মিজানুর রহমান নয়ন
কুমারখালী (কুষ্টিয়া): পরকীয়া বা কথিত বিয়ের সম্পর্কের জেরে কুষ্টিয়ায় ট্রিপল মার্ডারের ঘটনা এখন আলোচনার শীর্ষে। গতকাল রোববার সকাল ১১টায় জেলার কাস্টম মোড় এলাকায় প্রকাশ্যে পুলিশের উপসহকারী পরিদর্শক (এএসআই) সৌমেন রায় গুলি করে তাঁর কথিত স্ত্রী আসমা, আসমার ছেলে রবিন ও পরকীয়া প্রেমিক শাকিলকে খুন করেন।
স্থানীয়রা ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও অবরোধ করে পুলিশের হাতে তুলে দেন এএসআই সৌমেনকে।
নিহত আসমা কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের ভড়ুয়াপাড়া গ্রামের আমির আলীর মেয়ে, রবিন আসমার ছেলে এবং শাকিল একই উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের সাওতা কারিগরপাড়ার মিজবারের ছেলে।
বাগুলাট ইউনিয়ন ঘুরে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আমির আলীর মেয়ে আসমার প্রায় ১০ বছর আগে ইউনিয়নের ভড়ুয়াপাড়া গ্রামের ওয়াজ আলীর ছেলে সুজনের সঙ্গে প্রথম বিয়ে হয়। সেখানে তাঁর এক কন্যাসন্তান আছে।
এরপর প্রথম বিয়ের পাঁচ থেকে ছয় বছর পরে একই এলাকার সাখাউদ্দিনের শ্যালক রুবেলের সঙ্গে পরকীয়া গড়ে ওঠে। রুবেল কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের সরোয়ারের ছেলে। পরকীয়ার জেরে প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে রুবেলকে বিয়ে করেন আসমা। সেখানেও তিনি এক ছেলেসন্তানের জন্ম দেন। ছেলের নাম রবিন। কিন্তু এখানে বনিবনা না হওয়ায় রুবেলকে তালাক দেন আসমা।
একাধিক বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, সৌমেন রায় উপসহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে ২০১৬ সালের ১৩ মে কুমারখালী থানায় যোগদান করেন। এরপর কোনো এক ঘটনার তদন্তে আসমার বাড়িতে যান সৌমেন রায়। সেখান থেকেই তাঁদের পরিচয় এবং একপর্যায়ে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সৌমেন রায়ের সঙ্গে বিয়ের ব্যাপারটি স্থানীয়দের কাছে স্পষ্ট না হলেও তাঁদের চলাফেরা ও যোগাযোগের বিষয়টি জানতেন তাঁরা।
বাগুলাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন বক্কর বলেন, প্রায় ১০ বছর আগে আসমার সঙ্গে ভড়ুয়াপাড়া গ্রামের সুজনের বিয়ে হয়। সেখানে এক মেয়ে আছে তাঁর। এরপর সুজনকে তালাক দিয়ে পরকীয়ায় জড়িয়ে রুবেলকে বিয়ে করেন তিনি। সেখানেও এক ছেলেসন্তানের জন্ম দেন আসমা। সেই ছেলেই আজকের নিহত রবিন।
আকরাম হোসেন বক্কর আরও বলেন, এএসআই সৌমেনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে কি না, তা জানা নেই। তবে তাঁর সঙ্গে গভীর সম্পর্কের কথা অনেকেই জানেন।
জানা যায়, সৌমেন রায়ের পাশাপাশি শাকিলের সঙ্গেও পরকীয়া গড়ে ওঠে আছমার। শাকিল উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের সাওতা কারিগরপাড়ার মিজবারের ছেলে। শাকিল অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও বিকাশের এসআর।
এ বিষয়ে শাকিলের মা বলেন, ‘প্রায় দুই মাস আগে এক পুলিশ অফিসার অস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে আসে। এসে বলে শাকিল তাঁর বউয়ের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে। যদি কথা বলা বন্ধ না করে তাহলে খবর আছে। আমার ছেলে মোবাইল ফোনে কথা বলত একটি মেয়ের সঙ্গে। কিন্তু কার সঙ্গে, তা জানা নেই।’
আসমার মা হাসিনা খাতুন বলেন, রোববার সকালে সৌমেন স্ত্রী-সন্তানকে খুলনায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। পরে এ হত্যাকাণ্ডের কথা জানতে পারেন তাঁরা। শাকিল বিষয়ে তিনি বলেন, তাঁর মেয়ের সঙ্গে শাকিল ফোনে কথা বলতেন।
নিহত আসমার ভাই হাসান জানান, তাঁর বোনের আগে দুটি বিয়ে হয়েছিল। ভাগনে রবিন বোনের দ্বিতীয় স্বামীর সন্তান। পাঁচ বছর আগে এএসআই সৌমেনের সঙ্গে বোনের বিয়ে হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কুষ্টিয়া পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এএসআই সৌমেন রায় খুলনার ফুলতলা থানায় কর্মরত। পুলিশের ধারণা, এএসআই সৌমেনকে দেওয়া পিস্তল দিয়ে তিনি হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। ওই পিস্তল জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
কুমারখালী (কুষ্টিয়া): পরকীয়া বা কথিত বিয়ের সম্পর্কের জেরে কুষ্টিয়ায় ট্রিপল মার্ডারের ঘটনা এখন আলোচনার শীর্ষে। গতকাল রোববার সকাল ১১টায় জেলার কাস্টম মোড় এলাকায় প্রকাশ্যে পুলিশের উপসহকারী পরিদর্শক (এএসআই) সৌমেন রায় গুলি করে তাঁর কথিত স্ত্রী আসমা, আসমার ছেলে রবিন ও পরকীয়া প্রেমিক শাকিলকে খুন করেন।
স্থানীয়রা ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও অবরোধ করে পুলিশের হাতে তুলে দেন এএসআই সৌমেনকে।
নিহত আসমা কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের ভড়ুয়াপাড়া গ্রামের আমির আলীর মেয়ে, রবিন আসমার ছেলে এবং শাকিল একই উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের সাওতা কারিগরপাড়ার মিজবারের ছেলে।
বাগুলাট ইউনিয়ন ঘুরে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আমির আলীর মেয়ে আসমার প্রায় ১০ বছর আগে ইউনিয়নের ভড়ুয়াপাড়া গ্রামের ওয়াজ আলীর ছেলে সুজনের সঙ্গে প্রথম বিয়ে হয়। সেখানে তাঁর এক কন্যাসন্তান আছে।
এরপর প্রথম বিয়ের পাঁচ থেকে ছয় বছর পরে একই এলাকার সাখাউদ্দিনের শ্যালক রুবেলের সঙ্গে পরকীয়া গড়ে ওঠে। রুবেল কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের সরোয়ারের ছেলে। পরকীয়ার জেরে প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে রুবেলকে বিয়ে করেন আসমা। সেখানেও তিনি এক ছেলেসন্তানের জন্ম দেন। ছেলের নাম রবিন। কিন্তু এখানে বনিবনা না হওয়ায় রুবেলকে তালাক দেন আসমা।
একাধিক বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, সৌমেন রায় উপসহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে ২০১৬ সালের ১৩ মে কুমারখালী থানায় যোগদান করেন। এরপর কোনো এক ঘটনার তদন্তে আসমার বাড়িতে যান সৌমেন রায়। সেখান থেকেই তাঁদের পরিচয় এবং একপর্যায়ে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সৌমেন রায়ের সঙ্গে বিয়ের ব্যাপারটি স্থানীয়দের কাছে স্পষ্ট না হলেও তাঁদের চলাফেরা ও যোগাযোগের বিষয়টি জানতেন তাঁরা।
বাগুলাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন বক্কর বলেন, প্রায় ১০ বছর আগে আসমার সঙ্গে ভড়ুয়াপাড়া গ্রামের সুজনের বিয়ে হয়। সেখানে এক মেয়ে আছে তাঁর। এরপর সুজনকে তালাক দিয়ে পরকীয়ায় জড়িয়ে রুবেলকে বিয়ে করেন তিনি। সেখানেও এক ছেলেসন্তানের জন্ম দেন আসমা। সেই ছেলেই আজকের নিহত রবিন।
আকরাম হোসেন বক্কর আরও বলেন, এএসআই সৌমেনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে কি না, তা জানা নেই। তবে তাঁর সঙ্গে গভীর সম্পর্কের কথা অনেকেই জানেন।
জানা যায়, সৌমেন রায়ের পাশাপাশি শাকিলের সঙ্গেও পরকীয়া গড়ে ওঠে আছমার। শাকিল উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের সাওতা কারিগরপাড়ার মিজবারের ছেলে। শাকিল অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও বিকাশের এসআর।
এ বিষয়ে শাকিলের মা বলেন, ‘প্রায় দুই মাস আগে এক পুলিশ অফিসার অস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে আসে। এসে বলে শাকিল তাঁর বউয়ের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে। যদি কথা বলা বন্ধ না করে তাহলে খবর আছে। আমার ছেলে মোবাইল ফোনে কথা বলত একটি মেয়ের সঙ্গে। কিন্তু কার সঙ্গে, তা জানা নেই।’
আসমার মা হাসিনা খাতুন বলেন, রোববার সকালে সৌমেন স্ত্রী-সন্তানকে খুলনায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। পরে এ হত্যাকাণ্ডের কথা জানতে পারেন তাঁরা। শাকিল বিষয়ে তিনি বলেন, তাঁর মেয়ের সঙ্গে শাকিল ফোনে কথা বলতেন।
নিহত আসমার ভাই হাসান জানান, তাঁর বোনের আগে দুটি বিয়ে হয়েছিল। ভাগনে রবিন বোনের দ্বিতীয় স্বামীর সন্তান। পাঁচ বছর আগে এএসআই সৌমেনের সঙ্গে বোনের বিয়ে হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কুষ্টিয়া পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এএসআই সৌমেন রায় খুলনার ফুলতলা থানায় কর্মরত। পুলিশের ধারণা, এএসআই সৌমেনকে দেওয়া পিস্তল দিয়ে তিনি হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। ওই পিস্তল জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় চলন্ত ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার আহমদাবাদ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৬ মিনিট আগেপাবনার চাটমোহরে আর্থিক বিরোধের জেরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের রতনপুরে আজ সোমবার সকালে এই সংঘর্ষ ঘটে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
৮ মিনিট আগে‘মব আমরা কঠোর হস্তে দমনের চেষ্টা করে যাচ্ছি। গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে, এতে আমাদের বাহিনীর কেউ দায়ী থাকলে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং যারা এটা করছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
১১ মিনিট আগেভোলার মেঘনা নদীতে বড় আকারের ইলিশের পর এবার জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ১৩ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের একটি বিশালাকৃতির আইড় মাছ। আজ সোমবার দুপুরে ভোলা সদর উপজেলার তুলাতুলি মৎস্য ঘাটে নিলামের মাধ্যমে মাছটি ১৮ হাজার ৩৩০ টাকায় বিক্রি হয়।
১৬ মিনিট আগে