প্রতিনিধি
শার্শা (যশোর): যশোরে ৭ দিনের সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সব ধরনের ছোট-বড় যান চলাচল, দোকানপাট, শপিংমল ও হোটেল। আজ ২৩ জুন বুধবার ভোর থেকে ৩০ জুন বুধবার পর্যন্ত এ লকডাউন কার্যকর থাকবে বলে চিঠিতে জানিয়েছেন যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান।
গত ১৫ দিনে যশোরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন প্রায় অর্ধশত। এ সময়ে প্রায় ৩ হাজার জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার সংক্রমণ ঠেকাতে নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী ভ্যান, রিকশা, ইজিবাইকসহ সব ধরনের ছোট-বড় যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। অবশ্য এর আগে থেকে জেলার ৪টি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নকে লকডাউন ঘোষণা করে দোকানপাট, শপিংমল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এর সাথে নতুন করে হোটেল, চায়ের দোকানসহ অন্যান্য দোকানপাটও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হাট-বাজার ও নিত্য পণ্য’র দোকানপাট বেলা ১২টার পর বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান জানান, এর আগে আমরা শুধুমাত্র সংক্রমিত এলাকাগুলোকে লকডাউনের আওতায় এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই সংক্রমণ আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পাওয়ায় পুরো জেলাকেই সর্বাত্মক ও কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় আনা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্ব-স্ব উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছাড়াও ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিস্থিতি তদারকে মাঠে রয়েছেন। অবস্থা বুঝে তাঁরা মহামারি আইনে জেল-জরিমানা করবেন। এ ছাড়া জেলা জুড়ে পুলিশের সকল টিমকে মাঠে রাখা হয়েছে। তারাও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অবস্থান নিয়ে সর্বাত্মক লকডাউন কার্যকর করছে।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন বলেন, সর্বাত্মক লকডাউন চলাকালে আমরা কঠোর অবস্থানে থাকব। এ সময় বিনা প্রয়োজনে কেউ বাইরে বের হলে তাঁদেরকে ন্যূনতম ছাড় দেওয়া হবে না।
এদিকে যশোরের শার্শা ও বেনাপোল বন্দর এলাকায় সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় চলমান লকডাউন আরও ৭ দিন বাড়ানো হয়েছে। এদিকে বেনাপোল বন্দরে বাণিজ্য সচল থাকায় প্রতিদিন স্বাস্থ্যবিধি বিঘ্নিত হচ্ছে। শহর এলাকায় লকডাউন পালন হলেও বন্দর এলাকায় প্রশাসনিক নজরদারি না থাকায় কেউ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। এতে সংক্রমণ দিন দিন মারাত্মক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতিমধ্যে এ সীমান্তে একজন ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন।
বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বজলুর রহমান জানান, করোনা উপসর্গ যেমন জ্বর, সর্দি কাশি ও শ্বাসকষ্টে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে শ্বাসকষ্ট নিয়ে সীমান্তে ৬ জন মারা গেছে। এতে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, বেনাপোল ইমিগ্রেশনে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র নিয়ে প্রতিদিন স্বল্পপরিসরে কিছু কিছু বাংলাদেশি ভারতে যাচ্ছেন। ভারত থেকেও বাংলাদেশ দূতাবাসের ছাড়পত্র নিয়ে বাংলাদেশিরা ফিরছেন। আজ বুধবার ভারতে গেছেন ১৯ জন বাংলাদেশি ও ১৩ জন ভারতীয় নাগরিক। ভারত থেকে ফিরেছেন ৩৭ জন। ফেরত আসা যাত্রীরা বেনাপোলে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন খান জানান, দেশে শিল্প কলকারখানায় উৎপাদন ও সরবরাহ সচল রাখতে চলমান লকডাউনের মধ্যে বন্দরের কার্যক্রম অন্য সময়ের মত সচল রয়েছে। তবে সবাই যাতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে বাণিজ্য পরিচালনা করে তার জন্য বন্দরের কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ পণ্য খালাসের সঙ্গে জড়িত সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে প্রশাসনের তৎপরতা যেমন চোখে পড়েছে, তেমনি অসচেতন মানুষের চলাচলও দেখা গেছে।
যশোর পৌরসভার কাউন্সিলর মোকসিমুল বারী অপু বলেন, আমাদের স্বেচ্ছাসেবকেরা কাজ করছেন। পুলিশ এবং ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছে। এরপরও মানুষকে পুরোপুরি ঘরমুখো করা যাচ্ছে না। প্রশাসনের লোকজন টহল দিলেই কেবল সটকে পড়ছেন মানুষজন। কিন্তু তারা চলে যাওয়ার পর আবারও রাস্তায় নেমে আসছেন তাঁরা।
শার্শা (যশোর): যশোরে ৭ দিনের সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সব ধরনের ছোট-বড় যান চলাচল, দোকানপাট, শপিংমল ও হোটেল। আজ ২৩ জুন বুধবার ভোর থেকে ৩০ জুন বুধবার পর্যন্ত এ লকডাউন কার্যকর থাকবে বলে চিঠিতে জানিয়েছেন যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান।
গত ১৫ দিনে যশোরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন প্রায় অর্ধশত। এ সময়ে প্রায় ৩ হাজার জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার সংক্রমণ ঠেকাতে নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী ভ্যান, রিকশা, ইজিবাইকসহ সব ধরনের ছোট-বড় যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। অবশ্য এর আগে থেকে জেলার ৪টি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নকে লকডাউন ঘোষণা করে দোকানপাট, শপিংমল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এর সাথে নতুন করে হোটেল, চায়ের দোকানসহ অন্যান্য দোকানপাটও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হাট-বাজার ও নিত্য পণ্য’র দোকানপাট বেলা ১২টার পর বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান জানান, এর আগে আমরা শুধুমাত্র সংক্রমিত এলাকাগুলোকে লকডাউনের আওতায় এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই সংক্রমণ আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পাওয়ায় পুরো জেলাকেই সর্বাত্মক ও কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় আনা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্ব-স্ব উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছাড়াও ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিস্থিতি তদারকে মাঠে রয়েছেন। অবস্থা বুঝে তাঁরা মহামারি আইনে জেল-জরিমানা করবেন। এ ছাড়া জেলা জুড়ে পুলিশের সকল টিমকে মাঠে রাখা হয়েছে। তারাও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অবস্থান নিয়ে সর্বাত্মক লকডাউন কার্যকর করছে।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন বলেন, সর্বাত্মক লকডাউন চলাকালে আমরা কঠোর অবস্থানে থাকব। এ সময় বিনা প্রয়োজনে কেউ বাইরে বের হলে তাঁদেরকে ন্যূনতম ছাড় দেওয়া হবে না।
এদিকে যশোরের শার্শা ও বেনাপোল বন্দর এলাকায় সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় চলমান লকডাউন আরও ৭ দিন বাড়ানো হয়েছে। এদিকে বেনাপোল বন্দরে বাণিজ্য সচল থাকায় প্রতিদিন স্বাস্থ্যবিধি বিঘ্নিত হচ্ছে। শহর এলাকায় লকডাউন পালন হলেও বন্দর এলাকায় প্রশাসনিক নজরদারি না থাকায় কেউ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। এতে সংক্রমণ দিন দিন মারাত্মক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতিমধ্যে এ সীমান্তে একজন ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন।
বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বজলুর রহমান জানান, করোনা উপসর্গ যেমন জ্বর, সর্দি কাশি ও শ্বাসকষ্টে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে শ্বাসকষ্ট নিয়ে সীমান্তে ৬ জন মারা গেছে। এতে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, বেনাপোল ইমিগ্রেশনে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র নিয়ে প্রতিদিন স্বল্পপরিসরে কিছু কিছু বাংলাদেশি ভারতে যাচ্ছেন। ভারত থেকেও বাংলাদেশ দূতাবাসের ছাড়পত্র নিয়ে বাংলাদেশিরা ফিরছেন। আজ বুধবার ভারতে গেছেন ১৯ জন বাংলাদেশি ও ১৩ জন ভারতীয় নাগরিক। ভারত থেকে ফিরেছেন ৩৭ জন। ফেরত আসা যাত্রীরা বেনাপোলে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন খান জানান, দেশে শিল্প কলকারখানায় উৎপাদন ও সরবরাহ সচল রাখতে চলমান লকডাউনের মধ্যে বন্দরের কার্যক্রম অন্য সময়ের মত সচল রয়েছে। তবে সবাই যাতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে বাণিজ্য পরিচালনা করে তার জন্য বন্দরের কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ পণ্য খালাসের সঙ্গে জড়িত সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে প্রশাসনের তৎপরতা যেমন চোখে পড়েছে, তেমনি অসচেতন মানুষের চলাচলও দেখা গেছে।
যশোর পৌরসভার কাউন্সিলর মোকসিমুল বারী অপু বলেন, আমাদের স্বেচ্ছাসেবকেরা কাজ করছেন। পুলিশ এবং ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছে। এরপরও মানুষকে পুরোপুরি ঘরমুখো করা যাচ্ছে না। প্রশাসনের লোকজন টহল দিলেই কেবল সটকে পড়ছেন মানুষজন। কিন্তু তারা চলে যাওয়ার পর আবারও রাস্তায় নেমে আসছেন তাঁরা।
গত ২৮ জুলাই নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের লিখিত, মৌখিক ও প্রেজেন্টেশন পরীক্ষায় তারা উত্তীর্ণ হন। পরে নিয়ম অনুযায়ী ডোপ টেস্টে অংশ নিলে দুজনের শরীরে গাঁজা জাতীয় মাদকের উপস্থিতি মেলে।
১ মিনিট আগেমুফিজুল হক সিকদার দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। শুক্রবার (৮ আগস্ট) আসরের নামাজের পর রাউজান উপজেলার নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের ফতেহনগর গ্রামের ফতেহ মোহাম্মদ সিকদার বাড়ি জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
৬ মিনিট আগেসুনামগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ শিক্ষার্থীসহ ৩ জনের প্রাণ কেড়ে নেওয়া ঘাতক বাসচালককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত জাকির আলম (৩৫) সিলেটের বিশ্বনাথের...
১ ঘণ্টা আগেমাদারীপুর সদর, রাজৈর, কালকিনি, শিবচর ও ডাসার উপজেলায় কাগজে-কলমে ১৭টি নদনদী থাকলেও বর্তমানে দৃশ্যমান ১০টি। এর মধ্যে পদ্মা, পালরদী, আড়িয়াল খাঁ, ময়নাকাটা, বিষারকান্দি ও কুমার নদ উল্লেখযোগ্য। এসব নদনদী ঘিরে জেলার ৫ উপজেলায় ৩৪টি স্লুইস গেট নির্মাণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে ২৯টি পুরোপুরি অকেজো, আর বাকি ৫টিও
১ ঘণ্টা আগে