তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার তালায় চোর সন্দেহে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রকে (১৫) হাত-পা বেঁধে মারধর ও নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তালা উপজেলার কলাপোতা এলাকার জাকির হোসেনের মৎস্য ঘেরে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ওই কিশোরের বাড়ি লাউতাড়া গ্রামে। সে তেরছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। বর্তমানে সে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।
ওই কিশোর ও তার স্বজনেরা আজকের পত্রিকাকে জানান, দুই দিন আগে সে এক বন্ধুর সঙ্গে পাশের জাকির বিশ্বাসের কলিনদা বিলের মৎস্য ঘেরে বেড়াতে যায়। এর দুই দিন পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাকির হোসেনের ঘের কর্মচারী সোহেলসহ কয়েকজন তাকে বাড়ি থেকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে ডেকে ঘেরে নিয়ে যান। পরে ঘেরে নিয়ে এক হাজার টাকা চুরির অপবাদে হাত-পা বেঁধে মারধর করেন। এ সময় তার পিতাকে মোবাইল ফোনে কিশোরের আর্তচিৎকার শোনান তাঁরা।
শিশুর দাদা হোসেন গাজী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘেরে গিয়ে দেখি ঘেরমালিক জাকির, কর্মচারী সোহেল, জয়দেবসহ কয়েকজন তখনো নাতিকে মারধর করছে। এ সময় আমরা তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসি।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন সরদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। রাতের অন্ধকারে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে একটি শিশুকে নির্যাতন করা, খুবই দুঃখজনক। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
তেরছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দরিদ্র পরিবারে ছেলেটি আমার স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ে। সে খুবই শান্তশিষ্ট ও ভদ্র। সে ভুল করে থাকলে তার মা-বাবাকে জানাতে পারত। এভাবে মারপিট করা মোটেও ঠিক হয়নি।’
এ বিষয়ে ঘেরমালিক জাকির হোসেন বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘেরে চুরির ঘটনায় কর্মচারীরা ওই কিশোরকে সন্দেহ করে দু-একটা চড়-থাপ্পড় মারে। আমি গিয়ে তাকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে দেই।’
আরেক অভিযুক্ত জয়দেব বলেন, ‘ওই মৎস ঘেরের পাশেই আমার ঘের থাকায় সেখানে গিয়েছিলাম, কিন্তু আমি মারপিট ঘটনার সঙ্গে জড়িত না।’
এ বিষয়ে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরি রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ এখনো আসেনি, অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাতক্ষীরার তালায় চোর সন্দেহে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রকে (১৫) হাত-পা বেঁধে মারধর ও নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তালা উপজেলার কলাপোতা এলাকার জাকির হোসেনের মৎস্য ঘেরে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ওই কিশোরের বাড়ি লাউতাড়া গ্রামে। সে তেরছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। বর্তমানে সে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।
ওই কিশোর ও তার স্বজনেরা আজকের পত্রিকাকে জানান, দুই দিন আগে সে এক বন্ধুর সঙ্গে পাশের জাকির বিশ্বাসের কলিনদা বিলের মৎস্য ঘেরে বেড়াতে যায়। এর দুই দিন পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাকির হোসেনের ঘের কর্মচারী সোহেলসহ কয়েকজন তাকে বাড়ি থেকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে ডেকে ঘেরে নিয়ে যান। পরে ঘেরে নিয়ে এক হাজার টাকা চুরির অপবাদে হাত-পা বেঁধে মারধর করেন। এ সময় তার পিতাকে মোবাইল ফোনে কিশোরের আর্তচিৎকার শোনান তাঁরা।
শিশুর দাদা হোসেন গাজী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘেরে গিয়ে দেখি ঘেরমালিক জাকির, কর্মচারী সোহেল, জয়দেবসহ কয়েকজন তখনো নাতিকে মারধর করছে। এ সময় আমরা তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসি।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন সরদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। রাতের অন্ধকারে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে একটি শিশুকে নির্যাতন করা, খুবই দুঃখজনক। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
তেরছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দরিদ্র পরিবারে ছেলেটি আমার স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ে। সে খুবই শান্তশিষ্ট ও ভদ্র। সে ভুল করে থাকলে তার মা-বাবাকে জানাতে পারত। এভাবে মারপিট করা মোটেও ঠিক হয়নি।’
এ বিষয়ে ঘেরমালিক জাকির হোসেন বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘেরে চুরির ঘটনায় কর্মচারীরা ওই কিশোরকে সন্দেহ করে দু-একটা চড়-থাপ্পড় মারে। আমি গিয়ে তাকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে দেই।’
আরেক অভিযুক্ত জয়দেব বলেন, ‘ওই মৎস ঘেরের পাশেই আমার ঘের থাকায় সেখানে গিয়েছিলাম, কিন্তু আমি মারপিট ঘটনার সঙ্গে জড়িত না।’
এ বিষয়ে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরি রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ এখনো আসেনি, অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়ছে না এই শিক্ষার্থীর। দুই বছর আগে বাবা মারা যান। শিক্ষকদের সহযোগিতায় কোনোরকমে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বিপত্তি বাধে এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন। গত বৃহস্পতিবার তিনি যখন পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখনই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁর মা। এ অবস্থায় মাকে নিয়ে ছুটতে হয়
১ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজার শহর থেকে ৬৫ কিলোমিটার এবং কমলগঞ্জের ঘনবসতি এলাকা থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে ভারতের সীমান্ত এলাকায় সুনছড়া চা-বাগান। এর একটি টিলার ওপর টিনের জীর্ণ ঘর। বাইরে হেলে পড়া বাঁশে ঝুলে আছে জাতীয় পতাকা। ছোট্ট কক্ষে বাঁশের বেড়া দিয়ে দুটি কক্ষ তৈরি হয়েছে। ছোট ছোট খুপরি ঘরে চলছে পাঠদান। জীর্ণ ঘরের মত
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাবেক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের নাম ভাঙিয়ে দুটি খাবারের দোকান বসান তাঁর চাচাতো ভাই মোসাদ্দেক হোসেন নয়ন। ২০০৮ সাল থেকে দোকান দুটির ভাড়া বকেয়া ২ কোটি ১১ লাখ টাকা।
২ ঘণ্টা আগেরংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ১৩ বছর আগে ১০ শয্যার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) চালু করা হয়। এর মধ্যে একটি শয্যা দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট। এখন ৯ শয্যার ইউনিটই পুরো রংপুর বিভাগের দুই কোটির বেশি মানুষের একমাত্র সরকারি আশ্রয়স্থল।
২ ঘণ্টা আগে