Ajker Patrika

মেলান্দহে বন্যায় ডুবে গেছে ৮২০ হেক্টর জমির ধান

প্রতিনিধি, মেলান্দহ (জামালপুর)
আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫: ১৭
মেলান্দহে বন্যায় ডুবে গেছে ৮২০ হেক্টর জমির ধান

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় ৮২০ হেক্টর জমির রোপা আমন ধান বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে মাহমুদপুর, কুলিয়া, ঘোষেরপাড়া, আদ্রা ও ঝাউগড়া ইউনিয়নের ফসলি জমি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে শঙ্কায় আছেন উপজেলার কৃষকেরা।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে বন্যার পানি বৃদ্ধির ফলে শুধু মেলান্দহ উপজেলার ৮২০ হেক্টর জমির রোপা আমন ধান ডুবে গেছে। উপজেলায় আমন চাষ হয়েছে ১৫ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা ছিল ১৬ হাজার ৮০০ হেক্টর জমি।

সরেজমিনে মাহমুদপুর ইউনিয়নের পূর্ব মাহমুদপুর এলাকায় দেখা যায়, আমন ধানের খেতগুলো বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এ অবস্থায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আশপাশের উঁচু জমিগুলোও তলিয়ে যাবে।

মাহমুদপুর এলাকার কৃষক জালাল মিয়া বলেন, ‘কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে পানি বেড়ে ধানখেত তলিয়ে গেছে। প্রতিদিনই অল্প অল্প করে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ এলাকার প্রায় সবাই ধান লাগিয়েছিল। সবগুলো জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এখন উঁচু ধানখেতগুলো ডুবে যাচ্ছে।’

একই ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের কৃষক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ধানখেত সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে আমার। সামান্য একটু  বীজতলা ছিল, তা-ও তলিয়ে গেছে, চিন্তায় আছি কী করব। বন্যা চলে গেলে আবার নতুন করে ধান লাগাতে পারব কি না জানি না। এখনো প্রতিদিন পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের কৃষক আবদুল্লাহ বলেন, ‘এ ইউনিয়নে প্রায় তিন দিন আগেই সবার আমন ধানের বীজতলা পানিতে ডুবে গেছে। এখন বীর এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। বীর এলাকায় আমন ধান আগে লাগানো শুরু হয়। আর দু-এক দিন পানি বৃদ্ধি পেলে এ এলাকার কাঁচা সড়কগুলো তলিয়ে যাবে।’

ঘোষেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান বলেন, এ ইউনিয়নে সকল ফসলের জমি তলিয়ে গিয়েছে। উপজেলার সবচেয়ে নিচু জায়গা এ ইউনিয়ন। হালকা পানি হলেও তলিয়ে যায়। আর দুই থেকে তিন দিন পানি বৃদ্ধি পেলে রাস্তাঘাট ডুবে যাবে। দুর্ভোগে পড়বে  হাজারো মানুষ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল বলেন, উপজেলায় ১৫ হাজার ৯০০ হেক্টর আমন ধান লাগানো হয়েছে। ৮২০ হেক্টর আমন জমি তলিয়ে গেছে। আরও যদি পানি বৃদ্ধি পায় তাহলে কৃষকের আরও বেশি ক্ষতি হবে। তবে বন্যার পানি নেমে গেলে রোপা আমন ধান ক্ষতির হাত থেকে কিছুটা রক্ষা পাবে। প্রতিদিনের ক্ষয়ক্ষতি প্রতিবেদন করা হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ইতিমধ্যে উপজেলার বন্যার্তদের সহযোগিতার জন্য প্রথমবার প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। আজ আবার প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে। দু-এক দিনের মধ্যে উপজেলায় বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ আসবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত