আনোয়ার হোসেন, মনিরামপুর (যশোর)
যশোরের মনিরামপুরের সুজাতপুর মধ্যপাড়া শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী আছে মাত্র ছয়জন। আর এ ছয় শিক্ষার্থীকে পাঠদানের জন্য ওই প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত রয়েছেন পাঁচজন শিক্ষক। আজ শনিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে তদন্ত দল এসে এমন তথ্য পেয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৮৯ সালে উপজেলার কুলটিয়া ইউনিয়নের মশিয়াহাটি বাজারের পূর্বপাশে স্থানীয়দের দান করা জমির ওপর সুজাতপুর মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি গড়ে ওঠে। ২০০০ সালে বিদ্যালয়ে চার কক্ষের একটি একতলা ভবন নির্মিত হয়। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে আছেন বিনা পানি মণ্ডল। অন্য চার সহকারী শিক্ষক হলেন, মাধুরি বিশ্বাস, স্বপ্না বৈরাগী, বিউটি বিশ্বাস ও শিপ্রা মল্লিক।
শনিবার দুপুরে সরেজমিন দেখা গেছে, বিদ্যালয়ে পাঁচ শিক্ষক উপস্থিত আছেন। সঙ্গে উপস্থিত ছয় শিক্ষার্থী। তারা ছয়জন চতুর্থ শ্রেণিতে একত্রে বসে আছে।
এ সময় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ প্রতিষ্ঠানে প্রাক প্রাথমিক ও পঞ্চম শ্রেণিতে কোনো শিক্ষার্থী নেই। প্রথম শ্রেণিতে একজন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে একজন, তৃতীয় শ্রেণিতে দুজন ও চতুর্থ শ্রেণিতে দুজন শিক্ষার্থী রয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের প্রথম দিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ৫০ জনের নিচে শিক্ষার্থী রয়েছে এমন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তালিকা চাওয়া হয়েছে। এরপর সরেজমিন শিক্ষার্থীর খোঁজে নিতে শুরু করে দপ্তরটি। এ সময় সুজাতপুর মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান বিনা পানি মণ্ডল তাঁর বিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছে বলে জানান। গত বছর এ প্রতিষ্ঠানে ১৭ জন শিক্ষার্থী ছিল বলে দপ্তরকে তথ্য দেন প্রধান শিক্ষক।
এদিকে প্রধান শিক্ষকের দেওয়া তালিকা ধরে ওই বিদ্যালয়ের প্রকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনুসন্ধানে নামেন সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা পলাশ কান্তি। পরে তিনি প্রতিষ্ঠান ঘুরে ছয়জন শিক্ষার্থীর অস্তিত্ব পান।
এ নিয়ে কথা হয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিনা পানি মণ্ডলের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে আমি এ প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছি। তখন ১৮ জন শিক্ষার্থী পেয়েছিলাম। এরপর শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমতে থাকে। প্রাক প্রাথমিকে কোনো শিক্ষার্থী নতুন ভর্তি হচ্ছে না। গত বছর ৮ জন শিক্ষার্থী ছিল।’
কারণ হিসেবে বিনা পানি বলেন, বিদ্যালয়টি নব্য জাতীয়করণ হয়েছে। তারপর থেকে এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কম থাকায় ৩-৪ বছর আগে উপজেলা শিক্ষা অফিস জানান, এ প্রতিষ্ঠান উঠে যাবে। এ কথা শোনার পর অভিভাবকেরা তাঁদের সন্তানদের আর এ প্রতিষ্ঠানে দেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন নারী বলেন, প্রধান শিক্ষক বিনা পানি সপ্তাহে দুদিন বিদ্যালয়ে আসেন। এখানে কোনো লেখাপড়া হয় না। শিক্ষকেরা একজন অন্যজনের চুল দেখাদেখি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। কোনো সময় ছাত্র-ছাত্রী নেওয়ার জন্য শিক্ষকেরা বাড়ি বাড়ি যান না। তা ছাড়া এক গ্রামে তিনটি স্কুল।
কুলটিয়া ইউনিয়নে দায়িত্বরত সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা পলাশ কান্তি বলেন, ‘চার মাস আগে আমি এ অঞ্চলের দায়িত্ব পেয়েছি। এসে দেখেছি সুজাতপুর মধ্যপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে পানিবন্দী। প্রতিষ্ঠানে ঢোকার জন্য একটি বাঁশের সাঁকো আছে। ভবদহের জলাবদ্ধতার কারণে এ বিদ্যালয়টি অধিকাংশ সময় পানিতে ডুবে থাকে। শিক্ষকেরা পাঠদান করাতে পারেন না ঠিকমতো। এ কারণে এখানে শিক্ষার্থীরা আসতে চায় না। বর্তমানে বিদ্যালয়ে পাঁচজন শিক্ষক ও ছয়জন শিক্ষার্থী রয়েছে।’
এদিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর সূত্র বলছে, তারা উপজেলায় ১০টি বিদ্যালয় খুঁজে পেয়েছে, যাদের শিক্ষার্থী সংখ্যা ৫০ জনের নিচে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, সুজাতপুর মধ্যপাড়া শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছয়জন, মঠপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২১ জন, কুমারসীমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৯ জন, পাঁচকাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪৩ জন, দক্ষিণ পাঁচকাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৪ জন, ভুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৪ জন, হাটগাছা মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪০ জন, কামিনিডাঙা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩৩ জন, উত্তর দহকুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪০ জন ও জোঁকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪১ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
অন্যদিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের তথ্যমতে, ৫০ জনের নিচে কম শিক্ষার্থীর বিদ্যালয় সংখ্যা ১০টি হলেও সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে উপজেলার এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫০ টির কম নয়। তা ছাড়া এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের দেওয়া তালিকা ধরে অনুসন্ধানে গেলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা আরও কম পাওয়া যাবে বলে দাবি করছেন বিদ্যালয়গুলোর আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা।
এ নিয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সেহেলী ফেরদৌস বলেন, ‘সুজাতপুর মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৪ জন জানতে পেরে আমি একদিন প্রধান শিক্ষককে ডেকেছি। তখন তিনি স্বীকার করেছেন তাঁর প্রতিষ্ঠানে মাত্র ছয়জন শিক্ষার্থী। পরে আমি বিদ্যালয়টির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রাথমিক অধিদপ্তরে লিখিতভাবে জানিয়েছি।’
সেহেলী ফেরদৌস আরও বলেন, ‘আমার প্রতিবেদন অনুযায়ী শনিবার ঢাকা থেকে একজন কর্মকর্তা বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে এসেছেন।’
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপবৃত্তি বিভাগের শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমি সরেজমিন তদন্ত করে সুজাতপুর মধ্যপাড়া শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছয়জন শিক্ষার্থী পেয়েছি। আমার কাছে মনে হয়েছে ভৌগোলিক কারণে এবং শিক্ষকদের আন্তরিকতার অভাবে প্রতিষ্ঠানটির এ অবস্থা।’
মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, ‘আমি তদন্ত করে গেলাম। বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে পেশ করব। বাকি ব্যবস্থা অধিদপ্তর নেবে।’
যশোরের মনিরামপুরের সুজাতপুর মধ্যপাড়া শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী আছে মাত্র ছয়জন। আর এ ছয় শিক্ষার্থীকে পাঠদানের জন্য ওই প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত রয়েছেন পাঁচজন শিক্ষক। আজ শনিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে তদন্ত দল এসে এমন তথ্য পেয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৮৯ সালে উপজেলার কুলটিয়া ইউনিয়নের মশিয়াহাটি বাজারের পূর্বপাশে স্থানীয়দের দান করা জমির ওপর সুজাতপুর মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি গড়ে ওঠে। ২০০০ সালে বিদ্যালয়ে চার কক্ষের একটি একতলা ভবন নির্মিত হয়। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে আছেন বিনা পানি মণ্ডল। অন্য চার সহকারী শিক্ষক হলেন, মাধুরি বিশ্বাস, স্বপ্না বৈরাগী, বিউটি বিশ্বাস ও শিপ্রা মল্লিক।
শনিবার দুপুরে সরেজমিন দেখা গেছে, বিদ্যালয়ে পাঁচ শিক্ষক উপস্থিত আছেন। সঙ্গে উপস্থিত ছয় শিক্ষার্থী। তারা ছয়জন চতুর্থ শ্রেণিতে একত্রে বসে আছে।
এ সময় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ প্রতিষ্ঠানে প্রাক প্রাথমিক ও পঞ্চম শ্রেণিতে কোনো শিক্ষার্থী নেই। প্রথম শ্রেণিতে একজন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে একজন, তৃতীয় শ্রেণিতে দুজন ও চতুর্থ শ্রেণিতে দুজন শিক্ষার্থী রয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের প্রথম দিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ৫০ জনের নিচে শিক্ষার্থী রয়েছে এমন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তালিকা চাওয়া হয়েছে। এরপর সরেজমিন শিক্ষার্থীর খোঁজে নিতে শুরু করে দপ্তরটি। এ সময় সুজাতপুর মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান বিনা পানি মণ্ডল তাঁর বিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছে বলে জানান। গত বছর এ প্রতিষ্ঠানে ১৭ জন শিক্ষার্থী ছিল বলে দপ্তরকে তথ্য দেন প্রধান শিক্ষক।
এদিকে প্রধান শিক্ষকের দেওয়া তালিকা ধরে ওই বিদ্যালয়ের প্রকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনুসন্ধানে নামেন সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা পলাশ কান্তি। পরে তিনি প্রতিষ্ঠান ঘুরে ছয়জন শিক্ষার্থীর অস্তিত্ব পান।
এ নিয়ে কথা হয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিনা পানি মণ্ডলের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে আমি এ প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছি। তখন ১৮ জন শিক্ষার্থী পেয়েছিলাম। এরপর শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমতে থাকে। প্রাক প্রাথমিকে কোনো শিক্ষার্থী নতুন ভর্তি হচ্ছে না। গত বছর ৮ জন শিক্ষার্থী ছিল।’
কারণ হিসেবে বিনা পানি বলেন, বিদ্যালয়টি নব্য জাতীয়করণ হয়েছে। তারপর থেকে এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কম থাকায় ৩-৪ বছর আগে উপজেলা শিক্ষা অফিস জানান, এ প্রতিষ্ঠান উঠে যাবে। এ কথা শোনার পর অভিভাবকেরা তাঁদের সন্তানদের আর এ প্রতিষ্ঠানে দেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন নারী বলেন, প্রধান শিক্ষক বিনা পানি সপ্তাহে দুদিন বিদ্যালয়ে আসেন। এখানে কোনো লেখাপড়া হয় না। শিক্ষকেরা একজন অন্যজনের চুল দেখাদেখি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। কোনো সময় ছাত্র-ছাত্রী নেওয়ার জন্য শিক্ষকেরা বাড়ি বাড়ি যান না। তা ছাড়া এক গ্রামে তিনটি স্কুল।
কুলটিয়া ইউনিয়নে দায়িত্বরত সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা পলাশ কান্তি বলেন, ‘চার মাস আগে আমি এ অঞ্চলের দায়িত্ব পেয়েছি। এসে দেখেছি সুজাতপুর মধ্যপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে পানিবন্দী। প্রতিষ্ঠানে ঢোকার জন্য একটি বাঁশের সাঁকো আছে। ভবদহের জলাবদ্ধতার কারণে এ বিদ্যালয়টি অধিকাংশ সময় পানিতে ডুবে থাকে। শিক্ষকেরা পাঠদান করাতে পারেন না ঠিকমতো। এ কারণে এখানে শিক্ষার্থীরা আসতে চায় না। বর্তমানে বিদ্যালয়ে পাঁচজন শিক্ষক ও ছয়জন শিক্ষার্থী রয়েছে।’
এদিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর সূত্র বলছে, তারা উপজেলায় ১০টি বিদ্যালয় খুঁজে পেয়েছে, যাদের শিক্ষার্থী সংখ্যা ৫০ জনের নিচে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, সুজাতপুর মধ্যপাড়া শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছয়জন, মঠপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২১ জন, কুমারসীমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৯ জন, পাঁচকাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪৩ জন, দক্ষিণ পাঁচকাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৪ জন, ভুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৪ জন, হাটগাছা মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪০ জন, কামিনিডাঙা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩৩ জন, উত্তর দহকুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪০ জন ও জোঁকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪১ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
অন্যদিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের তথ্যমতে, ৫০ জনের নিচে কম শিক্ষার্থীর বিদ্যালয় সংখ্যা ১০টি হলেও সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে উপজেলার এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫০ টির কম নয়। তা ছাড়া এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের দেওয়া তালিকা ধরে অনুসন্ধানে গেলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা আরও কম পাওয়া যাবে বলে দাবি করছেন বিদ্যালয়গুলোর আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা।
এ নিয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সেহেলী ফেরদৌস বলেন, ‘সুজাতপুর মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৪ জন জানতে পেরে আমি একদিন প্রধান শিক্ষককে ডেকেছি। তখন তিনি স্বীকার করেছেন তাঁর প্রতিষ্ঠানে মাত্র ছয়জন শিক্ষার্থী। পরে আমি বিদ্যালয়টির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রাথমিক অধিদপ্তরে লিখিতভাবে জানিয়েছি।’
সেহেলী ফেরদৌস আরও বলেন, ‘আমার প্রতিবেদন অনুযায়ী শনিবার ঢাকা থেকে একজন কর্মকর্তা বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে এসেছেন।’
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপবৃত্তি বিভাগের শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমি সরেজমিন তদন্ত করে সুজাতপুর মধ্যপাড়া শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছয়জন শিক্ষার্থী পেয়েছি। আমার কাছে মনে হয়েছে ভৌগোলিক কারণে এবং শিক্ষকদের আন্তরিকতার অভাবে প্রতিষ্ঠানটির এ অবস্থা।’
মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, ‘আমি তদন্ত করে গেলাম। বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে পেশ করব। বাকি ব্যবস্থা অধিদপ্তর নেবে।’
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা বিএনপির সদস্য ও উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ উদ্দিন সরকারকে মারধরও চাঁদাবাজি-সংক্রান্ত মামলায় উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাকিনুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকালে উপজেলার পাকেরহাট বাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৭ মিনিট আগেজানা গেছে, মঙ্গলবার কুষ্টিয়ায় আদালতে একটি মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার কথা বলে থানা থেকে বের হন শাকিল আহমেদ। এরপর থেকে মাসুরা খাতুনকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। বৃহস্পতিবার শাকিল আহমেদের থানায় ফেরার কথা থাকলেও শুক্রবার পর্যন্ত তিনি ফেরেননি। এদিকে মাসুরা খাতুনের শ্বশুর বজলুর রহমান বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি...
১৮ মিনিট আগেরাজশাহীর বাঘায় মিনি ট্রাক চাপায় বানেরা বেগম ওরফে (বানু) (৫৫) নামে এক নারী নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকালে উপজেলার মীরগঞ্জ মোড়ের উত্তরে আব্দুর রহমান মাস্টারের বাড়ির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৪৪ মিনিট আগেদিনাজপুরের বিরামপুরে অটোরিকশার ধাক্কায় মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যাওয়া কোহিনুর বেগম (২৭) ও তার ছেলে রিশাত কাইফ (২ মাস) ট্রাকচাপায় নিহত হয়েছে। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দুপর ১২টার দিকে পৌর শহরের সোনালী ব্যাংকের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত কোহিনুর উপজেলার ধানঘরা এলাকার গোলাম রব্বানীর স্ত্রী।
১ ঘণ্টা আগে