ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
‘আমার সব শেষ হয়ে গেছে। আমার কী হবে এখন? আমার স্বামীকে এভাবে মেরে ফেলল কারা?’
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিলেন ঝিনাইদহে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হওয়া হানিফ আলীর স্ত্রী শান্তি খাতুন। আজ রোববার শান্তি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন তাঁকে হরিণাকুণ্ডু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
গত শুক্রবার রাতে শৈলকুপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামে ত্রিবেণি শ্মশান খাল এলাকায় হানিফ ও তাঁর দুই সহযোগীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। হানিফ হরিণাকুণ্ডু উপজেলার আহাদনগর গ্রামের রাহাজ উদ্দিনের ছেলে। বাকি দুজন হলেন হানিফের শ্যালক একই উপজেলার শ্রীরামপুরের উম্মাদ হোসেনের ছেলে লিটন হোসেন (৩৬) এবং কুষ্টিয়ার ইবি থানার পিয়ারপুরের আরজান হোসেনের ছেলে রাইসুল ইসলাম (২৭)। সবাইকে মাথায় গুলি করে মারা হয়।
ওই রাতেই হত্যার দায় স্বীকার করে চরমপন্থী সংগঠন জাসদ গণবাহিনীর নেতা কালু পরিচয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে মেসেজ পাঠানো হয়। যদিও এ বার্তা নিয়ে পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় হানিফের লাশ গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়। পরে জানাজা শেষে দাফন করা হয়। আজ সকালে হানিফের স্ত্রী শান্তি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, শান্তি মহিলা ওয়ার্ডের একটি শয্যায় শুয়ে আছেন। হাতে স্যালাইনের সুচ লাগানো। তাঁকে ঘিরে আছেন কয়েকজন নারী। এ সময় সংবাদকর্মী পরিচয় পেয়ে তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘জানেন ভাই, কারা যেন আমার স্বামীকে মেরে ফেলেছে, আমার সব শেষ করে দিয়েছে।’ তখন কয়েকজন পুরুষ স্বজন কোনো কথা না বলে সাংবাদিকদের সরিয়ে দেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আলামিন বলেন, ‘শান্তি খাতুনকে সকালে আমাদের হাসপাতালে আনে। তাঁর প্রেশার অনেক বেশি। মনে হচ্ছে তিনি মানসিক চাপে আছেন। পরীক্ষা দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট দেখে বোঝা যাবে মূলত সমস্যা কী হয়েছে।’
এদিকে এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি এবং পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করতে পারেনি। শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাছুম খান জানান, মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অন্যদিকে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চরমপন্থী দল পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির নেতা হানিফ ১৪ বছর কারাভোগের পর রাষ্ট্রপতির ক্ষমায় বাইরে এসে আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন। মৎস্যজীবী লীগে নাম লিখিয়ে প্রকাশ্য রাজনীতিতে নেতা হয়ে যান। প্রভাব খাটিয়ে দখল-বাণিজ্য শুরু করেন। গত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা জানান, হানিফ ৯০ দশকে চরমপন্থী দলের সঙ্গে যুক্ত হন। জনযুদ্ধের (লাল পতাকা) আঞ্চলিক নেতা হিসেবে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ার কিছু অংশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। চলার পথে কোনো বাধা রাখতেন না। একে একে ১৪টি হত্যা মামলায় আসামি হন। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, বোমা হামলার মামলা হয়। ১৯৯৯ সালে হানিফ পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। হত্যা মামলায় তাঁর ফাঁসির আদেশ হয়। পরে রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমায় তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।
হানিফের ছোট ভাই সাজেদুল ইসলাম এশা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট করলে হানিফ গোটা এলাকায় প্রভাব বিস্তারে কাজ করেন। তাঁর পুরোনো সহকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ করতেন। এতে ভোটারদের মধ্যে একধরনের ভীতি তৈরি হয়।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া বলেন, ‘হানিফ ছিল এলাকার ত্রাস। তার বিরুদ্ধে অসংখ্য হত্যাসহ অন্যান্য অপরাধের মামলা ছিল। প্রতিপক্ষরা তাকে হত্যা করেছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। তবে তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।’
হানিফের ভাই সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সাজেদুল দাবি করেন, তাঁর ভাই রাজনৈতিক কারণে একাধিক মামলার আসামি হয়েছিলেন। সব মামলায় তিনি খালাস পান। একটি মামলায় সাধারণ ক্ষমায় মুক্ত হন। ছাড়া পেয়ে ছয় বছর ঢাকায় ছিলেন। এলাকায় এলে অনেকে অনেক কথা বলতে পারেন, এই ভেবে ঢাকায় থাকতেন। গত তিন বছর হলো এলাকায় বাস করতেন। তিনি কোনো খারাপ কাজের সঙ্গে ছিলেন না। সরকারের কাছ থেকে বাঁওড় বন্দোবস্ত নিয়ে মাছের চাষ করতেন।
‘আমার সব শেষ হয়ে গেছে। আমার কী হবে এখন? আমার স্বামীকে এভাবে মেরে ফেলল কারা?’
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিলেন ঝিনাইদহে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হওয়া হানিফ আলীর স্ত্রী শান্তি খাতুন। আজ রোববার শান্তি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন তাঁকে হরিণাকুণ্ডু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
গত শুক্রবার রাতে শৈলকুপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামে ত্রিবেণি শ্মশান খাল এলাকায় হানিফ ও তাঁর দুই সহযোগীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। হানিফ হরিণাকুণ্ডু উপজেলার আহাদনগর গ্রামের রাহাজ উদ্দিনের ছেলে। বাকি দুজন হলেন হানিফের শ্যালক একই উপজেলার শ্রীরামপুরের উম্মাদ হোসেনের ছেলে লিটন হোসেন (৩৬) এবং কুষ্টিয়ার ইবি থানার পিয়ারপুরের আরজান হোসেনের ছেলে রাইসুল ইসলাম (২৭)। সবাইকে মাথায় গুলি করে মারা হয়।
ওই রাতেই হত্যার দায় স্বীকার করে চরমপন্থী সংগঠন জাসদ গণবাহিনীর নেতা কালু পরিচয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে মেসেজ পাঠানো হয়। যদিও এ বার্তা নিয়ে পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় হানিফের লাশ গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়। পরে জানাজা শেষে দাফন করা হয়। আজ সকালে হানিফের স্ত্রী শান্তি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, শান্তি মহিলা ওয়ার্ডের একটি শয্যায় শুয়ে আছেন। হাতে স্যালাইনের সুচ লাগানো। তাঁকে ঘিরে আছেন কয়েকজন নারী। এ সময় সংবাদকর্মী পরিচয় পেয়ে তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘জানেন ভাই, কারা যেন আমার স্বামীকে মেরে ফেলেছে, আমার সব শেষ করে দিয়েছে।’ তখন কয়েকজন পুরুষ স্বজন কোনো কথা না বলে সাংবাদিকদের সরিয়ে দেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আলামিন বলেন, ‘শান্তি খাতুনকে সকালে আমাদের হাসপাতালে আনে। তাঁর প্রেশার অনেক বেশি। মনে হচ্ছে তিনি মানসিক চাপে আছেন। পরীক্ষা দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট দেখে বোঝা যাবে মূলত সমস্যা কী হয়েছে।’
এদিকে এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি এবং পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করতে পারেনি। শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাছুম খান জানান, মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অন্যদিকে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চরমপন্থী দল পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির নেতা হানিফ ১৪ বছর কারাভোগের পর রাষ্ট্রপতির ক্ষমায় বাইরে এসে আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন। মৎস্যজীবী লীগে নাম লিখিয়ে প্রকাশ্য রাজনীতিতে নেতা হয়ে যান। প্রভাব খাটিয়ে দখল-বাণিজ্য শুরু করেন। গত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা জানান, হানিফ ৯০ দশকে চরমপন্থী দলের সঙ্গে যুক্ত হন। জনযুদ্ধের (লাল পতাকা) আঞ্চলিক নেতা হিসেবে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ার কিছু অংশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। চলার পথে কোনো বাধা রাখতেন না। একে একে ১৪টি হত্যা মামলায় আসামি হন। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, বোমা হামলার মামলা হয়। ১৯৯৯ সালে হানিফ পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। হত্যা মামলায় তাঁর ফাঁসির আদেশ হয়। পরে রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমায় তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।
হানিফের ছোট ভাই সাজেদুল ইসলাম এশা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট করলে হানিফ গোটা এলাকায় প্রভাব বিস্তারে কাজ করেন। তাঁর পুরোনো সহকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ করতেন। এতে ভোটারদের মধ্যে একধরনের ভীতি তৈরি হয়।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া বলেন, ‘হানিফ ছিল এলাকার ত্রাস। তার বিরুদ্ধে অসংখ্য হত্যাসহ অন্যান্য অপরাধের মামলা ছিল। প্রতিপক্ষরা তাকে হত্যা করেছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। তবে তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।’
হানিফের ভাই সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সাজেদুল দাবি করেন, তাঁর ভাই রাজনৈতিক কারণে একাধিক মামলার আসামি হয়েছিলেন। সব মামলায় তিনি খালাস পান। একটি মামলায় সাধারণ ক্ষমায় মুক্ত হন। ছাড়া পেয়ে ছয় বছর ঢাকায় ছিলেন। এলাকায় এলে অনেকে অনেক কথা বলতে পারেন, এই ভেবে ঢাকায় থাকতেন। গত তিন বছর হলো এলাকায় বাস করতেন। তিনি কোনো খারাপ কাজের সঙ্গে ছিলেন না। সরকারের কাছ থেকে বাঁওড় বন্দোবস্ত নিয়ে মাছের চাষ করতেন।
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল।
৫ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
৫ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
৫ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
৬ ঘণ্টা আগে