হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় মাকে মারধরের প্রতিবাদ করায় রাহেদুল ইসলাম (৩৭) নামের এক হোটেল শ্রমিককে মাথায় ও হাতে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শনিবার সকালে ভুক্তভোগীর স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৩২) বাদী হয়ে ৭ জনের নামে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর আগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার আগে উপজেলা ডাকবাংলো এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে আহত হোটেল শ্রমিক রাহেদুল ইসলামের মাথায় ২২টি সেলাই ও হাতে ১০টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এদিকে মারধরের পর থেকে এখনো অচেতন অবস্থায় রয়েছেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন উপজেলার টংভাঙ্গা এলাকার মালেকা বেগম (৬০), তাঁর ছেলে মালেক (২৫), তজিবর রহমান (৫৫), তাঁর ছেলে সাদ্দাম (২৫) ও মাজেদ (২৪)। মালেকা বেগম ও তজিবর রহমান সম্পর্কে বেয়াই-বেয়াইন। তাঁদের বাড়ি পাশাপাশি। আর আহত ওই হোটেলশ্রমিক উপজেলার বন্দর বাসস্ট্যান্ডের সীমান্ত হোটেলের কারিগর।
জানা গেছে, অভিযুক্তরা আহত রাহেদুল ইসলামের প্রতিবেশী। ঘটনার দিন একটি ইটের টুকরো নিয়ে রাহেদুলের মা রাহেলা বেগমের সঙ্গে অভিযুক্ত মৃত আজিজারের স্ত্রী মালেকা বেগমের ঝগড়া বাঁধে। এর একপর্যায়ে মালেকা বেগম রাহেলা বেগমকে মারধর করে। বিষয়টি নিয়ে রাহেদুল মালেকা বেগমের সঙ্গে কথা বলতে যান।
এ সময় অভিযুক্তদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা বাধে রাহেদুল। একপর্যায়ে তাঁরা ধারালো ছোরা দিয়ে রাহেদুল ইসলামের মাথায় ও হাতে এলোপাতাড়ি কোপায়। এতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক রাহেদুলের উন্নত চিকিৎসার জন্য রামেক হাসপাতালে পাঠান। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত রাহেদুলের মা রাহেলা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলের মাথায় ছোরা দিয়ে কোপানো হয়েছে। এরপর থেকে সে অচেতন, এখন অবধি জ্ঞান ফেরেনি। আমার ছেলে বাঁচবে কি না জানি না। আমি ওদের কঠিন শাস্তি চাই।’
রাহেদুলের স্ত্রী রাবেয়া বেগম বলেন, ‘আমার স্বামীকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর থেকে একটি বারের জন্যও তার জ্ঞান ফেরেনি। তার মাথায় ও হাতে বেশ কয়েকটি সেলাই রয়েছে। আমি থানায় অভিযোগ করেছি। আমি তাদের বিচার চাই।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মালেক বলেন, ‘আমি কাউকে মারধর করিনি। তারা যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাঈম হাসান নয়ন বলেন, ‘আহত রাহেদুলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তার উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে তার মাথায় ও হাতে বেশ কয়েকটি সেলাই রয়েছে।’
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও টংভাঙ্গা ইউনিয়নের বিট কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত চলমান, তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় মাকে মারধরের প্রতিবাদ করায় রাহেদুল ইসলাম (৩৭) নামের এক হোটেল শ্রমিককে মাথায় ও হাতে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শনিবার সকালে ভুক্তভোগীর স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৩২) বাদী হয়ে ৭ জনের নামে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর আগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার আগে উপজেলা ডাকবাংলো এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে আহত হোটেল শ্রমিক রাহেদুল ইসলামের মাথায় ২২টি সেলাই ও হাতে ১০টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এদিকে মারধরের পর থেকে এখনো অচেতন অবস্থায় রয়েছেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন উপজেলার টংভাঙ্গা এলাকার মালেকা বেগম (৬০), তাঁর ছেলে মালেক (২৫), তজিবর রহমান (৫৫), তাঁর ছেলে সাদ্দাম (২৫) ও মাজেদ (২৪)। মালেকা বেগম ও তজিবর রহমান সম্পর্কে বেয়াই-বেয়াইন। তাঁদের বাড়ি পাশাপাশি। আর আহত ওই হোটেলশ্রমিক উপজেলার বন্দর বাসস্ট্যান্ডের সীমান্ত হোটেলের কারিগর।
জানা গেছে, অভিযুক্তরা আহত রাহেদুল ইসলামের প্রতিবেশী। ঘটনার দিন একটি ইটের টুকরো নিয়ে রাহেদুলের মা রাহেলা বেগমের সঙ্গে অভিযুক্ত মৃত আজিজারের স্ত্রী মালেকা বেগমের ঝগড়া বাঁধে। এর একপর্যায়ে মালেকা বেগম রাহেলা বেগমকে মারধর করে। বিষয়টি নিয়ে রাহেদুল মালেকা বেগমের সঙ্গে কথা বলতে যান।
এ সময় অভিযুক্তদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা বাধে রাহেদুল। একপর্যায়ে তাঁরা ধারালো ছোরা দিয়ে রাহেদুল ইসলামের মাথায় ও হাতে এলোপাতাড়ি কোপায়। এতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক রাহেদুলের উন্নত চিকিৎসার জন্য রামেক হাসপাতালে পাঠান। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত রাহেদুলের মা রাহেলা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলের মাথায় ছোরা দিয়ে কোপানো হয়েছে। এরপর থেকে সে অচেতন, এখন অবধি জ্ঞান ফেরেনি। আমার ছেলে বাঁচবে কি না জানি না। আমি ওদের কঠিন শাস্তি চাই।’
রাহেদুলের স্ত্রী রাবেয়া বেগম বলেন, ‘আমার স্বামীকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর থেকে একটি বারের জন্যও তার জ্ঞান ফেরেনি। তার মাথায় ও হাতে বেশ কয়েকটি সেলাই রয়েছে। আমি থানায় অভিযোগ করেছি। আমি তাদের বিচার চাই।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মালেক বলেন, ‘আমি কাউকে মারধর করিনি। তারা যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাঈম হাসান নয়ন বলেন, ‘আহত রাহেদুলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তার উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে তার মাথায় ও হাতে বেশ কয়েকটি সেলাই রয়েছে।’
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও টংভাঙ্গা ইউনিয়নের বিট কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত চলমান, তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সাতক্ষীরায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে মাদকসম্রাজ্ঞী আনজুমআরাসহ তিন মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাত ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সদর সেনা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন নাহিদ।
১০ মিনিট আগেলামায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মো. জাবেদ (১৮) নামের এক তরুণকে থানায় সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী। আজ সোমবার উপজেলার সরই ইউনিয়নের জোড়মনিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
১১ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় চর কামালদীতে গ্যারেজ থেকে পাঁচ অটোরিকশা ডাকাতির ঘটনায় বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। ডাকাতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গতকাল রোববার বিকেলে প্রায় এক ঘণ্টা তালতলা-বারদী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
১৩ মিনিট আগেকুমিল্লায় মা-মেয়ে হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাঁর মাকে হত্যার আগে ধর্ষণের কথা আদালতে স্বীকার করেছেন মামলার একমাত্র আসামি কবিরাজ মো. মোবারক হোসেন (২৯)। এ ঘটনার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছেন সহপাঠীরা। তাঁরা দ্রুত বিচার ও আসামির ফাঁসির দাবিতে সড়কে..
১৬ মিনিট আগে