Ajker Patrika

অর্থ আত্মসাৎ: প্রধান আসামি যশোর শিক্ষা বোর্ডের বরখাস্ত সহকারী হিসাবরক্ষক গ্রেপ্তার

­যশোর প্রতিনিধি
আব্দুস সালাম। ছবি: সংগৃহীত
আব্দুস সালাম। ছবি: সংগৃহীত

যশোর শিক্ষা বোর্ডের সাত কোটি টাকার চেক দুর্নীতি মামলার প্রধান আসামি বরখাস্ত সহকারী হিসাবরক্ষক আব্দুস সালামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার গভীর রাতে যশোর উপশহর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রায় চার বছর ধরে পলাতক ছিলেন আব্দুস সালাম। তিনি যশোর উপশহর ‘ই’ ব্লকের আব্দুস সামাদের ছেলে।

যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত বলেন, আব্দুস সালাম যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেক জালিয়াতিসংক্রান্ত মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল গভীর রাতে উপশহর ফাঁড়ি পুলিশ তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আলোচিত এ মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালের অক্টোবরে যশোর শিক্ষা বোর্ডের অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধানে ৯টি চেক ঘষামাজা করে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ মেলে। পরে তদন্তের পরিধি বাড়ালে মোট ৩৮টি চেক ঘষামাজা করে প্রায় পৌনে সাত কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ঘটনার পর শিক্ষা বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান, সচিব, সহকারী হিসাবরক্ষক আব্দুস সালাম, ঠিকাদার ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক শরিফুল ইসলাম বাবুসহ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করা হয়। পরে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের তৎকালীন উপপরিচালক আল-আমিন ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। সেখানে ১১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের বরখাস্ত সহকারী হিসাবরক্ষক আব্দুস সালাম, ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক শরিফুল ইসলাম বাবু, শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার আশরাফুল আলম, পোস্ট অফিসপাড়ার গাজী নূর ইসলাম, বড় বাজার জামে মসজিদ লেনের প্রত্যাশা প্রিন্টিং প্রেসের মালিক রুপালী খাতুন, উপশহর ‘ই’ ব্লকের সহিদুল ইসলাম, রকিব মোস্তফা, শিক্ষা বোর্ডের সহকারী মূল্যায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, নিম্নমান সহকারী জুলফিকার আলী, চেক ডিসপাসকারী মিজানুর রহমান ও কবির হোসেন।

তবে চার্জশিটে বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সচিবকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেন। এরপর ১১ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সবাই তখন থেকে পলাতক ছিলেন। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর নিজ বাড়িতে ফেরার সময় গ্রেপ্তার হন মামলার প্রধান আসামি আব্দুস সালাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত