ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহে বিবাহবিচ্ছেদের সংখ্যা বাড়ছে। গত বছর জেলায় দৈনিক গড়ে বিবাহ হয়েছে ৫৬টি। বিচ্ছেদ ঘটেছে ১৮টির মতো। ২০২১ সালে বিবাহের তুলনায় বিচ্ছেদ কিছুটা কমছিল। পরকীয়া, অপরিণত বয়সে বিয়ে, তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ প্রবাহ, স্ত্রীকে রেখে প্রবাসজীবন বিচ্ছেদের মূল কারণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
ময়মনসিংহ জেলা বিয়ে রেজিস্ট্রারের তথ্য অনুযায়ী ২০২২ সালে জেলায় বিবাহ হয়েছে ২০ হাজার ২১৩টি। বিচ্ছেদ ঘটেছে ৬ হাজার ৩৯০টি। দৈনিক গড়ে ৫৬ বিবাহ এবং ১৮টির মতো বিচ্ছেদ হয়। শতকরা হিসাবে বিচ্ছেদের পরিমাণ প্রায় ৩২ শতাংশ।
২০২১ সালে ১৯ হাজার ৯৩৩টি বিবাহের বিপরীতে বিচ্ছেদ হয় ৫ হাজার ৯১১টি। ২০২০ সালে ২১ হাজার ৮টি বিবাহের বিপরীতে বিচ্ছেদ ঘটে ৫ হাজার ৫৩২টি।
পরকীয়া, দরিদ্রতা, যৌতুকসহ বেশ কয়েকটি কারণে প্রতিনিয়ত বিবাহবিচ্ছেদ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ জজ আদালতের আইনজীবী নাওরীন সুলতানা নীলা। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিদিনই বিবাহবিচ্ছেদের কয়েকটি ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে হচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় ছেলে-মেয়ের বিবাহের বয়স না হলেও প্রেমে পড়ে আদালতে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এসব বেশির ভাগ বিবাহ বছর বা ছয় মাস যেতে না-যেতেই বিচ্ছেদে রূপ নেয়। বিবাহবিচ্ছেদ কমানোর জন্য কাউন্সেলিং প্রয়োজন রয়েছে। অন্যথায় সমাজে বিচ্ছেদ ভয়াবহ রূপ নেবে।
পারিবারিক বন্ধনে দূরত্ব তৈরির পাশাপাশি মানুষের মধ্যে শ্রদ্ধাবোধ কমে যাওয়া বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ দাবি করে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর ময়মনসিংহ কার্যালয়ের উপপরিচালক নাছিমা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, একটা সময় গ্রামের মানুষের মধ্যে শ্রদ্ধা-ভক্তি ছিল। এখন সেসব আর খুব একটা দেখা যায় না। পাশাপাশি স্মার্টফোনের ব্যবহার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় বিবাহবিচ্ছেদও বাড়ছে। কারণ, একটা ছেলে-মেয়ে ইচ্ছে করলেই ঘরে বসে একে অপরের সঙ্গে সহজেই যোগাযোগ করতে পারছে। বেশি যোগাযোগ করতে গিয়ে ভালোলাগা থেকে প্রেম বিয়ে অথবা পরকীয়ায় লিপ্ত হচ্ছে।
ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিবাহবিচ্ছেদের অন্যতম কারণ নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় এবং স্ত্রীকে রেখে প্রবাসে দীর্ঘদিন থাকা। এ ছাড়া অপরিণত বয়সে আবেগে বিবাহ হওয়াও বিচ্ছেদ বাড়ছে। এই জেলার অনেক মানুষ বিবাহের পর প্রবাসজীবন যাপন করছেন। যে কারণে অন্যান্য জেলার তুলনায় ময়মনসিংহে বিচ্ছেদের পরিমাণ বেশি। কারণ, একাকিত্ব দূর করতে অনেক নারী অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছেন। তবে জেলায় বিট পুলিশিং জোরদার করায় নারী নির্যাতনের পাশাপাশি বিবাহবিচ্ছেদ কিছুটা হলেও কমছে। তিনি আরও বলেন, বিবাহবিচ্ছেদ কমিয়ে আনতে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় করতে হবে।
আরও খবর পড়ুন:
ময়মনসিংহে বিবাহবিচ্ছেদের সংখ্যা বাড়ছে। গত বছর জেলায় দৈনিক গড়ে বিবাহ হয়েছে ৫৬টি। বিচ্ছেদ ঘটেছে ১৮টির মতো। ২০২১ সালে বিবাহের তুলনায় বিচ্ছেদ কিছুটা কমছিল। পরকীয়া, অপরিণত বয়সে বিয়ে, তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ প্রবাহ, স্ত্রীকে রেখে প্রবাসজীবন বিচ্ছেদের মূল কারণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
ময়মনসিংহ জেলা বিয়ে রেজিস্ট্রারের তথ্য অনুযায়ী ২০২২ সালে জেলায় বিবাহ হয়েছে ২০ হাজার ২১৩টি। বিচ্ছেদ ঘটেছে ৬ হাজার ৩৯০টি। দৈনিক গড়ে ৫৬ বিবাহ এবং ১৮টির মতো বিচ্ছেদ হয়। শতকরা হিসাবে বিচ্ছেদের পরিমাণ প্রায় ৩২ শতাংশ।
২০২১ সালে ১৯ হাজার ৯৩৩টি বিবাহের বিপরীতে বিচ্ছেদ হয় ৫ হাজার ৯১১টি। ২০২০ সালে ২১ হাজার ৮টি বিবাহের বিপরীতে বিচ্ছেদ ঘটে ৫ হাজার ৫৩২টি।
পরকীয়া, দরিদ্রতা, যৌতুকসহ বেশ কয়েকটি কারণে প্রতিনিয়ত বিবাহবিচ্ছেদ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ জজ আদালতের আইনজীবী নাওরীন সুলতানা নীলা। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিদিনই বিবাহবিচ্ছেদের কয়েকটি ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে হচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় ছেলে-মেয়ের বিবাহের বয়স না হলেও প্রেমে পড়ে আদালতে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এসব বেশির ভাগ বিবাহ বছর বা ছয় মাস যেতে না-যেতেই বিচ্ছেদে রূপ নেয়। বিবাহবিচ্ছেদ কমানোর জন্য কাউন্সেলিং প্রয়োজন রয়েছে। অন্যথায় সমাজে বিচ্ছেদ ভয়াবহ রূপ নেবে।
পারিবারিক বন্ধনে দূরত্ব তৈরির পাশাপাশি মানুষের মধ্যে শ্রদ্ধাবোধ কমে যাওয়া বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ দাবি করে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর ময়মনসিংহ কার্যালয়ের উপপরিচালক নাছিমা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, একটা সময় গ্রামের মানুষের মধ্যে শ্রদ্ধা-ভক্তি ছিল। এখন সেসব আর খুব একটা দেখা যায় না। পাশাপাশি স্মার্টফোনের ব্যবহার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় বিবাহবিচ্ছেদও বাড়ছে। কারণ, একটা ছেলে-মেয়ে ইচ্ছে করলেই ঘরে বসে একে অপরের সঙ্গে সহজেই যোগাযোগ করতে পারছে। বেশি যোগাযোগ করতে গিয়ে ভালোলাগা থেকে প্রেম বিয়ে অথবা পরকীয়ায় লিপ্ত হচ্ছে।
ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিবাহবিচ্ছেদের অন্যতম কারণ নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় এবং স্ত্রীকে রেখে প্রবাসে দীর্ঘদিন থাকা। এ ছাড়া অপরিণত বয়সে আবেগে বিবাহ হওয়াও বিচ্ছেদ বাড়ছে। এই জেলার অনেক মানুষ বিবাহের পর প্রবাসজীবন যাপন করছেন। যে কারণে অন্যান্য জেলার তুলনায় ময়মনসিংহে বিচ্ছেদের পরিমাণ বেশি। কারণ, একাকিত্ব দূর করতে অনেক নারী অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছেন। তবে জেলায় বিট পুলিশিং জোরদার করায় নারী নির্যাতনের পাশাপাশি বিবাহবিচ্ছেদ কিছুটা হলেও কমছে। তিনি আরও বলেন, বিবাহবিচ্ছেদ কমিয়ে আনতে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় করতে হবে।
আরও খবর পড়ুন:
নীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
১৩ মিনিট আগেইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহাম্মদ মুনিরুল মওলাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
১ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জের তাড়াশে মুদিদোকানির ১ মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১৩ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৩ টাকা। এই অস্বাভাবিক বিল দেখে হতবাক হন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তালম ইউনিয়নের তালম খাসপাড়া গ্রামে।
৩ ঘণ্টা আগেমানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় একটি কাঁঠালের জন্য ভাবি শোভা বেগমকে (৩৫) ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত দেবর রাকিব (২৮) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রোববার (২২ জুন) দুপুরে তাঁকে মানিকগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এ হাজির করা হলে বিচারক রাহুল দে ১৬৪ ধারায় তাঁর জবানবন্দি গ্রহণ করে
৩ ঘণ্টা আগে