Ajker Patrika

ময়মনসিংহে কলেজশিক্ষককে মারধরের প্রতিবাদে কর্মবিরতি, মানববন্ধন

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ জুন ২০২২, ১৬: ৫৫
ময়মনসিংহে কলেজশিক্ষককে মারধরের প্রতিবাদে কর্মবিরতি, মানববন্ধন

অতিরিক্ত সেশন ফি ও ফরম পূরণের টাকা বেশি নেওয়ার অভিযোগে গত বুধবার ময়মনসিংহের গফরগাঁও সরকারি কলেজের শিক্ষকদের মারধর করেন কলেজ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এর প্রতিবাদে ময়মনসিংহের সরকারি কলেজের শিক্ষকেরা মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। 

আজ রোববার বেলা ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী কর্মবিরতি ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে ময়মনসিংহ সরকারি আনন্দমোহন কলেজ। এ ছাড়া সরকারি মুমিনুন্নিছা মহিলা কলেজ, ময়মনসিংহ সরকারি কলেজ, পুরুষ ও মহিলা টিটি কলেজ ইউনিট পৃথকভাবে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। 

এ সময় বক্তব্য দেন সরকারি আনন্দমোহন কলেজের অধ্যক্ষ ও ময়মনসিংহ বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. আমান উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহ মো. মাইনুদ্দিন, উপাধ্যক্ষ নুরুল আফসার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তোয়ায়েল আহমেদ প্রমুখ। 

মানববন্ধনে আনন্দমোহন কলেজের অধ্যক্ষ আমান উল্লাহ বলেন, ‘ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে কলেজশিক্ষক লাঞ্ছনার মতো ঘটনা সারা দেশেই কোনো না কোনো জায়গায় ঘটছে। এতে শিক্ষার কর্মপরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। সেটির তীব্র প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় দাঁড়িয়েছি। শিক্ষক-ছাত্রের সম্পর্ক হচ্ছে অত্যন্ত আন্তরিক। সেখানে যদি দুর্বৃত্ত এসে শিক্ষককে অপমানিত করে, লাঞ্ছিত করে, তাহলে সেখানে আর শিক্ষাদানের পরিবেশ থাকে না। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। যে দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আমরা আমাদের সহকর্মীদের পাশে আছি।’ 

অন্য শিক্ষকেরা বলেন, গত বুধবার ওই কলেজে সরকারি বিধি অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ ও সেশন ফি বাবদ ৫ হাজার ৬০০ টাকা নেওয়া হচ্ছিল। এটাকে বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে কাল্পনিক অভিযোগ এনে কলেজের কয়েকজন শিক্ষককে মারধর ও গালিগালাজ করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ঘটনার পর কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক কাজী ফারুক গফরগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। সেটি তদন্ত করছে পুলিশ। আশা করছি দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে। 

গফরগাঁও সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক কাজী ফারুক বলেন, গত বুধবার অনার্স ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফরম পূরণের টাকা কমানোর নামে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী সীমান্ত, রিবান, মুরাদ, সাব্বির হোসেন রিয়াদ, তানভীরসহ বেশ কয়েকজন ক্যাম্পাসে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। কলেজের ক্যাশ শাখায় ঢুকে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। কলেজের ইসলামি শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. মুহাম্মদ ইমরান হোসাইন, পদার্থবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আবু রেজোয়ান ও গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ আকতার হোসেনকেও গালাগালি ও মারধর করে। পরীক্ষার হলে ঢুকে শিক্ষার্থীদেরও বের করে দেয়। এ ঘটনায় বিচারের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত