শামিমুজ্জামান, খুলনা
বহু আকাঙ্ক্ষিত খুলনা-মোংলা রেলপথ অক্টোবর মাসে চালুর সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে প্রকল্পের ৯৭ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে মাত্র ৩ ভাগ রেলপথ ও কিছু ফিনিশিংয়ের কাজ বাকি রয়েছে। চলতি মাসের মধ্যেই বাকি কাজও সম্পন্ন হবে। এই রেলপথ চালু হলে মোংলা বন্দর ব্যবহারকারীদের আমদানি ও রপ্তানি খরচ কমবে।
খুলনা-মোংলা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোনো প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ-দুর্বিপাক না ঘটলে আগামী অক্টোবর মাসে খুলনা অঞ্চলের মানুষের বহু কাঙ্ক্ষিত খুলনা-মোংলা রেলপথ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা সম্ভব হবে। সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এখনো দিনক্ষণ নির্ধারণ হয়নি।
খুলনা-মোংলা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের উপপরিচালক আহম্মেদ হোসেন মাসুম বলেন, ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রথম দফায় প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় প্রথম সংশোধনীতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৮০১ কোটি টাকা। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদন হয়। সর্বশেষ ২০২৩ সালের অক্টোবরের মধ্যে কাজ শেষর জন্য নির্ধারণ হয়। সেই সঙ্গে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
এই কর্মকর্তা আরও জানান, ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লারসেন অ্যান্ড টুব্রো রূপসা নদীর ওপর রেলসেতুর নির্মাণকাজ করেছে। বাকি কাজ করেছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইরকন ইন্টারন্যাশনাল। প্রকল্পটির কাজ তিনটি ভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে রয়েছে রূপসা নদীর ওপর রেলসেতু নির্মাণ, মূল রেললাইন স্থাপন এবং টেলিকমিউনিকেশন ও সিগন্যালিং স্থাপন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শুরু থেকেই প্রকল্পটি নানা ধরনের বাধার মুখে পড়ে। তিন বছর মেয়াদের কাজটির জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দিতে সময় লাগে দুই বছর। প্রকল্পটি ধীরগতির কাজের কারণে ব্যয় বেড়ে ১ হাজার ৭২১ কোটি টাকা থেকে ৪ হাজার ২৬০ কোটি টাকা হয়েছে। দুই দফায় প্রকল্প সংশোধনের কারণে এই ব্যয় বেড়েছে ২ হাজার ৫৩৯ কোটি টাকা। তবে, তৃতীয় দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও ব্যয় বাড়েনি বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
খুলনা-মোংলা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের উপপরিচালক আহম্মেদ হোসেন মাসুম বলেন, খুলনা-মোংলা রেলপথের ৯০ কিলোমিটারের মধ্যে ইতিমধ্যে ৮৭ কিলোমিটারের কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে বাকি রয়েছে মাত্র ৩ কিলোমিটার রেলপথ ও কিছু ফিনিশিংয়ের কাজ। আশা করা হচ্ছে, এই স্বল্প কাজও দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ হবে।
এই রেলপথ চালু হলে ভারত-নেপাল-ভুটান মোংলা বন্দর ব্যবহার করে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করবে এবং মোংলা বন্দরের গতিশীলতা বাড়বে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে। এতে এই অঞ্চলে আরও বেশি শিল্পকারখানা গড়ে উঠবে এবং নতুন কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হবে।
খুলনা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মিনহাজ উজ জামান সজল বলেন, খুলনা-মোংলা রেলপথ চালু হলে এই অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে। নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। বেকারত্ব নিরসন হবে। আর্থসামাজিক উন্নতি হবে।
খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্যসচিব বাবুল হাওলাদার বলেন, দক্ষিণ অঞ্চলবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি খুলনা-মোংলা রেললাইন। তিন বছরের প্রকল্প ১৩ বছরে শেষ হয়নি। খুলনাবাসীর প্রত্যাশা, দ্রুত রেলপথটি চালু হোক।
বহু আকাঙ্ক্ষিত খুলনা-মোংলা রেলপথ অক্টোবর মাসে চালুর সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে প্রকল্পের ৯৭ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে মাত্র ৩ ভাগ রেলপথ ও কিছু ফিনিশিংয়ের কাজ বাকি রয়েছে। চলতি মাসের মধ্যেই বাকি কাজও সম্পন্ন হবে। এই রেলপথ চালু হলে মোংলা বন্দর ব্যবহারকারীদের আমদানি ও রপ্তানি খরচ কমবে।
খুলনা-মোংলা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোনো প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ-দুর্বিপাক না ঘটলে আগামী অক্টোবর মাসে খুলনা অঞ্চলের মানুষের বহু কাঙ্ক্ষিত খুলনা-মোংলা রেলপথ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা সম্ভব হবে। সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এখনো দিনক্ষণ নির্ধারণ হয়নি।
খুলনা-মোংলা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের উপপরিচালক আহম্মেদ হোসেন মাসুম বলেন, ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রথম দফায় প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় প্রথম সংশোধনীতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৮০১ কোটি টাকা। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদন হয়। সর্বশেষ ২০২৩ সালের অক্টোবরের মধ্যে কাজ শেষর জন্য নির্ধারণ হয়। সেই সঙ্গে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
এই কর্মকর্তা আরও জানান, ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লারসেন অ্যান্ড টুব্রো রূপসা নদীর ওপর রেলসেতুর নির্মাণকাজ করেছে। বাকি কাজ করেছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইরকন ইন্টারন্যাশনাল। প্রকল্পটির কাজ তিনটি ভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে রয়েছে রূপসা নদীর ওপর রেলসেতু নির্মাণ, মূল রেললাইন স্থাপন এবং টেলিকমিউনিকেশন ও সিগন্যালিং স্থাপন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শুরু থেকেই প্রকল্পটি নানা ধরনের বাধার মুখে পড়ে। তিন বছর মেয়াদের কাজটির জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দিতে সময় লাগে দুই বছর। প্রকল্পটি ধীরগতির কাজের কারণে ব্যয় বেড়ে ১ হাজার ৭২১ কোটি টাকা থেকে ৪ হাজার ২৬০ কোটি টাকা হয়েছে। দুই দফায় প্রকল্প সংশোধনের কারণে এই ব্যয় বেড়েছে ২ হাজার ৫৩৯ কোটি টাকা। তবে, তৃতীয় দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও ব্যয় বাড়েনি বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
খুলনা-মোংলা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের উপপরিচালক আহম্মেদ হোসেন মাসুম বলেন, খুলনা-মোংলা রেলপথের ৯০ কিলোমিটারের মধ্যে ইতিমধ্যে ৮৭ কিলোমিটারের কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে বাকি রয়েছে মাত্র ৩ কিলোমিটার রেলপথ ও কিছু ফিনিশিংয়ের কাজ। আশা করা হচ্ছে, এই স্বল্প কাজও দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ হবে।
এই রেলপথ চালু হলে ভারত-নেপাল-ভুটান মোংলা বন্দর ব্যবহার করে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করবে এবং মোংলা বন্দরের গতিশীলতা বাড়বে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে। এতে এই অঞ্চলে আরও বেশি শিল্পকারখানা গড়ে উঠবে এবং নতুন কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হবে।
খুলনা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মিনহাজ উজ জামান সজল বলেন, খুলনা-মোংলা রেলপথ চালু হলে এই অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে। নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। বেকারত্ব নিরসন হবে। আর্থসামাজিক উন্নতি হবে।
খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্যসচিব বাবুল হাওলাদার বলেন, দক্ষিণ অঞ্চলবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি খুলনা-মোংলা রেললাইন। তিন বছরের প্রকল্প ১৩ বছরে শেষ হয়নি। খুলনাবাসীর প্রত্যাশা, দ্রুত রেলপথটি চালু হোক।
রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে মেট্রোরেল স্টেশনের পিলারে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লেগে ইমন মোল্লা (২৬) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার রাত ১২টার দিকে পল্লবীতে মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্বজনেরা তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাত ২টার...
১৬ মিনিট আগেবিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এই ১০ বাংলাদেশি অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করলে সে দেশের তুরা জেলা পুলিশ তাদের আটক করে। পরে রোববার বিকেলে নাকুগাঁও আইসিপি দিয়ে তাদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিজিবি তাদের নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
৪৪ মিনিট আগে৯৬ ঘণ্টা পর আজ (১১ আগস্ট) সকাল ৭ টা থেকে চন্দ্রঘোনা-রাইখালী নৌ রুটে ফেরি চলাচল পুনরায় শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী কীর্তি নিশান চাকমা।
১ ঘণ্টা আগেনিহত রুপলালের স্ত্রী ভারতী রানী বাদী হয়ে ৭০০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে গতকাল রোববার দুপুরে তারাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে রাতে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেন।
১ ঘণ্টা আগে