Ajker Patrika

২২ পদের ১৬টিই শূন্য

জাহিদুর রহমান, দাকোপ (খুলনা)
২২ পদের ১৬টিই শূন্য

খুলনার দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। ডাক্তারসহ প্রয়োজনীয় জনবলের অভাব রয়েছে। দেখা গেছে, ২২টি পদের ১৬টিই শূন্য। এ ছাড়া এক্স-রে মেশিন বন্ধ থাকায় স্বাস্থ্যসেবা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ফলে সেবা নিতে আসা রোগীরা হাসপাতালের বাইরে থেকে অতিরিক্ত খরচে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন।

উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার প্রায় দুই লাখ মানুষের চিকিৎসাসেবার একমাত্র ভরসা এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। ৩১ শয্যার স্বাস্থ্য  কমপ্লেক্সটি খাতা–কলমে ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও সংশ্লিষ্ট পদে রয়েছে জনবলের অভাব। হাসপাতালটিতে ১০ জন জুনিয়র কনসালট্যান্ট থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র একজন।

এ ছাড়া স্টোরকিপার, মেডিকেল টেকনোলজিস্টসহ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ২২টি পদের ১৬টিই শূন্য রয়েছে।

তা ছাড়া হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে দীর্ঘদিন ধরে রেডিওলজির পদটি শূন্য থাকায় এক্স-রে মেশিন বন্ধ রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, পরিবেশ ও অবস্থানগত কারণে দক্ষিণ খুলনার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এটি। এই উপজেলার রোগী ছাড়াও পার্শ্ববর্তী বটিয়াঘাটা, রামপাল, পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলার শ শ রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকে এখান থেকে। যে কারণে প্রতিদিন বহির্বিভাগে ১৫০ থেকে ২০০ জন সাধারণ রোগীর পদচারণা ঘটে।

এর পরও আন্তবিভাগে রয়েছে জটিল রোগে আক্রান্ত রোগী। হাসপাতালটি নামে ৫০ শয্যা হলেও প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ জন রোগী ভর্তি থাকে। ফলে বেড ছাড়াও বারান্দায় ঠাসাঠাসি অবস্থায় রোগী থাকতে দেখা যায়। এক্স-রেসহ এসব রোগীর বেশির ভাগ পরীক্ষা–নিরীক্ষা হাসপাতালের বাইরের কয়েকটি প্রাইভেট প্যাথলজি অথবা খুলনার কোনো ক্লিনিক থেকে অতিরিক্ত খরচে করতে হচ্ছে। এতে রোগীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে তাঁদের অভিযোগ। তবে করোনার কারণে হাসপাতালে এখন রোগীর চাপ অনেকটা কম। কথা হয় হাসপাতালে ভর্তি বাসন্তী মণ্ডল, মিতালি মণ্ডল, আবেদা বেগম, ইসলাম শেখসহ একাধিক রোগীর সঙ্গে।

তাঁরা জানান, এই হাসপাতালটিতে সিজার, জটিল রোগের অপারেশনসহ সব ধরনের ব্যবস্থা থাকায় এখানে চিকিৎসা নিতে এসেছেন তাঁরা। কিন্তু রোগীর অতিরিক্ত চাপ থাকায় সবসময় সিট পাওয়া যায় না। এখন করোনার কারণে রোগীর চাপ কম বলে সিট পাওয়া গেছে। তবে অনেক পরীক্ষা–নিরীক্ষা বাইরে থেকে করতে অতিরিক্ত টাকা খরচ হচ্ছে তাঁদের। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোজাম্মেল হক নিজামী আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাসপাতালে জনবলসংকটে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। অবেদনবিদ না থাকায় অপারেশন করতেও পোহাতে হচ্ছে নানা সমস্যা।

আগে প্রতিদিন অনেক রোগীর চাপ থাকত। সেবা দিতে হিমশিম খেতে হতো। বর্তমানে করোনাভাইরাসের ভয়ে রোগীর চাপ কম। বেশির ভাগ রোগী ভর্তি না হয়ে চিকিৎসা নিয়ে চলে যাচ্ছে। হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত রোগীদেরও চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। তাঁদের জন্য ছয় বেডের একটি আইসোলেশন ওয়ার্ডও খোলা হয়েছে বলে তিনি জানান। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির

প্রবাসীর রেমিট্যান্সের অর্থ আত্মসাৎ, নারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

পাকিস্তানে কীভাবে হামলা চালাতে পারে ভারত, ইতিহাস যা বলছে

আইপিএলে চাহালের রেকর্ড হ্যাটট্রিকের রাতে রহস্যময় পোস্ট এই নারীর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত