কিশোরগঞ্জে শনাক্ত ১০ হাজার ছাড়িয়েছে, মৃত্যু ১৭৫ 

কিশোরগঞ্জে ১০ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১৭৫ জন। গতকাল শুক্রবার রাতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে, জেলায় ৭৭ হাজার ৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত ১৩ উপজেলার মধ্যে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুতে কিশোরগঞ্জ সদর শীর্ষে রয়েছে। এ পর্যন্ত সদর উপজেলায় ২৬ হাজার ৭৯০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪ হাজার ৩১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। অন্য ১২ উপজেলার মধ্যে ভৈরবে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯১৮ জন, হোসেনপুরে ৩৬৯ জন, করিমগঞ্জে ৩৫২ জন, তাড়াইলে ২৮১ জন, পাকুন্দিয়ায় ৫৮২ জন, কটিয়াদিতে ৮৯২ জন, কুলিয়ারচরে ৩৯৬ জন, নিকলীতে ১৩৭ জন, বাজিতপুরে ৬৭২ জন, ইটনায় ৯৬ জন, মিটামইনে ১৯৬ জন ও অষ্টগ্রামে ১০৩ জন। 

জেলায় করোনায় মোট মৃত্যু ১৭৫ জনের মধ্যে সদর উপজেলার সর্বোচ্চ ৬২ জন রয়েছেন। বাকি ১২ উপজেলার মধ্যে ভৈরবে ৩৪ জন, হোসেনপুরে ৮ জন, করিমগঞ্জে ৯ জন, তাড়াইলে ৫ জন, পাকুন্দিয়ায় ১১ জন, কটিয়াদিতে ১৫ জন, কুলিয়ারচরে ৭ জন, নিকলীতে ৭ জন, বাজিতপুরে ১৫ জন, ইটনায় ১ জন ও মিটামইনে ১ জন রয়েছেন। জেলার একমাত্র অষ্টগ্রাম উপজেলায় এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যাননি। 
 
গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৫৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১২৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৪ জন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে জেলার একমাত্র করোনা ডেডিকেটেড সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৪ জন। জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান শুক্রবার (৬ আগস্ট) রাত ১১টায় আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। 

জেলার সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান বলেন, কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে বর্তমানে আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া মোট রোগীর সংখ্যা ১৯৮ জন। তাঁদের মধ্যে ১০ জন আইসিইউতে রয়েছেন। 

বর্তমানে জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে ৬৩ জন হাসপাতালে ও ২ হাজার ৯৮৮ জন হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। 

আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় সর্বোচ্চ ৯৩২ জন, হোসেনপুরে ২২৭ জন, করিমগঞ্জে ৬৬ জন, তাড়াইলে ৪৬ জন, পাকুন্দিয়ায় ২৮১ জন, কটিয়াদীতে ৪৮৪ জন, কুলিয়ারচরে ৬৭ জন, ভৈরবে ৫৮১ জন, নিকলীতে ৪৯ জন, বাজিতপুরে ১৯৭ জন, ইটনায় ৩০ জন, মিটামইনে ৩২ জন ও অষ্টগ্রামে ৫৯ জন রয়েছেন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৪ জন।