আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ উদ্বোধনের পর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হয় দুই বছর আগে। ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বেনাপোল রেলপথে যুক্ত হয় মুন্সিগঞ্জ। এ জন্য জেলার শ্রীনগর, লৌহজং ও সিরাজদিখান উপজেলায় নির্মাণ করা হয় নান্দনিক তিনটি রেলস্টেশন। কিন্তু এর মধ্যে দুটিতে ট্রেন যাত্রাবিরতি করলেও অব্যবহৃত পড়ে আছে সিরাজদিখানের নিমতলা রেলওয়ে স্টেশন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রেলস্টেশনটি নির্মাণের পর থেকে আজও কোনো ট্রেন এখানে যাত্রাবিরতি করেনি। ওঠানামা নেই কোনো যাত্রীর। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন স্টেশনটিতে রয়েছে কেবল সুনসান নীরবতা। হাতে গোনা কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া স্টেশনে কোনো যাত্রীও আসেন না।
এদিকে যাত্রীসেবা না থাকলেও স্টেশনটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেছনে বেতন-ভাতা ব্যয় হচ্ছে সরকারের। এখানে বর্তমানে মোট ১৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত আছেন। এর মধ্যে ২ জন স্টেশনমাস্টার, পিয়ন ও গার্ড রয়েছেন ৬ জন। এ ছাড়া সিগন্যাল বিভাগে ১ জন এবং প্রকৌশল বিভাগে ৪ জন কর্মরত রয়েছেন।
জানা গেছে, পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের অধীনে মুন্সিগঞ্জে তিনটি স্টেশন নির্মাণ করা হয়। ২০২৩ সালে ১০ অক্টোবর পদ্মা রেল সেতু উদ্বোধন হয়। জেলাটির ওপর দিয়ে ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বেনাপোল রেল যোগাযোগ রয়েছে। এ ছাড়া জেলাটির ওপর দিয়ে ঢাকা-রাজশাহীগামী ট্রেন চলাচল করছে। ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বেনাপোল রুটে প্রতিদিন ছয় জোড়া আন্তনগরসহ একাধিক ট্রেন নিয়মিত চলাচল করে আসছে। এসব ট্রেনের মধ্যে বেঁজগাঁওয়ে অবস্থিত শ্রীনগর স্টেশনে শুধু নকশিকাঁথা লোকাল ট্রেন যাত্রাবিরতি করে। লৌহজংয়ের মাওয়া রেলস্টেশনে নকশিকাঁথা লোকাল ও রাজশাহী রুটের মধুমতি এক্সপ্রেস যাত্রাবিরতি করে। ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে শ্রীনগর স্টেশনেও মধুমতি ট্রেন যাত্রাবিরতি করবে বলে ১১ সেপ্টেম্বর রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের এক আদেশে জানানো হয়েছে।
স্টেশন নির্মাণ সত্ত্বেও সিরাজদিখানের লাখো মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তারা দ্রুত নিমতলা স্টেশনে ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবি জানিয়েছে।
উপজেলার কুচিয়ামোড়া এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘নিমতলা রেলওয়ে স্টেশন ঘিরে আমাদের অনেক আশা ছিল। কিন্তু বাস্তবে এখনো কোনো ট্রেনের যাত্রাবিরতি হয়নি। তাই রেল যোগাযোগের প্রকৃত সুফল পাচ্ছে না এই অঞ্চলের জনসাধারণ।’
বয়রাগাদী ইউনিয়নের দক্ষিণ গোবরদী গ্রামের শিক্ষার্থী আজিম হাওলাদার বলেন, ‘আমরা মাঝে মধ্যে নিমতলা রেলস্টেশনে ঘুরতে যাই। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এখানে কোনো ট্রেনের যাত্রাবিরতি নেই। কোটি টাকা ব্যয়ে এত সুন্দর একটি রেলস্টেশন নির্মাণ হলেও, তা অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। আমাদের দাবি, শিগগির এই স্টেশন কার্যকর করা হোক।’
বড় শিকারপুর গ্রামের গৃহিণী আয়েশা আক্তার বলেন, ‘নিমতলা স্টেশন আমাদের এলাকার জন্য অনেক সম্ভাবনাময়। কিন্তু আন্তনগর ট্রেন না থামায় সাধারণ যাত্রীরা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিশেষ করে নারী ও শিক্ষার্থীদের জন্য এটি বড় কষ্টের কারণ। আমরা চাই, সরকার যেন দ্রুত ট্রেনের যাত্রাবিরতির ব্যবস্থা করে। যাতে আমরাও সহজে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে পারি।’
নিমতলা রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার মো. আবুল খায়ের চৌধুরী বলেন, ‘এই স্টেশনে বর্তমানে মোট ১৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত আছেন। এর মধ্যে ২ জন স্টেশনমাস্টার, পিয়ন ও গার্ড রয়েছেন ৬ জন। এ ছাড়া সিগন্যাল বিভাগে ১ জন এবং প্রকৌশল বিভাগে ৪ জন কর্মরত রয়েছেন। কিন্তু এত জনবল থাকা সত্ত্বেও এখানে কোনো ট্রেনের যাত্রাবিরতির ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এত বড় স্টেশন, অন্তত নকশিকাঁথা লোকাল ট্রেনটির যাত্রাবিরতি রাখা উচিত।’
সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিমতলা রেলস্টেশনে কোনো আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি নেই। এ বিষয়ে আমরা নিয়মিতভাবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে যাচ্ছি। যাত্রীদের সুবিধার্থে এখানে যাত্রাবিরতির ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। আশা করি, শিগগির যাত্রীদের প্রত্যাশা পূরণ হবে।’
পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ উদ্বোধনের পর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হয় দুই বছর আগে। ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বেনাপোল রেলপথে যুক্ত হয় মুন্সিগঞ্জ। এ জন্য জেলার শ্রীনগর, লৌহজং ও সিরাজদিখান উপজেলায় নির্মাণ করা হয় নান্দনিক তিনটি রেলস্টেশন। কিন্তু এর মধ্যে দুটিতে ট্রেন যাত্রাবিরতি করলেও অব্যবহৃত পড়ে আছে সিরাজদিখানের নিমতলা রেলওয়ে স্টেশন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রেলস্টেশনটি নির্মাণের পর থেকে আজও কোনো ট্রেন এখানে যাত্রাবিরতি করেনি। ওঠানামা নেই কোনো যাত্রীর। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন স্টেশনটিতে রয়েছে কেবল সুনসান নীরবতা। হাতে গোনা কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া স্টেশনে কোনো যাত্রীও আসেন না।
এদিকে যাত্রীসেবা না থাকলেও স্টেশনটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেছনে বেতন-ভাতা ব্যয় হচ্ছে সরকারের। এখানে বর্তমানে মোট ১৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত আছেন। এর মধ্যে ২ জন স্টেশনমাস্টার, পিয়ন ও গার্ড রয়েছেন ৬ জন। এ ছাড়া সিগন্যাল বিভাগে ১ জন এবং প্রকৌশল বিভাগে ৪ জন কর্মরত রয়েছেন।
জানা গেছে, পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের অধীনে মুন্সিগঞ্জে তিনটি স্টেশন নির্মাণ করা হয়। ২০২৩ সালে ১০ অক্টোবর পদ্মা রেল সেতু উদ্বোধন হয়। জেলাটির ওপর দিয়ে ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বেনাপোল রেল যোগাযোগ রয়েছে। এ ছাড়া জেলাটির ওপর দিয়ে ঢাকা-রাজশাহীগামী ট্রেন চলাচল করছে। ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বেনাপোল রুটে প্রতিদিন ছয় জোড়া আন্তনগরসহ একাধিক ট্রেন নিয়মিত চলাচল করে আসছে। এসব ট্রেনের মধ্যে বেঁজগাঁওয়ে অবস্থিত শ্রীনগর স্টেশনে শুধু নকশিকাঁথা লোকাল ট্রেন যাত্রাবিরতি করে। লৌহজংয়ের মাওয়া রেলস্টেশনে নকশিকাঁথা লোকাল ও রাজশাহী রুটের মধুমতি এক্সপ্রেস যাত্রাবিরতি করে। ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে শ্রীনগর স্টেশনেও মধুমতি ট্রেন যাত্রাবিরতি করবে বলে ১১ সেপ্টেম্বর রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের এক আদেশে জানানো হয়েছে।
স্টেশন নির্মাণ সত্ত্বেও সিরাজদিখানের লাখো মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তারা দ্রুত নিমতলা স্টেশনে ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবি জানিয়েছে।
উপজেলার কুচিয়ামোড়া এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘নিমতলা রেলওয়ে স্টেশন ঘিরে আমাদের অনেক আশা ছিল। কিন্তু বাস্তবে এখনো কোনো ট্রেনের যাত্রাবিরতি হয়নি। তাই রেল যোগাযোগের প্রকৃত সুফল পাচ্ছে না এই অঞ্চলের জনসাধারণ।’
বয়রাগাদী ইউনিয়নের দক্ষিণ গোবরদী গ্রামের শিক্ষার্থী আজিম হাওলাদার বলেন, ‘আমরা মাঝে মধ্যে নিমতলা রেলস্টেশনে ঘুরতে যাই। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এখানে কোনো ট্রেনের যাত্রাবিরতি নেই। কোটি টাকা ব্যয়ে এত সুন্দর একটি রেলস্টেশন নির্মাণ হলেও, তা অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। আমাদের দাবি, শিগগির এই স্টেশন কার্যকর করা হোক।’
বড় শিকারপুর গ্রামের গৃহিণী আয়েশা আক্তার বলেন, ‘নিমতলা স্টেশন আমাদের এলাকার জন্য অনেক সম্ভাবনাময়। কিন্তু আন্তনগর ট্রেন না থামায় সাধারণ যাত্রীরা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিশেষ করে নারী ও শিক্ষার্থীদের জন্য এটি বড় কষ্টের কারণ। আমরা চাই, সরকার যেন দ্রুত ট্রেনের যাত্রাবিরতির ব্যবস্থা করে। যাতে আমরাও সহজে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে পারি।’
নিমতলা রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার মো. আবুল খায়ের চৌধুরী বলেন, ‘এই স্টেশনে বর্তমানে মোট ১৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত আছেন। এর মধ্যে ২ জন স্টেশনমাস্টার, পিয়ন ও গার্ড রয়েছেন ৬ জন। এ ছাড়া সিগন্যাল বিভাগে ১ জন এবং প্রকৌশল বিভাগে ৪ জন কর্মরত রয়েছেন। কিন্তু এত জনবল থাকা সত্ত্বেও এখানে কোনো ট্রেনের যাত্রাবিরতির ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এত বড় স্টেশন, অন্তত নকশিকাঁথা লোকাল ট্রেনটির যাত্রাবিরতি রাখা উচিত।’
সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিমতলা রেলস্টেশনে কোনো আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি নেই। এ বিষয়ে আমরা নিয়মিতভাবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে যাচ্ছি। যাত্রীদের সুবিধার্থে এখানে যাত্রাবিরতির ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। আশা করি, শিগগির যাত্রীদের প্রত্যাশা পূরণ হবে।’
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক ও সরকারি খাদ্যগুদামের (এলএসডি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর বিরুদ্ধে সরকারি খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ব্যাংকে তাঁর ব্যক্তিগত হিসাব নম্বরে (অ্যাকাউন্ট) কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে।
১ ঘণ্টা আগেবৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির প্রাণের দাবি ছিল ভৈরব নদের ওপর সেতু নির্মাণ। খুলনাবাসীর আন্দোলনের মুখে ২০২১ সালে সেতু নির্মাণ শুরু করা হয়। এ প্রকল্পটি ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এ পর্যন্ত অগ্রগতি মাত্র ১৬ শতাংশ। নকশা জটিলতা এবং রেলওয়ের অধিগ্রহণ করা জমি বুঝে না পাওয়ায় অনেকটা থমক
২ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা (পোষ্য কোটা) নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) জরুরী সিন্ডিকেট সভা আহবান করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সহ-উপাচার্যসহ অন্য শিক্ষকদের ‘লাঞ্ছিত’ করার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে। শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে সিনেট ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল আলিম এ ঘোষণা দেন।
৫ ঘণ্টা আগে