গাপাড়া জামির সরকারের বাড়ি থেকে মোতালেবের বাড়ি পর্যন্ত প্রকল্পটিতে ৪৫ জনের জন্য ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও কালাকুমা খাদেমের বাড়ি থেকে শাহজাহানের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামত প্রকল্পে ৩৯ জনের জন্য ৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে। প্রকল্প দুটিতে যথাক্রমে ৪৫ জনের পরিবর্তে ৩২ জন ও ৩৯ জনের পরিবর্তে ২০ জন আছেন বলে জানান কর্মরত শ্রমিকেরা।
শ্রমিকের তালিকায় নাম থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন উদ্যোক্তা সুকান্ত সরকার। তিনি বলেন, ‘আমি প্রায় ১০ বছর ধরে উদ্যোক্তার কাজ করছি। তবে কর্মসূচির শ্রমিকের তালিকায় নাম দেওয়ার বিষয়টি চেয়ারম্যান মহোদয় জানেন। বিষয়টি চেয়ারম্যানই দেখভাল করেন।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউপি সদস্য বলেন, ‘কর্মসূচির প্রকল্পের কাজে দুর্নীতি হচ্ছে। কিন্তু এতে আমরা লাভবান নই। প্রকল্প শেষে মাত্র ১ হাজার টাকা পাই। বাকি টাকার সুষ্ঠু হিসাবও জানি না। তবে প্রকল্পের বরাদ্দের বড় একটি অংশের ভাগ দিতে হয় প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তরকে।’
শ্রমিকের তালিকায় উদ্যোক্তা, গ্রাম-পুলিশের নাম থাকার বিষয়ে রামচন্দ্রকুড়া-মন্ডলিয়াপাড়া ইউপির সচিব শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যস্ততার জন্য এবারের প্রকল্পের খবর নিতে পারি নাই। তবে চেয়ারম্যান সাহেব বিষয়টা বলতে পারবেন। আর চৌকিদারদের মানবিকতার খাতিরে দুই-একটা নাম দেওয়া হয়েছে হয়তো।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রামচন্দ্রকুড়া-মন্ডলিয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খোকা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নাম থাকলে সাংবাদিকদের কী সমস্যা? গ্রামের এসব ছোটখাটো বিষয়ে খোঁজ না করে বড় বড় ঘটনায় লেখালেখি করেন।’
অনিয়মের বিষয়টি জানা নেই বলে আজকের পত্রিকাকে জানান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান। তিনি বলেন, ‘এমন ঘটনা ঘটে থাকলে, বিষয়টি দেখা হবে।’

আহত ব্যক্তিরা হলেন রাউজান উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ সুমন, বাগোয়ান ইউনিয়ন কৃষক দলের সহসভাপতি মো. ইসমাইল, বাগোয়ান ইউনিয়ন শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক খোরশেদ আলম চৌধুরী, বাগোয়ান ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও বিএনপি কর্মী মোহাম্মদ সোহেল।
১০ মিনিট আগে
মাদারীপুর সদর উপজেলায় আড়িয়াল খাঁ ও কুমার নদের পাড়ের অন্তত ২০টি স্থান থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করছেন স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। প্রতিদিন রাত থেকে ভোর পর্যন্ত অবাধে মাটি কেটে ট্রলারে করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করা হয়। মাটি কেটে নেওয়ায় ওই সব গ্রামের মানুষ নদের পাড় ভাঙনের আশঙ্কা করছে।
৬ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহের নান্দাইলে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধিগ্রহণ করা জায়গায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তাঁর ভাই মার্কেট নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে কিশোরগঞ্জ সওজে অভিযোগ দিয়েছেন এলাকার লোকজন। সম্প্রতি তাঁরা এ অভিযোগ করেন।
৬ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গণসংযোগের সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় তাঁর পাশেই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন সরওয়ার হোসেন বাবলা (৪৩) নামের এক যুবক। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পাঁচলাইশের হামজারবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৮ ঘণ্টা আগেরাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের রাউজানে ফের রক্তারক্তির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে উপজেলার ১৪ নম্বর বাগোয়ান ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কোয়েপাড়া গ্রামের চৌধুরী পাড়ায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ৫ নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
আহত ব্যক্তিরা হলেন রাউজান উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ সুমন, বাগোয়ান ইউনিয়ন কৃষক দলের সহসভাপতি মো. ইসমাইল, বাগোয়ান ইউনিয়ন শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক খোরশেদ আলম চৌধুরী, বাগোয়ান ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও বিএনপি কর্মী মোহাম্মদ সোহেল। আহত সবাই বাগোয়ান ইউনিয়নের বাসিন্দা।
আহত পাঁচজনের মধ্যে আব্দুল্লাহ সুমনের বুকে গুলি লাগায় তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বর্তমানে তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহত পাঁচজনই বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কিছু দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেল ও একটি গাড়িতে করে এসে এলোপাতাড়ি গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যায়। তবে কী কারণে ঘটনাটি ঘটেছে, তা জানা যায়নি। রাতের এই গুলির ঘটনায় পুরো কোয়েপাড়া এলাকা এখন আতঙ্কে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, পুলিশ আসার আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে গেছে।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে রাউজান-রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তখন কাউকে পাইনি। বর্তমানে অভিযানে আছি। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে, জানার চেষ্টা করছি। ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।’

চট্টগ্রামের রাউজানে ফের রক্তারক্তির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে উপজেলার ১৪ নম্বর বাগোয়ান ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কোয়েপাড়া গ্রামের চৌধুরী পাড়ায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ৫ নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
আহত ব্যক্তিরা হলেন রাউজান উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ সুমন, বাগোয়ান ইউনিয়ন কৃষক দলের সহসভাপতি মো. ইসমাইল, বাগোয়ান ইউনিয়ন শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক খোরশেদ আলম চৌধুরী, বাগোয়ান ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও বিএনপি কর্মী মোহাম্মদ সোহেল। আহত সবাই বাগোয়ান ইউনিয়নের বাসিন্দা।
আহত পাঁচজনের মধ্যে আব্দুল্লাহ সুমনের বুকে গুলি লাগায় তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বর্তমানে তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহত পাঁচজনই বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কিছু দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেল ও একটি গাড়িতে করে এসে এলোপাতাড়ি গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যায়। তবে কী কারণে ঘটনাটি ঘটেছে, তা জানা যায়নি। রাতের এই গুলির ঘটনায় পুরো কোয়েপাড়া এলাকা এখন আতঙ্কে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, পুলিশ আসার আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে গেছে।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে রাউজান-রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তখন কাউকে পাইনি। বর্তমানে অভিযানে আছি। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে, জানার চেষ্টা করছি। ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।’

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া-মন্ডলিয়াপাড়া ইউনিয়নে শ্রমিকদের নামের তালিকায় রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা, ইউপি সদস্যের স্ত্রী, গ্রাম-পুলিশের দফাদার ও চৌকিদারের নাম। এতে সরকারি প্রক
১৮ মে ২০২৩
মাদারীপুর সদর উপজেলায় আড়িয়াল খাঁ ও কুমার নদের পাড়ের অন্তত ২০টি স্থান থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করছেন স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। প্রতিদিন রাত থেকে ভোর পর্যন্ত অবাধে মাটি কেটে ট্রলারে করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করা হয়। মাটি কেটে নেওয়ায় ওই সব গ্রামের মানুষ নদের পাড় ভাঙনের আশঙ্কা করছে।
৬ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহের নান্দাইলে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধিগ্রহণ করা জায়গায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তাঁর ভাই মার্কেট নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে কিশোরগঞ্জ সওজে অভিযোগ দিয়েছেন এলাকার লোকজন। সম্প্রতি তাঁরা এ অভিযোগ করেন।
৬ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গণসংযোগের সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় তাঁর পাশেই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন সরওয়ার হোসেন বাবলা (৪৩) নামের এক যুবক। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পাঁচলাইশের হামজারবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৮ ঘণ্টা আগেআয়শা সিদ্দিকা আকাশী,মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুর সদর উপজেলায় আড়িয়াল খাঁ ও কুমার নদের পাড়ের অন্তত ২০টি স্থান থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করছেন স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। প্রতিদিন রাত থেকে ভোর পর্যন্ত অবাধে মাটি কেটে ট্রলারে করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করা হয়। মাটি কেটে নেওয়ায় ওই সব গ্রামের মানুষ নদের পাড় ভাঙনের আশঙ্কা করছে।
সম্প্রতি বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের উত্তর মহিষেরচর গ্রামের আড়িয়াল খাঁ নদের পাড় থেকে স্থানীয় আবু চৌকিদারের ছেলে ইলিয়াস চৌকিদার তাঁর নিজস্ব লোকজন নিয়ে রাতে, আবার কখনো ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত মাটি কেটে ট্রলারে করে নৌপথে সেই মাটি নিয়ে যাচ্ছেন। প্রথমে তাঁর নিজস্ব জমি থেকে মাটি কাটলেও পরে স্থানীয় মো. খলিল চৌকিদার, মো. বাবুল চৌকিদারের জমি থেকেও মাটি কাটা হয়েছে। তাঁরা ইলিয়াসকে মাটি কাটতে নিষেধ করলেও তিনি তা শোনেননি।
এদিকে নদের পাড়ের মাটি কেটে নেওয়ায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে পাশেই কাদের সরদারের সবজির খেত ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এ ছাড়া পাশেই মিন্টু সরদারের বসতবাড়িও হুমকির মধ্যে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদরের পাঁচখোলা ইউনিয়নের উত্তর মহিষেরচরের আড়িয়াল খাঁ নদের পাড়ে দুটি স্থানে, একই ইউনিয়নের কাতলা বাহেরচরে দুটি স্থান থেকে মাটি কেটে নেওয়া হয়। এ ছাড়া কুমার নদের তীরবর্তী রাজারচর, পখিরা, তিন নদীর মুখ, চর কালকিনি, চর হোগলপাতিয়া, চর ব্রাহ্মন্দীসহ আরও একাধিক স্থানে মাটি কেটে নেওয়া হয়। এসব মাটির বেশি ভাগ ইটভাটায় বিক্রি করা হয়।
পাঁচখোলা ইউনিয়নের উত্তর মহিষেরচর গ্রামের উত্তর মহিষেরচর শিকদারবাড়ি জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আলমগীর শিকদার বলেন, ‘আমাদের এই গ্রামে স্থানীয় ইলিয়াস চৌকিদার রাতের আঁধারে আড়িয়াল খাঁ নদের পাড়ের মাটি কেটে নিয়ে যান। এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করলে তিনি আমাকে নানা ধরনের হুমকি দিয়েছেন। এমনকি আমার চোখ তুলে ফেলারও হুমকি দেন।’
মহিষেরচর গ্রামের বাসিন্দা আসাদুজ্জামান সাইফ বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে বহুবার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু মাটি চুরি থামেনি। প্রতিদিন রাতের আঁধারে নদের পাড়ের মাটি কেটে ট্রলারে করে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র। এই গ্রামের আড়িয়াল খাঁ নদের চার-পাঁচটি স্থান থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। এভাবে নির্বিচারে মাটি কাটা যদি বন্ধ না হয়, পুরো গ্রাম হুমকির মধ্যে পড়বে।’
আরেক বাসিন্দা মিন্টু সরদার বলেন, ‘প্রতিদিন রাতে এখান থেকে মাটি লুট হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের বসতবাড়ি ও ফসলি জমি—সব নদে বিলীন হয়ে যাবে। আমরা এর প্রতিকার চাই।’
মো. বাবুল চৌকিদার নামের একজন বলেন, ‘আমার প্রায় তিন কড়া জমি থেকে মাটি কেটে নিয়ে গেছেন ইলিয়াস চৌকিদার। তাঁকে নিষেধ করার পরও শুনছেন না।’
ভুক্তভোগী খলিল চৌকিদার বলেন, ‘আমার জমি থেকেও মাটি কেটে নিয়ে গেছেন ইলিয়াস চৌকিদার। আর আমাদের এলাকায় এগুলো করছেন ইলিয়াস। নদের পাড়ের আমার ফসলি জমি এখন ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে।’
মাদারীপুরের স্থানীয় আইনজীবী আবুল হাসান সোহেল বলেন, ‘নদের তীর থেকে মাটি কেটে নেওয়ার মানে হলো নদের স্বাভাবিক প্রবাহকে ক্ষতিগ্রস্ত করা। এতে নদীর ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং ক্রমান্বয়ে নদে ভাঙন বাড়ে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে চরাঞ্চলগুলো মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
মাদারীপুর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি আইনজীবী মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘নদের তীরবর্তী এলাকাগুলোতে নিয়মিত টহল ও মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা চালু করা দরকার। অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্ধে জরুরি ভিত্তিতে আইন প্রয়োগ ও জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।’
অভিযোগের বিষয়ে ইলিয়াস চৌকিদার বলেন, ‘আমি অনেক আগে মাটি কেটেছিলাম। কিন্তু এখন আর মাটি কাটি না। যখন দেখেছি মাটি কাটলে অন্যের ক্ষতি হয়, তখন থেকে আর এই কাজ করছি না।’
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক আফসানা বিলকিস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নদের তীর থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্ধে আমরা একাধিকবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছি। যাঁরা নদের মাটি কাটছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

মাদারীপুর সদর উপজেলায় আড়িয়াল খাঁ ও কুমার নদের পাড়ের অন্তত ২০টি স্থান থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করছেন স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। প্রতিদিন রাত থেকে ভোর পর্যন্ত অবাধে মাটি কেটে ট্রলারে করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করা হয়। মাটি কেটে নেওয়ায় ওই সব গ্রামের মানুষ নদের পাড় ভাঙনের আশঙ্কা করছে।
সম্প্রতি বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের উত্তর মহিষেরচর গ্রামের আড়িয়াল খাঁ নদের পাড় থেকে স্থানীয় আবু চৌকিদারের ছেলে ইলিয়াস চৌকিদার তাঁর নিজস্ব লোকজন নিয়ে রাতে, আবার কখনো ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত মাটি কেটে ট্রলারে করে নৌপথে সেই মাটি নিয়ে যাচ্ছেন। প্রথমে তাঁর নিজস্ব জমি থেকে মাটি কাটলেও পরে স্থানীয় মো. খলিল চৌকিদার, মো. বাবুল চৌকিদারের জমি থেকেও মাটি কাটা হয়েছে। তাঁরা ইলিয়াসকে মাটি কাটতে নিষেধ করলেও তিনি তা শোনেননি।
এদিকে নদের পাড়ের মাটি কেটে নেওয়ায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে পাশেই কাদের সরদারের সবজির খেত ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এ ছাড়া পাশেই মিন্টু সরদারের বসতবাড়িও হুমকির মধ্যে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদরের পাঁচখোলা ইউনিয়নের উত্তর মহিষেরচরের আড়িয়াল খাঁ নদের পাড়ে দুটি স্থানে, একই ইউনিয়নের কাতলা বাহেরচরে দুটি স্থান থেকে মাটি কেটে নেওয়া হয়। এ ছাড়া কুমার নদের তীরবর্তী রাজারচর, পখিরা, তিন নদীর মুখ, চর কালকিনি, চর হোগলপাতিয়া, চর ব্রাহ্মন্দীসহ আরও একাধিক স্থানে মাটি কেটে নেওয়া হয়। এসব মাটির বেশি ভাগ ইটভাটায় বিক্রি করা হয়।
পাঁচখোলা ইউনিয়নের উত্তর মহিষেরচর গ্রামের উত্তর মহিষেরচর শিকদারবাড়ি জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আলমগীর শিকদার বলেন, ‘আমাদের এই গ্রামে স্থানীয় ইলিয়াস চৌকিদার রাতের আঁধারে আড়িয়াল খাঁ নদের পাড়ের মাটি কেটে নিয়ে যান। এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করলে তিনি আমাকে নানা ধরনের হুমকি দিয়েছেন। এমনকি আমার চোখ তুলে ফেলারও হুমকি দেন।’
মহিষেরচর গ্রামের বাসিন্দা আসাদুজ্জামান সাইফ বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে বহুবার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু মাটি চুরি থামেনি। প্রতিদিন রাতের আঁধারে নদের পাড়ের মাটি কেটে ট্রলারে করে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র। এই গ্রামের আড়িয়াল খাঁ নদের চার-পাঁচটি স্থান থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। এভাবে নির্বিচারে মাটি কাটা যদি বন্ধ না হয়, পুরো গ্রাম হুমকির মধ্যে পড়বে।’
আরেক বাসিন্দা মিন্টু সরদার বলেন, ‘প্রতিদিন রাতে এখান থেকে মাটি লুট হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের বসতবাড়ি ও ফসলি জমি—সব নদে বিলীন হয়ে যাবে। আমরা এর প্রতিকার চাই।’
মো. বাবুল চৌকিদার নামের একজন বলেন, ‘আমার প্রায় তিন কড়া জমি থেকে মাটি কেটে নিয়ে গেছেন ইলিয়াস চৌকিদার। তাঁকে নিষেধ করার পরও শুনছেন না।’
ভুক্তভোগী খলিল চৌকিদার বলেন, ‘আমার জমি থেকেও মাটি কেটে নিয়ে গেছেন ইলিয়াস চৌকিদার। আর আমাদের এলাকায় এগুলো করছেন ইলিয়াস। নদের পাড়ের আমার ফসলি জমি এখন ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে।’
মাদারীপুরের স্থানীয় আইনজীবী আবুল হাসান সোহেল বলেন, ‘নদের তীর থেকে মাটি কেটে নেওয়ার মানে হলো নদের স্বাভাবিক প্রবাহকে ক্ষতিগ্রস্ত করা। এতে নদীর ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং ক্রমান্বয়ে নদে ভাঙন বাড়ে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে চরাঞ্চলগুলো মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
মাদারীপুর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি আইনজীবী মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘নদের তীরবর্তী এলাকাগুলোতে নিয়মিত টহল ও মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা চালু করা দরকার। অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্ধে জরুরি ভিত্তিতে আইন প্রয়োগ ও জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।’
অভিযোগের বিষয়ে ইলিয়াস চৌকিদার বলেন, ‘আমি অনেক আগে মাটি কেটেছিলাম। কিন্তু এখন আর মাটি কাটি না। যখন দেখেছি মাটি কাটলে অন্যের ক্ষতি হয়, তখন থেকে আর এই কাজ করছি না।’
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক আফসানা বিলকিস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নদের তীর থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্ধে আমরা একাধিকবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছি। যাঁরা নদের মাটি কাটছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া-মন্ডলিয়াপাড়া ইউনিয়নে শ্রমিকদের নামের তালিকায় রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা, ইউপি সদস্যের স্ত্রী, গ্রাম-পুলিশের দফাদার ও চৌকিদারের নাম। এতে সরকারি প্রক
১৮ মে ২০২৩
আহত ব্যক্তিরা হলেন রাউজান উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ সুমন, বাগোয়ান ইউনিয়ন কৃষক দলের সহসভাপতি মো. ইসমাইল, বাগোয়ান ইউনিয়ন শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক খোরশেদ আলম চৌধুরী, বাগোয়ান ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও বিএনপি কর্মী মোহাম্মদ সোহেল।
১০ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের নান্দাইলে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধিগ্রহণ করা জায়গায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তাঁর ভাই মার্কেট নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে কিশোরগঞ্জ সওজে অভিযোগ দিয়েছেন এলাকার লোকজন। সম্প্রতি তাঁরা এ অভিযোগ করেন।
৬ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গণসংযোগের সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় তাঁর পাশেই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন সরওয়ার হোসেন বাবলা (৪৩) নামের এক যুবক। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পাঁচলাইশের হামজারবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৮ ঘণ্টা আগেমিন্টু মিয়া, নান্দাইল (ময়মনসিংহ)

ময়মনসিংহের নান্দাইলে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধিগ্রহণ করা জায়গায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তাঁর ভাই মার্কেট নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে কিশোরগঞ্জ সওজে অভিযোগ দিয়েছেন এলাকার লোকজন। সম্প্রতি তাঁরা এ অভিযোগ করেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার চর বেতাগৈর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান ও তাঁর ভাই হাসিম উদ্দিন। হাসিম উদ্দিনও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। সরেজমিনে মার্কেট নির্মাণের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
কিশোরগঞ্জ সওজ সূত্রে জানা যায়, নান্দাইল উপজেলার কানুরামপুর থেকে ত্রিশাল আঞ্চলিক সড়কের চর বেতাগৈর ইউনিয়নের চরশ্রীরামপুর এলাকায় সড়ক নির্মাণের জন্য ২০০৯ সালে ভূমি অধিগ্রহণ করে সওজ। পরে অধিগ্রহণ করা জায়গার সব টাকাও বুঝিয়ে দেয়।
গতকাল বুধবার উপজেলার চর বেতাগৈর ইউনিয়নের চরভেলামারী আতাউরের মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, কানুরামপুর-ত্রিশাল সড়কের আতাউরের মোড়সংলগ্ন সওজের জায়গায় ১০ কক্ষবিশিষ্ট বিশাল মার্কেট নির্মাণ হচ্ছে। সেখানে ৭-৮ জন কর্মচারী পুরোদমে কাজ করছেন।
সওজের কাছে দেওয়া অভিযোগে বলা হয়, আতাউরের মোড় সংলগ্ন এলাকায় ওই দুই ভাই দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ১২ বছর আগে থেকে অবৈধভাবে মার্কেট নির্মাণ করে ভোগদখল করে আসছে। বর্তমানেও মার্কেট নির্মাণের কাজ চলছে। অভিযোগে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানা হয়।
অভিযোগকারীদের একজন শাপলা আক্তার। তিনি বলেন, ‘আমার ১০ শতাংশ জমির ৩ শতাংশ অধিগ্রহণ করে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আতাউর রহমান ও তার ভাই হাসিম উদ্দিন প্রভাব খাটিয়ে সওজের জায়গা দখল করে মার্কেট করেছে।’ স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মতিন বলেন, বিগত দিনে আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে দুই ভাই মিলে সওজের বিশাল জায়গাজুড়ে মার্কেট করে রেখেছেন। নতুন করে আবার জায়গা দখল করে মার্কেট হচ্ছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আতাউর রহমানের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে অভিযুক্ত হাসিম উদ্দিনের দাবি, জায়গাটি সওজের অধিকৃত না। তিনি বলেন, ‘সওজ রাস্তা নির্মাণের আগে ভূমি অধিগ্রহণ করে টাকা দিয়েছে। সেই জায়গা রেখেই মার্কেট নির্মাণ করছি। অধিগ্রহণকৃত জায়গায় আমি যাইনি। তারপরেও যদি সওজ এসে তদন্ত করে, সেটা পরে দেখা যাবে।’
জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ সওজের উপসহকারী মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল কবির মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি, সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ময়মনসিংহের নান্দাইলে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধিগ্রহণ করা জায়গায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তাঁর ভাই মার্কেট নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে কিশোরগঞ্জ সওজে অভিযোগ দিয়েছেন এলাকার লোকজন। সম্প্রতি তাঁরা এ অভিযোগ করেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার চর বেতাগৈর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান ও তাঁর ভাই হাসিম উদ্দিন। হাসিম উদ্দিনও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। সরেজমিনে মার্কেট নির্মাণের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
কিশোরগঞ্জ সওজ সূত্রে জানা যায়, নান্দাইল উপজেলার কানুরামপুর থেকে ত্রিশাল আঞ্চলিক সড়কের চর বেতাগৈর ইউনিয়নের চরশ্রীরামপুর এলাকায় সড়ক নির্মাণের জন্য ২০০৯ সালে ভূমি অধিগ্রহণ করে সওজ। পরে অধিগ্রহণ করা জায়গার সব টাকাও বুঝিয়ে দেয়।
গতকাল বুধবার উপজেলার চর বেতাগৈর ইউনিয়নের চরভেলামারী আতাউরের মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, কানুরামপুর-ত্রিশাল সড়কের আতাউরের মোড়সংলগ্ন সওজের জায়গায় ১০ কক্ষবিশিষ্ট বিশাল মার্কেট নির্মাণ হচ্ছে। সেখানে ৭-৮ জন কর্মচারী পুরোদমে কাজ করছেন।
সওজের কাছে দেওয়া অভিযোগে বলা হয়, আতাউরের মোড় সংলগ্ন এলাকায় ওই দুই ভাই দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ১২ বছর আগে থেকে অবৈধভাবে মার্কেট নির্মাণ করে ভোগদখল করে আসছে। বর্তমানেও মার্কেট নির্মাণের কাজ চলছে। অভিযোগে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানা হয়।
অভিযোগকারীদের একজন শাপলা আক্তার। তিনি বলেন, ‘আমার ১০ শতাংশ জমির ৩ শতাংশ অধিগ্রহণ করে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আতাউর রহমান ও তার ভাই হাসিম উদ্দিন প্রভাব খাটিয়ে সওজের জায়গা দখল করে মার্কেট করেছে।’ স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মতিন বলেন, বিগত দিনে আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে দুই ভাই মিলে সওজের বিশাল জায়গাজুড়ে মার্কেট করে রেখেছেন। নতুন করে আবার জায়গা দখল করে মার্কেট হচ্ছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আতাউর রহমানের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে অভিযুক্ত হাসিম উদ্দিনের দাবি, জায়গাটি সওজের অধিকৃত না। তিনি বলেন, ‘সওজ রাস্তা নির্মাণের আগে ভূমি অধিগ্রহণ করে টাকা দিয়েছে। সেই জায়গা রেখেই মার্কেট নির্মাণ করছি। অধিগ্রহণকৃত জায়গায় আমি যাইনি। তারপরেও যদি সওজ এসে তদন্ত করে, সেটা পরে দেখা যাবে।’
জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ সওজের উপসহকারী মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল কবির মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি, সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া-মন্ডলিয়াপাড়া ইউনিয়নে শ্রমিকদের নামের তালিকায় রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা, ইউপি সদস্যের স্ত্রী, গ্রাম-পুলিশের দফাদার ও চৌকিদারের নাম। এতে সরকারি প্রক
১৮ মে ২০২৩
আহত ব্যক্তিরা হলেন রাউজান উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ সুমন, বাগোয়ান ইউনিয়ন কৃষক দলের সহসভাপতি মো. ইসমাইল, বাগোয়ান ইউনিয়ন শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক খোরশেদ আলম চৌধুরী, বাগোয়ান ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও বিএনপি কর্মী মোহাম্মদ সোহেল।
১০ মিনিট আগে
মাদারীপুর সদর উপজেলায় আড়িয়াল খাঁ ও কুমার নদের পাড়ের অন্তত ২০টি স্থান থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করছেন স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। প্রতিদিন রাত থেকে ভোর পর্যন্ত অবাধে মাটি কেটে ট্রলারে করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করা হয়। মাটি কেটে নেওয়ায় ওই সব গ্রামের মানুষ নদের পাড় ভাঙনের আশঙ্কা করছে।
৬ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গণসংযোগের সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় তাঁর পাশেই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন সরওয়ার হোসেন বাবলা (৪৩) নামের এক যুবক। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পাঁচলাইশের হামজারবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গণসংযোগের সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় তাঁর পাশেই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন সরওয়ার হোসেন বাবলা (৪৩) নামের এক যুবক। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পাঁচলাইশের হামজারবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, চট্টগ্রাম নগরের চালিতাতলী এলাকার মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ঢুকেছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ। হাত থেকে লিফলেট দিয়ে দোকানদারের সঙ্গে কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন ১৫–২০ জন নেতা-কর্মী।
বিএনপি প্রার্থীর খুব কাছাকাছি ছিলেন এক ডজনের বেশি মামলার আসামি সরওয়ার হোসেন বাবলা। তাঁর গায়ে ছিল সাদা প্যান্ট ও গেঞ্জি। গেঞ্জির পেছনে বড় অক্ষরের ইংরেজি লেখা। বাবলার পিঠের কাছাকাছি একজন সেলফিতে ব্যস্ত, আচমকা পেছন থেকে একটি হাত ওঠে, বাড়ন্ত ওই হাতে ছিল স্বয়ংক্রিয় পিস্তল। কেউ কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঠাস ঠাস আওয়াজ। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বাবলা। মুহূর্তের মধ্যে সটকে পড়ে হামলাকারীরা। সবার মুখে মাস্ক ছিল। সংখ্যায় তাঁরা ৭-৮ জন ছিল। এ ঘটনায় পাশে থাকা বিএনপি প্রার্থী এরশাদের সঙ্গে শান্ত নামের আরও একজন গুলিবিদ্ধ হন।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. শাহাবুদ্দিন ও মো. ইসমাইল জানান, গণসংযোগকালে ৭-৮ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ খুব কাছ থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে।

এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে বায়েজিদ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে কাউকে ঘটনাস্থল থেকে কিংবা অন্য কোনো স্থান থেকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
কে এই বাবলা
গত ৩০ মার্চ নগরের বাকলিয়া অ্যাকসেস রোড এলাকায় একটি প্রাইভেট কারে গুলি চালিয়ে সরোয়ারকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ওই সময় প্রাইভেট কারে থাকা দুজন ঘটনাস্থলে মারা যান। সেদিন প্রাইভেট কারে সরওয়ার থাকলেও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। পরে এ মামলায় গ্রেপ্তার আসামিরা জবানবন্দিতে ও পুলিশকে জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের নির্দেশে বাবলাকে গুলি করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, সরোয়ারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অস্ত্র, হত্যাসহ ১৫টি মামলা রয়েছে।
সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত সরোয়ার বাবলা গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিয়ে করেন। তাঁর বিয়ের অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহ, আবু সুফিয়ানসহ আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের ছবি এই প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে। দীর্ঘদিন সন্ত্রাসী তকমা নিয়ে থাকা বাবলা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছিলেন। এরই অংশ হিসেবে গত বছরের ৫ আগস্টের পর কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে বিএনপির বিভিন্ন সমাবেশে যোগ দিতে দেখা যায় সরোয়ারকে।
এর ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার সন্ধ্যায় বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনী গণসংযোগে অংশ নেন সরোয়ার। তবে মাগরিবের নামাজের পরপর এলোপাতাড়ি গুলিতে গুরুতর আহত হন তিনি। তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে নগরের বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। তবে অন্য দুজনের অবস্থা এখন আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের এজিএম রাম প্রসাদ।
সর্বশেষ এ ঘটনায় বাবলার প্রতিপক্ষ ছোট সাজ্জাদ গ্রুপের রায়হান, ইমনসহ আরও কয়েকজনের নাম সামনে এসেছে। সম্প্রতি এই দুজনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম নগর ও রাউজানে কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিএনপি বলছে, সরোয়ার তাদের কেউ নন। জনসংযোগে শত শত লোক অংশ নেন। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের সঙ্গে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাঁর প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেনকে গুলি করা হয়।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানান, বিএনপি প্রার্থীর জনসংযোগের সময় সেখানে শত শত লোক অংশ নেন। ঘটনার সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই।

চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গণসংযোগের সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় তাঁর পাশেই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন সরওয়ার হোসেন বাবলা (৪৩) নামের এক যুবক। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পাঁচলাইশের হামজারবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, চট্টগ্রাম নগরের চালিতাতলী এলাকার মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ঢুকেছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ। হাত থেকে লিফলেট দিয়ে দোকানদারের সঙ্গে কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন ১৫–২০ জন নেতা-কর্মী।
বিএনপি প্রার্থীর খুব কাছাকাছি ছিলেন এক ডজনের বেশি মামলার আসামি সরওয়ার হোসেন বাবলা। তাঁর গায়ে ছিল সাদা প্যান্ট ও গেঞ্জি। গেঞ্জির পেছনে বড় অক্ষরের ইংরেজি লেখা। বাবলার পিঠের কাছাকাছি একজন সেলফিতে ব্যস্ত, আচমকা পেছন থেকে একটি হাত ওঠে, বাড়ন্ত ওই হাতে ছিল স্বয়ংক্রিয় পিস্তল। কেউ কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঠাস ঠাস আওয়াজ। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বাবলা। মুহূর্তের মধ্যে সটকে পড়ে হামলাকারীরা। সবার মুখে মাস্ক ছিল। সংখ্যায় তাঁরা ৭-৮ জন ছিল। এ ঘটনায় পাশে থাকা বিএনপি প্রার্থী এরশাদের সঙ্গে শান্ত নামের আরও একজন গুলিবিদ্ধ হন।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. শাহাবুদ্দিন ও মো. ইসমাইল জানান, গণসংযোগকালে ৭-৮ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ খুব কাছ থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে।

এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে বায়েজিদ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে কাউকে ঘটনাস্থল থেকে কিংবা অন্য কোনো স্থান থেকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
কে এই বাবলা
গত ৩০ মার্চ নগরের বাকলিয়া অ্যাকসেস রোড এলাকায় একটি প্রাইভেট কারে গুলি চালিয়ে সরোয়ারকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ওই সময় প্রাইভেট কারে থাকা দুজন ঘটনাস্থলে মারা যান। সেদিন প্রাইভেট কারে সরওয়ার থাকলেও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। পরে এ মামলায় গ্রেপ্তার আসামিরা জবানবন্দিতে ও পুলিশকে জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের নির্দেশে বাবলাকে গুলি করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, সরোয়ারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অস্ত্র, হত্যাসহ ১৫টি মামলা রয়েছে।
সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত সরোয়ার বাবলা গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিয়ে করেন। তাঁর বিয়ের অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহ, আবু সুফিয়ানসহ আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের ছবি এই প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে। দীর্ঘদিন সন্ত্রাসী তকমা নিয়ে থাকা বাবলা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছিলেন। এরই অংশ হিসেবে গত বছরের ৫ আগস্টের পর কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে বিএনপির বিভিন্ন সমাবেশে যোগ দিতে দেখা যায় সরোয়ারকে।
এর ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার সন্ধ্যায় বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনী গণসংযোগে অংশ নেন সরোয়ার। তবে মাগরিবের নামাজের পরপর এলোপাতাড়ি গুলিতে গুরুতর আহত হন তিনি। তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে নগরের বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। তবে অন্য দুজনের অবস্থা এখন আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের এজিএম রাম প্রসাদ।
সর্বশেষ এ ঘটনায় বাবলার প্রতিপক্ষ ছোট সাজ্জাদ গ্রুপের রায়হান, ইমনসহ আরও কয়েকজনের নাম সামনে এসেছে। সম্প্রতি এই দুজনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম নগর ও রাউজানে কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিএনপি বলছে, সরোয়ার তাদের কেউ নন। জনসংযোগে শত শত লোক অংশ নেন। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের সঙ্গে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাঁর প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেনকে গুলি করা হয়।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানান, বিএনপি প্রার্থীর জনসংযোগের সময় সেখানে শত শত লোক অংশ নেন। ঘটনার সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই।

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া-মন্ডলিয়াপাড়া ইউনিয়নে শ্রমিকদের নামের তালিকায় রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা, ইউপি সদস্যের স্ত্রী, গ্রাম-পুলিশের দফাদার ও চৌকিদারের নাম। এতে সরকারি প্রক
১৮ মে ২০২৩
আহত ব্যক্তিরা হলেন রাউজান উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ সুমন, বাগোয়ান ইউনিয়ন কৃষক দলের সহসভাপতি মো. ইসমাইল, বাগোয়ান ইউনিয়ন শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক খোরশেদ আলম চৌধুরী, বাগোয়ান ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও বিএনপি কর্মী মোহাম্মদ সোহেল।
১০ মিনিট আগে
মাদারীপুর সদর উপজেলায় আড়িয়াল খাঁ ও কুমার নদের পাড়ের অন্তত ২০টি স্থান থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করছেন স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। প্রতিদিন রাত থেকে ভোর পর্যন্ত অবাধে মাটি কেটে ট্রলারে করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করা হয়। মাটি কেটে নেওয়ায় ওই সব গ্রামের মানুষ নদের পাড় ভাঙনের আশঙ্কা করছে।
৬ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহের নান্দাইলে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধিগ্রহণ করা জায়গায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তাঁর ভাই মার্কেট নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে কিশোরগঞ্জ সওজে অভিযোগ দিয়েছেন এলাকার লোকজন। সম্প্রতি তাঁরা এ অভিযোগ করেন।
৬ ঘণ্টা আগে