Ajker Patrika

কুয়েটে নির্যাতন: ছাত্রলীগ নেতাসহ ১৩ ছাত্র বহিষ্কৃত, সনদ বাতিল

খুলনা প্রতিনিধি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) বিভাগের এক ছাত্রকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের নেতাসহ ১৩ জন শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার, সনদপত্র বাতিলসহ বিভিন্ন ধরনের সাজা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

গত ২৭ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদ। গতকাল সোমবার দুপুরে বিষয়টি জানাজানি হয়।

সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্থায়ী বহিষ্কারসহ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সনদ বাতিল করা হয়েছে লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রায়হান আহমেদ, সাদ আহমেদ, আদনান রাফি এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাজেদুল কবিরের। ছাত্রত্ব বাতিলসহ স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কুয়েট শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানের; লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রিজুয়ান ইসলাম রিজভী, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ফুয়াদুজ্জামান ফাহিম, মেহেদী হাসান মিঠু ও সাফাত মোর্শেদের এবং বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ফখরুল ইসলামের। এ ছাড়া লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মোস্তাক আহমেদকে পাঁচ বছরের জন্য কোনো প্রকার সনদ প্রদান ও চিরতরের জন্য প্রশংসাপত্র দেওয়া হবে না। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শুভেন্দু দাস এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ফারিয়ার জামিল নিহালকে তিন বছরের জন্য কোনো প্রকার সনদ প্রদান ও চিরতরের জন্য প্রশংসাপত্র দেওয়া হবে না।

কুয়েট সূত্র বলেছে, ২০২২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ রশিদ হলের ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুর রহমানকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। ওই ঘটনা তদন্তে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কমিটি করা হয়। গত ২৭ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হলে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে স্থায়ী বহিষ্কারসহ বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ বিভাগের পরিচালক ও ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ বলেন, শৃঙ্খলা কমিটির সভায় তদন্ত কমিটির সুপারিশ ও অন্যান্য বিষয় বিস্তারিত পর্যালোচনা শেষে শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী সর্বসম্মতিক্রমে ওই ছাত্রদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এত শক্তি প্রদর্শন আপনাদের মানায় না—অন্তর্বর্তী সরকারকে কড়া হুঁশিয়ারি সালাহউদ্দিনের

মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ডাকাতির চেষ্টা ব্যর্থ, দোকানদার থেকে ২৫ সেকেন্ডে খেলেন ২০টি চড়

ফরিদপুরে বিএনপির সংঘর্ষের সময় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে যুবক, ভিডিও ভাইরাল

বেতনের টাকায় সব গাড়ি কোম্পানি, এমনকি দেশও কিনতে পারবেন ইলন মাস্ক

মাথায় হেলমেট নেই চালকের, এক লাখের স্কুটারে জরিমানা ২১ লাখ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামে প্রার্থীর প্রচারে গুলি: পাসপোর্ট ব্লক থাকায় বিদেশে যেতে পারেননি সরোয়ার

  • বাকলিয়ায় দুই খুনের পর থেকে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা
  • রাজনৈতিক নেতাদের মাধ্যমে পুলিশের সংশ্লিষ্ট শাখায় তদবির
সবুর শুভ, চট্টগ্রাম    
বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত সরওয়ার হোসেন বাবলা। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত সরওয়ার হোসেন বাবলা। ছবি: সংগৃহীত

