Ajker Patrika

কুমিল্লায় মা-মেয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ

কুমিল্লা প্রতিনিধি  
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লায় মা-মেয়ে হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাঁর মাকে হত্যার আগে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের কথা আদালতে স্বীকার করেছেন মামলার একমাত্র আসামি কবিরাজ মো. মোবারক হোসেন (২৯)। এ ঘটনার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছেন শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা। তাঁরা দ্রুত বিচার ও আসামির ফাঁসির দাবিতে সড়কে নেমেছেন।

আজ সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কয়েক শ শিক্ষার্থী নগরীর কান্দিরপাড় পূবালী চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কুমিল্লা আদালত প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে তাঁরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা করা শুধু একটি পরিবারের ক্ষতি নয়, বরং পুরো সমাজের জন্য ভয়াবহ হুমকি। আমরা চাই, দ্রুততম সময়ে এই মামলার বিচার শেষ করে আসামির দৃষ্টান্তমূলক ফাঁসি কার্যকর করা হোক।’

কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিনুল ইসলাম জানান, আসামি মোবারক আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেছেন, ঝাড়ফুঁক দেখানোর নাম করে মা-মেয়েকে অচেতন করেন তিনি। পরে প্রথমে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীকে (২৩) ধর্ষণ করেন। পুনরায় ধর্ষণের চেষ্টা করলে মেয়েকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেন মা (৫২)। তখন তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এরপর মেয়েকেও হত্যা করেন মোবারক।

তদন্ত সূত্রে জানা যায়, ৮ সেপ্টেম্বর সকালে নগরীর কালিয়াজুরী এলাকার একটি ভাড়া বাসার দ্বিতীয় তলা থেকে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যার সময় তাঁরা দুজনই বাসায় একা ছিলেন। এ ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহ করা পোশাক, চাদর, বালিশের কাভারসহ গুরুত্বপূর্ণ আলামত সিআইডির ফরেনসিক ও ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

প্রতিবেদন হাতে এলে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ চিত্র আরও স্পষ্ট হবে। আমরা মামলাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি।’

পুলিশ জানায়, মোবারকের বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার কাবিলপুর গ্রামে। তিনি নগরীর বাগিচাগাঁও কাজীবাড়ি এলাকায় ভাড়া থেকে দীর্ঘদিন কবিরাজি চিকিৎসা ও ঝাড়ফুঁক করতেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের আস্থা অর্জনের জন্য ‘জিন তাড়ানো’সহ নানা কৌশল ব্যবহার করতেন তিনি।

ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণচেষ্টার বিষয়টি সামনে এলেও আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে হত্যার আগে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। মোবারকই এ ঘটনার একমাত্র খুনি।

বর্তমানে আসামি কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। পুলিশ বলছে, ফরেনসিক রিপোর্ট ও আসামির জবানবন্দি মিলিয়ে হত্যার পুরো প্রক্রিয়া আদালতে উপস্থাপন করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিক্ষোভ থেকে সহিংসতায় উত্তাল ভাঙ্গা, মসজিদে আশ্রয় নিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা

দাওয়াত না দেওয়ায় মাদ্রাসার সব খাবার খেয়ে গেলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা

উত্তাল ভাঙ্গা: থানাসহ চারটি সরকারি দপ্তরে হামলা-ভাঙচুর, পুলিশসহ আহত অনেকে

সন্তানের গলা কেটে লাশ বাবার হাতে তুলে দিলেন মা

কক্সবাজার, মাদারীপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ডিসি প্রত্যাহার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত