কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের একটি আখড়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে জেলা শহরের বত্রিশ এলাকার বড় বাজার মণিপুরঘাট রোডের শ্রী শ্রী জিউর আখড়ায় প্রতিমা ভাঙচুরের এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের এই আখড়াটিতে প্রথমবারের মতো প্রতিমা বানিয়ে পূজার আয়োজন করা হচ্ছে। রাতভর নিরাপত্তার কারণে কড়া পাহারায় আখড়ায় স্থানীয় গোপীনাথ সংঘ সংগঠনের ছেলেরা মন্দির পাহারায় ছিলেন। রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সংগঠনের পাঁচ সদস্য জেগেছিলেন। সাড়ে ৩টা থেকে ৫টা—এই সময়ের ভেতর দুর্বৃত্তরা প্রতিমা ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। মন্দিরের নিরাপত্তার স্বার্থে পূজা উপলক্ষে পুরো মন্দিরে সিসি ক্যামেরা গতকাল বুধবার লাগানোর কথা থাকলেও বৃষ্টির জন্য লাগানো হয়নি। এ ছাড়া সনাতন ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে নিরাপত্তার জন্য দুই মাস মন্দিরে মন্দিরে পাহারা দেওয়া হচ্ছে।
এলাকাবাসী ও আখড়ার লোকজন বলেন, পূজার বাকি আর মাত্র সাত দিন। ৫ আগস্টের পর থেকে কিশোরগঞ্জে রাতভর হিন্দু-মুসলিম মিলে শহরের সব মন্দির, আখড়া পাহারায় ছিল। দিনভর পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজন সারা দিন পাহারা দিয়ে সন্ধ্যার পর চলে যায়। রাতে বৃষ্টির সময়ও প্রতিমা পাহারা দেওয়া হয়েছে। ভোরে কে বা কারা প্রতিমা ভাঙচুর করেছে কেউ বলতে পারছে না।
গোপীনাথ সংঘ ও গোপীনাথ মন্দির পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি লিটন সরকার বলেন, ‘প্রথমবারের মতো আমরা এলাকার সবাই মিলে পূজার আয়োজন করেছি। আমাদের ভেতরে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এর আগে কোনো দিন এমন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। এই অসাম্প্রদায়িক শহরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা যারা করার চেষ্টা করছে, তাদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। আমরা পুলিশ প্রশাসন ও বর্তমান সরকারের কাছে বলতে চাই, আমরা বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমরা এই দেশের নাগরিক। তাহলে কেন আমার মন্দির পাহারা দিতে হয়?’
গোপীনাথ সংঘের সদস্য অপু কান্তি রায় বলেন, ‘৪টা পর্যন্ত আমি মন্দির পাহারায় ছিলাম। ভোরে বৃষ্টি নামার পর ঘুমিয়ে পড়ি। রচনা ঘরে আমরা পাঁচজন ঘুমিয়েছিলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে পিন্টু সাহা দেখতে পায় আমাদের মায়ের মূর্তি ভাঙা। ফোনে জানানোর পর আমরা মন্দিরে ছুটে যাই। আমরা মূর্তিসহ আমাদের জীবনের নিরাপত্তা চাই।’
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সজীব কুমার সাহা বলেন, ‘মন্দিরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। একটি টিম প্রতিদিন পাহারায় থাকে। গতকাল পাঁচজন এই মন্দিরে প্রতিমা পাহারা দিয়েছে। বৃষ্টির সময় ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। জেলার প্রশাসন ও পুলিশের কড়া নিরাপত্তার ভেতর দিয়ে এসব করা হয়েছে। আমরা কাউকেই সন্দেহ করছি না বা এখনো কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি যে কারা মূর্তি ভাঙচুর করেছে। আমরা শহরের হিন্দু সম্প্রদায়ের সবাই প্রতিবাদ মিছিলের উদ্যোগ নিয়েছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এ বিষয় নিয়ে আমার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসেছি। দুষ্কৃতকারী যে-ই হোক, আমরা তাদের আইনের আওতায় আনব। এ বিষয় নিয়ে কাজ করছি।’
কিশোরগঞ্জের একটি আখড়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে জেলা শহরের বত্রিশ এলাকার বড় বাজার মণিপুরঘাট রোডের শ্রী শ্রী জিউর আখড়ায় প্রতিমা ভাঙচুরের এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের এই আখড়াটিতে প্রথমবারের মতো প্রতিমা বানিয়ে পূজার আয়োজন করা হচ্ছে। রাতভর নিরাপত্তার কারণে কড়া পাহারায় আখড়ায় স্থানীয় গোপীনাথ সংঘ সংগঠনের ছেলেরা মন্দির পাহারায় ছিলেন। রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সংগঠনের পাঁচ সদস্য জেগেছিলেন। সাড়ে ৩টা থেকে ৫টা—এই সময়ের ভেতর দুর্বৃত্তরা প্রতিমা ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। মন্দিরের নিরাপত্তার স্বার্থে পূজা উপলক্ষে পুরো মন্দিরে সিসি ক্যামেরা গতকাল বুধবার লাগানোর কথা থাকলেও বৃষ্টির জন্য লাগানো হয়নি। এ ছাড়া সনাতন ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে নিরাপত্তার জন্য দুই মাস মন্দিরে মন্দিরে পাহারা দেওয়া হচ্ছে।
এলাকাবাসী ও আখড়ার লোকজন বলেন, পূজার বাকি আর মাত্র সাত দিন। ৫ আগস্টের পর থেকে কিশোরগঞ্জে রাতভর হিন্দু-মুসলিম মিলে শহরের সব মন্দির, আখড়া পাহারায় ছিল। দিনভর পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজন সারা দিন পাহারা দিয়ে সন্ধ্যার পর চলে যায়। রাতে বৃষ্টির সময়ও প্রতিমা পাহারা দেওয়া হয়েছে। ভোরে কে বা কারা প্রতিমা ভাঙচুর করেছে কেউ বলতে পারছে না।
গোপীনাথ সংঘ ও গোপীনাথ মন্দির পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি লিটন সরকার বলেন, ‘প্রথমবারের মতো আমরা এলাকার সবাই মিলে পূজার আয়োজন করেছি। আমাদের ভেতরে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এর আগে কোনো দিন এমন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। এই অসাম্প্রদায়িক শহরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা যারা করার চেষ্টা করছে, তাদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। আমরা পুলিশ প্রশাসন ও বর্তমান সরকারের কাছে বলতে চাই, আমরা বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমরা এই দেশের নাগরিক। তাহলে কেন আমার মন্দির পাহারা দিতে হয়?’
গোপীনাথ সংঘের সদস্য অপু কান্তি রায় বলেন, ‘৪টা পর্যন্ত আমি মন্দির পাহারায় ছিলাম। ভোরে বৃষ্টি নামার পর ঘুমিয়ে পড়ি। রচনা ঘরে আমরা পাঁচজন ঘুমিয়েছিলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে পিন্টু সাহা দেখতে পায় আমাদের মায়ের মূর্তি ভাঙা। ফোনে জানানোর পর আমরা মন্দিরে ছুটে যাই। আমরা মূর্তিসহ আমাদের জীবনের নিরাপত্তা চাই।’
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সজীব কুমার সাহা বলেন, ‘মন্দিরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। একটি টিম প্রতিদিন পাহারায় থাকে। গতকাল পাঁচজন এই মন্দিরে প্রতিমা পাহারা দিয়েছে। বৃষ্টির সময় ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। জেলার প্রশাসন ও পুলিশের কড়া নিরাপত্তার ভেতর দিয়ে এসব করা হয়েছে। আমরা কাউকেই সন্দেহ করছি না বা এখনো কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি যে কারা মূর্তি ভাঙচুর করেছে। আমরা শহরের হিন্দু সম্প্রদায়ের সবাই প্রতিবাদ মিছিলের উদ্যোগ নিয়েছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এ বিষয় নিয়ে আমার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসেছি। দুষ্কৃতকারী যে-ই হোক, আমরা তাদের আইনের আওতায় আনব। এ বিষয় নিয়ে কাজ করছি।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নাটোর থেকে ফের দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এবার বাস বন্ধ করে দিয়েছেন খোদ মালিকেরাই। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বজলুর রহমান রতন।
৪ মিনিট আগেএকপর্যায়ে চালক পেছনের দুই যাত্রীকে ‘বস বস’ বলে কী যেন বলতে থাকেন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘের বাজার পার হওয়ার পর তাঁর সঙ্গে থাকা দুই যাত্রী হঠাৎ মোকসেদ আলীর চোখ ও হাত-পা বেঁধে ফেলেন। তখন তিনি বুঝতে পারেন, তাঁর সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীরা আদতে অপহরণকারী চক্রের সদস্য।
২৭ মিনিট আগেনওগাঁ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সামসুল হককে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) উপসচিব তানিয়া ফেরদৌস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
৩২ মিনিট আগেপটুয়াখালীর বাউফলে একটি সরকারি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিপুলসংখ্যক নতুন ও পুরোনো পাঠ্যবই বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় শিক্ষার্থীরা বইগুলো উদ্ধার করে স্কুলে জমা দিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে