কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জে এগারোসিন্দুর গোধূলি ট্রেনে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কটিয়াদী উপজেলার মানিকখালী স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ট্রেনের লোকোমোটিভ এল/এস উইন্ডো গ্লাস ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ট্রেনের গার্ড ব্রেকেও হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় ট্রেনের সহকারী লোকোমোটিভ মাস্টার মো. কাওছার হোসেনসহ ৮-১০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। ট্রেনের সহকারী লোকোমোটিভ মাস্টার মো. কাওছার হোসেন রোববার রাত ১১টা ৫৪ মিনিটে এ বিষয়ে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
সেই পোস্টে তিনি লিখেন, ‘আজ এগারোসিন্দুর গোধূলিতে (৭৪৯) কাজ করেছি। সরারচর-মানিকখালী সেকশনের মেলার স্থানে স্টপেজের কোনো কন্ট্রোল অর্ডার নেই। স্টেশন মাস্টারও জানান নি। মেলার স্থানে না দাঁড়ানোয় মানিকখালী স্টেশনে ট্রেন থামলে বৃষ্টির মতো পাথর মেরেছে একদল ছেলেপেলে। এলএম মো. মহসিন আলী ভাইয়ের কিছু হয়নি কিন্তু আমার হাত কেটে গেছে। নিজেদের জীবন রক্ষা করতে পেরেছি তাই মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। লোকোমোটিভের এল/এস উইন্ডো গ্লাস ও আর/এস লুকিং গ্লাস ভেঙে গেছে। হামলা শুধু লোকোমোটিভেই করে ক্ষান্ত হয়নি, আমির হোসেন ভাইয়ের গার্ড ব্রেকেও হামলা চালিয়েছে।’
ট্রেনের সহকারী লোকোমোটিভ মাস্টার মো. কাওছার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল রাতে মানিকখালী স্টেশনের খানিকটা আগে মণ্ডলভোগ নামে একটি এলাকায় একটি মেলায় যাওয়ার জন্য ভৈরব ও কুলিয়ারচর স্টেশন প্রায় দুই/তিন শ যাত্রী ওঠে। তাদের দাবি ছিল মণ্ডলভোগ এলাকায় ট্রেন থামানোর। কিন্তু স্টেশন থেকে কোনো নির্দেশনা না থাকায় ট্রেন থামে মানিকখালী স্টেশনে। ট্রেন থামার পরেই কিছু লোক নেমে যায় আর বাকিরা ট্রেনের চালকের রুমে এসে ভাঙচুর চালায়। আর ট্রেনের নিচে থাকা লোকজন বৃষ্টির মতো পাথর নিক্ষেপ করতে থাকেন। কোনো রকমে আমরা রক্ষা পাই। তিনি ট্রেনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কয়েকজন যাত্রীও আহত হয়েছেন। তবে নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।’
স্থানীয়রা বলছেন, ‘প্রতিবছর এই সময়ে রহমান শাহ ওরফে লেংটা পাগলার ওরশ শরিফ উপলক্ষে মেলা হয়। তিনি বেঁচে থাকাকালীন সময়েও এই মেলা হতো। এই সময়ে ওনার অনেক ভক্ত, আশেক মন্ডলভোগে আসেন। নরসিংদী, ভৈরব, কুলিয়ারচর, বাজিতপুর থেকে রাতে এই মেলায় হাজার হাজার মানুষ আসে। আমরা যত দূর জানি প্রতিবছরই মণ্ডলভোগ এলাকায় ট্রেন থামানো হয়। এবার কি কারণে ট্রেন থামেনি তা বলতে পারি না। ট্রেন না থামানোর কারণে নাকি উত্তেজিত জনতা ট্রেনে হামলা চালিয়েছে।’
স্থানীয় বাসিন্দারা আরও বলেন, ‘আমাদের এলাকার মানসম্মান রক্ষার্থে হামলাকারীদের প্রতিহত করেছি। হামলাকারীরা আমাদের এলাকার না। তারা বিভিন্ন এলাকার। রহমান শাহ ও আমাদের এলাকার সুনাম নষ্টের জন্যও দুষ্কৃতকারীরা এমন করতে পারে। রহমান শাহ আমাদের এলাকার জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। আমরা তাঁর বদনাম হতে দেব না। আমরা দাবি জানাই হামলাকারীদের চিহ্নিত করে অচিরেই আইনের আওতায় আনা হোক।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ট্রেন যাত্রী বলেন, ‘ট্রেনে যাতায়াতের সময় এর আগেও পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। আমরা যারা ট্রেনে যাত্রা করি তারা পাথর নিক্ষেপের ঘটনার শিকার হই। তবে গতকাল রোববার রাতে পাথর ছুড়েছে বৃষ্টির মতো। আমাদের ভাগ্য ভালো যে আমরা আঘাতপ্রাপ্ত হইনি। তবে আমাদের কয়েকজন সহযাত্রী আহত হয়েছেন। বছরের পর বছর ডাকাতি ও ট্রেনের ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যেও এ বর্বর কর্মকাণ্ড ঘটছে। অথচ কেউ যেন রেললাইনের ধারে কাছে না আসতে পারে, সে জন্য ১৪৪ ধারা বলবৎ আছে। ট্রেনে যাত্রা এখন আতঙ্কের আরেক নাম হয়ে গেছে। প্রশাসনের এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’
কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের একান্ত সচিব এম আর মামুন বলেন, ‘শুনেছি রহমান শাহ ওরফে লেংটা পাগলার ওরশ শরিফ উপলক্ষে যে মেলা হয় সে মেলায় আগত মানুষেরা নাকি এমনটা করেছে। তবে এ ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করা উচিত। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। আমাদের এমপি স্যারের এলাকায় কোনো ধরনের দুষ্কৃতকারীর স্থান নেই। হামলাকারীদের প্রতিহত করেছে এ এলাকার আপামর জনতা। আমরা এ ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের ধিক্কার জানাই।’
সমন্বয় সংস্থার সভাপতি এ এম ওবায়েদ বলেন, ‘রেলওয়ে আইনের ১২৭ ধারা অনুযায়ী, ট্রেনে পাথর ছোড়া হলে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান আছে। ৩০২ ধারা অনুযায়ী, পাথর নিক্ষেপে কারও মৃত্যু হলে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। তবে এসব আইনে কারও শাস্তি হয়েছে, এমন নজির নেই বললেই। এমন ঘটনা রোধে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তৎপর থাকলেও জড়িতদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তাই গতকাল রোববারের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। তাহলে ঘটনার পেছনের ঘটনা বেরিয়ে আসবে।’
কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ. কে. এম আমিনুল হক বলেন, রোববার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা করে এগারোসিন্দুর গোধূলি ট্রেনটি। কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার মানিকখালী এলাকার মন্ডলভোগে মেলা হয়। শুনেছি প্রতিবছরই নাকি মেলা উপলক্ষে ট্রেন এই জায়গায় থামানো হয়। রোববার রাতে ট্রেন মন্ডলভোগে পৌঁছালে ভৈবর, কুলিয়ারচর স্টেশন থেকে মন্ডলভোগের মেলায় আসা লোকজন ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করে। এতে ট্রেনটির সহকারী লোকোমোটিভ মাস্টারের হাত কেটে যায়। ট্রেনের লোকোমোটিভ এল/এস উইন্ডো গ্লাস ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া ট্রেনটির গার্ড ব্রেকেও হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দাখিল করেনি, তাই মামলা হয়নি। কাউকে আটকও করা যায়নি। তবে এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার ইউসুফ বলেন, আমি অসুস্থ। চিকিৎসার জন্য ঢাকায় এসেছি। ট্রেনে হামলার বিষয়ে শুনেছি। উৎসুক জনতা এ হামলা করেছে। আমরা তো ওভাবে কাউকে চিনিও না, জানিও না। বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেছি।
কিশোরগঞ্জে এগারোসিন্দুর গোধূলি ট্রেনে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কটিয়াদী উপজেলার মানিকখালী স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ট্রেনের লোকোমোটিভ এল/এস উইন্ডো গ্লাস ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ট্রেনের গার্ড ব্রেকেও হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় ট্রেনের সহকারী লোকোমোটিভ মাস্টার মো. কাওছার হোসেনসহ ৮-১০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। ট্রেনের সহকারী লোকোমোটিভ মাস্টার মো. কাওছার হোসেন রোববার রাত ১১টা ৫৪ মিনিটে এ বিষয়ে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
সেই পোস্টে তিনি লিখেন, ‘আজ এগারোসিন্দুর গোধূলিতে (৭৪৯) কাজ করেছি। সরারচর-মানিকখালী সেকশনের মেলার স্থানে স্টপেজের কোনো কন্ট্রোল অর্ডার নেই। স্টেশন মাস্টারও জানান নি। মেলার স্থানে না দাঁড়ানোয় মানিকখালী স্টেশনে ট্রেন থামলে বৃষ্টির মতো পাথর মেরেছে একদল ছেলেপেলে। এলএম মো. মহসিন আলী ভাইয়ের কিছু হয়নি কিন্তু আমার হাত কেটে গেছে। নিজেদের জীবন রক্ষা করতে পেরেছি তাই মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। লোকোমোটিভের এল/এস উইন্ডো গ্লাস ও আর/এস লুকিং গ্লাস ভেঙে গেছে। হামলা শুধু লোকোমোটিভেই করে ক্ষান্ত হয়নি, আমির হোসেন ভাইয়ের গার্ড ব্রেকেও হামলা চালিয়েছে।’
ট্রেনের সহকারী লোকোমোটিভ মাস্টার মো. কাওছার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল রাতে মানিকখালী স্টেশনের খানিকটা আগে মণ্ডলভোগ নামে একটি এলাকায় একটি মেলায় যাওয়ার জন্য ভৈরব ও কুলিয়ারচর স্টেশন প্রায় দুই/তিন শ যাত্রী ওঠে। তাদের দাবি ছিল মণ্ডলভোগ এলাকায় ট্রেন থামানোর। কিন্তু স্টেশন থেকে কোনো নির্দেশনা না থাকায় ট্রেন থামে মানিকখালী স্টেশনে। ট্রেন থামার পরেই কিছু লোক নেমে যায় আর বাকিরা ট্রেনের চালকের রুমে এসে ভাঙচুর চালায়। আর ট্রেনের নিচে থাকা লোকজন বৃষ্টির মতো পাথর নিক্ষেপ করতে থাকেন। কোনো রকমে আমরা রক্ষা পাই। তিনি ট্রেনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কয়েকজন যাত্রীও আহত হয়েছেন। তবে নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।’
স্থানীয়রা বলছেন, ‘প্রতিবছর এই সময়ে রহমান শাহ ওরফে লেংটা পাগলার ওরশ শরিফ উপলক্ষে মেলা হয়। তিনি বেঁচে থাকাকালীন সময়েও এই মেলা হতো। এই সময়ে ওনার অনেক ভক্ত, আশেক মন্ডলভোগে আসেন। নরসিংদী, ভৈরব, কুলিয়ারচর, বাজিতপুর থেকে রাতে এই মেলায় হাজার হাজার মানুষ আসে। আমরা যত দূর জানি প্রতিবছরই মণ্ডলভোগ এলাকায় ট্রেন থামানো হয়। এবার কি কারণে ট্রেন থামেনি তা বলতে পারি না। ট্রেন না থামানোর কারণে নাকি উত্তেজিত জনতা ট্রেনে হামলা চালিয়েছে।’
স্থানীয় বাসিন্দারা আরও বলেন, ‘আমাদের এলাকার মানসম্মান রক্ষার্থে হামলাকারীদের প্রতিহত করেছি। হামলাকারীরা আমাদের এলাকার না। তারা বিভিন্ন এলাকার। রহমান শাহ ও আমাদের এলাকার সুনাম নষ্টের জন্যও দুষ্কৃতকারীরা এমন করতে পারে। রহমান শাহ আমাদের এলাকার জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। আমরা তাঁর বদনাম হতে দেব না। আমরা দাবি জানাই হামলাকারীদের চিহ্নিত করে অচিরেই আইনের আওতায় আনা হোক।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ট্রেন যাত্রী বলেন, ‘ট্রেনে যাতায়াতের সময় এর আগেও পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। আমরা যারা ট্রেনে যাত্রা করি তারা পাথর নিক্ষেপের ঘটনার শিকার হই। তবে গতকাল রোববার রাতে পাথর ছুড়েছে বৃষ্টির মতো। আমাদের ভাগ্য ভালো যে আমরা আঘাতপ্রাপ্ত হইনি। তবে আমাদের কয়েকজন সহযাত্রী আহত হয়েছেন। বছরের পর বছর ডাকাতি ও ট্রেনের ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যেও এ বর্বর কর্মকাণ্ড ঘটছে। অথচ কেউ যেন রেললাইনের ধারে কাছে না আসতে পারে, সে জন্য ১৪৪ ধারা বলবৎ আছে। ট্রেনে যাত্রা এখন আতঙ্কের আরেক নাম হয়ে গেছে। প্রশাসনের এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’
কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের একান্ত সচিব এম আর মামুন বলেন, ‘শুনেছি রহমান শাহ ওরফে লেংটা পাগলার ওরশ শরিফ উপলক্ষে যে মেলা হয় সে মেলায় আগত মানুষেরা নাকি এমনটা করেছে। তবে এ ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করা উচিত। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। আমাদের এমপি স্যারের এলাকায় কোনো ধরনের দুষ্কৃতকারীর স্থান নেই। হামলাকারীদের প্রতিহত করেছে এ এলাকার আপামর জনতা। আমরা এ ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের ধিক্কার জানাই।’
সমন্বয় সংস্থার সভাপতি এ এম ওবায়েদ বলেন, ‘রেলওয়ে আইনের ১২৭ ধারা অনুযায়ী, ট্রেনে পাথর ছোড়া হলে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান আছে। ৩০২ ধারা অনুযায়ী, পাথর নিক্ষেপে কারও মৃত্যু হলে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। তবে এসব আইনে কারও শাস্তি হয়েছে, এমন নজির নেই বললেই। এমন ঘটনা রোধে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তৎপর থাকলেও জড়িতদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তাই গতকাল রোববারের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। তাহলে ঘটনার পেছনের ঘটনা বেরিয়ে আসবে।’
কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ. কে. এম আমিনুল হক বলেন, রোববার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা করে এগারোসিন্দুর গোধূলি ট্রেনটি। কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার মানিকখালী এলাকার মন্ডলভোগে মেলা হয়। শুনেছি প্রতিবছরই নাকি মেলা উপলক্ষে ট্রেন এই জায়গায় থামানো হয়। রোববার রাতে ট্রেন মন্ডলভোগে পৌঁছালে ভৈবর, কুলিয়ারচর স্টেশন থেকে মন্ডলভোগের মেলায় আসা লোকজন ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করে। এতে ট্রেনটির সহকারী লোকোমোটিভ মাস্টারের হাত কেটে যায়। ট্রেনের লোকোমোটিভ এল/এস উইন্ডো গ্লাস ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া ট্রেনটির গার্ড ব্রেকেও হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দাখিল করেনি, তাই মামলা হয়নি। কাউকে আটকও করা যায়নি। তবে এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার ইউসুফ বলেন, আমি অসুস্থ। চিকিৎসার জন্য ঢাকায় এসেছি। ট্রেনে হামলার বিষয়ে শুনেছি। উৎসুক জনতা এ হামলা করেছে। আমরা তো ওভাবে কাউকে চিনিও না, জানিও না। বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেছি।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার পৌরসভা এলাকায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাসাবাড়িতে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। এ জন্য ২৩ কোটি ৬৬ লাখ ২৩ হাজার ৪৬৬ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। পানি সরবরাহের জন্য ১৩৮ কিলোমিটার পাইপ ও ১০টি পাম্প হাউস স্থাপন করার কথা ছিল।
৪ ঘণ্টা আগেঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দরিদ্র কৃষক আজারুল ইসলাম। গত শনিবার স্ত্রী পান্না আক্তারের অস্ত্রোপচারের জন্য ওষুধসহ তাঁকে খরচ করতে হয়েছে প্রায় ৬ হাজার টাকা। অথচ এর আগেও একই ধরনের অপারেশনে একটি টাকাও খরচ করতে হয়নি। কারণ বিনা মূল্যের ওষুধ ও সরঞ্জাম পেতেন মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র থেকেই।
৪ ঘণ্টা আগেরাজধানীর তুরাগে মুখে মাস্ক পরে রাতের আঁধারে মশাল মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। তুরাগের ধউর এলাকায় মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মশাল মিছিল করা হয়। যার একটি ভিডিও ফুটেজ এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেবরিশাল সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় উপ-বন সংরক্ষক মো. কবির হোসেন পাটোয়ারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এই আদেশ দেয়। বরিশাল সামাজিক বন বিভাগের সদর রেঞ্জ অফিসার আরিফুর রহমান রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে