গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে হোমিও চিকিৎসক হারুন অর রশিদকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দুটি কারণ রয়েছে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। এর একটি হচ্ছে—প্রতিবেশীর বাসায় হারুন অর রশিদের আসা-যাওয়া নিয়ে রুবেল ঈর্ষান্বিত ছিলেন। অন্যটি পরিবারের সঙ্গে পূর্ববিরোধের জেরে তাঁকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। দুটি বিষয়ই গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে হারুন অর রশিদকে হত্যার ঘটনায় তাঁর ছেলে ফেরদৌস আহম্মেদ দীপ্ত (২৬) বাদী হয়ে রুবেল মিয়াকে আসামি করে গতকাল সোমবার রাতেই পাগলা থানায় হত্যা মামলা করেছেন। পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার আজ মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত হারুন অর রশিদ পাইথল ইউনিয়নের গোয়ালবর গ্রামের মৃত খুরশেদ আলমের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক। আজ রাত ৮টার দিকে পাইথল ইউনিয়নের গোয়ালভর গ্রামের বাড়িতে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। অভিযুক্ত রুবেল মিয়া একই ইউনিয়নের নেওকা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক শাহাব উদ্দিনের ছেলে।
নিহতের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম কাকলী জানান, ফেরদৌস আহম্মেদ দীপ্ত বাদী হয়ে রুবেল মিয়ার নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। তবে কী নিয়ে বিরোধ ছিল তাঁর স্বামীর সঙ্গে, এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি।
নিহতের ভগ্নিপতি গফরগাঁও ইসলামিয়া সরকারি হাইস্কুলের সিনিয়র শিক্ষক মোহাম্মদ আবুল কাশেম বলেন, ‘আমরা শুনতে পেরেছি ঘটনার কিছু সময় আগে হারুনের সঙ্গে রুবেলের কথা-কাটাকাটি হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পর রুবেল রামদা নিয়ে এসে হারুনকে ধাওয়া করেন এবং পেছন থেকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে দুই হাত তুলে চিৎকার ও আনন্দ উল্লাস করেন। ঘটনার দিন সোমবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে হত্যাকারী রুবেল মিয়া রামদা উঁচিয়ে উল্লাস করছেন। পরে তিনি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।’
স্থানীয় বাসিন্দা গোলাপ সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হারুন অর রশিদ খুব ভদ্রলোক ছিলেন। স্থানীয় রাজনীতি করলেও কারও সঙ্গে বিবাদ ছিল না। হারুনের স্ত্রী স্থানীয় পাইথল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। এ কারণে অনেক সময় খাবারের সমস্যায় পড়তেন বলে প্রতিবেশী রাফসানদের (২২) বাসায় খাবার খেতে যেতেন। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেশী রুবেল মিয়া আপত্তি করতেন। কারণ রাফসানের মা একা থাকতেন। আর তার বাবা বেশ কয়েক বছর আগে ক্যানসারে মারা গেছেন। ওই নারীর সঙ্গে হারুন অর রশিদের সম্পর্ক থাকতে পারে বলে জানতে পেরেছি।’
নিহতের ছোট ভাই কামরুল ইসলাম বলেন, ‘২০১৩ সালে অভিযুক্ত রুবেল আমাকে কুপিয়ে জখম করেন। এ ঘটনায় মামলার সাক্ষী ছিলেন বড় ভাই হারুন। এটি হত্যার কারণ হতে পারে।’
এদিকে হোমিও চিকিৎসককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আহত রুবেল মিয়ার অবস্থার অবনতি হলে আজ মঙ্গলবার তাঁকে ঢাকায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর মা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে, প্রাথমিক তদন্তে নিহত হারুন অর রশিদের সঙ্গে রুবেল মিয়ার নারীঘটিত বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। এ ছাড়া পূর্ববিরোধের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার পাইথল ইউনয়নের গয়েশপুর বাজারে হারুন অর রশিদ নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের পাশে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় রুবেল রামদা নিয়ে জনসমক্ষে হারুন অর রশিদকে ধাওয়া করে বাজারের পাশেই এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা রুবেলের বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ সময় নিহতের স্বজন ও ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে রুবেল ও তাঁর মা বিউটি আক্তার গুরুতর আহত হন।
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে হোমিও চিকিৎসক হারুন অর রশিদকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দুটি কারণ রয়েছে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। এর একটি হচ্ছে—প্রতিবেশীর বাসায় হারুন অর রশিদের আসা-যাওয়া নিয়ে রুবেল ঈর্ষান্বিত ছিলেন। অন্যটি পরিবারের সঙ্গে পূর্ববিরোধের জেরে তাঁকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। দুটি বিষয়ই গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে হারুন অর রশিদকে হত্যার ঘটনায় তাঁর ছেলে ফেরদৌস আহম্মেদ দীপ্ত (২৬) বাদী হয়ে রুবেল মিয়াকে আসামি করে গতকাল সোমবার রাতেই পাগলা থানায় হত্যা মামলা করেছেন। পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার আজ মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত হারুন অর রশিদ পাইথল ইউনিয়নের গোয়ালবর গ্রামের মৃত খুরশেদ আলমের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক। আজ রাত ৮টার দিকে পাইথল ইউনিয়নের গোয়ালভর গ্রামের বাড়িতে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। অভিযুক্ত রুবেল মিয়া একই ইউনিয়নের নেওকা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক শাহাব উদ্দিনের ছেলে।
নিহতের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম কাকলী জানান, ফেরদৌস আহম্মেদ দীপ্ত বাদী হয়ে রুবেল মিয়ার নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। তবে কী নিয়ে বিরোধ ছিল তাঁর স্বামীর সঙ্গে, এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি।
নিহতের ভগ্নিপতি গফরগাঁও ইসলামিয়া সরকারি হাইস্কুলের সিনিয়র শিক্ষক মোহাম্মদ আবুল কাশেম বলেন, ‘আমরা শুনতে পেরেছি ঘটনার কিছু সময় আগে হারুনের সঙ্গে রুবেলের কথা-কাটাকাটি হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পর রুবেল রামদা নিয়ে এসে হারুনকে ধাওয়া করেন এবং পেছন থেকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে দুই হাত তুলে চিৎকার ও আনন্দ উল্লাস করেন। ঘটনার দিন সোমবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে হত্যাকারী রুবেল মিয়া রামদা উঁচিয়ে উল্লাস করছেন। পরে তিনি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।’
স্থানীয় বাসিন্দা গোলাপ সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হারুন অর রশিদ খুব ভদ্রলোক ছিলেন। স্থানীয় রাজনীতি করলেও কারও সঙ্গে বিবাদ ছিল না। হারুনের স্ত্রী স্থানীয় পাইথল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। এ কারণে অনেক সময় খাবারের সমস্যায় পড়তেন বলে প্রতিবেশী রাফসানদের (২২) বাসায় খাবার খেতে যেতেন। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেশী রুবেল মিয়া আপত্তি করতেন। কারণ রাফসানের মা একা থাকতেন। আর তার বাবা বেশ কয়েক বছর আগে ক্যানসারে মারা গেছেন। ওই নারীর সঙ্গে হারুন অর রশিদের সম্পর্ক থাকতে পারে বলে জানতে পেরেছি।’
নিহতের ছোট ভাই কামরুল ইসলাম বলেন, ‘২০১৩ সালে অভিযুক্ত রুবেল আমাকে কুপিয়ে জখম করেন। এ ঘটনায় মামলার সাক্ষী ছিলেন বড় ভাই হারুন। এটি হত্যার কারণ হতে পারে।’
এদিকে হোমিও চিকিৎসককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আহত রুবেল মিয়ার অবস্থার অবনতি হলে আজ মঙ্গলবার তাঁকে ঢাকায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর মা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে, প্রাথমিক তদন্তে নিহত হারুন অর রশিদের সঙ্গে রুবেল মিয়ার নারীঘটিত বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। এ ছাড়া পূর্ববিরোধের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার পাইথল ইউনয়নের গয়েশপুর বাজারে হারুন অর রশিদ নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের পাশে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় রুবেল রামদা নিয়ে জনসমক্ষে হারুন অর রশিদকে ধাওয়া করে বাজারের পাশেই এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা রুবেলের বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ সময় নিহতের স্বজন ও ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে রুবেল ও তাঁর মা বিউটি আক্তার গুরুতর আহত হন।
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
২ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
২ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
২ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
২ ঘণ্টা আগে