Ajker Patrika

ময়মনসিংহ মেডিকেলে ডেঙ্গু রোগীদের শয্যায় নেই মশারি, কর্তৃপক্ষ নির্বিকার

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ জুলাই ২০২৩, ২০: ৪৭
ময়মনসিংহ মেডিকেলে ডেঙ্গু রোগীদের শয্যায় নেই মশারি, কর্তৃপক্ষ নির্বিকার

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৪ জন ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে হাসপাতালটির মেডিসিন বিভাগের তিনটি ওয়ার্ডে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২১। পর্যাপ্ত মশারির সুবিধা থাকলেও ২১ জনের কেউই ব্যবহার করছেন না। এতে করে অন্য রোগীরা ডেঙ্গু সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়। 

 ২৪ বছর বয়সী আব্দুল আউয়াল ঢাকায় ইন্টারনেট সেবায় কাজ করছেন। তিন দিন আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মমেক হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বেডে মশারির ব্যবস্থা থাকলেও তিনি ব্যবহার করছেন না। এতে অন্য রোগীরা ডেঙ্গু সংক্রমণের আতঙ্কে রয়েছেন। 

আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘মশারি আছে ইচ্ছে করেই ব্যবহার করছি না। তবে ওয়ার্ডে মশা নেই। চিকিৎসক-নার্সরাও কিছু বলছেন না। কারও সমস্যা হলে মশারি ব্যবহার করা হবে।’ 

 ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বারান্দার মেঝেতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন জামালপুরের সরিষাবাড়ির বাসিন্দা উজ্জ্বল মিয়া। হাসপাতাল থেকে তাঁকে একটি মশারি দেওয়া হলেও ব্যবহার করছেন না। 

উজ্জ্বল মিয়া বলেন, ‘গত রাতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। ওয়ার্ডে জায়গা না থাকায় বারান্দার মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছি। কর্তৃপক্ষ একটি মশারি দিলেও টানানোর কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই নিজের কাছেও খারাপ লাগছে।’ 

তাঁর পাশে চিকিৎসা নেওয়া নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মশারির ভেতর থাকলেই ভালো হয়। আমরা আতঙ্কমুক্ত হয়ে সেবা নিতে পারি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে নজরদারি করা উচিত।’ 

রোগীর সঙ্গে আসা স্বজন আতিকুল ইসলাম বলেন, কে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সেবা নিচ্ছে বোঝার উপায় নেই। সাধারণ রোগী যেভাবে সেবা নিচ্ছেন ডেঙ্গু আক্রান্তরাও মশারি না টানিয়ে সেভাবে সেবা নিচ্ছে। এটা হওয়া মোটেই উচিত নয়। তাদের জন্য একটি আলাদা ওয়ার্ড থাকলে ভালো হতো। 

হাসপাতালের ডেঙ্গু ইউনিটের ফোকাল পারসন ডা. ফরহাদ হোসেন হীরা বলেন, প্রতিদিনই ৮ থেকে ১০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগই ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে আক্রান্ত হয়ে আসা। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছে ১৪ জন। মেডিসিন ওয়ার্ডে মোট ভর্তি রয়েছে ২১ জন। গত বছর এই সময়ে হাসপাতালে সেবা নিয়েছিল ১২ জন। এ বছর ১২১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সেবা নিয়েছে। গত ২ জুলাই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এক নারী মারা গেছেন। 

তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের মশারি টানাতে নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি আলাদা আইসোলেশন ওয়ার্ড গঠনে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রোগী ভর্তি ৩০ জন পার হলেই চালু করা হবে আইসোলেশন ওয়ার্ডে। 

এদিকে ডেঙ্গু সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালুর কথা জানিয়েছেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী ইউসুফ আলী। তিনি বলেন, ডেঙ্গু সংক্রমণ রোধে সিটি করপোরেশন তৎপর। তবে এ থেকে বাঁচতে সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

মানবিক করিডর না ভূরাজনৈতিক কৌশল? সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতায় উদ্বেগ

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা–ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

ভারত–বাংলাদেশ বাণিজ্য বিধিনিষেধের মূল্য গুনছেন ব্যবসায়ীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত