Ajker Patrika

গৃহবধূকে পিটিয়ে ঘরে তালাবন্ধ করে রেখেছিলেন স্বামী, অচেতন অবস্থায় উদ্ধার

আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২৩, ১৫: ৫৫
গৃহবধূকে পিটিয়ে ঘরে তালাবন্ধ করে রেখেছিলেন স্বামী, অচেতন অবস্থায় উদ্ধার

যশোরের মনিরামপুরে এক গৃহবধূকে তালাবদ্ধ ঘর থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে স্বজন ও এলাকাবাসী। গৃহবধূর স্বজন ও এলাকাবাসী বলছে, ওই নারীর স্বামী তাঁকে বেধড়ক পিটিয়ে অচেতন অবস্থায় ঘরে তালাবদ্ধ করে রেখেছিলেন। 

তবে এ ঘটনায় পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ইত্যা হঠাৎপাড়ায়। আহত গৃহবধূর নাম ফাতেমা খাতুন সুন্দরী (৪০)। তিনি ওই এলাকার শাহিন হোসেনের স্ত্রী। শাহিন হোসেন ওই এলাকার দিদার বক্সের ছেলে। ফাতেমা খাতুনের বাবার বাড়ি একই গ্রামে।

আহত গৃহবধূর স্বজনেরা বলছের, ফাতেমার ওপর স্বামীর অমানবিক নির্যাতন নতুন নয়। বছরে এমনিভাবে দুই-চারবার তিনি স্বামীর হাতে মারধরের শিকার হন। স্বামীর নির্যাতনে তাঁর একটি হাতের কয়েকটি স্থানে ভেঙেও গেছে। 

ফাতেমার ভাই জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার বোন এখন পাঁচ সন্তানের মা। আমার ভগ্নিপতি শাহিন কোনো কাজ করে না। শুধু ঘুরে বেড়ায় আর খায়। বড় ছেলেটা কাজ করে সংসারে টাকা দেয়। তাতেও সংসার না চলায় বোনটা টুকটাক কাজ করে। আজকে (বৃহস্পতিবার) সকালে বাড়ির পাশের খালে পাট ধুতে যায় আমার বোন। সেখান থেকে ধরে এনে বেধড়ক পিটিয়ে ঘরে আটকে রেখেছিল শাহিন।’

জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা দৌড়ে এসে দেখি বোন ঘরে। বাইরে থেকে শাহিন তালা দিয়ে রেখেছে। অনেক চেষ্টা করে তালা খুলে দেখি, বোন ঘরের মেঝেতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। নাকমুখ দিয়ে রক্ত ঝরছে।’

সুন্দরীর ভাই জাহাঙ্গীর বলেন, ‘প্রায় ২২ বছর আগে বোনের বিয়ে দিছি। প্রতিবছর দুই-চারবার শাহিন ওরে মারপিট করে। মার খেয়ে ওর একটা হাতের তিন-চার জায়গায় ভেঙে গেছে। ওর ছেলে-মেয়েগুলোর মুখের দিকে তাকায়ে আমরা এত দিন কিছু বলিনি।’

ফাতেমার বড় ছেলে মারুফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আব্বা প্রায় মাকে নির্যাতন করে। ঠেকাতে গেলে আমাদেরও মারে। কয়েক মাস আগে একবার এ নিয়ে বসাবসি হয়েছিল। এরপর মাসখানেক ভালো ছিল। আজ মাকে মারার কথা শুনে এসে ঠেকাতে গিছি। তখন আব্বা আমারে মেরে বের করে দেছে। পরে লোকজন ডেকে মাকে উদ্ধার করে মনিরামপুর হাসপাতালে এনেছি।’

মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ আলেক উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গৃহবধূকে আমরা ভর্তি নিয়েছি। এখন তাঁর অবস্থা একটু ভালো।’

অভিযুক্ত শাহিন হোসেন পলাতক থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গৃহবধূকে নির্যাতনের বিষয়টি কেউ আমাকে জানায়নি। অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফোন-ইন্টারনেট ভাতা পাচ্ছেন মাঠ প্রশাসনের সব কর্মচারী

এস আলমের জামাতার পেটে ৩৭৪৫ কোটি টাকা

ভাড়া বাড়িতে চলা ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ

পিপির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ৪৯ জন সহকারী পিপির

জোবাইদার নিরাপত্তার নামে প্রতিবেশীদের বিরক্ত না করার নির্দেশ তারেক রহমানের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত