Ajker Patrika

পদ্মার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে বিজিবির ত্রাণ বিতরণ

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ১১৫টি পরিবারের মধ্যে গতকাল বিকেলে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ১১৫টি পরিবারের মধ্যে গতকাল বিকেলে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) উদয়নগর বর্ডার আউটপোস্ট (বিওপি)। তবে বিওপি নদীগর্ভে তলিয়ে গেলেও সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে কোনো শূন্যতা সৃষ্টি হয়নি বলে জানিয়েছে বিজিবি। পাশাপাশি, ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় ১১৫টি অসহায় পরিবারকে ত্রাণসহায়তা দিয়েছে তারা।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় শুরু হওয়া ভাঙনে উদয়নগর বিওপির দুই-তৃতীয়াংশ নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এরপর ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে বাকি অংশও পুরোপুরি বিলীন হয়ে যায়। সম্ভাব্য ঝুঁকির কারণে আগেই বিওপির গুরুত্বপূর্ণ সব সরঞ্জাম, অস্ত্র, নথিপত্র এবং জনবল পাশের চরচিলমারী বিওপিতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

বিজিবি জানিয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ সত্ত্বেও সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে। অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে বড় নৌকা, স্পিডবোট ও রেসকিউ বোটের মাধ্যমে নিয়মিত টহল চলছে। একই সঙ্গে উদয়নগরের কাছাকাছি এলাকায় একটি নতুন স্থায়ী বিওপি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এদিকে মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) উদ্যোগে ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ১১৫টি পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যশোর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াসির আরাফাত এবং ৪৭ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব মুর্শেদ রহমান।

ত্রাণ বিতরণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াসির আরাফাত বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের অবকাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, কিন্তু সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকারকে দুর্বল করতে পারবে না।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সীমান্ত হত্যা রোধে বিজিবি সব সময় সচেতন। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে বিএসএফ ও বিজিবির মহাপরিচালক পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে এবং বিএসএফ সীমান্ত হত্যা বন্ধে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিম রিজিয়নে ‘পুশ ইন’ ঘটনার প্রবণতা তেমন নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত