Ajker Patrika

মেহেরপুরে নবজাতকের মৃত্যুর পর স্বজনদের মারধরের অভিযোগ চিকিৎসক ও নার্সদের বিরুদ্ধে

মেহেরপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ জুন ২০২৩, ১২: ৪২
মেহেরপুরে নবজাতকের মৃত্যুর পর স্বজনদের মারধরের অভিযোগ চিকিৎসক ও নার্সদের বিরুদ্ধে

মেহেরপুরে চিকিৎসক ও নার্সদের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর পর প্রসূতির স্বজনদের মারধর করে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রসূতির নাম রিতা খাতুন। তাঁর স্বামী রনি ইসলাম।

প্রসূতির স্বজনদের অভিযোগ, তাঁদের মারধর করে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়েছিল। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা। তত্ত্বাবধায়ক বলছেন, তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসূতির স্বামী রনি ইসলাম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ভোরে আমার স্ত্রী রিতা খাতুনের প্রসব বেদনা ওঠে। এরপর তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। দুই দিন ধরে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন। চিকিৎসক ও নার্সরা সব সময় বলছেন রোগীর কোনো সমস্যা নেই। আমরা তাদের ওপর আস্থা রেখেছিলাম। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমাদের জানানো হয়, রিতা খাতুনের গর্ভে নবজাতকের কোনো হার্টবিট পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর আমার স্ত্রীকে দ্রুত আলট্রাসনোগ্রাফি করতে হাসপাতালের পাশের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।’

রনি ইসলাম আরও বলেন, ‘আলট্রাসনোগ্রাফি করার পর জানা যায় নবজাতকটি মারা গেছে। আমি তাৎক্ষণিকভাবে নার্সদের কাছে জানতে চাই, প্রসূতির খারাপ অবস্থার কথা কেন আমাদের আগে জানানো হয়নি। প্রয়োজনে আমরা রোগীকে অন্য কোথাও নিয়ে যেতাম। এসব বিষয় জানতে চাওয়ায় তাঁরা আমাদের ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক মঞ্জুরুল হাসান, নার্স ও স্টাফরা আমাদের দুজনকে মারধর করে হাসপাতালের একটি কক্ষে আটকে রাখেন।

পরে পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে। অন্যদিকে আমার স্ত্রীকে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই অস্ত্রোপচার করে তাঁর গর্ভ থেকে মৃত নবজাতকটি বের করা হয়।’

এ নিয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মঞ্জুরুল হাসান বলেন, ‘রোগীর খারাপ অবস্থার কোনো তথ্য আমার কাছে ছিল না। এ বিষয়ে নার্সরা আমাকে কিছুই জানায়নি। আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট পাওয়ার পর দেখি নবজাতক মারা গেছে।’

দুই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরও রোগীর খারাপ অবস্থা না জানতে পারার দায়ভার কার জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দেননি। তবে রোগীর স্বজনদের মারধরের বিষয়টি জানতে চাইলে অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘রোগীর স্বজনেরা হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্সদের মারধর করেছে। শুধু পরিস্থিতি যেন খারাপ না হয়, সে জন্য তাদের আটকে রেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়েছিল।’

হাসপাতালের গাইনি বিভাগের নার্স শারমিন খাতুন বলেন, ‘হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞের নির্দেশ রয়েছে কোনো রোগীর অবস্থা খারাপ হলে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে চিকিৎসককে জানাতে হবে। আমরা সেই কাজই করেছি। রোগীর অবস্থা খারাপ হয়েছে তা আমরা বুঝতে পারিনি। জানার পরেই রোগীর স্বজনদের আলট্রাসনোগ্রাফি করতে বলা হয়েছিল। আমাদের চিকিৎসা দেওয়ার কাজ, আমরা তা দিয়েছি। এখন কেউ মারা গেলে তো আমাদের কিছু করার নেই।’

এ নিয়ে মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। আমাদের কাজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা যেন চিকিৎসা নিতে এসে ভোগান্তির শিকার না হন, সেটি তদারক করা। আমরা সেই কাজই করেছি। বাদবাকি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের ব্যাপার।’

এ নিয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জমির মোহাম্মদ হাসিবুস সাত্তার বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। আজ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফেসবুকে জামায়াতকে নিয়ে মন্তব্য: গাজীপুরের সেই ওসি প্রত্যাহার

গাজীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৬: ২৬
গাজীপুরের পুবাইল থানার ওসি আমিরুল ইসলাম মুরাদ। ছবি: সংগৃহীত
গাজীপুরের পুবাইল থানার ওসি আমিরুল ইসলাম মুরাদ। ছবি: সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করার অধিকার নিয়ে আছে কি না, সে বিষয়ে গণভোট চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পোস্টে মন্তব্যের অভিযোগে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) পুবাইল থানার সেই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম মুরাদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

জিএমপির ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মো. জাহিদুল হাসান স্বাক্ষরিত চিঠিতে আজ মঙ্গলবারের মধ্যে একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে জিএমপি সদর দপ্তরে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জাহিদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ফেসবুকে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে মন্তব্য করার পর বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ওই ঘটনায় ২০ অক্টোবর ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় জামায়াতে ইসলামী জিএমপি কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করে। বিষয়টি নিয়ে আজকের পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

গাজীপুর মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটিকে অত্যন্ত সংবেদনশীল হিসেবে বিবেচনা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ওসি আমিরুলকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়। একজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রশাসনের নিরপেক্ষতার প্রশ্নে কোনো আপস নেই। তাই তদন্তের স্বার্থে তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‎ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

‎রাজধানীর ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সায়েন্স ল্যাবের পাশে মিরপুর সড়কে পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। ‎

‎পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে আইডিয়াল কলেজের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাই সায়েন্স ল্যাব ও আশপাশের এলাকায় মহড়া দিতে থাকে। এ সময় পুলিশ দুই পক্ষের মাঝখানে অবস্থান নেয়। ‎

‎দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আইডিয়াল কলেজের ৫০-৬০ জন শিক্ষার্থী সায়েন্স ল্যাবের ম্যারিয়ট কনভেনশন হলের গলিতে জড়ো হলে পুলিশ তাদের সরে যেতে বলে। পরে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ মিরপুর সড়ক দিয়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিলে শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। পরে পুলিশ-শিক্ষার্থী পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ধাওয়া দিলে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের পাশের গলিতে ঢুকে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

‎ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. জাহাঙ্গীর কবীর। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি অবস্থান নেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যুবলীগের সাবেক সভাপতি সম্রাটের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৬: ১০
ইসমাইল হোসেন সম্রাট। ফাইল ছবি
ইসমাইল হোসেন সম্রাট। ফাইল ছবি

অবৈধ অস্ত্র দখলে রাখার দায়ে ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এই রায় ঘোষণা করেন।

ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী শাহাদাত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রায় ঘোষণার সময় সম্রাট পলাতক থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেওয়া হয়।

ট্রাইব্যুনাল রায়ে বলেছেন, আসামি সম্রাটের বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র দখলে রাখার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো।

রায়ে আরও বলা হয়, আসামি গ্রেপ্তার হওয়ার পর বা ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণের পর এই রায় কার্যকর হবে। তবে ইতিপূর্বে এই মামলায় আসামি হাজতবাস করে থাকলে হাজতবাসের সময় তাঁর সাজার মেয়াদ থেকে বাদ যাবে।

২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র‌্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চলার বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে আত্মগোপনে চলে যান ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। এরপর ৭ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তাঁর সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। সেদিন বিকেলে সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে কাকরাইলের ভূইয়া ট্রেড সেন্টারে তাঁর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। ওইদিন প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অভিযান শেষে গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল, ১১৬০টি ইয়াবা, ১৯ বোতল বিদেশি মদ, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া এবং ‘নির্যাতন করার’ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পাওয়া যায়।

ক্যাঙ্গারুর চামড়া পাওয়ার কারণে সম্রাটকে তাৎক্ষণিকভাবে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) আইনে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই দিনই রমনা থানায় অস্ত্র আইন ও মাদকদ্রব্য আইনে দু’টি মামলা করেন র‌্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক।

তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর আদালতে অস্ত্র মামলায় অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১ এর এসআই শেখর চন্দ্র মল্লিক।

এ বছর ১৬ জানুয়ারি সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়। বিচার চলাকালে ১০ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন মামলায়।

সম্রাটের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলা ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা ঢাকার অন্য দুটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। মানি লন্ডারিং আইনে দায়ের করা মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।

উল্লেখ্য, গ্রেপ্তার হওয়ার পর সম্রাট দীর্ঘদিন কারাভোগ করে জামিন লাভ করেন। তবে গতবছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তিনি আর আদালতে হাজির হননি। এ কারণে প্রত্যেক মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আগুনে পুড়ল যাত্রীবাহী চলন্ত এসি বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
চলন্ত বাসে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
চলন্ত বাসে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরিশালের উজিরপুরে যাত্রীবাহী চলন্ত বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার ইচলাদিতে মেজর এম এ জলিল সেতুর ঢালে নির্মাণাধীন টোল প্লাজায় বিআরটিসির একটি এসি বাসে এই ঘটনা ঘটে।

আগুনে বাসটি পুরোপুরি পুড়ে গেছে। যাত্রীরা দ্রুত নেমে যাওয়ায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আগুন লাগার সঠিক কারণ কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।

গৌরনদী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উজিরপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। আগুনের কারণে প্রায় এক ঘণ্টা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।

চলন্ত বাসে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
চলন্ত বাসে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাসচালক মো. শাহজালাল জানান, বাসটি বরিশাল থেকে খুলনায় যাচ্ছিল। বাসে ৩০ জন যাত্রী ছিল। টোল প্লাজায় পৌঁছালে ধোঁয়া দেখে যাত্রীরা চিৎকার শুরু করে। এ সময় বাস থামালে যাত্রীরা দ্রুত নেমে যায়। পরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বাসটি ভস্মীভূত হয়।

বাসের এক যাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘চলন্ত বাসের মধ্যে এক যাত্রী সিগারেট সেবন করছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, সিগারেটের আগুন থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে বিআরটিসি বরিশাল ডিপোর ব্যবস্থাপক (অপারেশন) জামিল হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ধরেননি।

উজিরপুর মডেল থানার ওসি আব্দুস সালাম জানিয়েছেন, আগুন নেভানোর পর বেলা ১টা থেকে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত