মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
সেতু নির্মাণ করা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কে নেই মাটি। এক যুগের বেশি সময় ধরে সেতুটির এমন অবস্থা থাকলেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন। এমন অবস্থায় সেতু পার হতে বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করছেন স্থানীয় লোকজন। এমন দৃশ্য দেখা গেছে নেত্রকোনার মদন উপজেলার মদন-ফতেপুর সড়কের তিয়শ্রী ইউনিয়নের বাগজান গ্রামের বয়রাহালা নদীর ওপর নির্মিত সেতুটির।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতু দিয়ে লোকজন যাতে চলাচল করতে পারে, এর জন্য কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হয়েছে, কিন্তু এক যুগের বেশি সময় ধরে এর কোনো প্রতিকার মেলেনি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনের সময় ভোটের লোভে সড়ক ও সেতু সংস্কার করার আশ্বাস দিয়ে যান, কিন্তু নির্বাচনের পর আর কেউ খোঁজ রাখেন না।
সেতুতে লাগানো নাম ফলক থেকে জানা যায়, মদন-ফতেপুর সড়কে ১৯৯৭ সালে ২২ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এজিইডি) সেতুটি নির্মাণ করে। নির্মাণ প্রকল্পের নাম দেওয়া হয় দেওয়ান বাজার ধলাই নদীতে সেতু নির্মাণ।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মদন উপজেলায় মগড়া নদীর শাখা বয়রাহালা নদীর ওপর লড়িভাঙ্গা নামক স্থানে নির্মিত হয় এই সেতু। অসৎ উদ্দেশ্যে ভুল প্রকল্পের নাম দিয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এ ব্যাপারে মদন উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এজিইডি) কার্যালয়ে বেশ কয়েক দিন ঘুরে কোনো রকম তথ্য পাওয়া যায়নি।
সরেজমিনে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একসময় উপজেলার তিয়শ্রী, ফতেপুর ও নায়েকপুর ইউনিয়নের ২০-২৫টি গ্রামের হাজারো লোকজন প্রতিদিন উপজেলা সদরে আসা-যাওয়া করত এই সড়ক দিয়ে। কিন্তু এক যুগের বেশি সময় ধরে সড়কটির বেহাল অবস্থার কারণে অধিকাংশ গ্রামের লোকজন যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে। বাগজান, বৈঠাখালী, ভবানীপুর, তিয়শ্রী গ্রামের লোকজন প্রতিদিন দুর্ভোগের মধ্য দিয়েই এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করছে। সেতুর সংযোগ সড়কে মাটি না থাকায় গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে চলাচল করাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। এতে সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে লোকজন যাতায়াতের জন্য সেতুতে বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করছেন। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছেন স্থানীয় কৃষকেরা। তিন-চারটি হাওরের হাজারো মেট্রিক টন ধান ঘরে তুলতে ব্যবহার করছেন এই সড়ক। সেতু পার হতে বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করায় ধান কাটার হারভেস্টারসহ মাড়াই মেশিন নিয়ে যাওয়ায় সম্ভব হচ্ছে না। এতে কৃষকদের দুর্ভোগের পাশাপাশি অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
বাগজান গ্রামের কৃষক মঈনউদ্দীন, ধনাই মিয়া, তিয়শ্রী গ্রামের কৃষক সেকুল মিয়া, নজরুল মিয়া জানান, ব্রিজের গোড়ায় মাটি না থাকায় ধান কাটা ও মাড়াইয়ের মেশিন নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সেতুটির এমন অবস্থার কারণে ধান আনা-নেওয়ার জন্য কোনো রকম লরি গাড়ি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। অধিক মজুরিতে শ্রমিক দিয়ে মাথায় করে ধান তুলতে হচ্ছে। এতে আমাদের সময় ও টাকা দুটোই বেশি লাগছে। নির্বাচন এলে জনপ্রতিনিধিরা ভোটের লোভে সেতু ও রাস্তা মেরামতের শুধু আশ্বাস দিয়ে যান। নির্বাচন চলে গেলে কেউ আর খোঁজ-খবর রাখেন না। সেতুটির সংযোগ সড়কে মাটি দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান তাঁরা।
এ বিষয়ে তিয়শ্রী ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান বলেন, ‘বাগজান গ্রামের পেছনে বয়রাহালা নদীতে একটি সেতু আছে। তবে সেতুটি দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারে না এটা আজকে আপনার কাছ থেকে জানলাম। সেতুটি দিয়ে যাতে মানুষ চলাচল করতে পারে, এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
মদন উপজেলা প্রকৌশলী মো. গোলাম কিবরিয়া পিয়াল জানান, এই সড়ক ও সেতু দীর্ঘদিন আগে নির্মাণ করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।
সেতু নির্মাণ করা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কে নেই মাটি। এক যুগের বেশি সময় ধরে সেতুটির এমন অবস্থা থাকলেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন। এমন অবস্থায় সেতু পার হতে বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করছেন স্থানীয় লোকজন। এমন দৃশ্য দেখা গেছে নেত্রকোনার মদন উপজেলার মদন-ফতেপুর সড়কের তিয়শ্রী ইউনিয়নের বাগজান গ্রামের বয়রাহালা নদীর ওপর নির্মিত সেতুটির।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতু দিয়ে লোকজন যাতে চলাচল করতে পারে, এর জন্য কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হয়েছে, কিন্তু এক যুগের বেশি সময় ধরে এর কোনো প্রতিকার মেলেনি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনের সময় ভোটের লোভে সড়ক ও সেতু সংস্কার করার আশ্বাস দিয়ে যান, কিন্তু নির্বাচনের পর আর কেউ খোঁজ রাখেন না।
সেতুতে লাগানো নাম ফলক থেকে জানা যায়, মদন-ফতেপুর সড়কে ১৯৯৭ সালে ২২ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এজিইডি) সেতুটি নির্মাণ করে। নির্মাণ প্রকল্পের নাম দেওয়া হয় দেওয়ান বাজার ধলাই নদীতে সেতু নির্মাণ।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মদন উপজেলায় মগড়া নদীর শাখা বয়রাহালা নদীর ওপর লড়িভাঙ্গা নামক স্থানে নির্মিত হয় এই সেতু। অসৎ উদ্দেশ্যে ভুল প্রকল্পের নাম দিয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এ ব্যাপারে মদন উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এজিইডি) কার্যালয়ে বেশ কয়েক দিন ঘুরে কোনো রকম তথ্য পাওয়া যায়নি।
সরেজমিনে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একসময় উপজেলার তিয়শ্রী, ফতেপুর ও নায়েকপুর ইউনিয়নের ২০-২৫টি গ্রামের হাজারো লোকজন প্রতিদিন উপজেলা সদরে আসা-যাওয়া করত এই সড়ক দিয়ে। কিন্তু এক যুগের বেশি সময় ধরে সড়কটির বেহাল অবস্থার কারণে অধিকাংশ গ্রামের লোকজন যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে। বাগজান, বৈঠাখালী, ভবানীপুর, তিয়শ্রী গ্রামের লোকজন প্রতিদিন দুর্ভোগের মধ্য দিয়েই এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করছে। সেতুর সংযোগ সড়কে মাটি না থাকায় গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে চলাচল করাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। এতে সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে লোকজন যাতায়াতের জন্য সেতুতে বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করছেন। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছেন স্থানীয় কৃষকেরা। তিন-চারটি হাওরের হাজারো মেট্রিক টন ধান ঘরে তুলতে ব্যবহার করছেন এই সড়ক। সেতু পার হতে বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করায় ধান কাটার হারভেস্টারসহ মাড়াই মেশিন নিয়ে যাওয়ায় সম্ভব হচ্ছে না। এতে কৃষকদের দুর্ভোগের পাশাপাশি অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
বাগজান গ্রামের কৃষক মঈনউদ্দীন, ধনাই মিয়া, তিয়শ্রী গ্রামের কৃষক সেকুল মিয়া, নজরুল মিয়া জানান, ব্রিজের গোড়ায় মাটি না থাকায় ধান কাটা ও মাড়াইয়ের মেশিন নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সেতুটির এমন অবস্থার কারণে ধান আনা-নেওয়ার জন্য কোনো রকম লরি গাড়ি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। অধিক মজুরিতে শ্রমিক দিয়ে মাথায় করে ধান তুলতে হচ্ছে। এতে আমাদের সময় ও টাকা দুটোই বেশি লাগছে। নির্বাচন এলে জনপ্রতিনিধিরা ভোটের লোভে সেতু ও রাস্তা মেরামতের শুধু আশ্বাস দিয়ে যান। নির্বাচন চলে গেলে কেউ আর খোঁজ-খবর রাখেন না। সেতুটির সংযোগ সড়কে মাটি দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান তাঁরা।
এ বিষয়ে তিয়শ্রী ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান বলেন, ‘বাগজান গ্রামের পেছনে বয়রাহালা নদীতে একটি সেতু আছে। তবে সেতুটি দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারে না এটা আজকে আপনার কাছ থেকে জানলাম। সেতুটি দিয়ে যাতে মানুষ চলাচল করতে পারে, এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
মদন উপজেলা প্রকৌশলী মো. গোলাম কিবরিয়া পিয়াল জানান, এই সড়ক ও সেতু দীর্ঘদিন আগে নির্মাণ করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।
গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে নোয়াখালীর আটটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। অব্যাহত বৃষ্টি ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ডুবে যায় জেলার বিভিন্ন সড়ক, মহল্লা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলার ১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেই জলাবদ্ধতা এখনো রয়ে গেছে। এক মাসের বেশি এই জলাবদ্ধতায়
২৯ মিনিট আগেসরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে যে ঠিকাদার সর্বনিম্ন দরে মালপত্র সরবরাহ করবেন, তাকেই কাজ দেওয়ার কথা। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে রাজশাহী আঞ্চলিক দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারে। এখানে সর্বনিম্ন নয়, যাঁরা সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন—তাঁদেরই কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের প্রায় ৯২ লাখ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে।
৩৪ মিনিট আগেবিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) নিয়োগ-বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সম্প্রতি কারাগারে যেতে হয়েছে সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তারকে। তবে এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি গত পাঁচ মাসেও কাজ
৩৯ মিনিট আগেউড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে দেশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ার মুরাদপুর গ্রামে। এই গ্রাম, উপজেলা, এমনকি পাশের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও তাঁরা টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন ব্যবসার নামে।
১ ঘণ্টা আগে