Ajker Patrika

শ্রেণিকক্ষের সংকটের কারণে পরিত্যক্ত ভবনে চলছে প্রাথমিকের ক্লাস

ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া), প্রতিনিধি
শ্রেণিকক্ষের সংকটের কারণে পরিত্যক্ত ভবনে চলছে প্রাথমিকের ক্লাস

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ পরিত্যক্ত দুটি কক্ষ। ভাঙাচোরা টিনের দোচালা ঘরে জং ধরেছে। সামান্য বৃষ্টিতেই শ্রেণিকক্ষে পানি গড়িয়ে পড়ে। শ্রেণিকক্ষের সংকটের কারণে এমন দুটি পরিত্যক্ত কক্ষেই চলছে জুনিয়াদহ ইউনিয়নের পরানখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ এ পরিবেশে শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে। 
 
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শ্রেণিকক্ষের সংকটের কারণে বাধ্য হয়েই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত টিনশেড ভবনে ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষকেরা। এখানে সামান্য বৃষ্টিতেই শ্রেণিকক্ষে পানি পড়ে। ফলে বই-খাতাসহ শিক্ষার্থীরা ভিজে যায়। বাধ্য হয়েই মাঝে মাঝে ক্লাস বন্ধ রাখতে হয়। 

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, পিজিবি-২ প্রকল্পের ২০০৮-২০০৯ সালে নির্মিত দুই কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবনের একটি কক্ষ শিক্ষকদের অফিস। অন্য একটি কক্ষে চলে পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস। এর বাইরে তিন কক্ষের আরও একটি জরাজীর্ণ টিনশেড ভবন রয়েছে। সেখানেও টিনের ফুটো দিয়ে পানি পড়ে। 

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বলেন, 'বাধ্য হয়ে স্কুলের পাশে অবস্থিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুই কক্ষের টিনের ছাউনির জরাজীর্ণ পরিত্যক্ত ভবনকে ব্যবহার করা হচ্ছে। কোন রকমে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।' 

পরানখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজিয়া সুলতানা বলেন, '২০১৮ সালে এ স্কুলে যোগদান করি। আমি আসার আগেই স্কুলের নতুন ভবনের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসে বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়।' 

প্রধান শিক্ষক রাজিয়া সুলতানা আরও বলেন, 'শিক্ষার্থীরা কষ্ট করে ক্লাস করছে। বৃষ্টির সময় ক্লাস বন্ধ রাখতে হয়। শ্রেণিকক্ষের সংকটের কারণে পরানখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ টিনের ছাউনির একটি পরিত্যক্ত ভবনে কোন রকম ক্লাস নিচ্ছি।' 

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আহসান আরা বলেন, 'উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য জেলার মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এরই মধ্যে জানানো হয়েছে।' 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীনেশ সরকার বলেন, 'এ বিষয়ে উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৩টি নতুন ভবন ও দুইটি ভবন ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের জন্য জেলার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তালিকায় ওই বিদ্যালয়টি রয়েছে। আশা করি দ্রুত ভবনের সমস্যা কেটে যাবে।' 

উল্লেখ্য, পরানখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯০১ সালে প্রতিষ্ঠা হলেও জাতীয়করণ হয় ১৯৭৩ সালে। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ে ৩৬২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত