কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের গড়াই নদের ঘোড়াঘাটে নৌকা পারাপারের ভাড়া হঠাৎ ৬ টাকার পরিবর্তে ১৪ টাকা নেওয়ায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় ঘোড়াঘাট এলাকায় প্রায় ঘণ্টাব্যাপী দাঁড়িয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন এলাকাবাসী।
ইউনিয়ন জনগণের পারাপার অধিকার আদায় কমিটির আয়োজনে কর্মসূচিতে অংশ নেন কয়েক হাজার মানুষ।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কয়া ইউনিয়ন জনগণের পারাপার অধিকার আদায় কমিটির আহ্বায়ক রাসেল হোসেন আরজুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন পারাপার অধিকার আদায় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এসানুর রহমান রিপন ও রাসেদ আলম, সদস্য রনজু আহমেদ, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য নাসির উদ্দিন মাস্টারসহ প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, কয়া, নন্দনালপুর, শিলাইদহ, চরসাদিপুর ইউনিয়নসহ আশপাশের প্রায় এক লাখ মানুষ ঘোড়াঘাট দিয়ে পারাপার হয়। পারাপারের ভাড়া ছিল ৬ টাকা। কিন্তু স্থানীয় চেয়ারম্যানের নির্দেশে ১৪ টাকা ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। এতে সাধারণ জনগণের চলাচলে খরচ বেড়েছে। হয়রানির শিকার হচ্ছে। আমরা নতুন ভাড়ার রেট বাতিল করে পূর্বের ৬ টাকা ভাড়া চালু করার দাবি জানাই।
বক্তারা আরও বলেন, ঘাটে নানা অনিয়ম রয়েছে। পারাপারে মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। অনতিবিলম্বে পূর্বের ভাড়া বহাল না রাখা হলে আন্দোলন চলমান থাকবে।
জানা গেছে, প্রায় ৫৫ লাখ টাকায় ঘোড়াঘাটের ইজারাদার জেলা আহত মুক্তিযোদ্ধা সমবায় সমিতির সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউল ইসলাম মজনু। ঘাটের নিয়ন্ত্রণ করে জেলা পরিষদ। জেলার এক প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা প্রকৃত ইজারাদারকে ১৪ লাখ টাকা দিয়ে ঘাটের নিয়ন্ত্রণ দেন কয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেনকে। চেয়ারম্যানের সমর্থকেরা ঘাট পরিচালনা করেন।
আরও জানা গেছে, ২০১১ সাল থেকে সাধারণ জনগণের পারাপারে ৬ (যাওয়া-আসা) টাকা ভাড়া নেওয়া হতো। জেলা পরিষদের মাধ্যমে খুলনা বিভাগীয় এক প্রজ্ঞাপনে ২০১৪ সাল থেকে ভাড়া নেওয়া হয় ৮ টাকা। গত ২৯ সেপ্টেম্বর খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. শহিদুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ভাড়া বাড়িয়ে ২০ টাকা করা হয়।
এরপর গত ১৫ অক্টোবর (শনিবার) বর্ধিত ভাড়ার চিঠি জেলা পরিষদের মাধ্যমে হাতে পায় হাট কর্তৃপক্ষ। তারা (হাট কর্তৃপক্ষ) ঘাটের দুই পারে নতুন ভাড়ার সাইনবোর্ড টাঙিয়ে ভাড়া আদায় শুরু করে। এতে পারাপারকারীদের সঙ্গে আদায়কারীদের বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান ভাড়া কমিয়ে ১৪ টাকা করে দেন। ১৪ টাকার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার সকালে এলাকাবাসী ঘাট এলাকায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
এ বিষয়ে ঘাট পরিচালনা কমিটির সদস্য ও আদায়কারী মো. ওলি উল্লাহ বলেন, ‘আগে ঘাট দিয়ে যাওয়া-আসায় ভাড়া ছিল ৮ টাকা। হঠাৎ নতুন প্রজ্ঞাপনে সরকার ভাড়া বাড়িয়ে ২০ টাকা নির্ধারণ করেছেন। আমরা আলী চেয়ারম্যানের নির্দেশে ৬ টাকা কম নিয়ে ১৪ টাকা নিচ্ছি। তবে ঘাট পরিচালনার সঙ্গে চেয়ারম্যানের কোনো সম্পর্ক নেই।’
ঘাটের ইজারাদার ও জেলা আহত মুক্তিযোদ্ধা সমবায় সমিতির সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউল ইসলাম মজনু বলেন, ‘আমার নামে ঘাট। এ বছর সরকারি খাতে ৫৫ লাখ টাকা দিয়ে ঘাট পেয়েছি। ঘাট আমি চালাই না। এক আওয়ামী লীগ নেতা প্রতিবছর আমাকে টাকা দিয়ে ঘাটের দায়িত্ব দিয়ে দেন আলী চেয়ারম্যানকে। এবারও আমাকে ১৪ লাখ টাকা দিয়ে ঘাট ওই চেয়ারম্যানকে দিয়েছেন। তবে ঘাটের ভাড়া বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন পেয়েছি।’
এ বিষয়ে কয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন বলেন, ‘ঘাটের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। তবে আমার সমর্থকেরা ঘাট চালায়। সরকার ঘাটের ভাড়া বাড়িয়ে ২০ টাকা করেছিল। আমি জনস্বার্থে ঘাট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ১৪ টাকা করেছি। ভাড়া কমিয়ে এখন আমিই বিপাকে আছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডল বলেন, ‘ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে কোনো প্রজ্ঞাপন উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ কেউই পাইনি। বিষয়টি ঘাট কর্তৃপক্ষ মৌখিকভাবে জানিয়েছে। কিন্তু তারা কোনো কাগজপত্র আমাকে দেয়নি। অফিশিয়ালি কোনো চিঠি পাইনি। তবে ঘাটে কোনো অনিয়ম হলে তা ক্ষতিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের গড়াই নদের ঘোড়াঘাটে নৌকা পারাপারের ভাড়া হঠাৎ ৬ টাকার পরিবর্তে ১৪ টাকা নেওয়ায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় ঘোড়াঘাট এলাকায় প্রায় ঘণ্টাব্যাপী দাঁড়িয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন এলাকাবাসী।
ইউনিয়ন জনগণের পারাপার অধিকার আদায় কমিটির আয়োজনে কর্মসূচিতে অংশ নেন কয়েক হাজার মানুষ।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কয়া ইউনিয়ন জনগণের পারাপার অধিকার আদায় কমিটির আহ্বায়ক রাসেল হোসেন আরজুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন পারাপার অধিকার আদায় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এসানুর রহমান রিপন ও রাসেদ আলম, সদস্য রনজু আহমেদ, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য নাসির উদ্দিন মাস্টারসহ প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, কয়া, নন্দনালপুর, শিলাইদহ, চরসাদিপুর ইউনিয়নসহ আশপাশের প্রায় এক লাখ মানুষ ঘোড়াঘাট দিয়ে পারাপার হয়। পারাপারের ভাড়া ছিল ৬ টাকা। কিন্তু স্থানীয় চেয়ারম্যানের নির্দেশে ১৪ টাকা ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। এতে সাধারণ জনগণের চলাচলে খরচ বেড়েছে। হয়রানির শিকার হচ্ছে। আমরা নতুন ভাড়ার রেট বাতিল করে পূর্বের ৬ টাকা ভাড়া চালু করার দাবি জানাই।
বক্তারা আরও বলেন, ঘাটে নানা অনিয়ম রয়েছে। পারাপারে মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। অনতিবিলম্বে পূর্বের ভাড়া বহাল না রাখা হলে আন্দোলন চলমান থাকবে।
জানা গেছে, প্রায় ৫৫ লাখ টাকায় ঘোড়াঘাটের ইজারাদার জেলা আহত মুক্তিযোদ্ধা সমবায় সমিতির সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউল ইসলাম মজনু। ঘাটের নিয়ন্ত্রণ করে জেলা পরিষদ। জেলার এক প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা প্রকৃত ইজারাদারকে ১৪ লাখ টাকা দিয়ে ঘাটের নিয়ন্ত্রণ দেন কয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেনকে। চেয়ারম্যানের সমর্থকেরা ঘাট পরিচালনা করেন।
আরও জানা গেছে, ২০১১ সাল থেকে সাধারণ জনগণের পারাপারে ৬ (যাওয়া-আসা) টাকা ভাড়া নেওয়া হতো। জেলা পরিষদের মাধ্যমে খুলনা বিভাগীয় এক প্রজ্ঞাপনে ২০১৪ সাল থেকে ভাড়া নেওয়া হয় ৮ টাকা। গত ২৯ সেপ্টেম্বর খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. শহিদুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ভাড়া বাড়িয়ে ২০ টাকা করা হয়।
এরপর গত ১৫ অক্টোবর (শনিবার) বর্ধিত ভাড়ার চিঠি জেলা পরিষদের মাধ্যমে হাতে পায় হাট কর্তৃপক্ষ। তারা (হাট কর্তৃপক্ষ) ঘাটের দুই পারে নতুন ভাড়ার সাইনবোর্ড টাঙিয়ে ভাড়া আদায় শুরু করে। এতে পারাপারকারীদের সঙ্গে আদায়কারীদের বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান ভাড়া কমিয়ে ১৪ টাকা করে দেন। ১৪ টাকার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার সকালে এলাকাবাসী ঘাট এলাকায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
এ বিষয়ে ঘাট পরিচালনা কমিটির সদস্য ও আদায়কারী মো. ওলি উল্লাহ বলেন, ‘আগে ঘাট দিয়ে যাওয়া-আসায় ভাড়া ছিল ৮ টাকা। হঠাৎ নতুন প্রজ্ঞাপনে সরকার ভাড়া বাড়িয়ে ২০ টাকা নির্ধারণ করেছেন। আমরা আলী চেয়ারম্যানের নির্দেশে ৬ টাকা কম নিয়ে ১৪ টাকা নিচ্ছি। তবে ঘাট পরিচালনার সঙ্গে চেয়ারম্যানের কোনো সম্পর্ক নেই।’
ঘাটের ইজারাদার ও জেলা আহত মুক্তিযোদ্ধা সমবায় সমিতির সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউল ইসলাম মজনু বলেন, ‘আমার নামে ঘাট। এ বছর সরকারি খাতে ৫৫ লাখ টাকা দিয়ে ঘাট পেয়েছি। ঘাট আমি চালাই না। এক আওয়ামী লীগ নেতা প্রতিবছর আমাকে টাকা দিয়ে ঘাটের দায়িত্ব দিয়ে দেন আলী চেয়ারম্যানকে। এবারও আমাকে ১৪ লাখ টাকা দিয়ে ঘাট ওই চেয়ারম্যানকে দিয়েছেন। তবে ঘাটের ভাড়া বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন পেয়েছি।’
এ বিষয়ে কয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন বলেন, ‘ঘাটের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। তবে আমার সমর্থকেরা ঘাট চালায়। সরকার ঘাটের ভাড়া বাড়িয়ে ২০ টাকা করেছিল। আমি জনস্বার্থে ঘাট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ১৪ টাকা করেছি। ভাড়া কমিয়ে এখন আমিই বিপাকে আছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডল বলেন, ‘ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে কোনো প্রজ্ঞাপন উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ কেউই পাইনি। বিষয়টি ঘাট কর্তৃপক্ষ মৌখিকভাবে জানিয়েছে। কিন্তু তারা কোনো কাগজপত্র আমাকে দেয়নি। অফিশিয়ালি কোনো চিঠি পাইনি। তবে ঘাটে কোনো অনিয়ম হলে তা ক্ষতিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চলতি বছরের ১১ আগস্ট। যশোরের অভয়নগর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের সোনাচুনি বিলের মধ্যে একটি গাছের সঙ্গে গলায় কাপড় প্যাঁচানো অবস্থায় লিমন শেখ (২৫) নামের এক ভ্যানচালকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি উপজেলার বুইকারা গ্রামের কাসেম শেখের ছেলে। শারীরিক প্রতিবন্ধী হলেও তিনি ইঞ্জিনচালিত ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতেন।
৩৮ মিনিট আগেগাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। ৪৮টি পদ শূন্য থাকায় স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসকের ঢাকায় প্রেষণে থাকা এবং দুই মেডিকেল কর্মকর্তার দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিতি।
৪৩ মিনিট আগেকিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে অবরোধ এবং ১৪৪ ধারার মধ্যে খাগড়াছড়ির গুইমারায় গতকাল রোববার হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ১৩ সেনাসদস্য, সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। এ সময় আগুন দেওয়া হয়েছে একটি বাজারের দোকানপাটে।
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, ‘ভারত শেষ ট্রাম্পকার্ড খেলে পার্বত্য অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। একটা ঘটনার মধ্য দিয়ে তারা পাহাড়ি-বাঙালিদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। ভারত আমাদের এই পার্বত্য অঞ্চলকে কেড়ে নিতে চায়
৩ ঘণ্টা আগে