সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’র শঙ্কা কেটে গেছে। তবে এবার উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার নদীতীরবর্তী মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে বেড়িবাঁধ ভাঙন-আতঙ্ক। তাঁরা জানান, ইতিমধ্যে কপোতাক্ষ নদ ও খোলপেটুয়া নদীর দুটি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। জেলায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে কমপক্ষে ২১টি পয়েন্টের বেড়িবাঁধ।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, তাদের অধীনে ৮০২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ আছে। এর মধ্যে ২১টি পয়েন্টে ৩৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে শ্যামনগর, আশাশুনি ও দেবহাটা উপজেলার গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী, আটুলিয়া, কাশিমারী, পদ্মপুকুর, মুন্সিগঞ্জ, রমজাননগর, কৈখালী, কুড়িকাহুনিয়া, হরিষখালী, বন্যতলা, দরগাহপুর ও দেবহাটা।
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি খোলপেটুয়া নদীর বিছট পয়েন্ট ও কপোতাক্ষ নদের দরগাহপুর পয়েন্টে আকস্মিক বেড়িবাঁধ ভাঙনে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁরা। বেড়িবাঁধগুলোতে নামকাওয়াস্তে সংস্কারকাজ করা হয়। তবে বছর ঘুরতে না ঘুরতে একই অবস্থা বিরাজ করে। তাঁরা টেকসই বেড়িবাঁধের দাবি জানান। এ প্রসঙ্গে আশাশুনির বিছট গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হামিদ জানান, গত ঈদের দিন বিছট এলাকায় খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে আনুলিয়া ইউনিয়নের ৭টি গ্রাম তলিয়ে যায়। পরে তা সংস্কার করা হলেও বর্তমানে বিছট গাজীবাড়ি, সরদারবাড়ি ও মোড়লবাড়ি এলাকা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
পাউবো বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান তাজকিয়া বলেন, ‘সম্প্রতি বিছট ভাঙনের পর সরকার ১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। ১৫টি পয়েন্টে সংস্কারকাজ চলমান। এ ছাড়া সরকার ২০ হাজার জিও ব্যাগ দিয়েছে। যেকোনো জায়গায় বেড়িবাঁধ ভেঙে গেলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে পারব।’
প্রতাপনগর এলাকার মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘খোলপেটুয়া ও কপোতাক্ষ নদের দুই তীরেই প্রতাপনগর ইউনিয়ন। বন্যতলা, হরিষখালী, কুড়িকাহুনিয়াসহ বিভিন্ন পয়েন্ট ব্যাপক ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। যদি টেকসই বেড়িবাঁধ না করা হয়, তাহলে সব সময় আমরা ঝুঁকির মধ্যে থাকব।’
শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, বুড়িগোয়ালিনীর দুর্গাবাটি ও দাতিনাখালীর ৩ জায়গায় বাঁধের অবস্থা ভালো নয়। জলোচ্ছ্বাস হলে যেকোনো সময় বাঁধ ভেঙে যেতে পারে। গত আম্ফানে ৩ জায়গাতেই ভেঙেছিল। পরে তা যেনতেনভাবে সংস্কার করা হয়।
পাউবো বিভাগ-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দীন বলেন, ‘আমাদের অধীনে ৩৮০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ১০ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আমাদের কাছে ৭৫টি জিও টিউব রয়েছে। এ ছাড়া ৭৫ হাজার জিও ব্যাগ রয়েছে। সংকটকালে আমরা তা কাজে লাগাতে পারব।’
ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’র শঙ্কা কেটে গেছে। তবে এবার উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার নদীতীরবর্তী মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে বেড়িবাঁধ ভাঙন-আতঙ্ক। তাঁরা জানান, ইতিমধ্যে কপোতাক্ষ নদ ও খোলপেটুয়া নদীর দুটি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। জেলায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে কমপক্ষে ২১টি পয়েন্টের বেড়িবাঁধ।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, তাদের অধীনে ৮০২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ আছে। এর মধ্যে ২১টি পয়েন্টে ৩৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে শ্যামনগর, আশাশুনি ও দেবহাটা উপজেলার গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী, আটুলিয়া, কাশিমারী, পদ্মপুকুর, মুন্সিগঞ্জ, রমজাননগর, কৈখালী, কুড়িকাহুনিয়া, হরিষখালী, বন্যতলা, দরগাহপুর ও দেবহাটা।
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি খোলপেটুয়া নদীর বিছট পয়েন্ট ও কপোতাক্ষ নদের দরগাহপুর পয়েন্টে আকস্মিক বেড়িবাঁধ ভাঙনে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁরা। বেড়িবাঁধগুলোতে নামকাওয়াস্তে সংস্কারকাজ করা হয়। তবে বছর ঘুরতে না ঘুরতে একই অবস্থা বিরাজ করে। তাঁরা টেকসই বেড়িবাঁধের দাবি জানান। এ প্রসঙ্গে আশাশুনির বিছট গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হামিদ জানান, গত ঈদের দিন বিছট এলাকায় খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে আনুলিয়া ইউনিয়নের ৭টি গ্রাম তলিয়ে যায়। পরে তা সংস্কার করা হলেও বর্তমানে বিছট গাজীবাড়ি, সরদারবাড়ি ও মোড়লবাড়ি এলাকা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
পাউবো বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান তাজকিয়া বলেন, ‘সম্প্রতি বিছট ভাঙনের পর সরকার ১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। ১৫টি পয়েন্টে সংস্কারকাজ চলমান। এ ছাড়া সরকার ২০ হাজার জিও ব্যাগ দিয়েছে। যেকোনো জায়গায় বেড়িবাঁধ ভেঙে গেলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে পারব।’
প্রতাপনগর এলাকার মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘খোলপেটুয়া ও কপোতাক্ষ নদের দুই তীরেই প্রতাপনগর ইউনিয়ন। বন্যতলা, হরিষখালী, কুড়িকাহুনিয়াসহ বিভিন্ন পয়েন্ট ব্যাপক ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। যদি টেকসই বেড়িবাঁধ না করা হয়, তাহলে সব সময় আমরা ঝুঁকির মধ্যে থাকব।’
শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, বুড়িগোয়ালিনীর দুর্গাবাটি ও দাতিনাখালীর ৩ জায়গায় বাঁধের অবস্থা ভালো নয়। জলোচ্ছ্বাস হলে যেকোনো সময় বাঁধ ভেঙে যেতে পারে। গত আম্ফানে ৩ জায়গাতেই ভেঙেছিল। পরে তা যেনতেনভাবে সংস্কার করা হয়।
পাউবো বিভাগ-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দীন বলেন, ‘আমাদের অধীনে ৩৮০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ১০ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আমাদের কাছে ৭৫টি জিও টিউব রয়েছে। এ ছাড়া ৭৫ হাজার জিও ব্যাগ রয়েছে। সংকটকালে আমরা তা কাজে লাগাতে পারব।’
গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে নোয়াখালীর আটটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। অব্যাহত বৃষ্টি ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ডুবে যায় জেলার বিভিন্ন সড়ক, মহল্লা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলার ১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেই জলাবদ্ধতা এখনো রয়ে গেছে। এক মাসের বেশি এই জলাবদ্ধতায়
২৪ মিনিট আগেসরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে যে ঠিকাদার সর্বনিম্ন দরে মালপত্র সরবরাহ করবেন, তাকেই কাজ দেওয়ার কথা। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে রাজশাহী আঞ্চলিক দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারে। এখানে সর্বনিম্ন নয়, যাঁরা সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন—তাঁদেরই কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের প্রায় ৯২ লাখ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে।
২৯ মিনিট আগেবিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) নিয়োগ-বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সম্প্রতি কারাগারে যেতে হয়েছে সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তারকে। তবে এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি গত পাঁচ মাসেও কাজ
৩৪ মিনিট আগেউড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে দেশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ার মুরাদপুর গ্রামে। এই গ্রাম, উপজেলা, এমনকি পাশের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও তাঁরা টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন ব্যবসার নামে।
১ ঘণ্টা আগে