সাজ্জাদ আলী ওরফে বড় সাজ্জাদ দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে চট্টগ্রামে পরিচিতি পান ২৬ বছর আগে। তখন সরোয়ার হোসেন বাবলা, নুরনবী ম্যাক্সন, আকবর আলী ওরফে ঢাকাইয়া আকবর ও ছোট সাজ্জাদকে নিয়ে সন্ত্রাসী দল গড়েন বড় সাজ্জাদ। একসময় উল্লিখিত ব্যক্তিদের হাতেই ছিল চট্টগ্রামের অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণ। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ম্যাক্সন, সরোয়ার ও আকবর আলী বড় সাজ্জাদের সঙ্গ ছেড়ে আলাদাভাবে পথচলা শুরু করেন ১০ বছর আগে। এ অবস্থায় ২০১৫ সাল থেকে বড় সাজ্জাদের কমান্ডে ছোট সাজ্জাদ দলের হাল ধরেন। পরে ভারতে ম্যাক্সনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। সরোয়ার ও আকবর বড় ও ছোট দুই সাজ্জাদের নিশানায় পড়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে এ-সংক্রান্ত মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে গত ২৯ মার্চ নগরের বাকলিয়া অ্যাকসেস রোড এলাকায় প্রাইভেট কারে গুলি চালিয়ে সরোয়ারকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ওই সময় প্রাইভেট কারে থাকা তাঁর দুই সহযোগী বখতিয়ার হোসেন মানিক (৩০) ও মো. আবদুল্লাহ (৩৬) ঘটনাস্থলে মারা যান। সেই থেকে সরোয়ার হোসেন বাবলা বিদেশে চলে যাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে তদবির করে তিনি পুলিশের সংশ্লিষ্ট শাখায় তিন মাস ধরে চেষ্টা করেছেন বলে জানান বাবলার ছোট ভাই মো. আজিজ। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। ২০২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কাতার থেকে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হন সরোয়ার। এরপর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার সরোয়ারের পাসপোর্ট ব্লক (বন্ধ) করে দেয় বলে জানান মো. আজিজ।

সরোয়ারের আরেক সহযোগী নগরের বিভিন্ন থানার হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজির ১০টি মামলার আসামি আলী আকবর ওরফে ঢাকাইয়া আকবরকে গত ২৩ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় উপর্যুপরি গুলি চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। দুই দিন পর ঢাকাইয়া আকবর মারা যান। কারাগারে বন্দী সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ হোসেনের অনুসারীরা আকবর হত্যার পেছনে রয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। সহযোগীর এই ধরনের টার্গেটেড হত্যাকাণ্ডে বিদেশে যাওয়ার জন্য আরও ব্যাকুলতা বাড়ে সরোয়ার হোসেন বাবলার। এর মধ্যে একের পর এক প্রাণনাশের হুমকি আসতে থাকে বড় সাজ্জাদ ও রায়হানদের কাছ থেকে। কেউ সাত দিন, কেউ তিন দিনের মৃত্যুর পরোয়ানা পাঠায় সরোয়ারকে। এরই মধ্যে গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিয়ের পিঁড়িতে বসেন সরোয়ার। বিয়ের পর স্ত্রীসহ পরিবারের সবাই জোর করছিল সরোয়ারকে বিদেশে চলে যেতে। জীবন বাঁচাতে সরোয়ারও বিদেশে চলে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পাসপোর্টের ব্লক খুলতে পারছিলেন না। শেষতক মৃত্যুই সরোয়ারের জীবনের সমাধান দিল বলে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তাঁর ছোট ভাই মো. আজিজ।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (বিশেষ শাখা) মো. গোলাম রুহুল কুদ্দুস আজকের পত্রিকাকে বলেন, পাসপোর্ট ব্লক মূলত সরকারি সিদ্ধান্তের বিষয়। সরকার নির্দেশনা দিলে স্পেশাল ব্রাঞ্চ (পুলিশের বিশেষ শাখা) আবেদন করে ইমিগ্রেশন বিভাগের কাছে। এরপর পাসপোর্ট ব্লক হয়। সরোয়ার হোসেন বাবলার পাসপোর্ট ব্লকের বিষয়ে কোনো তথ্য আমাদের কাছে থাকার কথা নয়।’

বুধবার (৫ নভেম্বর) মাগরিবের নামাজের পরপরই চট্টগ্রামে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচনী গণসংযোগে অংশ নিয়ে গুলিতে নিহত হন সরোয়ার হোসেন বাবলা। এ সময় চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহও গুলিবিদ্ধ হন। এরশাদ উল্লাহ বর্তমানে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম নগর পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ার বাবলা। ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পান। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজিসহ ১৫টির বেশি মামলা রয়েছে।

এদিকে সরোয়ার হত্যায় করা মামলার এজাহারে এক নম্বরে যাঁর নাম এসেছে, সেই সাজ্জাদ আলী ওরফে বড় সাজ্জাদের। নগরের বায়েজিদ বোস্তামীর চালিতাতলী এলাকার ঠিকাদার আবদুল গণির ছেলে সাজ্জাদ আলী। ১৯৯৯ সালের ২ জুন পাঁচলাইশ ওয়ার্ডের তৎকালীন কাউন্সিলর লিয়াকত আলী খান বাড়ির সামনে খুন হন। লিয়াকত হত্যায় সাজ্জাদ জড়িত ছিলেন বলে ব্যাপক প্রচার আছে। এ নিয়ে দায়ের করা মামলার আসামি ছিলেন সাজ্জাদ আলী। লিয়াকত হত্যার পর অপরাধজগতে সাজ্জাদের নাম ছড়িয়ে পড়ে।

২০০০ সালের ১২ জুলাই মাইক্রোবাসে করে একটি দলীয় সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ছাত্রলীগের ছয় নেতা-কর্মী। পথে বহদ্দারহাটে ওই মাইক্রোবাস থামিয়ে ব্রাশফায়ার করে সন্ত্রাসীরা। ঘটনাস্থলেই ছাত্রলীগের ওই ছয় নেতা-কর্মীসহ আটজন মারা যান। ‘এইট মার্ডার’ নামে পরিচিত ওই হত্যাকাণ্ডে সাজ্জাদ নেতৃত্ব দেন বলে অভিযোগ ওঠে। ২০০০ সালের ১ অক্টোবর একে-৪৭ রাইফেলসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বড় সাজ্জাদ। ২০০৪ সালে জামিনে বেরিয়ে তিনি বিদেশে পালিয়ে যান। বর্তমানে ভারতের পাঞ্জাবে রয়েছেন বলে জানা গেছে। বড় সাজ্জাদের স্ত্রী পাঞ্জাবি হওয়ার সূত্রে তিনি পাঞ্জাবে অবস্থানের সুযোগ পেয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এত শক্তি প্রদর্শন আপনাদের মানায় না—অন্তর্বর্তী সরকারকে কড়া হুঁশিয়ারি সালাহউদ্দিনের

মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ডাকাতির চেষ্টা ব্যর্থ, দোকানদার থেকে ২৫ সেকেন্ডে খেলেন ২০টি চড়

ফরিদপুরে বিএনপির সংঘর্ষের সময় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে যুবক, ভিডিও ভাইরাল

বেতনের টাকায় সব গাড়ি কোম্পানি, এমনকি দেশও কিনতে পারবেন ইলন মাস্ক

মাথায় হেলমেট নেই চালকের, এক লাখের স্কুটারে জরিমানা ২১ লাখ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামে ১০ মাসে সাপে কেটেছে ১৭১১ জনকে

  • প্রতিষেধকের চাহিদা ৭৬০ ভায়াল, মজুত মাত্র ৩৪০
  • ১৫ উপজেলায় প্রতি মাসে গড়ে সাপে কেটেছে ১৭১ জনকে
  • মারা যাওয়ার তথ্য নেই সংশ্লিষ্ট কোনো বিভাগে
  • পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম না থাকা প্রাণহানির জন্য দায়ী: বিশেষজ্ঞ
  • প্রতিষেধক কম থাকলে কোনো সমস্যা হয় না; কারণ, যেকোনো সময় প্রতিষেধক কেনা যায়: সিভিল সার্জন
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে সাপে কাটা রোগীদের জন্য চাহিদার অর্ধেকও নেই প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম)। এ কারণে অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের বাঁচানো যায় না। চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সাপে কাটা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তিসংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, গত জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত (১০ মাস) ১ হাজার ৭১১ জনকে সাপে কেটেছে। সেই হিসাবে এই ১০ মাসে জেলায় গড়ে সাপে কেটেছে ১৭১ জনকে। এ সময় কতজন সাপে কাটা রোগী মারা গেছে, সেই হিসাবে কারও কাছে পাওয়া যায়নি।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৫টি উপজেলা ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ে অ্যান্টিভেনমের চাহিদা রয়েছে ৭৬০ ভায়াল; অথচ মজুত আছে ৩৪০। সেই হিসাবে চাহিদার মাত্র ৪৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ ভায়াল মজুত রয়েছে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় প্রতিষেধক কম থাকলেও এতে কোনো সমস্যা হয় না। কারণ, যেকোনো সময় প্রতিষেধক চাইলেই আমরা কিনতে পারি।’

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, উল্লিখিত ১০ মাসে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৬৬, বাঁশখালীতে ১৬৫, বোয়ালখালীতে ২৩০, চন্দনাইশে ১৩, দোহাজারীতে ১৭, ফটিকছড়িতে ৫৭, হাটহাজারীতে ২৭, লোহাগাড়ায় ৯৩, মিরসরাইয়ে ২৮৮, পটিয়ায় ২০৮, রাঙ্গুনিয়ায় ৩৫, রাউজানে ১১১, সন্দ্বীপে ৫৬, সাতকানিয়ায় ৪৭ ও সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৯৮ জন সাপে কাটা রোগী ভর্তি হয়।

এদিকে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যান্টিভেনমের চাহিদা ৫০ ভায়াল। এর মধ্যে মজুত রয়েছে ২০ ভায়াল। বাঁশখালীতে ৪০টি চাহিদার জায়গায় রয়েছে ১০টি, বোয়ালখালীতে ৫০টি চাহিদার বিপরীতে ১০, চন্দনাইশে ১০ চাহিদার বিপরীতে ২০টি, দোহাজারীতে ১০টি চাহিদার স্থলে মজুত ১০টি, ফটিকছড়িতে ৫০টি চাহিদার বিপরীতে ২০টি, হাটহাজারীতে ৫০টির স্থলে ৪০, লোহাগাড়ায় ৫০টির স্থলে ২০, মিরসরাইয়ে ৫০টির বিপরীতে ২০, পটিয়ায় ১০০ চাহিদার বিপরীতে ৩০, রাঙ্গুনিয়ায় চাহিদার সব কটি রয়েছে (২০টি), রাউজানে ৫০টির স্থলে ২০, সন্দ্বীপে ৩০ এর স্থলে ২০, সাতকানিয়ায় ৫০ এর বিপরীতে ১০, সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০টির স্থলে ৩০ এবং চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ১০০ ভায়াল চাহিদার বিপরীতে রয়েছে ৪০ ভায়াল অ্যান্টিভেনম। সব মিলিয়ে উল্লিখিত এলাকাগুলোতে ৪২০ ভায়াল অ্যান্টিভেনমের ঘাটতি রয়েছে।

চমেক হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০২৪ সালে সাপের দংশনে চমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ২৮৩ জন রোগী। তাদের মধ্যে মারা গেছে ৩ জন। অ্যান্টিভেনম পেয়েছিল মাত্র ৫২ জন। দেশে প্রতিবছর বর্ষায় চন্দ্রবোড়া, গোখরা, কাল কেউটে, কিং কোবরা ও সবুজ বোড়ার মতো সাপের কামড়ের ঘটনা বাড়ে। চিকিৎসকের বদলে কবিরাজ বা ঝাড়ফুঁকের ওপর নির্ভরতার কারণে দেশে প্রতিবছর ছয় হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়। চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিনিয়ত সাপের কামড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।

ওয়াইল্ড লাইফ অ্যান্ড স্ন্যাকস রেসকিউ টিম ইন বাংলাদেশের চট্টগ্রাম প্রতিনিধি মাহদী হিমু বলেন, ‘সাপের কামড়ে চট্টগ্রামে প্রতিনিয়ত ঘটছে মানুষের মৃত্যুর মতো মর্মান্তিক ঘটনা। আমাদের পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম না থাকাই এসব প্রাণহানির জন্য দায়ী। এর সঙ্গে মফস্বল এলাকায় স্বাস্থ্য খাতের দুর্বলতাও উল্লেখ করার মতো।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এত শক্তি প্রদর্শন আপনাদের মানায় না—অন্তর্বর্তী সরকারকে কড়া হুঁশিয়ারি সালাহউদ্দিনের

মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ডাকাতির চেষ্টা ব্যর্থ, দোকানদার থেকে ২৫ সেকেন্ডে খেলেন ২০টি চড়

ফরিদপুরে বিএনপির সংঘর্ষের সময় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে যুবক, ভিডিও ভাইরাল

বেতনের টাকায় সব গাড়ি কোম্পানি, এমনকি দেশও কিনতে পারবেন ইলন মাস্ক

মাথায় হেলমেট নেই চালকের, এক লাখের স্কুটারে জরিমানা ২১ লাখ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কুড়িগ্রামের চিলমারী: অসম্পূর্ণ সেতুর কারণে হাঁটার রাস্তাও অকেজো

  • প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে
  • সেতুর কাজ শেষ হওয়ার ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও হয়নি সংযোগ সড়ক
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার দক্ষিণ খরখরিয়া সাব-বাঁধ এলাকায় নির্মিত সেতু ও সড়কের চিত্র। সম্প্রতি তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার দক্ষিণ খরখরিয়া সাব-বাঁধ এলাকায় নির্মিত সেতু ও সড়কের চিত্র। সম্প্রতি তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়কের অভাবে সেতুর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয়রা। এতে যোগাযোগ ভোগান্তিতে পড়েছে স্কুল শিক্ষার্থীসহ নারী-শিশু ও বৃদ্ধরা। সেতুর কাজ শেষ হওয়ার ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষ ও ‍ঠিকাদারের অবহেলায় সংযোগ সড়ক নির্মাণ বন্ধ থাকায় জনভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। সেতুর কারণে গ্রামীণ সড়কটি দিয়ে স্বাভাবিক চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে।

তবে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) দাবি, সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ায় সংযোগ সড়কের মাটি ভরাট করা সম্ভব হয়নি।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, একদিকে সড়কের অবস্থা বেহাল। আরেক দিকে সংযোগবিহীন সেতু। সড়ক না থাকায় ওই পথে ছোট-বড় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এমনকি হেঁটে কিংবা বাইসাইকেল-রিকশায় করে যাতায়াতেরও সুযোগ নেই। এতে জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগ বিপাকে পড়ছে স্থানীয় বাসিন্দারা। যোগাযোগ ভোগান্তিতে পড়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে সেতু-সংশ্লিষ্ট সড়কের সুবিধাভোগী অন্তত দেড় শ পরিবারের লোকজন।

উপজেলার পিআইওর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের দক্ষিণ খরখরিয়া সাব বাঁধ এলাকায় ৪২ লাখ ৬৩ হাজার ৯০৭ টাকা ব্যয়ে ১১ মিটার সেতুর নির্মাণকাজ করা হয়। কুড়িগ্রাম সদরের কাঁঠালবাড়ি এলাকার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতুটি নির্মাণ করে। প্রতিষ্ঠানটি চলতি বিল নিয়ে সেতু নির্মাণকাজ শেষ করলেও মাটি ভরাট ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করেই কাজ বন্ধ রাখে। চূড়ান্ত বিল না নিয়ে কাজ ফেলে রেখে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে তারা উধাও রয়েছে।

দক্ষিণ খরখরিয়া সাব বাঁধ এলাকার বাসিন্দা আমজাদ হোসেন ও নুরনবী বলেন, ‘সেতুর কাজ শেষ হলেও মাটি ভরাট না করি কাজ ফেলে রাখা হইছে। সামনে গর্ত করি রাখছে। কিন্তু মাটি ভরাট না করায় আমরা চলাচল করতে পারতেছি না।’

স্থানীয় নারী বিলকিস বলেন, ‘সেতু হইছে কিন্তু সেতু দিয়ে যাতায়াত করা যায় না। সেতুর নিচ দিয়ে পারাপার হওয়া লাগে। গাড়ি তো চলে না। কেউ অসুস্থ হলে বিপদ আরও বেশি হয়। এ ছাড়া একটু বৃষ্টি হলে পানি জমে থাকে। তখন ছেলেমেয়েদের স্কুলে যাওয়া-আসায় খুব সমস্যা হয়।

জানতে চাইলে চিলমারী উপজেলার পিআইও মো. সোহেল রহমান বলেন, সেতুর কাজ শেষ হওয়ার পর বর্ষা চলে আসায় মাটি পাওয়া যায়নি। ফলে এই অবস্থায় পড়ে আছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সংযোগ সড়ক মেরামত করে সেতুটি যাতায়াতের উপযোগী করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এত শক্তি প্রদর্শন আপনাদের মানায় না—অন্তর্বর্তী সরকারকে কড়া হুঁশিয়ারি সালাহউদ্দিনের

মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ডাকাতির চেষ্টা ব্যর্থ, দোকানদার থেকে ২৫ সেকেন্ডে খেলেন ২০টি চড়

ফরিদপুরে বিএনপির সংঘর্ষের সময় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে যুবক, ভিডিও ভাইরাল

বেতনের টাকায় সব গাড়ি কোম্পানি, এমনকি দেশও কিনতে পারবেন ইলন মাস্ক

মাথায় হেলমেট নেই চালকের, এক লাখের স্কুটারে জরিমানা ২১ লাখ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি: বাড়ি বাড়ি কয়লার চুল্লি

  • এক ইউনিয়নে ৮০-৮৫টি পরিবার অবৈধভাবে গড়ে তুলেছে অন্তত ২০০ কয়লার চুল্লি
  • ঘরদুয়ারের সামনেই এসব চুল্লিতে পোড়ানো হয় কাঠ, অনেকে বনের কাঠও পোড়ান
  • প্রতি চুল্লিতে মাসে ২০০ মণ কাঠ পুড়িয়ে ৯০০-১০০০ কেজি কয়লা উৎপাদন
আবদুল মান্নান, মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) 
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার ঢাকাইয়া শিবির এলাকায় বাড়ির আঙিনায় কয়লার চুল্লি। ছবিটি সম্প্রতি তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার ঢাকাইয়া শিবির এলাকায় বাড়ির আঙিনায় কয়লার চুল্লি। ছবিটি সম্প্রতি তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার বাটনাতলী ইউনিয়নে বাড়ি বাড়ি চুল্লি তৈরি করে অবৈধভাবে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা উৎপাদন করা হচ্ছে। বাড়ির আঙিনা, ঘরদুয়ারের সামনেই বাণিজ্যিকভাবে এসব চুল্লি স্থাপন করা হয়েছে। পরিবেশের পাশাপাশি কাঠ পোড়ানোর ধোঁয়ায় আশপাশের বাসিন্দারাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

সরেজমিনে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইউনিয়নটির ঢাকাইয়া শিবির, লালটিলা ও নবীনগর এলাকায় ৮০-৮৫টি পরিবার চুল্লির মাধ্যমে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা বানাচ্ছে। প্রতিটি পরিবারে গড়ে ২-৩টি হিসাবে অন্তত ২০০ চুল্লি রয়েছে। এর মধ্যে শতাধিক চুল্লিতে পোড়ানো হচ্ছে বনের গাছগাছালি। প্রতি চুল্লিতে মাসে ২০০ মণ কাঠ পুড়িয়ে ৯০০-১০০০ কেজি কয়লা উৎপাদন করা হচ্ছে; যা ২৭-৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। প্রতি কেজি কয়লার স্থানীয় পাইকারি মূল্য ৩০-৩২ টাকা। ১০০ চুলায় মাসে গাছ পুড়ছে ৮০০ টন। কয়লা হচ্ছে ১০০ টন।

জানা গেছে, বাটনাতলী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঢাকাইয়া শিবির, লালটিলা ও নবীনগর গ্রামে ২০০ পরিবারের বসবাস। এর মধ্যে অল্পসংখ্যক মানুষের আয়ের উৎস ধান চাষ। বাকি বাসিন্দারা টিলাভূমিতে বনজ, ফলদের বাগ-বাগান করে আয়রোজগার করেন। অন্যরা শ্রমজীবী। ভূমিনির্ভর আয়ের মানুষগুলো নিজ বাগ-বাগানে সৃজিত এবং কেনা গাছগাছালি দিয়ে ঘরদুয়ার ও আশপাশে চুল্লি বানিয়ে কয়লা উৎপাদন করে যাচ্ছেন। বছরের অন্তত ৯-১০ মাস গড়ে ১০০ চুলায় আগুন জ্বলে।

কাঠ পোড়ানোর সময় নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শ্রমিক বলেন, এখানে বেশির ভাগ মানুষ কয়লা উৎপাদন ও বিক্রির কাজে জড়িত। নিজের গাছের বাগান থাকলে এই ব্যবসায় আয় ভালো হয়। লাকড়ি কিনে করা কয়লায় লাভ কম। তবে দীর্ঘদিন কয়লার চুলায় কাজ করলে চোখমুখ জ্বালাপোড়া করে, নাক দিয়ে পানি পড়ে এবং শ্বাসকষ্ট হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকাইয়া শিবির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬০-৭০ গজ উত্তর-পশ্চিম কোণে নাকের আলী ও আবু সাঈদের বাড়ি। দুই পরিবারের ঘর ঘেঁষে রয়েছে পাঁচটি কয়লার চুলা। এর দুটিতে আগুন জ্বলছে।

জানতে চাইলে আবু সাঈদের সোজা উত্তর, ‘আমাদের আয়ের উৎস সবজি চাষ এবং কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করে বিক্রি। বিকল্প রোজগারের উৎস নেই। ফলে কয়লার ময়লা ও কষ্ট সয়ে আমরা বেঁচে আছি। স্থানীয় কয়েকজন পাইকারি ব্যবসায়ী ৩০-৩২ টাকা কেজি দরে কয়লা কিনে জেলা শহরে সরবরাহ করেন।

আবু সাঈদের বাড়ির ২০০-৩০০ গজ উত্তরে এমাদুল হকের বাড়ি। তাঁর ঘরের ৫০-৬০ গজ উত্তর-পশ্চিমে ৫-৭টি চুল্লি দেখা যায়। সেখানে জাহাঙ্গীর হোসেন নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘বৃহত্তর ঢাকাইয়া শিবির এলাকায় ৮০-৮৫ পরিবারে গড়ে ৩-৪টি কয়লার চুল্লি রয়েছে। এর মধ্যে গড়ে ১০০ চুলায় বছরে অন্তত ৯-১০ মাস কাঠ পোড়ানো হয়। ৮০-৯০ দশকে মাথায় ও কাঁধে নিয়ে উৎপাদিত কয়লা স্থানীয় তিনটহরী ও ফটিকছড়ি উপজেলার নয়াবাজারে বিক্রি করতাম। এখন স্থানীয় পর্যায়ে কয়লা চলেই না। শহরকেন্দ্রিক চাহিদার ওপর বাজারজাত করতে হয়।’

মানিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা নাঈমুল হক বলেন, কয়লা তৈরির ধোঁয়ার সবচেয়ে বড় ক্ষতিকর হলো সূক্ষ্ম কণা। এই কণাগুলো চোখ এবং শ্বাসযন্ত্রের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। ফলে চোখ জ্বালাপোড়া, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং ব্রঙ্কাইটিসসহ ক্যানসারের মতো মরণব্যাধিও হতে পারে।

উপজেলার গাড়ীটানা রেঞ্জের বন কর্মকর্তা মো. আবদুল হামিদ বলেন, উপজেলায় কোনো সংরক্ষিত বনাঞ্চল নেই। ব্যক্তি উদ্যোগে পরিবারের প্রয়োজনে কয়লা উৎপাদনে বাধা নেই। তবে বাণিজ্যিক উৎপাদন অবশ্যই বেআইনি।

মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আফরোজ ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এত শক্তি প্রদর্শন আপনাদের মানায় না—অন্তর্বর্তী সরকারকে কড়া হুঁশিয়ারি সালাহউদ্দিনের

মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ডাকাতির চেষ্টা ব্যর্থ, দোকানদার থেকে ২৫ সেকেন্ডে খেলেন ২০টি চড়

ফরিদপুরে বিএনপির সংঘর্ষের সময় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে যুবক, ভিডিও ভাইরাল

বেতনের টাকায় সব গাড়ি কোম্পানি, এমনকি দেশও কিনতে পারবেন ইলন মাস্ক

মাথায় হেলমেট নেই চালকের, এক লাখের স্কুটারে জরিমানা ২১ লাখ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত