Ajker Patrika

ক্যানসার আক্রান্ত খুবি শিক্ষার্থী রাকিবের পাশে দাঁড়ালেন ক্যাম্পাসের ভ্যানচালকেরা

খুবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ২১ জুলাই ২০২৫, ১৫: ১১
ক্যাম্পাসের ভ্যানচালকদের সাথে খুবি শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ক্যাম্পাসের ভ্যানচালকদের সাথে খুবি শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) আইন ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী রাকিব হাসান ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। চিকিৎসার ব্যয় প্রায় ৫০ লাখ টাকা হলেও ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার ও রাকিবের স্বজনদের সম্মিলিত চেষ্টায় সংগ্রহ হয়েছে ৪৩ লাখ ৪০ হাজার ৯৪২ টাকা। এর মধ্যে ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাস-সংলগ্ন হল রোডের ভ্যানচালকেরাও তাঁর চিকিৎসায় এগিয়ে এসেছেন এবং রাকিবের চিকিৎসায় দিয়েছেন তিন হাজার টাকা।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশ্বিবদ্যালয়ের আইন ডিসিপ্লিনের ’১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, অ্যালামনাইদের পাশাপাশি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন ভ্যানচালকেরাও।

এ ছাড়া সারা দেশে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ সাহায্য-সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে জানান তাঁর সহপাঠীরা। চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, রাকিবের অস্থিমজ্জা সম্পূর্ণরূপে বিকল হয়ে গেছে। বাঁচতে হলে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন জরুরি। বর্তমানে তিনি ঢাকার আহছানিয়া মিশন ক্যানসার ও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। দ্বিতীয় ধাপের কেমোথেরাপি চলছে, যা আরও এক মাস চলবে।

রাকিবের সহপাঠীদের থেকে জানা যায়, রাকিবের বাড়ি ঝিনাইদহে। বার্ধক্যজনিত কারণে তাঁর বাবা কর্মক্ষম নন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি বড় ভাই। চিকিৎসা চালাতে গিয়ে পরিবারের জমিজমা বিক্রি করে তাঁরা প্রায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। তবে সুস্থতার আশায় থেমে থাকেননি—চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সাধ্যমতো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সহপাঠী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, অ্যালামনাই এবং ভ্যানচালকদের উদারতায় রোববার (২০ জুলাই) পর্যন্ত বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ হয়েছে ২৮ লাখ ৪০ হাজার ৯৪২ টাকা। পরিবারের পক্ষ থেকেও সংগ্রহ হয়েছে আরও ১৫ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে উঠেছে ৪৩ লাখ ৪০ হাজার ৯৪২ টাকা।

ফলে চিকিৎসার জন্য এখনো প্রয়োজন আনুমানিক আরও ছয় থেকে সাত লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার ও রাকিবের পরিবার আশাবাদী—এই বাকি অর্থও উঠে আসবে সবার সম্মিলিত সহায়তায়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় রাকিব বলেন, ‘ক্যানসার রোগীর এমআরডি থাকা উচিত সর্বোচ্চ শূন্য দশমিক ১ শতাংশ, অথচ আমার রিপোর্টে এসেছে ৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ—প্রায় ৭০০ গুণ বেশি। চিকিৎসা ছাড়া বাঁচার আশা নেই। এখন শুধুই সবার দোয়া আর সহযোগিতাই আমার ভরসা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল বাসায় নিয়ে গায়েব করেন উপদেষ্টা— আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের মেয়রের অভিযোগ

চীনা যুদ্ধবিমান থেকে এলএস-৬ বোমা ফেলে কেন নিজ দেশে ‘হত্যাযজ্ঞ’ চালাল পাকিস্তান

ভবদহের দুঃখ ঘোচাতে আসছে সেনাবাহিনী, খনন করবে ৫ নদ-নদীর ৮১.৫ কিমি

ধর্ষণের শিকার শিশুর স্বজনকে মারতে উদ্যত হওয়া সেই চিকিৎসক বরখাস্ত

তাহসান তো জিহাদিদের মতোই কথা বললেন: তসলিমা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত