Ajker Patrika

চীনের শি জিং কুষ্টিয়ার কলেজছাত্রীর টানে এসে হলেন সোহান

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
চীনা যুবক শি জিং ও কুষ্টিয়ার মেয়ে বৃষ্টি। ছবি: আজকের পত্রিকা
চীনা যুবক শি জিং ও কুষ্টিয়ার মেয়ে বৃষ্টি। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাঁচ মাস আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শি জিং ইউ (২৮) নামের এক চীনা যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় কুষ্টিয়ার কলেজছাত্রী বৃষ্টির (২১)। পরে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই চীনা যুবক বাংলাদেশে এসে নিজ ধর্ম পরিবর্তন করে বৃষ্টিকে বিয়ে করেছেন। এখন তাঁর নাম সোহান আহাম্মেদ। ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার খাজানগর উত্তরপাড়া এলাকায়। বৃষ্টি ওই এলাকার মোতালেব মিস্ত্রির মেয়ে। তিনি সম্মান প্রথম বর্ষের ছাত্রী।

স্থানীয় ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান শি জিং ইউ। পরদিন রোববার সকালে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার খাজানগরে প্রেমিকা বৃষ্টির বাড়িতে পৌঁছান তিনি। ওই দিনই মুসলিম রীতিতে বিয়ে হয় তাঁদের। এর আগে আইন অনুযায়ী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন শি জিং। তাঁর নতুন নাম সোহান আহাম্মেদ।

জানা গেছে, শি জিং ইউ চায়নার হেনান অঞ্চলের শি লিং জাং ও জুয়ে চুন সুই দম্পতির ছেলে।

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খাজানগর উত্তরপাড়ার মোতালেব মিস্ত্রির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় উৎসুক মানুষের ভিড়। বিদেশি জামাইকে নিয়ে বেশ হাসিখুশি দেখা যায় পরিবারের সদস্যদের।

এ সময় বৃষ্টি বলেন, ‘পাঁচ মাস আগে ফেসবুকে শি জিং ইউয়ের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শি জিং ইউ বাংলাদেশে আসতে চাইলে আমি তাঁকে আসতে বলি। এরপর সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলে আমরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হই।’

চীনে তো ফেসবুক নিষিদ্ধ, তাহলে ফেসবুকে কীভাবে যোগাযোগ হলো, এমন প্রশ্নের জবাবে বৃষ্টি বলেন, ‘সেটা আমি জানি না। তবে তাঁর সঙ্গে আমার পরিচয় ফেসবুকে। যেহেতু আমি চায়না ভাষা বুঝি না, তাই ট্রান্সলেটর অ্যাপ ব্যবহার করতাম। তাঁর পরিবারের সঙ্গেও আমি কথা বলেছি। উভয় পরিবারের সম্মতিতে এই বিয়ে। এতে আমি ও আমার পরিবার খুশি। শি জিং ইউ তাঁর সঙ্গে আমাকে চায়না নিয়ে যেতে চেয়েছে।’

এ সময় ভয়েস ট্রান্সলেটের মাধ্যমে কথা হয় শি জিং ইউয়ের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মা-বাবা ও তিন ভাই মিলে তাঁদের পরিবারে পাঁচজন সদস্য। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়।

বৃষ্টির বাবা মোতালেব মিস্ত্রি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোববার মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। আমরা সবাই খুশি। ছেলের বিষয়ে আমার মেয়ে ও জামাইয়ের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। যতটুকু জানতে পেরেছি, জামাইরা তিন ভাই। জামাইও চাকরি করে। তার এক ভাই সেনাবাহিনীতে আছে। তা ছাড়া তার বাবার রেস্টুরেন্টের ব্যবসা আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত