Ajker Patrika

বিএসএফের গুলিতে নিহত সেই ফেলানীর ভাই চাকরি পেলেন বিজিবিতে, সেবা করতে চান দেশের

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিলালমনিরহাট প্রতিনিধি 
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বিএসএফের গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানীর ভাইয়ের হাতে আজ বৃহস্পতিবার নিয়োগপত্র তুলে দেন লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম। ছবি: সংগৃহীত
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বিএসএফের গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানীর ভাইয়ের হাতে আজ বৃহস্পতিবার নিয়োগপত্র তুলে দেন লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম। ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানী খাতুনের ছোট ভাই আরফান হোসেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সৈনিক পদে চাকরি পেয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) আয়োজিত নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার পর আরফান হোসেনকে এ নিয়োগপত্র দেওয়া হয়।

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় ১৪ বছরের ফেলানী। তার লাশ অন্তত পাঁচ ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে ছিল। সেই ছবি দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সেই থেকে দীর্ঘদিন ধরে ন্যায়বিচারের দাবিতে লড়াই করে আসছে ফেলানীর পরিবার।

ফেলানীর ভাই আরফান হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মা-বাবার স্বপ্ন ছিল দেশের জন্য কাজ করব। ফেলানী হত্যার পর মানুষ যে প্রতিবাদ জানিয়েছিল, তখন থেকেই আমার ইচ্ছা ছিল বিজিবিতে যোগ দেওয়ার। আজ সেই স্বপ্ন পূর্ণ হলো। বিজিবিকে ধন্যবাদ জানাই, আমাকে দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য।’

ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম বলেন, ‘ভারত থেকে ফেরার পথে আমার নাবালিকা মেয়ে ফেলানীকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করে কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখে বিএসএফ। সেই দৃশ্য আজও ভুলতে পারিনি। তবে দেশবাসী আর বিজিবি সব সময় আমাদের পাশে ছিল। দোকান করে দিয়ে সহায়তা করেছে। আজ আমার ছেলে মেধা ও যোগ্যতায় বিজিবিতে চাকরির সুযোগ পেল। এটা আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি।’

বিজিবির লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম বলেন, ‘বিজিবি সর্বদা ফেলানীর পরিবারের পাশে রয়েছে। ফেলানীর ছোট ভাই নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। আগামীকাল শুক্রবার প্রশিক্ষণকেন্দ্রে যোগ দেবেন। আমরা বিশ্বাস করি, প্রশিক্ষণ শেষে তিনি একজন দক্ষ সদস্য হিসেবে দেশের সেবায় নিয়োজিত হবেন।’

মেহেদী ইমাম আরও বলেন, ফেলানী হত্যার মতো নৃশংস ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সে বিষয়ে বিজিবি সীমান্তে সর্বদা সতর্ক ও সচেষ্ট রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত