যশোর প্রতিনিধি

৮৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করেছে যশোর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। এতে স্বামী-স্ত্রী মিলে ওই টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযুক্ত কর্মকর্তা হলেন, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির উপ-ব্যবস্থাপক মো. রিয়াজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মনিকা রেজা।
রিয়াজুল ইসলাম নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শামুকখোলা (দক্ষিণপাড়া) গ্রামের কাজী নূর জলিলের ছেলে। তিনি বর্তমানে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ কার্যালয়ে কর্মরত।
মামলার বাদী ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আল-আমিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, রিয়াজুল ইসলাম চাকরিজীবী ও তার স্ত্রী মনিকা রেজা গৃহিণী। তারা ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ পন্থায় সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অনুসন্ধানে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। রিয়াজুল ইসলামের ৩৯ লাখ ৯২ হাজার ৪০২ টাকার ও মনিকা রেজার ৪৫ লাখ ২৫ হাজার ২০৯ টাকার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ রয়েছে। অর্থাৎ দু’জনের অসংগতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ ৮৫ লাখ ১৭ হাজার ৬১১ টাকা।
অভিযোগে আরও জানা গেছে, রিয়াজুল ইসলাম ২০১৬ সালের ১০ এপ্রিল তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিতে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দেন এবং বর্তমানে উপ-ব্যবস্থাপক পদে জোনাল বিক্রয় অফিস (জোবিঅ), সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জে কর্মরত আছেন। তার বিরুদ্ধে আনীত জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধানকালে দেখা যায়, রিয়াজুল নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলায় ২০ লাখ ৪৩ হাজার ৭৬৯ টাকার সম্পত্তি ক্রয় করেছেন। এ ছাড়া ব্যাংকে তার অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৩৮ লাখ ৫১ হাজার ৬২০ টাকা। তার নামে অর্জিত স্থাবর-অস্থাবরসহ মোট সম্পদের পরিমাণ ৫৮ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮৯ টাকা। তার মোট পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় পাওয়া যায় ৩১ লাখ ৯০ হাজার ৮৭০ টাকা। পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয়সহ তার মোট অর্জিত সম্পদের মূল্য ৯০ লাখ ৮৬ হাজার ২৫৯ টাকা। বেতন বিবরণী ও আয়কর নথি অনুযায়ী তার মোট গ্রহণযোগ্য আয় ৫০ লাখ ৯৩ হাজার ৮৫৭ টাকা। সে মোতাবেক তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ ৩৯ লাখ ৯২ হাজার ৪০২ টাকা।
অপরদিকে রিয়াজুল ইসলামের স্ত্রী মনিকা রেজার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি গৃহিণী হওয়া সত্ত্বেও জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৪৫ লাখ ২৫ হাজার ২০৯ টাকার সম্পদ রয়েছে। তিনি এই সম্পদ নিজ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় এবং তার স্বামী রিয়াজুল ইসলাম ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ দিয়ে তার স্ত্রী মনিকা রেজাকে ওই সম্পদ অর্জনে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, মনিকা রেজা ২০১৮ সালে রিয়াজুল ইসলামের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি একজন গৃহিণী। তার নিজের কোন বৈধ আয় নেই। তিনি ২০২০-২০২১ করবর্ষ হতে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন। মনিকা রেজা একজন গৃহিণী হয়েও দাখিলকৃত আয়কর রিটার্নে টেইলারিংয়ের ব্যবসা বাবদ আয় প্রদর্শন করেছেন। দাখিলকৃত আয়কর রিটার্ন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০২০-২০২১, ২০২১-২০২২ ও ২০২২-২০২৩ কর বর্ষসমূহে তিনি ব্যবসা খাত হতে মোট ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ৯৮৩ টাকা আয় করেছেন।
সরেজমিনে তার কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া তিনি ২০২০-২০২১ করবর্ষে ব্যবসা বহির্ভূত নগদ অর্থ বাবদ ৩০ লাখ ২৩ হাজার ৬০৪ টাকা প্রদর্শন করেছেন। ব্যাংকে থাকা অর্থসহ তার নামে অর্জিত মোট সম্পদের পরিমাণ ৪৫ লাখ ২৫ হাজার ২০৯ টাকা। যা তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ।
এর প্রেক্ষিতে রিয়াজুল ইসলাম ও মনিকা রেজার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় ও দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ১০৯ ধারায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। মামলা দুটি তদন্ত করবেন দুদক যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তদন্ত এখনো শুরু করিনি, তবে অনুমতি পেয়েছি। তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট প্রেরণ করা হবে।’

৮৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করেছে যশোর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। এতে স্বামী-স্ত্রী মিলে ওই টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযুক্ত কর্মকর্তা হলেন, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির উপ-ব্যবস্থাপক মো. রিয়াজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মনিকা রেজা।
রিয়াজুল ইসলাম নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শামুকখোলা (দক্ষিণপাড়া) গ্রামের কাজী নূর জলিলের ছেলে। তিনি বর্তমানে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ কার্যালয়ে কর্মরত।
মামলার বাদী ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আল-আমিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, রিয়াজুল ইসলাম চাকরিজীবী ও তার স্ত্রী মনিকা রেজা গৃহিণী। তারা ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ পন্থায় সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অনুসন্ধানে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। রিয়াজুল ইসলামের ৩৯ লাখ ৯২ হাজার ৪০২ টাকার ও মনিকা রেজার ৪৫ লাখ ২৫ হাজার ২০৯ টাকার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ রয়েছে। অর্থাৎ দু’জনের অসংগতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ ৮৫ লাখ ১৭ হাজার ৬১১ টাকা।
অভিযোগে আরও জানা গেছে, রিয়াজুল ইসলাম ২০১৬ সালের ১০ এপ্রিল তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিতে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দেন এবং বর্তমানে উপ-ব্যবস্থাপক পদে জোনাল বিক্রয় অফিস (জোবিঅ), সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জে কর্মরত আছেন। তার বিরুদ্ধে আনীত জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধানকালে দেখা যায়, রিয়াজুল নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলায় ২০ লাখ ৪৩ হাজার ৭৬৯ টাকার সম্পত্তি ক্রয় করেছেন। এ ছাড়া ব্যাংকে তার অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৩৮ লাখ ৫১ হাজার ৬২০ টাকা। তার নামে অর্জিত স্থাবর-অস্থাবরসহ মোট সম্পদের পরিমাণ ৫৮ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮৯ টাকা। তার মোট পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় পাওয়া যায় ৩১ লাখ ৯০ হাজার ৮৭০ টাকা। পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয়সহ তার মোট অর্জিত সম্পদের মূল্য ৯০ লাখ ৮৬ হাজার ২৫৯ টাকা। বেতন বিবরণী ও আয়কর নথি অনুযায়ী তার মোট গ্রহণযোগ্য আয় ৫০ লাখ ৯৩ হাজার ৮৫৭ টাকা। সে মোতাবেক তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ ৩৯ লাখ ৯২ হাজার ৪০২ টাকা।
অপরদিকে রিয়াজুল ইসলামের স্ত্রী মনিকা রেজার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি গৃহিণী হওয়া সত্ত্বেও জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৪৫ লাখ ২৫ হাজার ২০৯ টাকার সম্পদ রয়েছে। তিনি এই সম্পদ নিজ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় এবং তার স্বামী রিয়াজুল ইসলাম ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ দিয়ে তার স্ত্রী মনিকা রেজাকে ওই সম্পদ অর্জনে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, মনিকা রেজা ২০১৮ সালে রিয়াজুল ইসলামের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি একজন গৃহিণী। তার নিজের কোন বৈধ আয় নেই। তিনি ২০২০-২০২১ করবর্ষ হতে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন। মনিকা রেজা একজন গৃহিণী হয়েও দাখিলকৃত আয়কর রিটার্নে টেইলারিংয়ের ব্যবসা বাবদ আয় প্রদর্শন করেছেন। দাখিলকৃত আয়কর রিটার্ন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০২০-২০২১, ২০২১-২০২২ ও ২০২২-২০২৩ কর বর্ষসমূহে তিনি ব্যবসা খাত হতে মোট ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ৯৮৩ টাকা আয় করেছেন।
সরেজমিনে তার কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া তিনি ২০২০-২০২১ করবর্ষে ব্যবসা বহির্ভূত নগদ অর্থ বাবদ ৩০ লাখ ২৩ হাজার ৬০৪ টাকা প্রদর্শন করেছেন। ব্যাংকে থাকা অর্থসহ তার নামে অর্জিত মোট সম্পদের পরিমাণ ৪৫ লাখ ২৫ হাজার ২০৯ টাকা। যা তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ।
এর প্রেক্ষিতে রিয়াজুল ইসলাম ও মনিকা রেজার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় ও দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ১০৯ ধারায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। মামলা দুটি তদন্ত করবেন দুদক যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তদন্ত এখনো শুরু করিনি, তবে অনুমতি পেয়েছি। তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট প্রেরণ করা হবে।’
যশোর প্রতিনিধি

৮৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করেছে যশোর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। এতে স্বামী-স্ত্রী মিলে ওই টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযুক্ত কর্মকর্তা হলেন, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির উপ-ব্যবস্থাপক মো. রিয়াজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মনিকা রেজা।
রিয়াজুল ইসলাম নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শামুকখোলা (দক্ষিণপাড়া) গ্রামের কাজী নূর জলিলের ছেলে। তিনি বর্তমানে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ কার্যালয়ে কর্মরত।
মামলার বাদী ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আল-আমিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, রিয়াজুল ইসলাম চাকরিজীবী ও তার স্ত্রী মনিকা রেজা গৃহিণী। তারা ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ পন্থায় সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অনুসন্ধানে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। রিয়াজুল ইসলামের ৩৯ লাখ ৯২ হাজার ৪০২ টাকার ও মনিকা রেজার ৪৫ লাখ ২৫ হাজার ২০৯ টাকার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ রয়েছে। অর্থাৎ দু’জনের অসংগতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ ৮৫ লাখ ১৭ হাজার ৬১১ টাকা।
অভিযোগে আরও জানা গেছে, রিয়াজুল ইসলাম ২০১৬ সালের ১০ এপ্রিল তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিতে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দেন এবং বর্তমানে উপ-ব্যবস্থাপক পদে জোনাল বিক্রয় অফিস (জোবিঅ), সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জে কর্মরত আছেন। তার বিরুদ্ধে আনীত জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধানকালে দেখা যায়, রিয়াজুল নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলায় ২০ লাখ ৪৩ হাজার ৭৬৯ টাকার সম্পত্তি ক্রয় করেছেন। এ ছাড়া ব্যাংকে তার অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৩৮ লাখ ৫১ হাজার ৬২০ টাকা। তার নামে অর্জিত স্থাবর-অস্থাবরসহ মোট সম্পদের পরিমাণ ৫৮ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮৯ টাকা। তার মোট পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় পাওয়া যায় ৩১ লাখ ৯০ হাজার ৮৭০ টাকা। পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয়সহ তার মোট অর্জিত সম্পদের মূল্য ৯০ লাখ ৮৬ হাজার ২৫৯ টাকা। বেতন বিবরণী ও আয়কর নথি অনুযায়ী তার মোট গ্রহণযোগ্য আয় ৫০ লাখ ৯৩ হাজার ৮৫৭ টাকা। সে মোতাবেক তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ ৩৯ লাখ ৯২ হাজার ৪০২ টাকা।
অপরদিকে রিয়াজুল ইসলামের স্ত্রী মনিকা রেজার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি গৃহিণী হওয়া সত্ত্বেও জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৪৫ লাখ ২৫ হাজার ২০৯ টাকার সম্পদ রয়েছে। তিনি এই সম্পদ নিজ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় এবং তার স্বামী রিয়াজুল ইসলাম ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ দিয়ে তার স্ত্রী মনিকা রেজাকে ওই সম্পদ অর্জনে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, মনিকা রেজা ২০১৮ সালে রিয়াজুল ইসলামের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি একজন গৃহিণী। তার নিজের কোন বৈধ আয় নেই। তিনি ২০২০-২০২১ করবর্ষ হতে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন। মনিকা রেজা একজন গৃহিণী হয়েও দাখিলকৃত আয়কর রিটার্নে টেইলারিংয়ের ব্যবসা বাবদ আয় প্রদর্শন করেছেন। দাখিলকৃত আয়কর রিটার্ন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০২০-২০২১, ২০২১-২০২২ ও ২০২২-২০২৩ কর বর্ষসমূহে তিনি ব্যবসা খাত হতে মোট ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ৯৮৩ টাকা আয় করেছেন।
সরেজমিনে তার কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া তিনি ২০২০-২০২১ করবর্ষে ব্যবসা বহির্ভূত নগদ অর্থ বাবদ ৩০ লাখ ২৩ হাজার ৬০৪ টাকা প্রদর্শন করেছেন। ব্যাংকে থাকা অর্থসহ তার নামে অর্জিত মোট সম্পদের পরিমাণ ৪৫ লাখ ২৫ হাজার ২০৯ টাকা। যা তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ।
এর প্রেক্ষিতে রিয়াজুল ইসলাম ও মনিকা রেজার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় ও দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ১০৯ ধারায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। মামলা দুটি তদন্ত করবেন দুদক যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তদন্ত এখনো শুরু করিনি, তবে অনুমতি পেয়েছি। তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট প্রেরণ করা হবে।’

৮৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করেছে যশোর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। এতে স্বামী-স্ত্রী মিলে ওই টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযুক্ত কর্মকর্তা হলেন, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির উপ-ব্যবস্থাপক মো. রিয়াজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মনিকা রেজা।
রিয়াজুল ইসলাম নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শামুকখোলা (দক্ষিণপাড়া) গ্রামের কাজী নূর জলিলের ছেলে। তিনি বর্তমানে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ কার্যালয়ে কর্মরত।
মামলার বাদী ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আল-আমিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, রিয়াজুল ইসলাম চাকরিজীবী ও তার স্ত্রী মনিকা রেজা গৃহিণী। তারা ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ পন্থায় সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অনুসন্ধানে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। রিয়াজুল ইসলামের ৩৯ লাখ ৯২ হাজার ৪০২ টাকার ও মনিকা রেজার ৪৫ লাখ ২৫ হাজার ২০৯ টাকার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ রয়েছে। অর্থাৎ দু’জনের অসংগতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ ৮৫ লাখ ১৭ হাজার ৬১১ টাকা।
অভিযোগে আরও জানা গেছে, রিয়াজুল ইসলাম ২০১৬ সালের ১০ এপ্রিল তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিতে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দেন এবং বর্তমানে উপ-ব্যবস্থাপক পদে জোনাল বিক্রয় অফিস (জোবিঅ), সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জে কর্মরত আছেন। তার বিরুদ্ধে আনীত জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধানকালে দেখা যায়, রিয়াজুল নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলায় ২০ লাখ ৪৩ হাজার ৭৬৯ টাকার সম্পত্তি ক্রয় করেছেন। এ ছাড়া ব্যাংকে তার অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৩৮ লাখ ৫১ হাজার ৬২০ টাকা। তার নামে অর্জিত স্থাবর-অস্থাবরসহ মোট সম্পদের পরিমাণ ৫৮ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮৯ টাকা। তার মোট পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় পাওয়া যায় ৩১ লাখ ৯০ হাজার ৮৭০ টাকা। পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয়সহ তার মোট অর্জিত সম্পদের মূল্য ৯০ লাখ ৮৬ হাজার ২৫৯ টাকা। বেতন বিবরণী ও আয়কর নথি অনুযায়ী তার মোট গ্রহণযোগ্য আয় ৫০ লাখ ৯৩ হাজার ৮৫৭ টাকা। সে মোতাবেক তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ ৩৯ লাখ ৯২ হাজার ৪০২ টাকা।
অপরদিকে রিয়াজুল ইসলামের স্ত্রী মনিকা রেজার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি গৃহিণী হওয়া সত্ত্বেও জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৪৫ লাখ ২৫ হাজার ২০৯ টাকার সম্পদ রয়েছে। তিনি এই সম্পদ নিজ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় এবং তার স্বামী রিয়াজুল ইসলাম ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ দিয়ে তার স্ত্রী মনিকা রেজাকে ওই সম্পদ অর্জনে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, মনিকা রেজা ২০১৮ সালে রিয়াজুল ইসলামের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি একজন গৃহিণী। তার নিজের কোন বৈধ আয় নেই। তিনি ২০২০-২০২১ করবর্ষ হতে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন। মনিকা রেজা একজন গৃহিণী হয়েও দাখিলকৃত আয়কর রিটার্নে টেইলারিংয়ের ব্যবসা বাবদ আয় প্রদর্শন করেছেন। দাখিলকৃত আয়কর রিটার্ন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০২০-২০২১, ২০২১-২০২২ ও ২০২২-২০২৩ কর বর্ষসমূহে তিনি ব্যবসা খাত হতে মোট ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ৯৮৩ টাকা আয় করেছেন।
সরেজমিনে তার কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া তিনি ২০২০-২০২১ করবর্ষে ব্যবসা বহির্ভূত নগদ অর্থ বাবদ ৩০ লাখ ২৩ হাজার ৬০৪ টাকা প্রদর্শন করেছেন। ব্যাংকে থাকা অর্থসহ তার নামে অর্জিত মোট সম্পদের পরিমাণ ৪৫ লাখ ২৫ হাজার ২০৯ টাকা। যা তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ।
এর প্রেক্ষিতে রিয়াজুল ইসলাম ও মনিকা রেজার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় ও দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ১০৯ ধারায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। মামলা দুটি তদন্ত করবেন দুদক যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তদন্ত এখনো শুরু করিনি, তবে অনুমতি পেয়েছি। তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট প্রেরণ করা হবে।’

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ওই আসনে বিএনপির প্রার্থী মির্জা আব্বাসকে নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচারের অভিযোগে ‘দৈনিক আজকের কণ্ঠ’ নামের একটি নিউজ পোর্টালের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
১ মিনিট আগে
মানিকগঞ্জের ঘিওরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সারবোঝাই একটি ট্রাক উল্টে ইছামতী নদীতে পড়ে গেছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ঘিওর বাজার-সংলগ্ন কুস্তা বন্দর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৭ মিনিট আগে
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ১০ কর্মকর্তাকে গুরু ও লঘুদণ্ড দিয়েছে চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। চিনিকলের শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের বিষয়ে কর্তব্যে অবহেলা, অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় এই দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
১১ মিনিট আগে
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যেখানে অক্সিজেন সিলিন্ডার, উন্নত পোশাক ও সরকারি নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিয়ে আগুনের ভেতর ঢুকতে হিমশিম খাচ্ছিলেন, সেখানে ফুটপাত থেকে কেনা প্যান্ট, ফুলহাতা গেঞ্জি পরে আর মুখে এক টুকরো কাপড় বেঁধে জ্বলন্ত আগুন ও শ্বাসরুদ্ধকর কালো ধোঁয়ার ভেতরে বারবার ঢুকে পড়ছিলেন এক সাধারণ যুবক।
১৬ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ওই আসনে বিএনপির প্রার্থী মির্জা আব্বাসকে নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচারের অভিযোগে ‘দৈনিক আজকের কণ্ঠ’ নামের একটি নিউজ পোর্টালের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জোষিতা ইসলামের আদালতে এ মামলা করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান ভূঁইয়া।
আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে অভিযোগটি তদন্তের জন্য মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) নির্দেশ দিয়েছেন। অনলাইন নিউজ পোর্টালটির ফেসবুক পেজের অ্যাডমিনসহ অজ্ঞাতনামা সহযোগীদের আসামি করে মামলা করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, নির্বাচনী ফলাফলকে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে ও সেই সঙ্গে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনাময় প্রার্থীদের কাছ থেকে অন্য প্রকার অবৈধ সুবিধা আদায়ের চেষ্টার অংশ হিসেবে আজকের কণ্ঠ জেনেশুনে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছে এবং সম্ভাবনাময় প্রার্থীদের ব্যক্তিগত চরিত্র সম্পর্কে মিথ্যা বিবৃতি দিয়ে আসছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর ঢাকার বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়।
মামলার বাদী বলেছেন, আজকের কণ্ঠ ও এর সহযোগীরা ১২ ডিসেম্বর বেলা ৩টা ২৫ মিনিটের দিকে ‘মির্জা আব্বাসের ক্যাডারদের গুলিতে বিদ্ধ ওসমান হাদি’ শীর্ষক বিবৃতি প্রদান ও প্রকাশ করে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
বাদী আরও বলেছেন, শুধু বিএনপি ঘোষিত ঢাকা-৮ আসনের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার সমূহ সম্ভাবনাময় প্রার্থী মির্জা আব্বাসের ব্যক্তিগত চরিত্র ও আচরণ সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়ে নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে এই সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে, দলের নেতা-কর্মীদের সম্মানহানি হয়েছে এবং দলীয় কর্মী হিসেবে তাঁরও মানহানি হয়েছে।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ওই আসনে বিএনপির প্রার্থী মির্জা আব্বাসকে নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচারের অভিযোগে ‘দৈনিক আজকের কণ্ঠ’ নামের একটি নিউজ পোর্টালের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জোষিতা ইসলামের আদালতে এ মামলা করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান ভূঁইয়া।
আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে অভিযোগটি তদন্তের জন্য মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) নির্দেশ দিয়েছেন। অনলাইন নিউজ পোর্টালটির ফেসবুক পেজের অ্যাডমিনসহ অজ্ঞাতনামা সহযোগীদের আসামি করে মামলা করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, নির্বাচনী ফলাফলকে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে ও সেই সঙ্গে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনাময় প্রার্থীদের কাছ থেকে অন্য প্রকার অবৈধ সুবিধা আদায়ের চেষ্টার অংশ হিসেবে আজকের কণ্ঠ জেনেশুনে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছে এবং সম্ভাবনাময় প্রার্থীদের ব্যক্তিগত চরিত্র সম্পর্কে মিথ্যা বিবৃতি দিয়ে আসছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর ঢাকার বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়।
মামলার বাদী বলেছেন, আজকের কণ্ঠ ও এর সহযোগীরা ১২ ডিসেম্বর বেলা ৩টা ২৫ মিনিটের দিকে ‘মির্জা আব্বাসের ক্যাডারদের গুলিতে বিদ্ধ ওসমান হাদি’ শীর্ষক বিবৃতি প্রদান ও প্রকাশ করে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
বাদী আরও বলেছেন, শুধু বিএনপি ঘোষিত ঢাকা-৮ আসনের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার সমূহ সম্ভাবনাময় প্রার্থী মির্জা আব্বাসের ব্যক্তিগত চরিত্র ও আচরণ সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়ে নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে এই সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে, দলের নেতা-কর্মীদের সম্মানহানি হয়েছে এবং দলীয় কর্মী হিসেবে তাঁরও মানহানি হয়েছে।

৮৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করেছে যশোর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। এতে স্বামী-স্ত্রী মিলে ওই টাকার জ্ঞাত আয়বহির
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
মানিকগঞ্জের ঘিওরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সারবোঝাই একটি ট্রাক উল্টে ইছামতী নদীতে পড়ে গেছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ঘিওর বাজার-সংলগ্ন কুস্তা বন্দর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৭ মিনিট আগে
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ১০ কর্মকর্তাকে গুরু ও লঘুদণ্ড দিয়েছে চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। চিনিকলের শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের বিষয়ে কর্তব্যে অবহেলা, অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় এই দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
১১ মিনিট আগে
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যেখানে অক্সিজেন সিলিন্ডার, উন্নত পোশাক ও সরকারি নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিয়ে আগুনের ভেতর ঢুকতে হিমশিম খাচ্ছিলেন, সেখানে ফুটপাত থেকে কেনা প্যান্ট, ফুলহাতা গেঞ্জি পরে আর মুখে এক টুকরো কাপড় বেঁধে জ্বলন্ত আগুন ও শ্বাসরুদ্ধকর কালো ধোঁয়ার ভেতরে বারবার ঢুকে পড়ছিলেন এক সাধারণ যুবক।
১৬ মিনিট আগেঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের ঘিওরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সারবোঝাই একটি ট্রাক উল্টে ইছামতী নদীতে পড়ে গেছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ঘিওর বাজার-সংলগ্ন কুস্তা বন্দর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার সার নষ্ট হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। দুর্ঘটনায় ট্রাকের চালক ও হেলপার সামান্য আহত হয়েছেন।
ট্রাকটিতে বিভিন্ন প্রকারের সারের প্রায় ৫৫০টি বস্তা ছিল। ঘিওরের ক্ষতিগ্রস্ত সার ব্যবসায়ী ওয়াজেদ আলী জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে ঘিওর ফুলহারা বাজারের ডিলারদের জন্য সার নিয়ে ট্রাকটি ঘিওর বাজারের উদ্দেশে আসছিল। তবে চালক মূল সড়ক ব্যবহার না করে ভুলবশত একটি ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা দিয়ে বাজারে প্রবেশের চেষ্টা করলে ট্রাকটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নদীতে পড়ে যায়। তিনি চালকের ‘খামখেয়ালি’ আচরণকে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী আশিষ, আবুল হোসেন, জবেদ আলী জানান, ঘিওর কুস্তা বন্দর গরুহাট-সংলগ্ন রাস্তাটি অনেক দিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সাধারণত এই পথে বড় যানবাহন চলাচল করে না। আজ সকাল ৮টার দিকে হঠাৎ করে সারবোঝাই ট্রাকটি ওই রাস্তায় ঢুকতেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মাহাবুব বলেন, দুর্ঘটনায় কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। সার ব্যবসায়ীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নদীতে পড়ে যাওয়া সার উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।
এদিকে নদীর স্বল্প পানিতে সার মিশে যাওয়ায় পরিবেশ দূষণ, মাছের ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘিওর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তহমিনা খাতুন জানান, ট্রাক উদ্ধারের পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মানিকগঞ্জের ঘিওরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সারবোঝাই একটি ট্রাক উল্টে ইছামতী নদীতে পড়ে গেছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ঘিওর বাজার-সংলগ্ন কুস্তা বন্দর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার সার নষ্ট হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। দুর্ঘটনায় ট্রাকের চালক ও হেলপার সামান্য আহত হয়েছেন।
ট্রাকটিতে বিভিন্ন প্রকারের সারের প্রায় ৫৫০টি বস্তা ছিল। ঘিওরের ক্ষতিগ্রস্ত সার ব্যবসায়ী ওয়াজেদ আলী জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে ঘিওর ফুলহারা বাজারের ডিলারদের জন্য সার নিয়ে ট্রাকটি ঘিওর বাজারের উদ্দেশে আসছিল। তবে চালক মূল সড়ক ব্যবহার না করে ভুলবশত একটি ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা দিয়ে বাজারে প্রবেশের চেষ্টা করলে ট্রাকটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নদীতে পড়ে যায়। তিনি চালকের ‘খামখেয়ালি’ আচরণকে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী আশিষ, আবুল হোসেন, জবেদ আলী জানান, ঘিওর কুস্তা বন্দর গরুহাট-সংলগ্ন রাস্তাটি অনেক দিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সাধারণত এই পথে বড় যানবাহন চলাচল করে না। আজ সকাল ৮টার দিকে হঠাৎ করে সারবোঝাই ট্রাকটি ওই রাস্তায় ঢুকতেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মাহাবুব বলেন, দুর্ঘটনায় কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। সার ব্যবসায়ীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নদীতে পড়ে যাওয়া সার উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।
এদিকে নদীর স্বল্প পানিতে সার মিশে যাওয়ায় পরিবেশ দূষণ, মাছের ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘিওর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তহমিনা খাতুন জানান, ট্রাক উদ্ধারের পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

৮৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করেছে যশোর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। এতে স্বামী-স্ত্রী মিলে ওই টাকার জ্ঞাত আয়বহির
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ওই আসনে বিএনপির প্রার্থী মির্জা আব্বাসকে নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচারের অভিযোগে ‘দৈনিক আজকের কণ্ঠ’ নামের একটি নিউজ পোর্টালের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
১ মিনিট আগে
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ১০ কর্মকর্তাকে গুরু ও লঘুদণ্ড দিয়েছে চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। চিনিকলের শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের বিষয়ে কর্তব্যে অবহেলা, অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় এই দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
১১ মিনিট আগে
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যেখানে অক্সিজেন সিলিন্ডার, উন্নত পোশাক ও সরকারি নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিয়ে আগুনের ভেতর ঢুকতে হিমশিম খাচ্ছিলেন, সেখানে ফুটপাত থেকে কেনা প্যান্ট, ফুলহাতা গেঞ্জি পরে আর মুখে এক টুকরো কাপড় বেঁধে জ্বলন্ত আগুন ও শ্বাসরুদ্ধকর কালো ধোঁয়ার ভেতরে বারবার ঢুকে পড়ছিলেন এক সাধারণ যুবক।
১৬ মিনিট আগেচুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ১০ কর্মকর্তাকে গুরু ও লঘুদণ্ড দিয়েছে চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। চিনিকলের শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের বিষয়ে কর্তব্যে অবহেলা, অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় এই দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ-সংক্রান্ত আদেশের চিঠি পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান রশিদুল হাসান স্বাক্ষরিত আদেশ থেকে জানা গেছে, সাবেক এমডিসহ চার কর্মকর্তাকে গুরুদণ্ড হিসেবে আগামী ৩০ জুন ২০২৮ সাল পর্যন্ত তাঁদের বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখা হয়েছে। অপর ছয়জনকে লঘুদণ্ড হিসেবে তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
চিনিকল সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কেরু চিনিকলে মৌসুমি শ্রমিকদের স্থায়ীকরণপ্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। ২০২৩ সালের মে মাসে যখন দেশের সব চিনিকলের মৌসুমি শ্রমিক ও কর্মচারীদের স্থায়ীকরণের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়, তখন সারা দেশে একযোগে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কেরু চিনিকলে ১৪০ জন শ্রমিক ও কর্মচারী পরীক্ষায় অংশ নেন।
কিন্তু কেরু চিনিকলে মূল অভিযোগ ওঠে স্থায়ীকরণে মেধাভিত্তিক নির্বাচন উপেক্ষা করা, মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ না করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের। এ বিষয়ে বঞ্চিত কর্মচারীদের লিখিত অভিযোগ ও মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের সচিব চৌধুরী শহিদুল্লাহ কায়ছার ২০২৩ সালের ১৫ মে এক জরুরি পত্রে কেরু চিনিকলের এমডিকে মৌসুমি শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের সব কার্যক্রম অবিলম্বে স্থগিত করার নির্দেশ দেন।
দেশের অন্যান্য চিনিকল এই নির্দেশনা মেনে নিলেও কেরু চিনিকল কর্তৃপক্ষ নির্দেশ অমান্য করে পরীক্ষার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৪০ জনের মধ্যে ১০৪ জনকে উত্তীর্ণ দেখিয়ে স্থায়ীকরণ সম্পন্ন করে। বিষয়টি জানাজানি হলে তৎকালীন করপোরেশন চেয়ারম্যান শেখ শোয়েবুল আলম ২০২৩ সালের ১৭ মে কেরু চিনিকলের এমডি মোশাররফ হোসেনের কাছে কৈফিয়ত তলব করেন। ঘটনাটি পরে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের পৃথক দুটি তদন্ত কমিটির মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হয়। তদন্ত শেষে ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
আদেশপত্র থেকে জানা গেছে, তৎকালীন এমডি মো. মোশাররফ হোসেন, সদর দপ্তরের কর্মকর্তা সাইফুল আলম, কেরু চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. ইউসুফ আলী ও লেবার অফিসার মো. আল আমিনের বিরুদ্ধে করপোরেশন প্রবিধিমালা অনুযায়ী গুরুদণ্ড ও বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখা হয়েছে। এই শাস্তি আগামী ৩০ জুন ২০২৮ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
এ ছাড়া ওই আদেশে মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) আব্দুস সাত্তার, মহাব্যবস্থাপক (কারখানা) সুমন কুমার সাহা, মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) আশরাফুল আলম ভূঁইয়া, মহাব্যবস্থাপক (ডিস্টিলারি) রাজিবুল হাসান, ব্যবস্থাপক (খামার) সুমন কুমার ও পরিবহন প্রকৌশলী আবু সাঈদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদেশে আরও বলা হয়, ১৯৮৯ সালের প্রবিধিমালার ৩৮ ধারা অনুযায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আনা দায়িত্বে অবহেলা ও অসদাচরণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এই শাস্তির মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বেতন বৃদ্ধি কার্যকর হবে না।
এ বিষয়ে দর্শনা কেরু চিনিকলের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিষয়টি শুনেছি। তবে এটি অফিশিয়াল বিষয় হওয়ায় এখনই বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না।’

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ১০ কর্মকর্তাকে গুরু ও লঘুদণ্ড দিয়েছে চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। চিনিকলের শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের বিষয়ে কর্তব্যে অবহেলা, অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় এই দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ-সংক্রান্ত আদেশের চিঠি পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান রশিদুল হাসান স্বাক্ষরিত আদেশ থেকে জানা গেছে, সাবেক এমডিসহ চার কর্মকর্তাকে গুরুদণ্ড হিসেবে আগামী ৩০ জুন ২০২৮ সাল পর্যন্ত তাঁদের বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখা হয়েছে। অপর ছয়জনকে লঘুদণ্ড হিসেবে তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
চিনিকল সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কেরু চিনিকলে মৌসুমি শ্রমিকদের স্থায়ীকরণপ্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। ২০২৩ সালের মে মাসে যখন দেশের সব চিনিকলের মৌসুমি শ্রমিক ও কর্মচারীদের স্থায়ীকরণের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়, তখন সারা দেশে একযোগে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কেরু চিনিকলে ১৪০ জন শ্রমিক ও কর্মচারী পরীক্ষায় অংশ নেন।
কিন্তু কেরু চিনিকলে মূল অভিযোগ ওঠে স্থায়ীকরণে মেধাভিত্তিক নির্বাচন উপেক্ষা করা, মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ না করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের। এ বিষয়ে বঞ্চিত কর্মচারীদের লিখিত অভিযোগ ও মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের সচিব চৌধুরী শহিদুল্লাহ কায়ছার ২০২৩ সালের ১৫ মে এক জরুরি পত্রে কেরু চিনিকলের এমডিকে মৌসুমি শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের সব কার্যক্রম অবিলম্বে স্থগিত করার নির্দেশ দেন।
দেশের অন্যান্য চিনিকল এই নির্দেশনা মেনে নিলেও কেরু চিনিকল কর্তৃপক্ষ নির্দেশ অমান্য করে পরীক্ষার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৪০ জনের মধ্যে ১০৪ জনকে উত্তীর্ণ দেখিয়ে স্থায়ীকরণ সম্পন্ন করে। বিষয়টি জানাজানি হলে তৎকালীন করপোরেশন চেয়ারম্যান শেখ শোয়েবুল আলম ২০২৩ সালের ১৭ মে কেরু চিনিকলের এমডি মোশাররফ হোসেনের কাছে কৈফিয়ত তলব করেন। ঘটনাটি পরে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের পৃথক দুটি তদন্ত কমিটির মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হয়। তদন্ত শেষে ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
আদেশপত্র থেকে জানা গেছে, তৎকালীন এমডি মো. মোশাররফ হোসেন, সদর দপ্তরের কর্মকর্তা সাইফুল আলম, কেরু চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. ইউসুফ আলী ও লেবার অফিসার মো. আল আমিনের বিরুদ্ধে করপোরেশন প্রবিধিমালা অনুযায়ী গুরুদণ্ড ও বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখা হয়েছে। এই শাস্তি আগামী ৩০ জুন ২০২৮ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
এ ছাড়া ওই আদেশে মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) আব্দুস সাত্তার, মহাব্যবস্থাপক (কারখানা) সুমন কুমার সাহা, মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) আশরাফুল আলম ভূঁইয়া, মহাব্যবস্থাপক (ডিস্টিলারি) রাজিবুল হাসান, ব্যবস্থাপক (খামার) সুমন কুমার ও পরিবহন প্রকৌশলী আবু সাঈদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদেশে আরও বলা হয়, ১৯৮৯ সালের প্রবিধিমালার ৩৮ ধারা অনুযায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আনা দায়িত্বে অবহেলা ও অসদাচরণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এই শাস্তির মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বেতন বৃদ্ধি কার্যকর হবে না।
এ বিষয়ে দর্শনা কেরু চিনিকলের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিষয়টি শুনেছি। তবে এটি অফিশিয়াল বিষয় হওয়ায় এখনই বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না।’

৮৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করেছে যশোর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। এতে স্বামী-স্ত্রী মিলে ওই টাকার জ্ঞাত আয়বহির
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ওই আসনে বিএনপির প্রার্থী মির্জা আব্বাসকে নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচারের অভিযোগে ‘দৈনিক আজকের কণ্ঠ’ নামের একটি নিউজ পোর্টালের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
১ মিনিট আগে
মানিকগঞ্জের ঘিওরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সারবোঝাই একটি ট্রাক উল্টে ইছামতী নদীতে পড়ে গেছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ঘিওর বাজার-সংলগ্ন কুস্তা বন্দর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৭ মিনিট আগে
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যেখানে অক্সিজেন সিলিন্ডার, উন্নত পোশাক ও সরকারি নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিয়ে আগুনের ভেতর ঢুকতে হিমশিম খাচ্ছিলেন, সেখানে ফুটপাত থেকে কেনা প্যান্ট, ফুলহাতা গেঞ্জি পরে আর মুখে এক টুকরো কাপড় বেঁধে জ্বলন্ত আগুন ও শ্বাসরুদ্ধকর কালো ধোঁয়ার ভেতরে বারবার ঢুকে পড়ছিলেন এক সাধারণ যুবক।
১৬ মিনিট আগেকেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যেখানে অক্সিজেন সিলিন্ডার, উন্নত পোশাক ও সরকারি নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিয়ে আগুনের ভেতর ঢুকতে হিমশিম খাচ্ছিলেন, সেখানে ফুটপাত থেকে কেনা প্যান্ট, ফুলহাতা গেঞ্জি পরে আর মুখে এক টুকরো কাপড় বেঁধে জ্বলন্ত আগুন ও শ্বাসরুদ্ধকর কালো ধোঁয়ার ভেতরে বারবার ঢুকে পড়ছিলেন এক সাধারণ যুবক। প্রতিবারই বেরিয়ে আসছিলেন বড় বড় বস্তা, কাপড়ের থান আর ঝুট নিয়ে। সেগুলো নিরাপদ জায়গায় ফেলে আবারও অন্ধকারের ভেতরে মিলিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
এভাবেই গতকাল শনিবার কেরানীগঞ্জের আগানগরে জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অচেনা ব্যবসায়ীদের মালামাল আগুনের হাত থেকে রক্ষা করছিলেন কেরানীগঞ্জের কদমতলীর শহীদ নগরের বাসিন্দা শাহীন শিকদার।
নিজ জেলা শরীয়তপুরে নদীভাঙনে ঘরবাড়ি হারিয়ে ছোটবেলাতেই শাহীন আশ্রয় নেন কেরানীগঞ্জের কদমতলীতে। সেখানেই বড় হয়েছেন। ফুটপাতে ছোট ব্যবসা করে কোনোমতে চলে তাঁর ছয় সদস্যের সংসার। নিজের জীবনে অভাব-অনটন থাকলেও মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়াতে কখনো পিছপা হন না তিনি।
গতকাল জাবালে নূর টাওয়ারে আগুন লাগার খবর পেয়ে সকালে ছুটে যান শাহীন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজে হাত লাগান। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক মনে হওয়ায় সকাল ১০টার দিকে বাড়ি ফিরে যান। কিন্তু দুপুরের পরেও আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসার খবর পেয়ে আর ঘরে থাকতে পারেননি। আবার ছুটে যান আগুনের মুখে।

দুপুরের পর আগুন যখন এক দোকান থেকে আরেক দোকানে ছড়িয়ে পড়ছিল, তখন কাপড়ের বস্তা আর থানই আগুন বাড়ার বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আগুনের ভয়াবহতা দেখে শাহীন আর অপেক্ষা করেননি। নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে কাপড় বস্তা টেনে বের করে রাস্তায় ছুড়ে ফেলতে থাকেন। ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে এলে সঙ্গে থাকা অন্য স্বেচ্ছাসেবী ও ফায়ার সার্ভিসের সাহায্য নিয়ে কাজ চালিয়ে যান।
সেদিন কালো কালিতে আচ্ছন্ন তাঁর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনায় আসেন শাহীন। আজ রোববার সকালে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘মানবতার টানেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজে নেমেছিলাম। মরব না বাঁচব সেটা তখন মাথায় ছিল না। শুধু মনে হচ্ছিল, আগুন যেন আর না বাড়ে।’
জাবালে নূর টাওয়ারের এক ব্যবসায়ী আসিফ বলেন, ‘এই লোকটির অবদান কখনো ভোলার মতো না। আমরা তাঁর কাছে চিরকৃতজ্ঞ।’ প্রত্যক্ষদর্শী তানাকা ইসলাম বলেন, ‘আজ সবার চাইতে বেশি কাজ করেছে এই মানুষটা।’
বন্ধু নাসির উদ্দীন বলেন, ‘শাহীন এমনই। কোনো স্বার্থ ছাড়া যেকোনো মানবিক কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে। অহংকার নেই। আমরা একসঙ্গে বড় হয়েছি। কখনো খারাপ ব্যবহার করেনি। এমন বন্ধু পেয়ে আমরা গর্বিত।’
শরীয়তপুরে নদীভাঙনে ভেঙে গেছে শাহীনের শৈশবের বাড়ি। ভাঙেনি স্বপ্ন, ভাঙেনি মানবতা। আগুনের ভেতর দাঁড়িয়ে শাহীন প্রমাণ করেছেন, মানুষ বড় হয় সম্পদে নয় বড় হয় হৃদয়ে।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যেখানে অক্সিজেন সিলিন্ডার, উন্নত পোশাক ও সরকারি নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিয়ে আগুনের ভেতর ঢুকতে হিমশিম খাচ্ছিলেন, সেখানে ফুটপাত থেকে কেনা প্যান্ট, ফুলহাতা গেঞ্জি পরে আর মুখে এক টুকরো কাপড় বেঁধে জ্বলন্ত আগুন ও শ্বাসরুদ্ধকর কালো ধোঁয়ার ভেতরে বারবার ঢুকে পড়ছিলেন এক সাধারণ যুবক। প্রতিবারই বেরিয়ে আসছিলেন বড় বড় বস্তা, কাপড়ের থান আর ঝুট নিয়ে। সেগুলো নিরাপদ জায়গায় ফেলে আবারও অন্ধকারের ভেতরে মিলিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
এভাবেই গতকাল শনিবার কেরানীগঞ্জের আগানগরে জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অচেনা ব্যবসায়ীদের মালামাল আগুনের হাত থেকে রক্ষা করছিলেন কেরানীগঞ্জের কদমতলীর শহীদ নগরের বাসিন্দা শাহীন শিকদার।
নিজ জেলা শরীয়তপুরে নদীভাঙনে ঘরবাড়ি হারিয়ে ছোটবেলাতেই শাহীন আশ্রয় নেন কেরানীগঞ্জের কদমতলীতে। সেখানেই বড় হয়েছেন। ফুটপাতে ছোট ব্যবসা করে কোনোমতে চলে তাঁর ছয় সদস্যের সংসার। নিজের জীবনে অভাব-অনটন থাকলেও মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়াতে কখনো পিছপা হন না তিনি।
গতকাল জাবালে নূর টাওয়ারে আগুন লাগার খবর পেয়ে সকালে ছুটে যান শাহীন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজে হাত লাগান। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক মনে হওয়ায় সকাল ১০টার দিকে বাড়ি ফিরে যান। কিন্তু দুপুরের পরেও আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসার খবর পেয়ে আর ঘরে থাকতে পারেননি। আবার ছুটে যান আগুনের মুখে।

দুপুরের পর আগুন যখন এক দোকান থেকে আরেক দোকানে ছড়িয়ে পড়ছিল, তখন কাপড়ের বস্তা আর থানই আগুন বাড়ার বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আগুনের ভয়াবহতা দেখে শাহীন আর অপেক্ষা করেননি। নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে কাপড় বস্তা টেনে বের করে রাস্তায় ছুড়ে ফেলতে থাকেন। ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে এলে সঙ্গে থাকা অন্য স্বেচ্ছাসেবী ও ফায়ার সার্ভিসের সাহায্য নিয়ে কাজ চালিয়ে যান।
সেদিন কালো কালিতে আচ্ছন্ন তাঁর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনায় আসেন শাহীন। আজ রোববার সকালে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘মানবতার টানেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজে নেমেছিলাম। মরব না বাঁচব সেটা তখন মাথায় ছিল না। শুধু মনে হচ্ছিল, আগুন যেন আর না বাড়ে।’
জাবালে নূর টাওয়ারের এক ব্যবসায়ী আসিফ বলেন, ‘এই লোকটির অবদান কখনো ভোলার মতো না। আমরা তাঁর কাছে চিরকৃতজ্ঞ।’ প্রত্যক্ষদর্শী তানাকা ইসলাম বলেন, ‘আজ সবার চাইতে বেশি কাজ করেছে এই মানুষটা।’
বন্ধু নাসির উদ্দীন বলেন, ‘শাহীন এমনই। কোনো স্বার্থ ছাড়া যেকোনো মানবিক কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে। অহংকার নেই। আমরা একসঙ্গে বড় হয়েছি। কখনো খারাপ ব্যবহার করেনি। এমন বন্ধু পেয়ে আমরা গর্বিত।’
শরীয়তপুরে নদীভাঙনে ভেঙে গেছে শাহীনের শৈশবের বাড়ি। ভাঙেনি স্বপ্ন, ভাঙেনি মানবতা। আগুনের ভেতর দাঁড়িয়ে শাহীন প্রমাণ করেছেন, মানুষ বড় হয় সম্পদে নয় বড় হয় হৃদয়ে।

৮৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করেছে যশোর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। এতে স্বামী-স্ত্রী মিলে ওই টাকার জ্ঞাত আয়বহির
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ওই আসনে বিএনপির প্রার্থী মির্জা আব্বাসকে নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচারের অভিযোগে ‘দৈনিক আজকের কণ্ঠ’ নামের একটি নিউজ পোর্টালের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
১ মিনিট আগে
মানিকগঞ্জের ঘিওরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সারবোঝাই একটি ট্রাক উল্টে ইছামতী নদীতে পড়ে গেছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ঘিওর বাজার-সংলগ্ন কুস্তা বন্দর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৭ মিনিট আগে
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ১০ কর্মকর্তাকে গুরু ও লঘুদণ্ড দিয়েছে চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। চিনিকলের শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের বিষয়ে কর্তব্যে অবহেলা, অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় এই দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
১১ মিনিট আগে