যশোর প্রতিনিধি
দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ ১২ দফা দাবিতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই বিক্ষোভ করা হয়। শিক্ষার্থীরা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
এর আগে গতকাল শনিবার একই দাবিতে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগও যুক্ত হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা যবিপ্রবি উপাচার্যের কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন।
শিক্ষার্থীদের ১২ দফা দাবি হলো–শিক্ষার্থীদের ক্লাস–পরীক্ষার সুবিধার্থে অনতিবিলম্বে স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু অ্যাকাডেমিক ভবনের লিফট স্থাপন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেন্ডারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছবি বিকৃতি মামলায় অভিযুক্তদের চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা, সুষ্ঠু তদন্ত ব্যতীত কোনো শিক্ষার্থীর ওপর শাস্তি আরোপ বা সরাসরি বহিষ্কার না করা ও বহিষ্কৃত সব শিক্ষার্থী ওপর আরোপিত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যায়ের যেসব উন্নয়নকাজে দুর্নীতি রিপোর্ট এসেছে, সেখানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করা, দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ও দুর্নীতি দমন কমিশনে তদন্তাধীন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে সাময়িক বহিষ্কার এবং তদন্ত শেষ না হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা, ফায়ার ফাইটার স্থাপনের কাজ দ্রুত শেষ করা এবং উক্ত কাজে আর্থিক লেনদেনের দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখা।
এ ছাড়া সেমিস্টার ফি কমানো, প্রথমবার রিকেট (অকৃতকার্য) ফি মওকুফ এবং দ্বিতীয় রিটেক (অকৃতকার্য) ফি প্রতি ক্রেডিট বাবদ সর্বোচ্চ ২৫ টাকা নির্ধারণ, বিভাগ উন্নয়নের নামে অবৈধ টাকা নেওয়া বন্ধ, শিক্ষকদের স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধে কিউ আর কোড সম্পর্কিত খাতা প্রদান ও ইমপ্রুভমেন্ট সিস্টেম চালু করা।
এ বিষয়ে যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লিফট স্থাপনসহ ১২ দফা দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করলে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ একাত্মতা ঘোষণা করে। দাবি নিয়ে শনিবার উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করলে তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।’ এই দাবি আদায়ে প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।
ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা বলেন, ‘১২ দফা দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে ছাত্রলীগ। দাবি আদায় না হওয়ায় পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলবে।’
এ বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য ড. মো. আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ১২ দফা দাবির মধ্যে যেগুলো যৌক্তিক সেগুলো মেনে নেওয়া হয়েছে। আরও কিছু দাবি আছে, যেগুলো আমার এখতিয়ারে নাই। আদালতে বিচারাধীন বিষয়ে আমার কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে কথা বলাও ঠিক না।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিছু দাবি মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারাধীন। সেই দাবি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আর লিফট স্থাপনের বিষয়টি টেন্ডার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। লিফট কমিটি সেটি বুঝে নেওয়ার পর স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে। তার আগে কিছু করার নেই।’
দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ ১২ দফা দাবিতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই বিক্ষোভ করা হয়। শিক্ষার্থীরা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
এর আগে গতকাল শনিবার একই দাবিতে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগও যুক্ত হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা যবিপ্রবি উপাচার্যের কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন।
শিক্ষার্থীদের ১২ দফা দাবি হলো–শিক্ষার্থীদের ক্লাস–পরীক্ষার সুবিধার্থে অনতিবিলম্বে স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু অ্যাকাডেমিক ভবনের লিফট স্থাপন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেন্ডারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছবি বিকৃতি মামলায় অভিযুক্তদের চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা, সুষ্ঠু তদন্ত ব্যতীত কোনো শিক্ষার্থীর ওপর শাস্তি আরোপ বা সরাসরি বহিষ্কার না করা ও বহিষ্কৃত সব শিক্ষার্থী ওপর আরোপিত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যায়ের যেসব উন্নয়নকাজে দুর্নীতি রিপোর্ট এসেছে, সেখানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করা, দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ও দুর্নীতি দমন কমিশনে তদন্তাধীন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে সাময়িক বহিষ্কার এবং তদন্ত শেষ না হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা, ফায়ার ফাইটার স্থাপনের কাজ দ্রুত শেষ করা এবং উক্ত কাজে আর্থিক লেনদেনের দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখা।
এ ছাড়া সেমিস্টার ফি কমানো, প্রথমবার রিকেট (অকৃতকার্য) ফি মওকুফ এবং দ্বিতীয় রিটেক (অকৃতকার্য) ফি প্রতি ক্রেডিট বাবদ সর্বোচ্চ ২৫ টাকা নির্ধারণ, বিভাগ উন্নয়নের নামে অবৈধ টাকা নেওয়া বন্ধ, শিক্ষকদের স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধে কিউ আর কোড সম্পর্কিত খাতা প্রদান ও ইমপ্রুভমেন্ট সিস্টেম চালু করা।
এ বিষয়ে যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লিফট স্থাপনসহ ১২ দফা দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করলে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ একাত্মতা ঘোষণা করে। দাবি নিয়ে শনিবার উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করলে তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।’ এই দাবি আদায়ে প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।
ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা বলেন, ‘১২ দফা দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে ছাত্রলীগ। দাবি আদায় না হওয়ায় পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলবে।’
এ বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য ড. মো. আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ১২ দফা দাবির মধ্যে যেগুলো যৌক্তিক সেগুলো মেনে নেওয়া হয়েছে। আরও কিছু দাবি আছে, যেগুলো আমার এখতিয়ারে নাই। আদালতে বিচারাধীন বিষয়ে আমার কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে কথা বলাও ঠিক না।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিছু দাবি মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারাধীন। সেই দাবি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আর লিফট স্থাপনের বিষয়টি টেন্ডার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। লিফট কমিটি সেটি বুঝে নেওয়ার পর স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে। তার আগে কিছু করার নেই।’
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে অবস্থিত তৈরি পোশাক কারখানা এম এম নিটওয়্যার ও মামুন নিটওয়্যার লিমিটেড শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার সকাল ৮টায় শ্রমিকেরা কারখানার গেটে টানানো বন্ধ ঘোষণার নোটিশ দেখতে পান। নোটিশ দেখার পর শ্রমিকদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা...
১৯ মিনিট আগেকারও হাতে খাতা, কারও বইয়ের ভাঁজে গুঁজে রাখা কলম। হঠাৎ হাওয়ার ঝাপটা এসে উড়িয়ে দেয় কাগজ। মাথায় হাত দিয়ে ধরে রাখতে হয় বই। শিক্ষক একটু থেমে যান। শব্দ থেমে যায়। কয়েক সেকেন্ড পরে আবারও
৪০ মিনিট আগে২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় ঘটনাস্থলেই নয়জন নিহত হন। হাসপাতালে মারা যান আরও একজন। রমনা বটমূলে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে মুফতি হান্নানসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে শ্রমিক বিক্ষোভ করছেন। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে টঙ্গীর খাঁ-পাড়া এলাকার সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেড নামক কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে এ বিক্ষোভ করেন।
১ ঘণ্টা আগে