মাগুরার শ্রীপুর
ফয়সাল পারভেজ, মাগুরা
মাগুরার শ্রীপুরে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই এক যুগের বেশি সময় ধরে পাটখড়ি পুড়িয়ে ছাই ও কয়লা তৈরির (চারকোল) একটি কারখানা চলছে। উপজেলার নাকোল ইউনিয়নের নাকোল গ্রামে লা রিগো নামের এই কারখানাটির পাটখড়ি পোড়ানো ধোঁয়া ও ছাইতে মারাত্মকভাবে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারাও এতে স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যায় পড়ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, প্রভাবশালী মহলের তৎপরতায় গড়ে ওঠা কারখানাটি এখন হাজারো মানুষের কাছে রোগ-শোকের কারখানা বলে পরিচিত হয়ে উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কারখানা বন্ধের জন্য গ্রামবাসী মানববন্ধন করেছে। তবে কারখানাটির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রশাসন এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নিয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছে।
তবে অবৈধ এই চারকোল কারখানা সম্পর্কে পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে, এটি পরিবেশের কোনো ক্ষতিই করছে না। রপ্তানিমুখী কারখানা হওয়ায় কর্তৃপক্ষকে পরিবেশগত যেসব নিয়ম রয়েছে, তা মানতে বলেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পুরো কারখানাজুড়ে পাটকাঠি পোড়ানোর জন্য স্তূপ করে রাখা হয়েছে। গোটা বিশেক শ্রমিক কাজ করছেন সেখানে। তবে তাঁদের কেউ মাস্ক পরিহিত নন। এমনকি ছাই থেকে উৎপাদিত কার্বন প্যাকেটজাত করার সময়ও স্বাস্থ্যগত সুরক্ষায় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। একদিকে কৃষিজমি অপরদিকে প্রধান সড়কের পাশাপাশি কারখানাটি হওয়ায় জনবসতি প্রায় এক কিলোমিটার দূরে। স্থানীয়রা বলছেন, পাটকাঠি পোড়ালে যে কালো ধোঁয়া তৈরি হয়, তা পার্শ্ববর্তী তিন-চারটি গ্রামে প্রবাহিত হয়। ফলে বাসিন্দারা ধোঁয়ায় চোখ জ্বালাপোড়াসহ বিভিন্ন সমস্যায় ভোগেন।
স্থানীয় কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, কারখানাটি ১২ বছরের বেশি সময় ধরে চলছে। এটি ফাঁকা মাঠের পাশে হলেও বিকেলে পাটকাঠি পোড়ানো শুরু হলে এর কালো ধোঁয়া ও ছাই বাতাসে উড়ে গ্রামে প্রবেশ করে। তখন শতাধিক পরিবারের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করতে গেলে চোখ জ্বালাপোড়া করে। কারও কারও শ্বাসকষ্টও হয়। ঠিকভাবে নিশ্বাস নিতে পারে না বাচ্চারা।
বারবার কারখানাটি সরিয়ে ফেলতে বলা হলেও প্রভাবশালীদের দ্বারা হুমকি-ধমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের। তাঁরা বলেন, একসময় আওয়ামী লীগের নেতাদের টাকা দিয়ে কারখানা চালানো হয়েছে, এখন অন্যদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, কারখানাটিতে ১ ডিসেম্বর সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে বেসরকারি টেলিভিশন যমুনার জেলা প্রতিনিধি আলিমুজ্জামান উজ্জ্বলসহ দুই সংবাদকর্মী হামলার শিকার হন। এ নিয়ে মাগুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ওই সাংবাদিক।
কারখানার ম্যানেজার আব্দুল আল মামুন বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আমরা এখনো পাইনি। তবে আমরা পরিবেশের ছাড়পত্র পেতে যা যা করার, তা করছি। এখানে অনেক শ্রমিক কাজ করেন, তাঁরা এই আয় দিয়ে সংসার চালান।’ তিনি বলেন, এটা কোনো ক্ষতিই করছে না মানুষের। তবু কিছু লোক পেছনে লেগেছে।
মাগুরা পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, জেলায় নাকোল চারকোল কারখানার মতো আরও চারটি কারখানা রয়েছে। তবে এগুলো বৈধ নয়।
এসব কারখানায় পাটখড়ির ছাই থেকে তৈরি করা কার্বন চীনে রপ্তানি করা হয় বলেও জানা গেছে।
মাগুরা সিভিল সার্জন শামীম কবির বলেন, কালো ধোঁয়া মানবদেহের ফুসফুসে গেলে নানা ধরনের অ্যাজমা দেখা দিতে পারে। পরিবেশগত
চুল্লি ব্যবহার না করলে এটা মানুষের জন্য বিপজ্জনক।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মাগুরার দায়িত্বে থাকা সহকারী পরিচালক শোয়াইব মোহাম্মদ শোয়েব বলেন, ‘চারকোল কারখানার জন্য আক্ষরিক অর্থে কোনো আইন নেই। তবে কিছু প্রস্তাব রয়েছে। তবু এটা যেহেতু রপ্তানিমুখী একটি কারখানা, তাই সরকার এটাকে পরিবেশবান্ধব করতে পরামর্শ দিয়েছে। মাগুরার নাকোল চারকোল কারখানা প্রায় এক যুগের কারখানা। এটার বৈধতা নিয়ে ২০২২ সালে আবেদন করেছিল। তারপর থেকে নানা অভিযোগ উঠেছে মন্ত্রণালয় পর্যন্ত। আমরা তা খতিয়ে দেখেছি।’ তিনি বলেন, ‘কিছু নির্দেশনা দিয়েছি। তাঁরা সেটা মেনে এখন কারখানা
চালাচ্ছেন। তাঁদের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে।’
মাগুরার শ্রীপুরে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই এক যুগের বেশি সময় ধরে পাটখড়ি পুড়িয়ে ছাই ও কয়লা তৈরির (চারকোল) একটি কারখানা চলছে। উপজেলার নাকোল ইউনিয়নের নাকোল গ্রামে লা রিগো নামের এই কারখানাটির পাটখড়ি পোড়ানো ধোঁয়া ও ছাইতে মারাত্মকভাবে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারাও এতে স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যায় পড়ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, প্রভাবশালী মহলের তৎপরতায় গড়ে ওঠা কারখানাটি এখন হাজারো মানুষের কাছে রোগ-শোকের কারখানা বলে পরিচিত হয়ে উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কারখানা বন্ধের জন্য গ্রামবাসী মানববন্ধন করেছে। তবে কারখানাটির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রশাসন এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নিয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছে।
তবে অবৈধ এই চারকোল কারখানা সম্পর্কে পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে, এটি পরিবেশের কোনো ক্ষতিই করছে না। রপ্তানিমুখী কারখানা হওয়ায় কর্তৃপক্ষকে পরিবেশগত যেসব নিয়ম রয়েছে, তা মানতে বলেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পুরো কারখানাজুড়ে পাটকাঠি পোড়ানোর জন্য স্তূপ করে রাখা হয়েছে। গোটা বিশেক শ্রমিক কাজ করছেন সেখানে। তবে তাঁদের কেউ মাস্ক পরিহিত নন। এমনকি ছাই থেকে উৎপাদিত কার্বন প্যাকেটজাত করার সময়ও স্বাস্থ্যগত সুরক্ষায় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। একদিকে কৃষিজমি অপরদিকে প্রধান সড়কের পাশাপাশি কারখানাটি হওয়ায় জনবসতি প্রায় এক কিলোমিটার দূরে। স্থানীয়রা বলছেন, পাটকাঠি পোড়ালে যে কালো ধোঁয়া তৈরি হয়, তা পার্শ্ববর্তী তিন-চারটি গ্রামে প্রবাহিত হয়। ফলে বাসিন্দারা ধোঁয়ায় চোখ জ্বালাপোড়াসহ বিভিন্ন সমস্যায় ভোগেন।
স্থানীয় কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, কারখানাটি ১২ বছরের বেশি সময় ধরে চলছে। এটি ফাঁকা মাঠের পাশে হলেও বিকেলে পাটকাঠি পোড়ানো শুরু হলে এর কালো ধোঁয়া ও ছাই বাতাসে উড়ে গ্রামে প্রবেশ করে। তখন শতাধিক পরিবারের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করতে গেলে চোখ জ্বালাপোড়া করে। কারও কারও শ্বাসকষ্টও হয়। ঠিকভাবে নিশ্বাস নিতে পারে না বাচ্চারা।
বারবার কারখানাটি সরিয়ে ফেলতে বলা হলেও প্রভাবশালীদের দ্বারা হুমকি-ধমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের। তাঁরা বলেন, একসময় আওয়ামী লীগের নেতাদের টাকা দিয়ে কারখানা চালানো হয়েছে, এখন অন্যদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, কারখানাটিতে ১ ডিসেম্বর সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে বেসরকারি টেলিভিশন যমুনার জেলা প্রতিনিধি আলিমুজ্জামান উজ্জ্বলসহ দুই সংবাদকর্মী হামলার শিকার হন। এ নিয়ে মাগুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ওই সাংবাদিক।
কারখানার ম্যানেজার আব্দুল আল মামুন বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আমরা এখনো পাইনি। তবে আমরা পরিবেশের ছাড়পত্র পেতে যা যা করার, তা করছি। এখানে অনেক শ্রমিক কাজ করেন, তাঁরা এই আয় দিয়ে সংসার চালান।’ তিনি বলেন, এটা কোনো ক্ষতিই করছে না মানুষের। তবু কিছু লোক পেছনে লেগেছে।
মাগুরা পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, জেলায় নাকোল চারকোল কারখানার মতো আরও চারটি কারখানা রয়েছে। তবে এগুলো বৈধ নয়।
এসব কারখানায় পাটখড়ির ছাই থেকে তৈরি করা কার্বন চীনে রপ্তানি করা হয় বলেও জানা গেছে।
মাগুরা সিভিল সার্জন শামীম কবির বলেন, কালো ধোঁয়া মানবদেহের ফুসফুসে গেলে নানা ধরনের অ্যাজমা দেখা দিতে পারে। পরিবেশগত
চুল্লি ব্যবহার না করলে এটা মানুষের জন্য বিপজ্জনক।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মাগুরার দায়িত্বে থাকা সহকারী পরিচালক শোয়াইব মোহাম্মদ শোয়েব বলেন, ‘চারকোল কারখানার জন্য আক্ষরিক অর্থে কোনো আইন নেই। তবে কিছু প্রস্তাব রয়েছে। তবু এটা যেহেতু রপ্তানিমুখী একটি কারখানা, তাই সরকার এটাকে পরিবেশবান্ধব করতে পরামর্শ দিয়েছে। মাগুরার নাকোল চারকোল কারখানা প্রায় এক যুগের কারখানা। এটার বৈধতা নিয়ে ২০২২ সালে আবেদন করেছিল। তারপর থেকে নানা অভিযোগ উঠেছে মন্ত্রণালয় পর্যন্ত। আমরা তা খতিয়ে দেখেছি।’ তিনি বলেন, ‘কিছু নির্দেশনা দিয়েছি। তাঁরা সেটা মেনে এখন কারখানা
চালাচ্ছেন। তাঁদের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে।’
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট বাজারে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার এক মাস যেতে না যেতেই উঠে যাচ্ছে সড়কের আরসিসি ঢালাই। এ ছাড়া সড়কটির সম্প্রসারণ জয়েন্টগুলোতে আঁকাবাঁকা ফাটল দেখা দিয়েছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে সংশ্লিষ্টরা তাড়াহুড়া করে বিটুমিন দিয়ে ফাটল বন্ধের চেষ্টা চালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেতিন পার্বত্য জেলার মধ্যে আগে থেকেই চিকিৎসাসেবায় পিছিয়ে খাগড়াছড়ি। তার ওপর বছরের পর বছর চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারী ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকট থাকায় খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা।
৫ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় (২৪) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান...
৫ ঘণ্টা আগেরাজধানীর খিলগাঁওয়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তবে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই আগুন নিভে গেছে। এতে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
৬ ঘণ্টা আগে