Ajker Patrika

বাল্যবিয়ে: ১২৩ ছাত্রীর ৩০ জনই বসেছে বিয়ের পিঁড়িতে  

আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০২: ৩৩
বাল্যবিয়ে: ১২৩ ছাত্রীর ৩০ জনই বসেছে বিয়ের পিঁড়িতে  

করোনায় প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে অসংখ্য শিক্ষার্থী। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটেছে বেশি। যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১২৩ জনের মধ্যে ৩০ ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে।

উপজেলার বল্লা বিএনকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২০ সালে ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ছাত্রীর সংখ্যা ছিল ১২৩ জন। বিদ্যালয় খোলার পর দেখা গেছে এদের মধ্যে ৩০ জন ছাত্রীর বাল্যবিয়ে হয়ে গেছে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষার্থী ৩১ জন ছাত্রীর মধ্যে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছে ১২জন, দশম শ্রেণির ২২ জনের মধ্যে ৭ জন, নবম শ্রেণির ১৮ জনের মধ্যে ৭ জন, অষ্টম শ্রেণির ২৮ জনের মধ্যে একজন ও সপ্তম শ্রেণির ২৪ জনের মধ্যে তিনজন বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বল্লা গ্রামের একজন অভিভাবক বলেন, দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় মেয়েটা লেখাপড়ায় অমনোযোগী হয়ে যাওয়ায় বিয়ে দিয়েছি। একই গ্রামের উজ্জ্বল হোসেন নামে একজন বলেন, ভাতিজির বয়স হয়নি ঠিক কিন্তু ভালো পাত্র পেয়ে বিয়ে দিয়েছি। তাছাড়া বিদ্যালয়ও তো অনেক দিন বন্ধ ছিল। তাঁর ভাতিজি সপ্তাহ শ্রেণিতে পড়ত।

বিদ্যালয়টি উপজেলার নির্বাসখোলা ইউনিয়নে অবস্থিত। কথা হয় এ ইউনিয়নের কাজী মাওলানা আনারুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, করোনার সময়ে ওই গ্রামের সব মেয়ের বিয়ের রেজিস্ট্রি আমি করিনি। হয়তো কিছু মেয়ের বিয়ের রেজিস্ট্রি আমি করেছি।

যেগুলো তিনি করেছেন সেগুলোও তো বাল্যবিয়ে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কন্যা দায়গ্রস্থের কারণে স্থানীয়দের চাপে করতে হয়েছে এসব।

বল্লা বিএনকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোকবুল হোসেন বলেন, অসচেতনতার কারণে বাল্যবিয়ে রোধ করা যাচ্ছে না। বিশেষ করে কাজীরা বাল্যবিয়েকে যতক্ষণ না বলবে ততক্ষণ, বাল্যবিয়ে বন্ধ করা যাবে না।

ঝিকরগাছা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ শাহনুর কবীর বলেন, শুধু মাধ্যমিক না উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ও অসংখ্য ছাত্রী বিয়ের পিড়িতে বসেছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এএসএম জিল্লুর রশীদ বলেন, শুধু বল্লা স্কুল না, সব প্রতিষ্ঠানে প্রায় একই অবস্থা। বিষয়টি খুব উদ্বেগজনক। এর প্রতিকার নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির

প্রবাসীর রেমিট্যান্সের অর্থ আত্মসাৎ, নারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

পাকিস্তানে কীভাবে হামলা চালাতে পারে ভারত, ইতিহাস যা বলছে

জনবল-সরঞ্জাম বেশি হলেও সমরশক্তিতে ভারত কি পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত