খুলনা প্রতিনিধি
মা চণ্ডী রানী জানেন বন্ধুদের সঙ্গে মোটরসাইকেল নিয়ে বেরিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে অর্ণব। তাই তো বিলাপ করতে বারবার বলছেন, ‘কেন মোটরসাইকেল নিয়ে বাইরে গেলি। আমার বুকে ফিরে আয় বাবা। আমার নিরীহ বাবা ফিরে আয়।’
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএর ছাত্র অর্ণব কুমার সরকার অর্ণবের বাড়িতে গেলে এ দৃশ্য দেখা যায়। গতকাল শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে নগরীর শেখপাড়া তেঁতুলতলা মোড়ে অর্ণব চা পান করছিলেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা তাঁকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
খুলনা নগরীর বানরগাতি এলাকায় ইসলাম কমিশনার মোড়ে তাঁর বাড়ি। এ সময় মা চণ্ডী রানীর পাশাপাশি অর্ণবের বাবা নিতিশ কুমার সরকার ও আর ছোট ভাই অনীক কুমার সরকারকেও বিলাপ করতে দেখা যায়। তাঁদের ঘিরে রেখেছেন পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা। অর্ণবকে হারিয়ে সবাই যেন নির্বাক।
রাস্তার মোড়ে অর্ণবের বাবা বসে আছেন। তাঁকে ঘিরে রয়েছে মানুষের জটলা। তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করছে কিছু মানুষ। কিছুক্ষণ পরপরই সন্তানের নাম নিয়ে চিৎকার করছেন। বারবার বলছিলেন, ‘আমার বাবা কারও সঙ্গে কোনো দিন কোনো দুর্ব্যবহার করেনি। কারও সঙ্গে কোনো দিন কথা-কাটাকাটি করেনি। আমিও কোনো দিন কারও কোনো ক্ষতি করিনি। কেন ওরা আমার ছেলেকে এভাবে হত্যা করল। কার কাছে বিচার দেব।’
স্বজনেরা জানান, চণ্ডী রানীকে এখনো জানানো হয়নি যে তাঁর ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। বলা হয়েছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তিনি মারা গেছেন।
চণ্ডী রানী বিলাপ করতে করতে বারবার তিনি বলছেন, ‘কেন মোটরসাইকেল নিয়ে বাইরে গেলি। আমার বুকে ফিরে আয় আমার বাবা। আমার নিরীহ বাবা ফিরে আয়।’
ঘরের একটু বাইরে বসে কাঁদছিলেন নিহত অর্ণবের ছোট ভাই অনীক কুমার সরকার। তিনি জানালেন, আজ শনিবার তাঁর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা খুলনা সিএসএস কেন্দ্রে ছিল। ভাইয়ের সঙ্গে আজ তাঁর পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটি আর হলো না। গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অর্ণব বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। রাত সাড়ে ৮টার দিকে এক বড় আপু তাঁকে ফোন করে বলেন, তাঁর ভাই সন্ত্রাসীর গুলিতে নিহত হয়েছেন।
অনীক কুমার সরকার আরও বলেন, ‘অর্ণবের সঙ্গে কারও শত্রুতা থাকতে পারে না। তাকে কেন এভাবে হত্যা করা হলো। কার কাছে বিচার দিলে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার পাব।’
স্থানীয় বেলাল হোসেন বলেন, অর্ণবের বাবা একজন কনস্ট্রাকশন ব্যবসায়ী। পড়াশোনার পাশাপাশি সে বাবার ব্যবসা দেখাশোনা করত। কোনো দিন সে কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেনি।
ওই এলাকার বাসিন্দা ঠিকাদার তসলিম হোসেন হারুন বলেন, ‘অর্ণবদের আদি বাড়ি রামপাল উপজেলার রাজনগর এলাকায়। তাদের জন্ম এখানে। কোনো দিন দেখেনি কারও সঙ্গে সে দুর্ব্যবহার করেছে। যত দূর জেনেছি, ১৫ দিন আগে অর্ণবের ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন বিয়ে বাড়ি থেকে হারিয়ে যায়। যে ঘটনায় সে সোনাডাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে।’
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে খুলনা নগরীর শেখপাড়া তেঁতুলতলা মোড়ে একটি মোটরসাইকেলে হেলান দিয়ে অর্ণব চা পান করছিলেন। এ সময় ১০-১৫টি মোটরসাইকেলে লোকজন এসে প্রথমে তাঁকে গুলি করে। গুলি তাঁর গায়ে লাগার পর রাস্তায় পড়ে গেলে সন্ত্রাসীরা তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে রেখে চলে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পার্শ্ববর্তী খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
অর্ণব খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের মাস্টার্সের ছাত্র। তাঁর রোল নম্বর ২৩০৩১৭।
সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, অর্ণব হত্যার ঘটনায় আজ শনিবার দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে অর্ণবের মরদেহ বেলা পৌনে ১টার দিকে প্রথমে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে সৎকার করার জন্য গল্লামারী শ্মশানঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মা চণ্ডী রানী জানেন বন্ধুদের সঙ্গে মোটরসাইকেল নিয়ে বেরিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে অর্ণব। তাই তো বিলাপ করতে বারবার বলছেন, ‘কেন মোটরসাইকেল নিয়ে বাইরে গেলি। আমার বুকে ফিরে আয় বাবা। আমার নিরীহ বাবা ফিরে আয়।’
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএর ছাত্র অর্ণব কুমার সরকার অর্ণবের বাড়িতে গেলে এ দৃশ্য দেখা যায়। গতকাল শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে নগরীর শেখপাড়া তেঁতুলতলা মোড়ে অর্ণব চা পান করছিলেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা তাঁকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
খুলনা নগরীর বানরগাতি এলাকায় ইসলাম কমিশনার মোড়ে তাঁর বাড়ি। এ সময় মা চণ্ডী রানীর পাশাপাশি অর্ণবের বাবা নিতিশ কুমার সরকার ও আর ছোট ভাই অনীক কুমার সরকারকেও বিলাপ করতে দেখা যায়। তাঁদের ঘিরে রেখেছেন পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা। অর্ণবকে হারিয়ে সবাই যেন নির্বাক।
রাস্তার মোড়ে অর্ণবের বাবা বসে আছেন। তাঁকে ঘিরে রয়েছে মানুষের জটলা। তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করছে কিছু মানুষ। কিছুক্ষণ পরপরই সন্তানের নাম নিয়ে চিৎকার করছেন। বারবার বলছিলেন, ‘আমার বাবা কারও সঙ্গে কোনো দিন কোনো দুর্ব্যবহার করেনি। কারও সঙ্গে কোনো দিন কথা-কাটাকাটি করেনি। আমিও কোনো দিন কারও কোনো ক্ষতি করিনি। কেন ওরা আমার ছেলেকে এভাবে হত্যা করল। কার কাছে বিচার দেব।’
স্বজনেরা জানান, চণ্ডী রানীকে এখনো জানানো হয়নি যে তাঁর ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। বলা হয়েছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তিনি মারা গেছেন।
চণ্ডী রানী বিলাপ করতে করতে বারবার তিনি বলছেন, ‘কেন মোটরসাইকেল নিয়ে বাইরে গেলি। আমার বুকে ফিরে আয় আমার বাবা। আমার নিরীহ বাবা ফিরে আয়।’
ঘরের একটু বাইরে বসে কাঁদছিলেন নিহত অর্ণবের ছোট ভাই অনীক কুমার সরকার। তিনি জানালেন, আজ শনিবার তাঁর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা খুলনা সিএসএস কেন্দ্রে ছিল। ভাইয়ের সঙ্গে আজ তাঁর পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটি আর হলো না। গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অর্ণব বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। রাত সাড়ে ৮টার দিকে এক বড় আপু তাঁকে ফোন করে বলেন, তাঁর ভাই সন্ত্রাসীর গুলিতে নিহত হয়েছেন।
অনীক কুমার সরকার আরও বলেন, ‘অর্ণবের সঙ্গে কারও শত্রুতা থাকতে পারে না। তাকে কেন এভাবে হত্যা করা হলো। কার কাছে বিচার দিলে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার পাব।’
স্থানীয় বেলাল হোসেন বলেন, অর্ণবের বাবা একজন কনস্ট্রাকশন ব্যবসায়ী। পড়াশোনার পাশাপাশি সে বাবার ব্যবসা দেখাশোনা করত। কোনো দিন সে কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেনি।
ওই এলাকার বাসিন্দা ঠিকাদার তসলিম হোসেন হারুন বলেন, ‘অর্ণবদের আদি বাড়ি রামপাল উপজেলার রাজনগর এলাকায়। তাদের জন্ম এখানে। কোনো দিন দেখেনি কারও সঙ্গে সে দুর্ব্যবহার করেছে। যত দূর জেনেছি, ১৫ দিন আগে অর্ণবের ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন বিয়ে বাড়ি থেকে হারিয়ে যায়। যে ঘটনায় সে সোনাডাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে।’
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে খুলনা নগরীর শেখপাড়া তেঁতুলতলা মোড়ে একটি মোটরসাইকেলে হেলান দিয়ে অর্ণব চা পান করছিলেন। এ সময় ১০-১৫টি মোটরসাইকেলে লোকজন এসে প্রথমে তাঁকে গুলি করে। গুলি তাঁর গায়ে লাগার পর রাস্তায় পড়ে গেলে সন্ত্রাসীরা তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে রেখে চলে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পার্শ্ববর্তী খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
অর্ণব খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের মাস্টার্সের ছাত্র। তাঁর রোল নম্বর ২৩০৩১৭।
সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, অর্ণব হত্যার ঘটনায় আজ শনিবার দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে অর্ণবের মরদেহ বেলা পৌনে ১টার দিকে প্রথমে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে সৎকার করার জন্য গল্লামারী শ্মশানঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ভবন নির্মাণের পর আর তেমন কোনো সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে ভবনগুলো ভেঙে পড়ার মতো ঝুঁকিতে রয়েছে। একাডেমিক ভবনের তৃতীয় তলায় অবস্থিত ছাত্রদের আবাসিক হোস্টেলে বড় বড় ফাটল থাকায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সময় পলেস্তারা খসে পড়ে, কোথাও কোথাও রড বের হয়ে গেছে।
১১ মিনিট আগে২০১৯ সালের গোড়ায় মডেল মসজিদের কাজ শুরু হয়। এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি চলছে, প্রায় সাত বছর পার হলেও ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। অথচ তিন বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু হয়েছিল।”
১ ঘণ্টা আগেজমানো পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা ও মাছির জন্ম হয়ে পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। দ্রুত পৌর শহরের অর্ধলাখ মানুষকে রক্ষায় কালভার্ট ও ড্রেনেজ দখল করে স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন
১ ঘণ্টা আগেসরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে