দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
হাইকোর্টের আদেশে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সিরাজ মণ্ডল শপথগ্রহণ করা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ওই ইউনিয়নের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচনী ফলাফলের বিপক্ষে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করায় নির্বাচন কমিশনের গেজেটভুক্ত এই চেয়ারম্যানের শপথ গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। ফলে গতকাল বৃহস্পতিবার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজ মণ্ডল ছাড়াই উপজেলার অপর ১৩ ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শপথগ্রহণ করেন। জেলা প্রশাসক মো. সাইদুল ইসলাম নবনির্বাচিত এই চেয়ারম্যানদের শপথবাক্য পাঠ করান।
জানা যায়, গত ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে দৌলতপুর উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের নির্বাচনী ফলাফলের বিপক্ষে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেন সিরাজ মণ্ডলের প্রতিদ্বন্দ্বী জাসদ মনোনীত মশাল প্রতীকের প্রার্থী আজিজুল হক। তার রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ ডিসেম্বর হাইকোর্টের এক আদেশে নির্বাচন কমিশন থেকে গেজেটভুক্ত হওয়া চেয়ারম্যান সিরাজ মণ্ডলের শপথগ্রহণ স্থগিত করা হয়। পিটিশনের আওতায় পড়া রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সিরাজ মণ্ডল ৭ হাজার ৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাসদের আজিজুল হক মশাল প্রতীকে পান ৬ হাজার ৮২৬ ভোট। তাদের ভোটের ব্যবধান দাঁড়ায় ২৬৮।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইউপি সদস্য বলেন, সেখানকার একটি ওয়ার্ডের ভোটার সংখ্যা প্রায় ২ হাজার ৪ শ। কিন্তু সেখানে ভোট পোলিং দেখানো হয়েছে ২ হাজার ৬ শর ওপরে। ফলাফলে আপত্তি জানানো তিনটি ওয়ার্ডেই কমবেশি অসামঞ্জস্য রয়েছে বলে তিনি জানান।
এর আগে, রিট পিটিশনে রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ১,৭ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটের ফলাফলের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে ওই তিনটি ওয়ার্ডের ভোট পুনর্গণনার জন্য আবেদন করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি মামুন রহমান ও খন্দকার দেলোয়ারুজ্জামানের বেঞ্চ বিষয়টি আমলে নেন এবং নির্বাচন কমিশনকে সিরাজ মণ্ডলকে গেজেটভুক্ত না করার আদেশ দেন। কিন্তু হাইকোর্টের সেই আদেশের কপি নির্বাচন কমিশনে পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়ায় আদেশ জারির পাঁচ দিনের মাথায় গত ১৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত গেজেটে সিরাজ মণ্ডলের নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরে হাইকোর্ট ডিভিশনের আদেশের (রিট পিটিশন নম্বর ১১৯০৭, তারিখ ১৩ / ১২ / ২০২১) পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজ মণ্ডলের শপথ স্থগিত করা হয়।
এদিকে, শপথগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হওয়া রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজ মণ্ডল তার নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার রেজাল্ট শিট অনুযায়ী হাইকোর্টে আপিল আবেদন করেছেন বলে জানা যায়। ঢাকায় অবস্থান করায় দ্বিতীয়বারের চেয়ারম্যান সিরাজ মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল জব্বার আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, 'একটি জরুরি কাজে বাইরে আছি এবং ব্যস্ত আছি। হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের আদেশে রামকৃষ্ণপুরের চেয়ারম্যান সিরাজ মণ্ডলের শপথ স্থগিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে বিস্তারিত জানতে পারবেন।'
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম আজম বলেন, 'নির্বাচন কমিশন কারও আদেশ-নির্দেশের অপেক্ষায় বসে থাকে না। কমিশন তার নিজস্ব গতিতে কাজ করে। সুতরাং আদালতের আদেশের কপি কমিশনে পৌঁছাতে বিলম্বিত হওয়ায় এরই মধ্যে গেজেটের কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। যদিও নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুসারে আদালতে বিচারাধীন কোনো বিষয়ে কমিশনের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই। তবে আগামী ১৮ জানুয়ারির মধ্যে চেয়ারম্যান সিরাজ মণ্ডলের পক্ষে আপিল নিষ্পত্তি হয়ে গেলে তার শপথগ্রহণে কোনো বাধা থাকবে না। ভোট পুনর্গণনা করা হবে কিনা আদালতের আদেশে কমিশন সেটা বাস্তবায়ন করবে।' এ ক্ষেত্রে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই বলে জানান এই নির্বাচন কর্মকর্তা।
হাইকোর্টের আদেশে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সিরাজ মণ্ডল শপথগ্রহণ করা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ওই ইউনিয়নের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচনী ফলাফলের বিপক্ষে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করায় নির্বাচন কমিশনের গেজেটভুক্ত এই চেয়ারম্যানের শপথ গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। ফলে গতকাল বৃহস্পতিবার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজ মণ্ডল ছাড়াই উপজেলার অপর ১৩ ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শপথগ্রহণ করেন। জেলা প্রশাসক মো. সাইদুল ইসলাম নবনির্বাচিত এই চেয়ারম্যানদের শপথবাক্য পাঠ করান।
জানা যায়, গত ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে দৌলতপুর উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের নির্বাচনী ফলাফলের বিপক্ষে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেন সিরাজ মণ্ডলের প্রতিদ্বন্দ্বী জাসদ মনোনীত মশাল প্রতীকের প্রার্থী আজিজুল হক। তার রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ ডিসেম্বর হাইকোর্টের এক আদেশে নির্বাচন কমিশন থেকে গেজেটভুক্ত হওয়া চেয়ারম্যান সিরাজ মণ্ডলের শপথগ্রহণ স্থগিত করা হয়। পিটিশনের আওতায় পড়া রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সিরাজ মণ্ডল ৭ হাজার ৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাসদের আজিজুল হক মশাল প্রতীকে পান ৬ হাজার ৮২৬ ভোট। তাদের ভোটের ব্যবধান দাঁড়ায় ২৬৮।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইউপি সদস্য বলেন, সেখানকার একটি ওয়ার্ডের ভোটার সংখ্যা প্রায় ২ হাজার ৪ শ। কিন্তু সেখানে ভোট পোলিং দেখানো হয়েছে ২ হাজার ৬ শর ওপরে। ফলাফলে আপত্তি জানানো তিনটি ওয়ার্ডেই কমবেশি অসামঞ্জস্য রয়েছে বলে তিনি জানান।
এর আগে, রিট পিটিশনে রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ১,৭ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটের ফলাফলের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে ওই তিনটি ওয়ার্ডের ভোট পুনর্গণনার জন্য আবেদন করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি মামুন রহমান ও খন্দকার দেলোয়ারুজ্জামানের বেঞ্চ বিষয়টি আমলে নেন এবং নির্বাচন কমিশনকে সিরাজ মণ্ডলকে গেজেটভুক্ত না করার আদেশ দেন। কিন্তু হাইকোর্টের সেই আদেশের কপি নির্বাচন কমিশনে পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়ায় আদেশ জারির পাঁচ দিনের মাথায় গত ১৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত গেজেটে সিরাজ মণ্ডলের নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরে হাইকোর্ট ডিভিশনের আদেশের (রিট পিটিশন নম্বর ১১৯০৭, তারিখ ১৩ / ১২ / ২০২১) পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজ মণ্ডলের শপথ স্থগিত করা হয়।
এদিকে, শপথগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হওয়া রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজ মণ্ডল তার নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার রেজাল্ট শিট অনুযায়ী হাইকোর্টে আপিল আবেদন করেছেন বলে জানা যায়। ঢাকায় অবস্থান করায় দ্বিতীয়বারের চেয়ারম্যান সিরাজ মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল জব্বার আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, 'একটি জরুরি কাজে বাইরে আছি এবং ব্যস্ত আছি। হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের আদেশে রামকৃষ্ণপুরের চেয়ারম্যান সিরাজ মণ্ডলের শপথ স্থগিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে বিস্তারিত জানতে পারবেন।'
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম আজম বলেন, 'নির্বাচন কমিশন কারও আদেশ-নির্দেশের অপেক্ষায় বসে থাকে না। কমিশন তার নিজস্ব গতিতে কাজ করে। সুতরাং আদালতের আদেশের কপি কমিশনে পৌঁছাতে বিলম্বিত হওয়ায় এরই মধ্যে গেজেটের কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। যদিও নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুসারে আদালতে বিচারাধীন কোনো বিষয়ে কমিশনের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই। তবে আগামী ১৮ জানুয়ারির মধ্যে চেয়ারম্যান সিরাজ মণ্ডলের পক্ষে আপিল নিষ্পত্তি হয়ে গেলে তার শপথগ্রহণে কোনো বাধা থাকবে না। ভোট পুনর্গণনা করা হবে কিনা আদালতের আদেশে কমিশন সেটা বাস্তবায়ন করবে।' এ ক্ষেত্রে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই বলে জানান এই নির্বাচন কর্মকর্তা।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, রাধানগর গ্রামের রাখাল চন্দ্র রায় নামে এক ব্যক্তি ১৯৭৩ সালে ৩৩ শতাংশ জমি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য দান করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৮ সালে তার নাতি অরূপ রায় ওই জমিতে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। অবশিষ্ট ৫৫ শতাংশ জমি সরকারি নথিতে খেলার মাঠ হিসেবে উল্লেখ করা আছে। ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়কর
৯ মিনিট আগেজানা যায়, জনদুর্ভোগ কমাতে গত ১৬ এপ্রিল উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেতুর দুই পাশে দুটি সাইনবোর্ড লাগানো হয়। এতে সেতুর ওপর সব ধরনের দোকানপাট ও যানবাহন রাখা নিষেধ বলে সতর্ক করা হয়। ২০১১ সালে নির্মিত এই নতুন সেতুতে যানজট এড়াতে একসময় ট্রাফিক পুলিশ রাখা হলেও কয়েক মাস পর তাদের তুলে নেওয়া হয়।
২৬ মিনিট আগে২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে পর্যন্ত রফিকুল আলমকে বিএনপির কোনো কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। সেই সময় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মোহাম্মদ নদভীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা ও ব্যবসা ছিল। অভিযোগ আছে, গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের শাসনামলে তিনি ওইসব নেতাদের সঙ্গে মিলে নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালিয়ে
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে পুরানো জাহাজের সরঞ্জাম বিক্রির দুটি দোকান ও একটি অক্সিজেন সিলিন্ডারের দোকানসহ মোট তিনটি দোকান পুড়ে গেছে। এ ছাড়া, মার্কেটের আরও কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মাদামবিবিরহাট চেয়ারম্যান
২ ঘণ্টা আগে