কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ায় খাদ্যশস্য খোলাবাজারে বিক্রির (ওএমএস) ডিলার নিয়োগের লটারি চলাকালে জেলা প্রশাসকের সামনেই হট্টগোল হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি একপর্যায়ে লটারি কার্যক্রম স্থগিত করে সেখান থেকে চলে যান।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ডিলার হতে আগ্রহী ব্যক্তিদের অধিকাংশ আওয়ামী লীগ বলে অন্যরা আপত্তি জানিয়ে হট্টগোল করেন।
জেলা প্রশাসকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আজ কুষ্টিয়া পৌরসভার ২১টি ওয়ার্ডে ওএমএস ডিলার নির্বাচনের জন্য উন্মুক্ত লটারির আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতি ছিলেন জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাহাঙ্গীর আলম, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আল-ওয়াজিউর রহমান এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শিকদার মো. হাসান ইমাম।
সংশ্লিষ্ট ২১টি ওয়ার্ডে ডিলারশিপ পেতে ২১৮ জন আবেদন করেন। তবে আবেদনের শর্ত পূরণ করতে না পারায় ১৫ নম্বর ওয়ার্ড বাদে বাকি ২০টি ওয়ার্ডের ১১৬ জনকে লটারিতে অংশগ্রহণের জন্য বাছাই করা হয়। পরে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তি ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ফোনকল ও মেসেজের মাধ্যমে তাঁদের লটারির সময় এবং স্থান জানানো হয়।
সূত্র জানায়, আজ নির্ধারিত সময়ে লটারির কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে ১ নম্বর ওয়ার্ডের লটারি সম্পন্ন হয়। এরপর ২ নম্বর ওয়ার্ডের লটারির জন্য বাছাই ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ সময় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল হাকিম মাসুদ অভিযোগ করে বলেন, ‘ছয়জনের মধ্যে চারজনই আওয়ামী লীগের। এই লটারিতে আওয়ামী লীগের কেউ অংশগ্রহণ করলে আমরা তা মানি না।’
তখন শহর শিবিরের সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান পলাশ বলেন, ‘আমরা জামায়াত-শিবিরের পক্ষ থেকে এই খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলাম। কিন্তু আমাদের বেশির ভাগ অংশগ্রহণকারীদের ফোন বা এসএমএস কিছুই দেওয়া হয়নি। যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আরও সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত ছিল। এখানে স্বচ্ছভাবে কারচুপি করা হয়েছে বলে আমি মনে করি।’
এরপর সম্মেলনকক্ষে উপস্থিত বিএনপি এবং জামায়াতের সমর্থকেরা হট্টগোল শুরু করেন। তাঁরা স্লোগান দিতে দিতে বের হয়ে যান। এ সময় লটারি কার্যক্রম বন্ধ করে জেলা প্রশাসকও বের হয়ে যান।
অন্যদিকে বেশ কয়েকজন আবেদনকারী অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্টের উল্টো অভিযোগ তোলেন। তাঁরা বলেন, জেলা প্রশাসক এবং জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সবার সামনে উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে ডিলার নিয়োগের ব্যবস্থা করেছিলেন। এটা স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য কর্মসূচি ছিল। গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে যাচাই-বাছাই করেই নামগুলো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তারপরও রাজনৈতিক নেতারা ফায়দা নিতে এবং অস্বচ্ছভাবে ডিলারশিপ পেতে এই কার্যক্রম পণ্ড করে দিলেন। যদি আওয়ামী লীগের কেউ থাকত, সেই নামগুলো উল্লেখ করা উচিত ছিল। কিন্তু এভাবে স্বচ্ছ কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করা উচিত হয়নি তাঁদের।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত শহর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোকসেদুল হক কল্লোল বলেন, ‘আমার বাড়ি ৩ নম্বর ওয়ার্ডে। ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড পাশাপাশি। এখানে আওয়ামী লীগের কেউ যদি থাকত, তাহলে অবশ্যই আমি তাদের চিনতাম। আর অভিযোগ যদি থাকে, সে নামগুলো ডিসির কাছে উল্লেখ করা উচিত ছিল। কিন্তু তারা তা না করে একটা স্বচ্ছ কাজে বাধা দিল।’
জানতে চাইলে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আল-ওয়াজিউর আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দেওয়া ছাড়াই অভিযোগকারীরা হট্টগোল বাধিয়ে বের হয়ে যান। পরে অন্যদেরও আর অংশগ্রহণ করতে দেননি। তারা বলছেন সবাই আওয়ামী লীগের। কিন্তু কারও নাম বলেননি। যদি এমনটা হয় তাহলে পুনরায় যাচাই-বাছাই করার সুযোগ ছিল। পরে লটারি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক তৌফিকুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি আমার দিক থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমেই উন্মুক্ত লটারির আয়োজন করেছিলাম। তারপরও বেশ কয়েকজন অভিযোগ তুলেছিলেন যে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নাম লটারি তালিকায় রয়েছে। অভিযোগকারীরা নামগুলো উল্লেখ করতে পারতেন। কিন্তু এভাবে হট্টগোল করা উচিত হয়নি তাঁদের। আমি বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছি। তারা যে সিদ্ধান্ত নেবেন, পরে আমি সেভাবেই কাজ করব।’
কুষ্টিয়ায় খাদ্যশস্য খোলাবাজারে বিক্রির (ওএমএস) ডিলার নিয়োগের লটারি চলাকালে জেলা প্রশাসকের সামনেই হট্টগোল হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি একপর্যায়ে লটারি কার্যক্রম স্থগিত করে সেখান থেকে চলে যান।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ডিলার হতে আগ্রহী ব্যক্তিদের অধিকাংশ আওয়ামী লীগ বলে অন্যরা আপত্তি জানিয়ে হট্টগোল করেন।
জেলা প্রশাসকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আজ কুষ্টিয়া পৌরসভার ২১টি ওয়ার্ডে ওএমএস ডিলার নির্বাচনের জন্য উন্মুক্ত লটারির আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতি ছিলেন জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাহাঙ্গীর আলম, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আল-ওয়াজিউর রহমান এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শিকদার মো. হাসান ইমাম।
সংশ্লিষ্ট ২১টি ওয়ার্ডে ডিলারশিপ পেতে ২১৮ জন আবেদন করেন। তবে আবেদনের শর্ত পূরণ করতে না পারায় ১৫ নম্বর ওয়ার্ড বাদে বাকি ২০টি ওয়ার্ডের ১১৬ জনকে লটারিতে অংশগ্রহণের জন্য বাছাই করা হয়। পরে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তি ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ফোনকল ও মেসেজের মাধ্যমে তাঁদের লটারির সময় এবং স্থান জানানো হয়।
সূত্র জানায়, আজ নির্ধারিত সময়ে লটারির কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে ১ নম্বর ওয়ার্ডের লটারি সম্পন্ন হয়। এরপর ২ নম্বর ওয়ার্ডের লটারির জন্য বাছাই ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ সময় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল হাকিম মাসুদ অভিযোগ করে বলেন, ‘ছয়জনের মধ্যে চারজনই আওয়ামী লীগের। এই লটারিতে আওয়ামী লীগের কেউ অংশগ্রহণ করলে আমরা তা মানি না।’
তখন শহর শিবিরের সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান পলাশ বলেন, ‘আমরা জামায়াত-শিবিরের পক্ষ থেকে এই খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলাম। কিন্তু আমাদের বেশির ভাগ অংশগ্রহণকারীদের ফোন বা এসএমএস কিছুই দেওয়া হয়নি। যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আরও সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত ছিল। এখানে স্বচ্ছভাবে কারচুপি করা হয়েছে বলে আমি মনে করি।’
এরপর সম্মেলনকক্ষে উপস্থিত বিএনপি এবং জামায়াতের সমর্থকেরা হট্টগোল শুরু করেন। তাঁরা স্লোগান দিতে দিতে বের হয়ে যান। এ সময় লটারি কার্যক্রম বন্ধ করে জেলা প্রশাসকও বের হয়ে যান।
অন্যদিকে বেশ কয়েকজন আবেদনকারী অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্টের উল্টো অভিযোগ তোলেন। তাঁরা বলেন, জেলা প্রশাসক এবং জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সবার সামনে উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে ডিলার নিয়োগের ব্যবস্থা করেছিলেন। এটা স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য কর্মসূচি ছিল। গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে যাচাই-বাছাই করেই নামগুলো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তারপরও রাজনৈতিক নেতারা ফায়দা নিতে এবং অস্বচ্ছভাবে ডিলারশিপ পেতে এই কার্যক্রম পণ্ড করে দিলেন। যদি আওয়ামী লীগের কেউ থাকত, সেই নামগুলো উল্লেখ করা উচিত ছিল। কিন্তু এভাবে স্বচ্ছ কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করা উচিত হয়নি তাঁদের।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত শহর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোকসেদুল হক কল্লোল বলেন, ‘আমার বাড়ি ৩ নম্বর ওয়ার্ডে। ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড পাশাপাশি। এখানে আওয়ামী লীগের কেউ যদি থাকত, তাহলে অবশ্যই আমি তাদের চিনতাম। আর অভিযোগ যদি থাকে, সে নামগুলো ডিসির কাছে উল্লেখ করা উচিত ছিল। কিন্তু তারা তা না করে একটা স্বচ্ছ কাজে বাধা দিল।’
জানতে চাইলে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আল-ওয়াজিউর আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দেওয়া ছাড়াই অভিযোগকারীরা হট্টগোল বাধিয়ে বের হয়ে যান। পরে অন্যদেরও আর অংশগ্রহণ করতে দেননি। তারা বলছেন সবাই আওয়ামী লীগের। কিন্তু কারও নাম বলেননি। যদি এমনটা হয় তাহলে পুনরায় যাচাই-বাছাই করার সুযোগ ছিল। পরে লটারি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক তৌফিকুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি আমার দিক থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমেই উন্মুক্ত লটারির আয়োজন করেছিলাম। তারপরও বেশ কয়েকজন অভিযোগ তুলেছিলেন যে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নাম লটারি তালিকায় রয়েছে। অভিযোগকারীরা নামগুলো উল্লেখ করতে পারতেন। কিন্তু এভাবে হট্টগোল করা উচিত হয়নি তাঁদের। আমি বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছি। তারা যে সিদ্ধান্ত নেবেন, পরে আমি সেভাবেই কাজ করব।’
পুলিশ জানায়, ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর রাজৈরে ভাঙচুর, বোমা বিস্ফোরণ ও লুটপাটের ঘটনায় পাঠানকান্দি গ্রামের এক বিএনপি কর্মীর দায়ের করা মামলায় শাজাহান মোল্লা এজাহারভুক্ত আসামি। ঘটনার পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
১৮ মিনিট আগেশিবচরের সন্ন্যাসীরচর ইউনিয়নের রাজারচর আজগর হাওলাদারকান্দি গ্রামের শাহ আলম ও নাছিমা দম্পতির একমাত্র ছেলে ছিলেন হৃদয়। তিনি স্থানীয় একটি ফার্নিচারের কারখানায় কাজ করতেন। পড়াশোনা শেষ করে সৌদি আরবে থাকা চাচার সহায়তায় বিদেশে যাওয়ার স্বপ্ন ছিল তাঁর।
২৩ মিনিট আগেজুলাই অভ্যুত্থানে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট এলাকায় দোকান কর্মচারী শহীদুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে মামলার আসামির সংখ্যা প্রায় ৫ গুণ বেড়ে ২৩১ জনে দাঁড়িয়েছে।
৩৮ মিনিট আগেটাঙ্গাইলের সখীপুরে সন্তানদের সামনে স্ত্রী কাকলিকে (৩২) হত্যার পর পালিয়ে যাওয়া স্বামী মেহেদী হাসানকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকা থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটিলিয়ন (র্যাব-১৪) মেহেদীকে গ্রেপ্তার করে।
১ ঘণ্টা আগে