Ajker Patrika

মণিরামপুরে এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিমন্ত্রী স্বপনের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ 

যশোর প্রতিনিধি
মণিরামপুরে এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিমন্ত্রী স্বপনের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ 

যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনে নৌকার প্রতীকের প্রার্থী ও স্থানীয় সরকার পল্লি ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাছান আলীর বিরুদ্ধে। এই আসনে ওই ভূমি কর্মকর্তা প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশমতো কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেছেন এক স্বতন্ত্র প্রার্থী।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াকুব আলী। এই সঙ্গে প্রতিমন্ত্রী স্বপনের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারণায় তার কর্মীদের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগও করেন তিনি।

তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী স্বপন ভট্টাচার্য্যের দাবি, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এসব অভিযোগ।

স্বপন ভট্টাচার্য্য যশোর-৫ আসনের টানা দুইবারের সংসদ সদস্য ও স্থানীয় সরকার পল্লি ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াকুব আলী জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি।

সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জানান, নির্বাচনী প্রচারণা জমে উঠতে না উঠতে প্রতিদিনই যশোর-৫ আসন (মণিরামপুর) বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে একের পর এক হামলার ঘটনা। নৌকার সমর্থকেরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর এ হামলা করছেন। গত চার দিনে ছয়টি ঘটনায় ইয়াকুব আলীর অন্তত ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।

সর্বশেষ বুধবার রাতে উপজেলার কাশিমপুর এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াকুব আলীর গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়। হামলার সময় একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে কয়েকটি মোটরসাইকেল ও গাড়ি। আহত হয়েছেন ৮ জন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াকুব আলী দাবি বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণা শেষে সমর্থকদের নিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। একপর্যায়ে গাড়িবহর কাশিমপুর এলাকায় পৌঁছালে বর্তমান সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্যের ছেলে সুপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা গাড়িবহরে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা বহরে থাকা ৬টি মোটরসাইকেল, দুটি মাইক্রোবাস ও আমার গাড়ি ভাঙচুর করে। এর আগে উপজেলার মদনপুর, রোহিতা, কুয়াদা এলাকায় একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন স্বপন ভট্টাচার্যের ছেলে সুপ্রিয় ভট্টাচার্য ও তাঁর ভাগনে যুবলীগের আহ্বায়ক উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু।’

স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াকুব আলী আরও বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান আওয়ামী লীগ নেতা জিএম মজিদসহ বেশ কয়েকজনকে প্রকাশ্যে বিভিন্ন সমাবেশে নৌকার কর্মীরা হুমকি দিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। এ ছাড়া নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলার নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন চরমপন্থীদের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা সবাই নৌকার প্রতীকের পক্ষে কাজ করছেন।’ 
 
ইয়াকুব আলী বলেন, ‘প্রতিটি জায়গায় হামলার শিকার হলে ঘটনাস্থলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাসান আলী উপস্থিত হচ্ছেন। সেখানে গিয়ে নৌকার সমার্থকদের জরিমানা না করে উল্টো যারা মার খাচ্ছে তাদেরকেই জরিমানা করছেন। ইতিমধ্যে তিনি আমার একাধিক নেতা-কর্মীকে জরিমানা করেছেন, এবং সেগুলো উদ্দেশ্যমূলক।’

নির্বাচনের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাসান আলী দায়িত্বে থাকলে এখানে সুষ্ঠু ভোট হবে না বলে দাবি করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াকুব আলী। একই সঙ্গে তিনি এসিল্যান্ডকে প্রত্যাহারের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে অবাধ, সুষ্ঠু ভোটগ্রহণের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপর বৃদ্ধির করার আহ্বান জানানো হয়।

এ দিকে অভিযোগের বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাসান আলী বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগ মনগড়া। যারা আচরণ বিধি লঙ্ঘন করছে, তাদেরকেই জরিমানা করা হয়েছে। সেটা কোন দল, সেটা বিবেচ্য বিষয় না। তার অভিযোগ মিথ্যা।’

এই বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এসব অভিযোগ। আমার বিরুদ্ধে ৫-৬টি বিভিন্ন অভিযোগ দিয়েছে।’

নির্বাচনে ছোট খাটো বিষয় নিয়ে কর্মীদের ঝামেলা হয় দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্বতন্ত্র প্রার্থী অরাজনৈতিক লোক। আর আমি সুপ্রতিষ্ঠিত দল ঐতিহ্যবাহী দলের প্রার্থী। আমার কোনো বাহিনী নেই যে তার কর্মীদের মারধর ভাঙচুর করবে। ওনার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’

এ বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদারের মোবাইল ফোনে কয়েক দফায় যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেনি।

তবে সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা আনিচুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। এখন পর্যন্ত কয়েকটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াকুব আলী মৌখিকভাবে নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছেন। এই বিষয়টি নিয়ে ওই প্রার্থীসহ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে বসার কথা রয়েছে।’

প্রসঙ্গত, যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত বর্তমান সংসদ সদস্য প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াকুব আলী ছাড়াও প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূল বিএনপির আবু নসর মোহাম্মদ মোস্তফা, ইসলামী ঐক্যজোটের হাফেজ মাওলানা নুরুল্লাহ আব্বাসী ও জাতীয় পার্টির এমএ হালিম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কিশোরকে বাসা থেকে নিয়ে নির্যাতনের পর ফেলে যায় রাস্তায়, হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু

ঢামেক প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মীরহাজীরবাগে চোর সন্দেহে নির্যাতনের শিকার কিশোর বাপ্পি (১৫) মারা গেছে। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে বাসা থেকে তুলে নিয়ে তার মারধর করা হয়। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় তাকে রাস্তায় ফেলে রেখে গেলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ খবর পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠিয়েছে।

বাপ্পি বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার কদমতলা গ্রামের মো. শাহজাহানের ছেলে। তার বাবা রিকশাচালক এবং মা পারুল বেগম একটি কারখানায় কাজ করেন। বাপ্পিও মায়ের সঙ্গে একই কারখানায় কাজ করত। সে ধোলাইপাড় এলাকার প্রেমগলিতে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকত।

বাপ্পির বড় ভাই মো. পারভেজ জানান, গত মঙ্গলবার আনুমানিক দিবাগত রাত ২টার দিকে একই এলাকার কাপশি রাসেল, মোল্লা শুভ এবং শাকিব তাঁদের বাসায় আসে। তারা অভিযোগ করে, বাপ্পি মীরহাজীরবাগের একটি বাসা থেকে জানালা দিয়ে টাকা ও বিদ্যুতের প্রিপেইড কার্ড চুরি করেছে। এরপর তাকে জোর করে ধরে নিয়ে মীরহাজীরবাগের আবু হাজী মসজিদ গলির একটি বাসার নিচতলার ‘ক্লাব ঘরে’ আটকে রাখা হয়।

পারভেজ আরও বলেন, সেখানে বাপ্পিকে রাতভর পেটানো হয়। বুধবার সকাল ৬টার দিকে চুরির টাকা ও মালামাল বের করে দেওয়ার কথা বলে বাপ্পিকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। কিন্তু কিছু না পেয়ে তারা আবার বাপ্পিকে নিয়ে যায়। বাপ্পিকে ছাড়াতে তার মা পিছু পিছু গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়। সারা দিন নির্যাতনের পর বাপ্পি যখন নিস্তেজ হয়ে পড়ে, তখন সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে তাকে মীরহাজীরবাগের বড়বাড়ি প্রথম গেটের সামনের রাস্তায় ফেলে রেখে যায় অভিযুক্তরা। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথেই বাপ্পি মারা যায়।

ঢামেক মর্গে বাপ্পির বাবা মো. শাহজাহান আকুল আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘আমার ছেলে যদি কোনো অপরাধ করেও থাকে, তাহলে মারধর করার পর পুলিশের কাছে তুলে দিত। এইভাবে নির্যাতন করে মেরে ফেলল কেন? আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’

যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুজ্জামান জুয়েল প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে জানান, চোর সন্দেহে বাপ্পি নামে ওই কিশোরকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের ফলেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

এসআই জুয়েল নিশ্চিত করেন, বাপ্পির মা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। অভিযুক্তদের মধ্যে যার বাসায় চুরির সন্দেহে বাপ্পিকে ডেকে নেওয়া হয়েছিল, সেই ফৌজিয়া রওশন আক্তার প্রীতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি ৫-৬ জন আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সুন্দরগঞ্জে নাশকতার মামলায় প্রধান শিক্ষকসহ গ্রেপ্তার ২

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি 
সুন্দরগঞ্জ থানা। ছবি : সংগৃহীত
সুন্দরগঞ্জ থানা। ছবি : সংগৃহীত

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে নাশকতার মামলায় স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ (ভারপ্রাপ্ত) দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা-পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হাকিম আজাদ।

গ্রেপ্তার করা প্রধান শিক্ষক হলেন মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন দোলন। তিনি সীচা উচ্চবিদ্যালয়ে কর্মরত। তিনি চন্ডিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সীচা গ্রামের মৃত আবদুর রহমানের ছেলে। গ্রেপ্তার আরেকজন হলেন হরিপুর ইউনিয়নের চরিতাবাড়ী গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে মো. বাদশা মিয়া (৫৫)। তিনি হরিপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

ওসি আবদুল হাকিম আজাদ বলেন, গতকাল বুধবার রাতে বিভিন্ন এলাকায় আলাদা আলাদা অভিযান চালিয়ে পুলিশ এই দুজনকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নাশকতা ঠেকাতে এই অভিযান অব্যাহত আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুলনা সাবরেজিস্ট্রি অফিসে পেট্রলবোমা হামলা

খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের বাউন্ডারিতে পেট্রলবোমা হামলার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
খুলনা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের বাউন্ডারিতে পেট্রলবোমা হামলার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনা সদর সাবরেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সেরেস্তায় পেট্রলবোমা হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে এই নাশকতার ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকটি চেয়ার-টেবিল পুড়ে গেছে। ঘটনার পরপরই টুটপাড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ ঘটনস্থল পরিদর্শন করেছে।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সাবরেজিস্ট্রি অফিসের নিরাপত্তাপ্রহরী ওয়াহিদুর রহমান নান্নু জানান, দলিল লেখকদের সেরেস্তায় আগুন লেগে চেয়ার-টেবিল পুড়ে গেছে। দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন না নেভালে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা ছিল।

এ সময় তিনি হামলায় ব্যবহৃত দুটি বোতল দেখিয়ে বলেন, হামলাকারীরা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের পেছনের গ্রিল দিয়ে ভেতরে পেট্রলবোমা দুটি নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়।

খুলনা সদর থানার ওসি তদন্ত আব্দুল হাই জানান, নাশকতার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নোয়াখালীতে সড়কে ছাত্রলীগের আগুন, আটক ১২

নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে তল্লাশিচৌকি বসিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
নোয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে তল্লাশিচৌকি বসিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের অনলাইনে ডাকা কর্মসূচিকে ঘিরে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির পরিকল্পনার অভিযোগে নোয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে পুলিশ। এ সময় আওয়ামী লীগের ৪ নেতাসহ ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছে সেনবাগের ছাতারপাইয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য ইব্রাহিম খলিল (৩৮), কবিরহাট উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য শহীদুল ইসলাম (৪৫), আওয়ামী লীগ কর্মী রফিকুজ্জামান মাসুদ রানা (৪৩) ও শোয়েব হোসেন সোহরাবসহ (৩৪) ১২ জন। আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. ইব্রাহিম।

এদিকে কর্মসূচি বাস্তবায়নে বুধবার গভীর রাতে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী টাউন হল মোড়ে সড়কের ওপর আগুন দেন পৌরসভা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান তাঁরা।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের আজকের কর্মসূচির প্রতিবাদে রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সভা ও মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করেছেন বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, জামায়াত, শিবির ও এনসিপির নেতা-কর্মীরা। আওয়ামী লীগের অনলাইনে ডাকা কর্মসূচি প্রতিহত করতে সকলকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান বক্তারা।

এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে তল্লাশিচৌকি বসিয়ে যানবাহন ও সন্দেহজনক গতিবিধির লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত