বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
ভালো কাজের কথা বলে বিভিন্ন সময় পাচারের শিকার ১৭ নারী–শিশুকে ট্রাভেল পারমিটে বেনাপোল সীমান্তে ফেরত দিয়েছে ভারতের পুলিশ। আজ
বুধবার পেট্রাপোল চেকপোস্ট দিয়ে এসব নারী–শিশুকে বেনাপোল চেকপোস্টে ফেরত পাঠানো হয়।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াজ হোসেন মুন্সী এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ফেরত আসা নারী–শিশুদের আইনি সহায়তা দিয়ে পুলিশের কাছ থেকে মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোরে সাতজন, মহিলা আইনজীবী সমিতি পাঁচজন ও জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার পাঁজনকে নিয়েছে।
ফেরত আসাদের মধ্যে রয়েছে—গাজীপুরের দিপা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের মইন খান, হবিগঞ্জের নুর আলম, গোপালগঞ্জের হৃদয় মণ্ডল, কুষ্টিয়ার ইমরান শেখ, লক্ষ্মীপুরের মেহেদী হাসান, খুলনার নাহিদ মোড়ল, নড়াইলের ফয়সাল সেখ, বাগেরহাটের রানা হাওলাদার, লালমনিরহাটের মল্লিকা রানী, কিশোরগঞ্জের সামিরা আক্তার, রাঙামাটির সারা জান্নাত, লক্ষ্মীপুরের ইমু খাতুন, পাবনার মিথিলা রহমান, বাগেরহাটের সাইম জমাদ্দার, নওগাঁর কমল সরদার ও পাবনার নুরজাহান খাতুন।
এ বিষয়ে রাইটস যশোরের তথ্য ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা তৌফিকুজ্জামান জানান, দেশের বিভিন্ন সীমান্তপথে তারা ভারতে গিয়ে অবৈধ প্রবেশের অভিযোগে পুলিশের হাতে আটক হয়। পরে তাদের তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্বদেশ প্রত্যাবাসনের অনুমতি দেয়।
মানবাধিকার সংগঠন সীমান্ত থেকে শিশু–কিশোরদের আইনি সহায়তা ও কর্মসংস্থান তৈরির জন্য প্রাথমিকভাবে হেফাজতে রাখবে। পরে পরিবারের কাছে তাদের পৌঁছে দেবে।
জানা যায়, পাচার প্রতিরোধে কাজ করছে দেশি–বিদেশি বিভিন্ন সংগঠন। তার পরেও থেমে নেই পাচার কার্যক্রম। কখনো ভালো কাজ, কখনো প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে নারী–শিশুদের ভারতে পাচার করে আসছে একটি চক্র।
পরে সেখানে নিয়ে বিক্রি করে ইচ্ছের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে। যা পাচার হচ্ছে, তার মাত্র ৫ শতাংশ উদ্ধার হচ্ছে। অন্যদের কোনো সঠিক তথ্য নেই কোনো সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে।
এমন পাচারের শিকার ১৭ বাংলাদেশিকে উদ্ধারের পর ফেরত আনতে সরকারের পাশাপাশি কাজ করে মানবাধিকার ও এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলো। তারা বিভিন্ন সময় পুলিশের হাতে আটকের পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি হোমের আশ্রয়ে ছিল। তাদের বয়স ১০ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। আটকের পর আইনি জটিলতায় কাউকে কাউকে দুই বছর থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত ভারতের হোমে থাকতে হয়। পরে ভারত-বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া স্বদেশ প্রত্যাবাসনে তারা দেশে ফেরার সুযোগ পায়।
মানব উদ্ধার ও শিশু সুরক্ষা সংস্থার চেয়ারম্যান সৈয়দ খায়রুল আলম জানান, তাদের তথ্যমতে, পাচারের শিকার প্রায় ৫০ হাজারের মতো নারী–পুরুষ, যারা ভারতে রয়েছে। পাচারের পর তাদের মধ্যে অনেককে ভারতে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। কাউকে প্রেমের প্রলোভনে ভারতে নিয়ে বিক্রি করে দিয়েছিল। অনেককে কাজের কথা বলেও প্রতারণা করে চক্রটি। ভারতে বিক্রির পর তাদের দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে বাধ্য করে পাচারকারীরা।
ভালো কাজের কথা বলে বিভিন্ন সময় পাচারের শিকার ১৭ নারী–শিশুকে ট্রাভেল পারমিটে বেনাপোল সীমান্তে ফেরত দিয়েছে ভারতের পুলিশ। আজ
বুধবার পেট্রাপোল চেকপোস্ট দিয়ে এসব নারী–শিশুকে বেনাপোল চেকপোস্টে ফেরত পাঠানো হয়।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াজ হোসেন মুন্সী এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ফেরত আসা নারী–শিশুদের আইনি সহায়তা দিয়ে পুলিশের কাছ থেকে মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোরে সাতজন, মহিলা আইনজীবী সমিতি পাঁচজন ও জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার পাঁজনকে নিয়েছে।
ফেরত আসাদের মধ্যে রয়েছে—গাজীপুরের দিপা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের মইন খান, হবিগঞ্জের নুর আলম, গোপালগঞ্জের হৃদয় মণ্ডল, কুষ্টিয়ার ইমরান শেখ, লক্ষ্মীপুরের মেহেদী হাসান, খুলনার নাহিদ মোড়ল, নড়াইলের ফয়সাল সেখ, বাগেরহাটের রানা হাওলাদার, লালমনিরহাটের মল্লিকা রানী, কিশোরগঞ্জের সামিরা আক্তার, রাঙামাটির সারা জান্নাত, লক্ষ্মীপুরের ইমু খাতুন, পাবনার মিথিলা রহমান, বাগেরহাটের সাইম জমাদ্দার, নওগাঁর কমল সরদার ও পাবনার নুরজাহান খাতুন।
এ বিষয়ে রাইটস যশোরের তথ্য ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা তৌফিকুজ্জামান জানান, দেশের বিভিন্ন সীমান্তপথে তারা ভারতে গিয়ে অবৈধ প্রবেশের অভিযোগে পুলিশের হাতে আটক হয়। পরে তাদের তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্বদেশ প্রত্যাবাসনের অনুমতি দেয়।
মানবাধিকার সংগঠন সীমান্ত থেকে শিশু–কিশোরদের আইনি সহায়তা ও কর্মসংস্থান তৈরির জন্য প্রাথমিকভাবে হেফাজতে রাখবে। পরে পরিবারের কাছে তাদের পৌঁছে দেবে।
জানা যায়, পাচার প্রতিরোধে কাজ করছে দেশি–বিদেশি বিভিন্ন সংগঠন। তার পরেও থেমে নেই পাচার কার্যক্রম। কখনো ভালো কাজ, কখনো প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে নারী–শিশুদের ভারতে পাচার করে আসছে একটি চক্র।
পরে সেখানে নিয়ে বিক্রি করে ইচ্ছের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে। যা পাচার হচ্ছে, তার মাত্র ৫ শতাংশ উদ্ধার হচ্ছে। অন্যদের কোনো সঠিক তথ্য নেই কোনো সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে।
এমন পাচারের শিকার ১৭ বাংলাদেশিকে উদ্ধারের পর ফেরত আনতে সরকারের পাশাপাশি কাজ করে মানবাধিকার ও এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলো। তারা বিভিন্ন সময় পুলিশের হাতে আটকের পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি হোমের আশ্রয়ে ছিল। তাদের বয়স ১০ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। আটকের পর আইনি জটিলতায় কাউকে কাউকে দুই বছর থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত ভারতের হোমে থাকতে হয়। পরে ভারত-বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া স্বদেশ প্রত্যাবাসনে তারা দেশে ফেরার সুযোগ পায়।
মানব উদ্ধার ও শিশু সুরক্ষা সংস্থার চেয়ারম্যান সৈয়দ খায়রুল আলম জানান, তাদের তথ্যমতে, পাচারের শিকার প্রায় ৫০ হাজারের মতো নারী–পুরুষ, যারা ভারতে রয়েছে। পাচারের পর তাদের মধ্যে অনেককে ভারতে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। কাউকে প্রেমের প্রলোভনে ভারতে নিয়ে বিক্রি করে দিয়েছিল। অনেককে কাজের কথা বলেও প্রতারণা করে চক্রটি। ভারতে বিক্রির পর তাদের দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে বাধ্য করে পাচারকারীরা।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দিন-রাত চলছে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে পাথর ও বালু তোলার কাজ। বিশেষ করে উপজেলার সাঁও, চাওয়াই ও করতোয়া নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে নির্বিচারে। এতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ নষ্ট হচ্ছে এবং আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙনের। নদীর দুই তীর, ফসলি জম
৩ ঘণ্টা আগেচলমান সংস্কারের আওতায় অঙ্গীভূত আনসারদের সুনির্দিষ্টকরনের মাধ্যমে উপজেলা আনসার কোম্পানির প্রশিক্ষণ ধারণাকে ঢেলে সাজিয়ে একটি জাতীয় নিরাপত্তা প্লাটফর্মে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।
৪ ঘণ্টা আগেজনবলসহ বিভিন্ন সংকটে ভুগছে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল। জেলার ২০ লক্ষাধিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবার এই কেন্দ্রটিতে প্রয়োজনের চেয়ে কয়েক গুণ কম চিকিৎসক, কর্মচারী আছেন। ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা।
৪ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার বরপা মীরাবাড়ির বাসিন্দা আসাদ ভূঁইয়া (৪৫)। কাজ করতেন স্থানীয় এক ওয়ার্কশপে। স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে সংসার চালিয়ে যাচ্ছিলেন কোনোরকমে। গত বছরের ২৫ আগস্ট রূপসী মোড়ে গাজী টায়ার্স কারখানায় লুটপাট ও মারামারি শুরু হলে হাজারো
৪ ঘণ্টা আগে