Ajker Patrika

সাতক্ষীরায় ডিবির হেফাজতে একজনের মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা

দেবহাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২১, ২১: ১৬
সাতক্ষীরায় ডিবির হেফাজতে একজনের মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা

সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে বাবলু সরদার (৫৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকালে ডিবি পুলিশের হাজত থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এদিকে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে বাবলু সরদারকে গোয়েন্দা পুলিশের লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছে। 

তবে পুলিশের দাবি, বীর মুক্তিযোদ্ধা জুড়ন সরদারের ছেলে বাবুল সরদার (৫৬) গোয়েন্দা পুলিশের লকআপের মধ্যে আত্মহত্যা করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আরও পাঁচটি মাদক মামলা রয়েছে বলে জানান তাঁরা। 

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন আলম চৌধুরী জানান, বাবুল সরদারকে শনিবার সকালে তাঁর গ্রামের বাড়ি দেবহাটা উপজেলার বসন্তপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। 

ইয়াসিন আলম বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া বাবুল সরদারকে গোয়েন্দা পুলিশের লকআপে রেখে দেওয়া হয়। আজ রোববার তাঁকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। শনিবার দিবাগত রাতের কোনো একসময় তিনি নিজের কোমরে ব্যবহৃত সুতলি (রশি) গলায় দিয়ে লকআপের গেটের গ্রিলের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। 

বাবুল সরদারের মেয়ে সুলতানা মুন্নি জানান, শনিবার সকালে বোরকা পরা এক নারী আকস্মিকভাবে তাঁদের বাড়িতে ঢুকে তাঁর বাবার ঘরে গিয়ে ফেনসিডিল রেখে কাছে থাকা গোয়েন্দা পুলিশকে ইশারা করে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বাবাকে ওই ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ সময় ঘরে তল্লাশি চালিয়ে ৩৬ হাজার টাকাও নিয়ে যায় বলে দাবি করেন তিনি। 

মুন্নি বলেন, ‘আমার বাবা কোমরে কখনো সুতলি ব্যবহার করতেন না। তাহলে তিনি কীভাবে লকআপের মধ্যে আত্মহত্যা করলেন?’ প্রশ্ন রেখে তিনি আরও বলেন, ‘গেটের গ্রিলের সঙ্গে নিজেকে সুতলিতে ঝুলিয়ে কি কখনও আত্মহত্যা করা সম্ভব? পুলিশ তাঁকে হত্যা করেছে। আমরা এর বিচার চাই।’ 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর আসাদুজ্জামান বলেন, ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি নিজের কোমরে থাকা রশি পেঁচিয়ে লকআপের গেটের গ্রিলে ঝুলে রাত ৩টার দিকে আত্মহত্যা করেছেন। পরে ম্যাজিস্ট্রেট আকতার হোসেন ও মেডিকেল অফিসার ডা. জয়ন্ত কুমারের উপস্থিতিতে লাশ নামিয়ে ময়নাতদন্ত করার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের এএসআই শেখ সোহেল ও কনস্টেবল শরিফুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত